ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে প্রায় সবাই জানেন। ফ্রিল্যান্সারদের ইনকাম, সফলতার গল্প এবং তাদের মটিভেশনাল স্পিচ শোনার পর সবার মনেই এরকম চিন্তা আসে, আমাকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতেই হবে। তাদের মত আমারও প্রচুর টাকা ইনকাম করতে হবে। তখনই প্রশ্নটা আসে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?
প্রথমেই আপনাকে বলছি কোন ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান ছাড়া আপনি খুব সহজে সঠিক গাইডলাইন পাবেন না। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যাদের কাছে আপনি টাকা দিয়ে আসতে পারবেন কিন্তু দিনশেষে হতাশা ছাড়া কিছুই পাবেন না। তবে হতাশ হবার কোন কারণ নেই। খুঁজলে কিন্তু সবই পাওয়া যায়। এজন্য খুঁজার মত খুঁজতে হবে।
অনলাইনে সবই পাওয়া যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভুল তথ্যও পাওয়া যায়। একটু যাচাই বাছাই করলেই কিন্তু আপনি সঠিক তথ্য পেতে পারেন। তাই সবসময় এটা মাথায় রাখবেন জীবনে সময়ের মূল্য অনেক বেশি। আর অনলাইনে ইনকাম করতে এসে একবার হতাশ হলে কিন্তু আপনার মনে ভেঙ্গে যাবে। তারপর আপনার অনলাইন আর্নিং এর উপর থেকে মন উঠে যাবে।
নোটখাতা ওয়েবসাইটে আমি শতভাগ সঠিক তথ্য দিয়ে থাকি। প্রতিটি টিউটোরিয়াল প্র্যাকটিক্যালি দেখাই। যাতে যে কেউ খুব সহজেই কাজ শিখতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে আপনাকে প্রথমেই কিছু বেসিক এবং ইন্টারমিডিয়েট বিষয়ে খুবই ভাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এই বেসিক এবং ইন্টারমিডিয়েট নলেজগুলোর মধ্যে রয়েছে, কম্পিউটারের ব্যসিক জ্ঞ্যান, ইন্টারনেটের ব্যাসিক এবং ইন্টারমিডিয়েট জ্ঞ্যান, বেশ কিছু সফটওয়ারের ব্যবহারে দক্ষতা এবং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা। টিউনের শুরুতে আমি একটি লিঙ্ক শেয়ার করেছি নোটখাতা ওয়েবসাইটের। পুরো লেখাটি পড়ার পরে আপনি ওই লিংকে যাবেন, তাহলে এই বিষয়ে আপার পরিষ্কার ধারণা হবে এবং যে গাইডলাইন পাবেন তা আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের জন্য যথেষ্ট।
এসব বিষয়ে আপনার ক্লিয়ার ধরনা হবার পর আপনি যেটা শুরু করবেন তা হল, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় তা শিখবেন। যেহেতু একটি টিউনে পুরো বিষয়টি কভার করা সম্ভব নয়, তাই আপনাকে বার বার নোটখাতা ওয়েবসাইট সাজেস্ট করছি। সেখানে আপনি সব বিষয়ের উপর প্র্যাক্টিক্যাল টিউটিরিয়াল পাবেন। এতে আপনার শিখতে অনেক বেশি সহজ হবে।
সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখার পরেই আপনি মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলে কাজ খোঁজা শুরু করতে পারেন। কারণ এই সেক্টরে সবচেয়ে বেশি কাজ পাওয়া যায়। তাছাড়া আপনি যখন নিজেকে প্রফেশনাল হিসেবে প্রমাণ করতে যাবেন তখন আপনাকে আপনার অনলাইন প্রেজেন্স খুবই স্ট্রং করতে হবে। যেহেতু আপনি সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখবেন, তাই নিজের প্রোফাইল দিয়েই কাজ প্র্যাকটিস করা শুরু করবেন। এটি আপনার ক্যারিয়ারে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে তা আপনি কিছু সময় পরে বুঝতে পারবেন।
এই বিষয়ে অনেক কিছু বলার আছে যা আপনি কাজ শিখতে শিখতে নিজেই জানতে পারবেন। তাই আমি পরবর্তি পদক্ষেপ সম্পর্কে বলছি। এরপর আপনি নিজের একটা পোর্টফলিও ওয়েবসাইট বানিয়ে নিবেন, যা আপনার দক্ষতা সম্পর্কে আপনার ক্লায়েন্টে জানাবে।
সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর উপর কাজ পেতে গিয়ে আপনি পুরো ফ্রিলান্সিং দুনিয়া সম্পর্কে জেনে যাবেন। তখন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার দ্বারা কোন কাজটি শিখা সম্ভব। তারপর আপনি সে কাজটি শিখা শুরু করুন। এভাবে আপনি শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি কাজে এক্সপার্ট হবার ট্রাই করবেন।
ধরুন, আপনি ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন শিখবেন। তাহলে আপনি শুধু এই কাজটিই খুব ভালোভাবে শিখুন। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যত রকমের ওয়েবসাইট বানানো যায়, সব আপনাকে পারতে হবে। নিজেকে এক্সপার্ট হিসেবে প্রমাণ করার জন্য আপনার যা কিছু শেখা প্রয়োজন, সবকিছু শিখে ফেলুন।
নিয়মিত রিসার্চ করুন। একটি বিষয় নিশ্চয়ই জানেন, অনলাইন জগত প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। তাই নিজেকে সবসময় আপডেট রাখুন।
এভাবে আপনি একজন এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্স্যার হয়ে উঠবেন। আপনি যত বেশি শিখবেন, যত বেশি জানবেন, তত বেশি আর্নিং করতে পারবেন। তাই আপনি কাজ শিখুন ভালোভাবে। আর্নিং নিয়ে কখনো চিন্তা করবেন না।
আমি নোটখাতা ব্লগ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
“ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এই পোস্ট টি খুবই উপকারী। অবশ্যই পড়ুন