পৃথিবী বদলে যাচ্ছে, চাকরির বাজারও বদলে যাচ্ছে। মানুষ আর এক কাজে লেগে থাকে না। এখন মানুষ আর এক কাজে লেগে থাকে না। তাই সুযোগ যেমন প্রচুর তেমন প্রতিভাও এখন প্রচুর। অনেক মানুষ আজ বিশ্বাস করে যে গিগ অর্থনীতি প্রচলিত কাজের চেয়ে বেশি নিরাপদ। কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদী কাজে ভারসাম্য প্রদান করে। আপনি আপনার নিজের সময়সূচী নির্ধারণ করতে পাবেন। আপনি যদি রাতে কাজ করতে চান তাহলে রাত ২:০০ ও কাজ শুরু করতে পারেন। আপনি যদি সন্ধ্যা পছন্দ করেন তবে আপনি ৫:০০ এ কাজ শুরু করতে পারেন। আপনার যদি বাচ্চা কাচ্চা থাকে তবে আপনি তাকে বিকেলের ঘুমের জন্য সেট করার পরে কাজ শুরু করতে পারেন।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ৫৭.৩ মিলিয়ন লোক গিগ ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করছে। অনুমান বলছে যে ২০২৭ সালের মধ্যে গিগ কর্মীরা আমেরিকান কর্মশক্তির ৫০% হবে যা সংখ্যা প্রায় ৮৬.৫ মিলিয়ন হবে। ভারতে ১৫ মিলিয়ন গিগ কর্মী রয়েছে। যুক্তরাজ্যের গিগ অর্থনীতির আকার তিন বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২৩ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী গিগ অর্থনীতির মূল্য $৪৫৫ বিলিয়ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আপনি একজন সাংবাদিক, লেখক, ইভেন্ট পরিকল্পনাকারী, সফ্টওয়্যার প্রকৌশলী, ফটোগ্রাফার ইত্যাদি  পেশার লোক হিসেবে একটি ফার্মে একজন পূর্ণ-সময়ের ৯-৫ টা সময়ের কর্মচারী হতে পারেন। কিন্তু যখন আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে স্বাধীনভাবে প্রজেক্ট-ভিত্তিক কর্মী হিসেবে কাজ করবেন অর্থাৎ যে সময়ের জন্য চুক্তি হবে অথবা নিদিষ্ট কাজ ভিত্তিক চুক্তি এবং সে হিসেবে আপনি টাকা পাবেন। তাহলে আপনি একজন গিগ ওয়ার্কার। যারা ফ্রিল্যান্স কাজ করেন তাদের  ধরাবাঁধা কোন অফিস টাইম মেইন্টেইন করতে হয় না।

গিগ কর্মীদের লক্ষ্য এবং প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে অর্থ প্রদান করা হয়। উবার, পাঠাও সহ যত অফলাইন ছোট ছোট কাজ আছে সেগুলোও গিগ ওয়ার্কস হিসেবে বিবেচিত।

গিগ ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করার জন্য অনলাইনে আপওয়ার্ক, ফাইভার সহ অনেক বড় বড় অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। কিন্তু বড় সাইটগুলোতে কাজ করতে হলে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হয় কেননা গ্লোবাল মার্কেটে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি যারা এখনও অনলাইনে ভ্যালুলেস অনেক সময় নষ্ট করছেন তাদের উচিত তাদের প্রতিভা অনুযায়ী কাজ করে অর্থ উপার্জন করা। নিচে বাংলাদেশি গিগ ওয়ার্কারদের জন্য একটি ট্রাস্টেড সাইটের এড্রেস দিলাম।

https://extajob.com/

সবচেয়ে আশার ঘটনা ফিলিপাইনের ফ্রিল্যান্স কাজের বাজার ৬২% মহিলা কর্মীদের দ্বারা গঠিত। আজ আপনার কাছে মহিলা গিগ কর্মীরা খাবার সরবরাহ করছে, অ্যাপ-ভিত্তিক পরিষেবাগুলি এই সমস্ত গিগগুলিকে সম্ভব করছে। গিগ অর্থনীতি নারীদের ক্ষমতায়ন করে কর্মীদের তাদের আয় সর্বোচ্চ করতে সাহায্য করে।