হ্যা আপনি ঠিক শুনেছেন। বর্তমানে ঘরে বসে থেকে অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। কিভাবে করছে তা চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আপনারা হয়তো সবাই পরিচিত আছেন ফ্রিল্যান্সিং কথাটির সাথে। ফ্রিল্যান্সিং কথাটির
মানে কী? আসলে ফ্রিল্যান্সিং মানে হচ্ছে মুক্ত পেশা বা স্বাধীন পেশা। আপনি এই পেশার যে সুবিধা গুলো পাবেন তা হচ্ছে :—
১। নিয়মত কোন সময়সীমা নাই।
২। নির্দিষ্ঠ কোন জায়গার প্রয়োজন পড়বে না।
৩। কারো অধীনে কাজ করা লাগে না।
৪। আপনি নিজেই বস।
৫। ইনকামের কোনো লিমিট নাই।
এছাড়াও আরও অনেক সুযোগ—সুবিধা রয়েছে এই পেশায়। আর এই পেশা যে করে থাকে তাকে ফ্রিল্যান্সার বলে।
ফ্রিল্যান্সিং কীভাবে করবেন?
সর্বপ্রথম আপনাকে যেটা করতে হবে তা হচ্ছে আপনি কোন বিষয়ে পারদর্শী সেটা নিশ্চিত করা। আপনি যদি কোন বিষয়ে পারদর্শী না হয়েও থাকেন তবে কোন সমস্যা নাই। আপনি বিশ্বে সবচেয়ে বড় সার্চ করার প্লাটফর্ম গুগলে সার্চ দিয়ে দেখবেন ও এর সাথে আপনি ইউটিউব ভিডিও দেখে ফ্রিল্যাংন্সিং সেক্টরে যতগলো কাজ আছে তার মধ্যে
আপনার কোন কাজ বেশি সহজ লাগে অনান্য কাজের চেয়ে সেটি চিহ্নিত করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক প্রকার কাজ রয়েছে তার মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে পপুলার হলো ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজাটাল মার্কেটিং ইত্যাদি আর রয়েছে যা পরের পর্বে আরও বিস্তারিত তুলে ধরবো।
মুল কথাই আসা যাক এই বিভিন্ন সেক্টরের কাজের মধ্যে যেকোনো একটি কাজ আপনি ভালো ভাবে আয়ত্ত করে শিখে দ্ক্ষতা অর্জন করে আপনি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজের মূল্য হচ্ছে দক্ষতা অর্জন করা। আপনার যত দক্ষতা বেশি আপনি আর্ন করতে পারবেন তত বেশি।
ফ্রিল্যান্সিং করতে যেসব আপনার থাকা প্রয়োজন:
১। কম্পিউটার
২। ইন্টারনেট সংযোগ
৩। ইংরেজীতে পারদর্শী
আপনার দক্ষতাও আছে এবং যেগুলো আপনার থাকা দরকার সব প্রয়োজন জিনিসই আপনার আছে এখন আপনার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে কাজ ও শিখলাম এবং যেসব জিনিসের প্রয়োজন সবই আছে এখন আমি কাজ পাবো কিভাবে। এবার আসবে আপনার খুবই গরুত্বপূর্ণ ধাপ। তা হচ্ছে এখন আপনাকে মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলতে হবে। যেখানে আপনি কাজ পাবেন ক্লাইন্টের কাজ থেকে।
অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যার মধ্যে বেশ পপুলার হচ্ছে ফাইবার, আপওয়ার্ক ইত্যাদি। এসব মার্কেটপ্লেসে আপনি কিভাবে একাউন্ট খুলবেন তা পরের পর্বে আমি বিস্তারিত দিয়ে দিবো।
এছাড়াও আরও কাজ রয়েছে যেমন আপনি বায়ারের সাথে কিভাবে ডিল করবেন, কাজ কিভাবে পাবেন, কাজ কিভাবে জমা দিবেন, পেমেন্ট কিভাবে নিবেন, কিভাবে ডিল করবেন ইত্যাদি আরও অনেক বিষয় রয়েছে যা আমি ধারাবাহিক ভাবে আপনাদের শিখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আমি আপনাকে একটি সঠিক রাস্তা দেখিয়ে দিব যাতে আপনি একটি সঠিক গাইডলাইন পেয়ে থাকেন। আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন বর্তমানে ফেসবুক চালিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। আমি তাও শিখিয়ে দিবো।
আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অনেক ধর্য ধারন করতে হবে। মনে রাখবেন আপনি যদি ধর্য ধরে যেকোনো একটি কাজের উপর লেগে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি একদিন সফলতা অর্জন করতে পারবেন। ধর্য ধরে আমার ব্লগ পড়তে থাকুন আর নিজে নিজে চেষ্টা করতে থাকুন অবশ্যই আপনি পারবেন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে।
পরিশেষে বলা যায় যে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে যেকোনো একটি ক্যাটাগড়িতে পারদর্শী অর্জন করতে হবে। তারপর ধারাবাহিক ভাবে আগাতে হবে।
আমার ফ্রিল্যান্সিং এর উপরে ধাপে ধাপে ব্লগপোষ্ট আপলোড হবে। ফলো করে অগ্রসর হতে থাকুন অবশ্যই আপনিও একজন ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। আশা করছি পোষ্টটি পড়ে উপকার হয়েছে আপনার ধন্যবাদ আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য।
আমি মাহফুজ আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।