ফ্রিল্যান্সিং মানে মুক্ত পেশায় কাজ করা। বর্তমানে অনলাইন ইনকামের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং সবচেয়ে জনপ্রিয়। কিন্ত তবু ও অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে ফ্রিল্যান্সিং করে কি আসলে আয় করা যায়? তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর হবে হ্যাঁ ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে ও আয় করা যায়। বর্তমান আধুনিক যুগ তথা তথ্য প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে প্রায় সবার কাছেই স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ আছে। সাথে যদি ভালো ইন্টারনেট সংযোগ থাকে তাহলে তো বিষয়টি আরো চমংকার।
আপনি চাইলে আপনার হাতের মোবাইলটি দিয়ে ও ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং আবার কি? ডিজিটাল মার্কেটিং হলো কোনো ব্যবসায়, বিজ্ঞাপণ ইত্যাদি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে মানে কাছে জানানো। যে কেউ চাইলে নিজের পছন্দমতো সোশ্যাল মিডিয়ার কোনো একটি বা একাধিক বিষয়ের উপর স্কিল তৈরি করে প্রযুক্তির মাধ্যমে সেবা বিক্রয় করে আয় করতে পারে।
এই সেক্টরে আপনি নিজের দেশে নিজ এর বাসায় বসে দেশের বা বিদেশের যে কোনো ক্লাইন্ডকে সেবা প্রদান করে বাসায় বসেই বিদেশের ডলার আয় করতে পারবেন। এই সেক্টরে ভালো করার জন্য ইংরেজি ভাষায় ও মোটামোটি দক্ষ হতে হয়। আপনার যদি কমিউনিকেশন স্কিল ভালো থাকে তাহলে আপনি ক্লাইন্ডের সাথে আরও ভালো আন্তরিকভাবে কথা বলতে পারবেন। এতে করে আপনারও ক্লাইন্ডের মধ্যে একটি সুসম্পর্ক তৈরি হতে পারে। যার ফলে আপনার ক্লাইন্ট হারানোর ভয় অনেকাংশে হ্রাস পাবে। ফেসবুক মার্কেটিং, ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং, টুইটার মার্কেটিং, গুগল এ্যডস, পিন্টারয়েস্ট, লিংকইডিন মার্কেটিং ইত্যাদি এই সবই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি একটি সেক্টর।
ডিজিটাল মার্কেটার হতে হলে সব বিষয়েই জ্ঞান থাকা উচিত। আপনি যত ভালো স্কিলড হবেন ততই আপনার জন্য ভালো। আপনি যত দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারবেন ততই ক্নাইন্টের এর মন জয় করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আপনার দক্ষতার গুরুত্ব অপরিসীম। দক্ষতা ছাড়া এই সেক্টরে কেউই টিকে থাকতে পারে না। তাই এই সেক্টরে আসার আগে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করে আসতে হবে। ফাইভার, আপওয়ার্ক এইগুলোর মাধ্যমে আপনি দেশি বিদেশি ক্লাইন্ট পেতে পারেন। যাদের কাজ সম্পন্ন করে আপনি অনলাইনের মাধ্যমেই তাদের কাছ থেকে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। তাহলে আমরা সহজে বলতেই পারি ফ্রিল্যান্সিং এর অন্তর্ভুক্ত সেক্টর ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই রোজগার করতে পারবো।
এই সেক্টরের ক্ষেত্রে আপনার ধরা বাধা কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা, কোনো নির্দিষ্ট বয়সসীমা প্রয়োজন নেই। আপনি যেকোনো বয়সেই এই সেক্টরে কাজ করতে পারেন নিজের কামায় নিজেই করতে পারেন। বর্তমানে এমন শত শত উদাহরণ আছে। তাই আপনি অযথা অনলাইনে সময় না কাটিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কোন একটি স্কিল ডেভলপমেন্ট করে নিজের রোজগারের ব্যবস্থা নিজেই করতে পারেন এতে একদিকে যেমন আপনি নিজের পায়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও উন্নত করতে পারেন। বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় ডিজিটাল মার্কেটিং। তাছাড়া বর্তমানে বিপুল সংখ্যক বেকার জনগোষ্ঠীও ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝুকছেঁ।
ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার রয়েছে ধৈর্য। কারন আপনি সবসময় এই সেক্টরে কাজ পাবেন তা কিন্তু নয়। তাই আপনাকে সবসময় মানসিকভাবে ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং ধৈর্যের সাথে লেগে থাকতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার রয়েছে ধৈর্য। কারন আপনি সবসময় এই সেক্টরে কাজ পাবেন তা কিন্তু নয়। তাই আপনাকে সবসময় মানসিকভাবে ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং ধৈর্যের সাথে লেগে থাকতে হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে সকল কিছুই হাতের নাগালে চলে এসেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যেমন আমাদের জীবনকে সহজ করেছে তেমনি বিভিন্ন রোজগারের মাধ্যম ও তৈরি করেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আশীর্বাদে যে কেউ ঘরে বসে বিদেশি কোনো কোম্পানির সাথে কাজ করতে পারবে। তাই ফ্রিল্যান্সিং শিখুন ও নিজের ক্যারিয়ার গঠন করুন।
আমি ইসরাত ইমতি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।