ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সহজ ৫ টি টিপস

Level 3
শিক্ষার্থী, শের এ বাংলা সরকারি মহাবিদ্যালয়, রানীনগর, নওগাঁ, রাজশাহী

আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান? আপনি কি জানতে চান যে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সহজ ৫ টি উপায় কী? কী? তাহলে আজকের টিউনটি সম্পূর্ণ পড়ুন। আজকের টিউনে আমি আপনাকে জানাবো যে ফ্রিল্যান্সিং কী? এবং ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সহজ ৫ টি উপায় কী কী তা। তো আজকের এই টিউনটি শুরু করার আগে আমি আপনাকে জানাতে চাই যে আজকের এই টিউন জুড়ে আমি আপনাকে যেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সহজ ৫ টি উপায় সম্পর্কে জানাবো তা আমি আমার বাস্তব ফ্রিল্যান্সিং জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করেছি। আমি আমার ফ্রিল্যান্সিং জীবনে যা যা করেছি এবং যা যা করে আজ এ পর্যন্ত এসেছি যেভাবে করেছি সেগুলোই আজকের এই টিউন জুড়ে আমি আপনার সাথে শেয়ার করব। তো চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে এবার জেনে নেওয়া যাক যে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সহজ ৫ টি উপায় কী কী তা।

ফ্রিল্যান্সিং কী?

ফ্রিল্যান্সিং অর্থাৎ মুক্ত পেশা। যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছামতো, আপনার সময় মত আপনি কাজ করতে পারেন। আরো সহজ ভাবে বুঝাতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হল কোন মালিক বা কোম্পানির অধীনে কাজ না করে আপনি আপনার ইচ্ছামতো কোন ক্লায়েন্টের কোন কাজ করে দেওয়া এবং সেই কাজ শেষে সেই ক্লায়েন্ট থেকে পেমেন্ট গ্রহণ করা। যে কাজে আপনার কোন বস বা কোন কোম্পানি থাকবে না যিনি আপনাকে নিয়ম মত অর্ডার করবেন। এ পেশায় আপনি আপনার ইচ্ছামতো ক্লায়েন্ট পছন্দ করে তার কাজ করতে পারেন।

তো আশাকরি এবার বুঝতে পেরেছেন যে ফ্রিল্যান্সিং কি। তো এবার আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী হন তাহলে আমি নিচে যে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সহজ ৫ টি উপায় শেয়ার করেছি যা আপনি পড়ে এবং সে অনুযায়ী যদি আপনি তা বাস্তবে প্রয়োগ করেন তাহলে ধীরে ধীরে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন। তো চলুন এবার দেখে নেওয়া যায় ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সহজ ৫ টি উপায় কী কী তা।

১. আপনার দক্ষতা নির্ধারণ করুন

ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে সবাই এই একটি বিষয়েই কনফিউশনে পড়ে যায়। আর সেটি হল যে কোন বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়? এরকম সময় মাথায় নানা ধরনের কাজের চিন্তা আসে। আমার অনেকেই মনে করেন যে তিনি একসাথে একাধিক কাজ করবেন। তো যদি আপনি একসাথে একাধিক কাজ করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনার সিদ্ধান্তটাকে এক্ষুনি পরিবর্তন করতে হবে। কারণ একসাথে একাধিক কাজ করলে আপনি কোন কাজেই পারদর্শী হতে পারবেন না।

এবং বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেক প্রতিযোগিতা তাই পারদর্শী না হতে পারলে এখানে আপনি টিকেও থাকতে পারবেন না। তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি যদি ক্যারিয়ার করতে চান তাহলে অবশ্যই নির্দিষ্ট কোনো একটি কাজে আপনাকে দক্ষ হতে হবে। তাই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সবার আগে আপনি এটি যাচাই করুন যে আপনি কোন কাজে পারদর্শী এবং সেই কাজটি নিয়ে এখন থেকেই কাজ শুরু করে দিন। সেই কাজে আপনার আরও দক্ষতা গড়ে তুলুন। তো একটি সময় পর আপনি যদি সেই নির্দিষ্ট একটি কাজে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন তাহলে এবার আপনাকে নেক্সট স্টেপে যেতে হবে।

২. একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কাজ শুরু করে দিন

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা গড়ে তোলার পর আপনার দ্বিতীয় পদক্ষেপ হলো নির্দিষ্ট একটি জায়গায় কাজ শুরু করে দেওয়া। শুরুতেই বড় প্ল্যাটফর্মে কাজ করা শুরু করবেন না। শুরুতে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় কাজ শুরু করুন। যেমন ধরুন আপনি যদি একজন লেখক হন তাহলে নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইটে লেখা শুরু করুন। যেখানে আপনার নিজের একটা পরিচয় তৈরি হবে এবং ধীরে ধীরে আপনি কিছু ক্লাইন্ট পাবেন যারা আপনাকে কাজ দিতে আগ্রহী হবে।

তো এভাবে আপনি আপনার কাজ করার ক্লাইন্ট পেতে শুরু করবেন। এভাবে আপনার কাজের প্রতি আপনার দক্ষতা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। এবং আপনার কাজের চাহিদা প্রচুর বাড়বে। এভাবে যখন আপনি ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ এবং কাজ লেনদেন করতে শিখে যাবেন তারপর আপনি ধীরে ধীরে বড় বড় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কাজ শুরু করতে পারেন।

৩. আপনার একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন

তো কোন একটি কাজে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করার পর তারপর যখন আপনি সেই কাজ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যাবেন তার আগে আপনাকে আপনার একটি পোর্টফলিও তৈরি করতে হবে। পোর্টফোলিও বলতে সহজ ভাষায় আপনার একটি পরিচয় পত্র যেখানে আপনি কি করেন, আপনার নাম ঠিকানা, আপনার কাজের তথ্য ইত্যাদি এইসব তথ্য দেওয়া থাকে। এই পোর্টফোলিও কাজে আসে কোন নতুন ক্লাইন্টকে আপনার ব্যাপারে ভালোভাবে জানানোর জন্য। এই পোর্টফোলিওতে আপনার অতীতের কিছু কাজগুলোও যুক্ত করা থাকে যেন আপনার দক্ষতা একজন ক্লায়েন্ট সহজেই সেই পোর্টফোলিও দেখে বুঝতে পারে। উদাহরণ হিসাবে ধরুন আপনি একজন লেখক হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছেন তো আপনার পোর্টফোলিয়তে আপনি অতীতে যে ওয়েবসাইটগুলোতে লিখেছেন সেই ওয়েবসাইটগুলোতে আপনার প্রোফাইল লিংক আপনি আপনার পোর্টফোলিয়তে দিতে পারেন।

এতে করে কোন ক্লাইন্ট যখন আপনার কাছ থেকে কোন কিছু লিখে নিতে চাইবেন তখন সে সহজেই আপনার পোর্টফলিও দেখে সেখান থেকে সেই সাইট গুলোতে গিয়ে আপনার প্রোফাইল চেক দিয়ে তিনি বুঝতে পারবেন যে আপনি লেখালেখিতে কতটা দক্ষ। তাই অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনার নিজের একটি ব্যক্তিগত পোর্টফোলিও সুন্দর করে তৈরি করে নিতে হবে।

৪. ক্লায়েন্ট খুঁজুন

আপনি আপনার নিজস্ব একটি পোর্টফোলিও তৈরি করলেন এবং কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা ও অর্জন করলেন কিন্তু আপনার যদি ক্লায়েন্ট-ই না থাকে তাহলে আর এইসব শিখে লাভ কী? তাই পোর্টফোলিও তৈরি করা ও কোন কাজে দক্ষতা অর্জন করার পর আপনার পরবর্তী কাজ হল ক্লায়েন্ট খোঁজা। ক্লায়েন্ট খোদার জন্য আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং ও করতে পারেন আবার কোন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মেও অ্যাকাউন্ট করে সেখানেও আপনি ক্লায়েন্ট খুঁজতে পারেন। বা আপনাকে অতীতে যেই আইডিয়াটার কথা বললাম যে: কয়েকটি সাইটে আপনি কাজ দেওয়া শুরু করুন এবং সেখান থেকেও আপনার ক্লাইন্ট অ্যারেঞ্জড হয়ে যাবে। ফ্রিল্যান্সিং শুরুতে আপনার ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে অনেক সময় লাগবে এবং পরিশ্রমও হবে তবে ধৈর্য রাখবেন। ধীরে ধীরে আপনার ১০ থেকে ১৫ জন ক্লায়েন্টও যদি আপনি পান যারা আপনাকে নিয়মিত কাজ দিবেন তাহলেই আপনি সুন্দরভাবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার চালিয়ে যেতে পারবেন।

৫. প্রফেশনাল ভাবে কাজ করুন

একবার যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং হিসাবে কাজ শুরু করবেন তখন প্রফেশনাল ভাবে কাজ শুরু করুন। অর্থাৎ নিয়মিতভাবে কাজ করুন এবং আপনার সর্বোচ্চ দিয়ে পারফেক্টভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করুন ও ক্লাইন্টকে খুশি রাখুন। তাড়াহুড়া করে কাজ করবেন না এতে আপনার কাজ খারাপ হবে এবং ক্লায়েন্ট আপনার সাথে আর ভবিষ্যতে যোগাযোগ নাও রাখতে পারে। সব সময় ধৈর্য ধরে এবং যথেষ্ট সময় নিয়ে পারফেক্টভাবে কাজ সম্পন্ন করবেন। এতে করে আপনি আপনার ক্লায়েন্টদের সাথে সারা জীবনের সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন এবং সারা জীবন আপনি তাদের কাজ থেকে কাজ পেতে থাকবেন।

এ বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত

শুরুতে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তোলা খুব কঠিন হতে পারে তবে ধৈর্য রাখুন কারণ একবার আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে উঠলে তখন আর আপনাকে অন্য কোন বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে না। শুরুতে আপনি ক্লায়েন্ট খুঁজে পাবেন না তারপর ধীরে ধীরে আপনি ক্লাইন্ট পেতে শুরু করবেন। এবং তাদের সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ রাখুন এবং সঠিকভাবে সঠিক সময় তাদের কাজ সম্পন্ন করে দিন। এতে তারা আপনার সাথে সারা জীবন যোগাযোগ রাখবে এবং সারা জীবন আপনি তাদের কাছ থেকে কাজ পেতে থাকবেন।

Level 3

আমি মো মিনহাজ। শিক্ষার্থী, শের এ বাংলা সরকারি মহাবিদ্যালয়, রানীনগর, নওগাঁ, রাজশাহী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 33 টি টিউন ও 23 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।

"Welcome to TechTunes! I'm Md Minhaj, your guide to the dynamic world of technology. As an avid tech enthusiast, I'm dedicated to uncovering the latest trends, innovations, and insights in the tech realm. Through my words on TechTuness, I aim to decode intricate tech jargon, provide thoughtful analysis, and offer...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস