আপনি কি জানেন ইউটিউব থেকে এখন মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
ইউটিউবে ইনকাম কিভাবে হয়?
ইউটিউবে ইনকাম করার জন্য ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করে টাকা ইনকাম করা যায়। ইউটিউব ইনকাম করতে হলে আপনার কি কি লাগবে?
ইউটিউব ইনকাম করতে হলে আপনার একটি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ লাগবে সর্বপ্রথম। তারপর প্রয়োজন হবে একটি জিমেল আইডি ও একটি ইউটিউব চ্যানেল।
তারপর আপনার ভিডিও এডিট করার জন্য কিছু দক্ষতা থাকা লাগবে। এছাড়াও রয়েছে কিছু সিইও কাজ জানতে হবে। সিইও সম্পর্কে না জানা থাকলে আমার ড্যাসবোর্ডে ঘুরে আসুন সিইও সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করবো এবং ইউটিউবের নিয়ম কানুন মেনে চললেই হবে।
ইউটিউবে কাজ করতে হলে অনেক বিষয় আপনাকে লক্ষ রাখতে হবে। যেমন সর্বপ্রথম আপনাকে ইউটিউব অ্যালগরিদম বুঝতে হবে। ইউটিউবের অ্যালিগরিদম সম্পর্কে আপনি অবগতি না থাকলে আপনি ইউটিউব চ্যানেলে খুব একটা বেশি আর্ন করতে পারবেন না।
ইউটিউব চ্যানেল: আপনি যখন একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন তখন ইউটিউবের নিয়ম মেনে সুন্দর ভাবে একটি চ্যানেল খুলবেন। প্রথমত চ্যানেল একটি সুন্দর নাম নিবার্চন করুন। আমি উপদেশ দিবো আপনি নিজের নাম দিয়ে চ্যানেল খোলার।
কারন ভিউয়ারসরা জেনো আপনাকে আপনার নামে চেনে। আপনি একটি প্রফেশনাল চ্যানেল খুলবেন। সুন্দর একটা নাম নিবার্চন করার পর সুন্দর ভাবে চ্যানেলের ডেসক্রিপশন লিখবেন। চ্যানেলের ডেসক্রিপশনে সুন্দর ভাবে চ্যানেলের বর্ণনা দিবেন।
যে আপনার চ্যানেলটি কোন ক্যাটাগরির, এখানে কি ধরনের ভিডিও আপলোড করা হয়। যা ভিউয়ারসদের বুঝতে সুবিধা হয় এটা কি ক্যাটাগরির চ্যানেল। কিছু গুগলে সার্চ দিয়ে চ্যানেলে ট্যাগ ব্যবহার করবেন। কোন ট্যাগ বেশি সার্চ হয় ইত্যাদি সার্চ করে নিবার্চন করুন।
চ্যানেলে প্রোফাইলে একটি সুন্দর দেখে চ্যানেলের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ রেখে লোগো তৈরি করুন। আপনি যদি লোগো তৈরি করতে না পারেন তাহলে লোগো কিভাবে তৈরি করে সে বিষয়ে টিউমেন্ট করে জানাবেন আমি শিখিয়ে দিব।
একটি কভার ফটো তৈরি করুন। কভার ফটো এমন করে বানাবেন যাতে কভার ফটো দেখে ভিউয়ারস চ্যানেল সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে যায়। এছাড়াও আরও অনেক কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো সিরিয়াল অনুযায়ী কমপ্লিট করবেন।
ইউটিউব ভিডিও:
ইউটিউবে আপনি যখন একটি ভিডিও আপলোড করবেন তখন ভিডিওটি হতে হবে একদম ইউনিক। যা আপনি নিজের দক্ষতা দিয়ে নিজে তৈরি করেছেন।
ভিডিওটি ভালোভাবে এডিট করে আপলোড করতে হবে।
কারো দেখে কখোনো কপি করবেন না এমনকি কারো ভিডিও ডাউনলোড করে আপনার চ্যানেলে আপলোড করবেন না। যদি করে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলটি আজীবনের জন্য ব্যন হয়ে যেতে পারে। ভিডিও সবসময় ইউনিক আপলোড করবেন। আপনার যা দক্ষতা আছে আপনি তা দিয়ে ভিডিও বানাবেন।
ইউটিউব সিইও কি:
ইউটিউবে ভিডিও যদি সিইও না করেন তাহলে ভিডিও র্যাংক করবে না। সিইও মানে হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। আপনার ভিডিওকে সার্চ লিস্টের সবার প্রথমে আনাকেই সিইও বলে।
একজন ভিউয়ারস যখন ইউটিউব সার্চে কোন কিছু সার্চ দিলে আর সার্চ করার পর যে ভিডিও গুলো আসে সেই ভিডিওর মধ্যে আপনার ভিডিওকে প্রথমে আনাই হচ্ছে এসিও।
ইউটিউব সিইও কিভাবে করে?
১। ভিডিও টাইটেল:
প্রথমত আপনি যে ভিডিও আপলোড করবেন সে ভিডিওর টাইটেল নিবার্চন করবেন। আপনি একটু গুগলে সার্চ দিয়ে দেখবেন যে সবচেয়ে বেশি কোন টাইটেল ভিউয়ার সার্চ দেয়। সেই ধরনের টাইটেল দেওয়ার চেষ্টা করবেন এতে ভিডিও র্যাংক করার সম্ভবনা রাখে বেশি।
২। ভিডিও ডেসক্রিপশন: ভিডিও ডেসক্রিপশনে ভিডিও সম্পর্কে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করবেন যাতে ভিউয়ার ডেসক্রিপশন দেখে বুঝে যায় ভিডিওটি কি সম্পর্কে।
৩। ভিডিও ট্যাগ:
ভিডিওতে ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। ট্যাগ অপশন দেওয়া আছে সেখানে অনেক পাওয়ার ফুল ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। যাতে সহজেই ভিডিও র্যাংকে চলে যায়।
৪। ভিডিও থাম্বনেইল:
ভিডিওতে সবসময় আকর্ষন মূলক থাম্বনেইল ব্যবহার করতে হবে। যাতে ভিউয়ার থাম্বনেইল দেখেই ভিডিও দেখে। অনেক সময় থাম্বনেইলের জন্য ভিডিওর অনেক ভিউ আসে।
৫। কিওয়ার্ড রিসার্চ:
সিইও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ। আপনি যত ভালো কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন ততো বেশি আপনার ভিডিও র্যাংক করবে। কিওয়ার্ড রিসার্চের উপর অনেকটা নির্ভর করে ভিডিও র্যাংক করা।
মূল কথা হলো যে এভাবেই ধিরে ধিরে প্রত্যেকটা ধাপ আপনাকে পার করতে হবে তবেই আপনি ইউটিউব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আশাকরছি আমার টিউন পরে আপনি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছে। যদি আমার টিউন ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাবেন এবং আমার আরও টিউন পড়ার জন্য আমাকে ফলো দিয়ে রাখতে পারেন।
আমি মাহফুজ আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।