গত ২ পর্বে আলোচনা করেছিলাম পোর্টফলিও কি এবং কিভাবে পোর্টফলিও বানানো যায়। আজকে আলোচনা করবো একটা পোর্টফলিও ওয়েবসাইটে কি কি জিনিস রাখলে আরও আকর্ষণীয় হবে। নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়ার চেষ্টা করলাম 🙂
#লোগো – একজন ইউজার ওয়েবসাইটে আশাকরি আপনি ওয়েব ডেভেলপার বা ডিজিটাল মার্কেটার যাই হন, আপনি উচিত বেসিক ফটোশপ শিখে রাখা। এইটা আপনার অনেক কাজে দিবে।
#স্লোগান – ওয়েবসাইটে একটি ছোট কিন্তু আকর্ষণীয় স্লোগান ইউজ করতে পারেন। স্লোগানটা এমন হবে যা আপনার কাজটাকে ফুটিয়ে তুলে।
#ব্যানার – ওয়েবসাইটে একটি বড় ব্যানার ছবি ইউজ করতে পারেন। তবে ছবি যাতে আপনার নিজস্ব হয় সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। ধরুন, আপনি ল্যাপটপে কাজ করছেন ওইটার ছবি দিতে পারেন।
#আপনার সম্পর্কে – এই সেকশনে আপনার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত লিখতে পারেন। আর অবশ্যই আপনার একটি প্রফেশনাল ছবি ইউজ করবেন। প্রফেশনাল মানে এই না যে খুব সাজগোজ করে ছবি তুলতে হবে। নরমাল একটি হাসিখুশি ছবি দিতে পারেন আর খেয়াল রাখবেন আপনার মুখ যাতে পরিষ্কার দেখা যায় 🙂 পাশাপাশি আপনার স্কিল এর লিস্ট রাখতে পারেন।
আর একটা ডাউনলোড বাটন রাখবেন যাতে ক্লিক করলে আপনার সিভি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড হয়ে যায়। এইটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
#সার্ভিস – এই সেকশনে আপনার সার্ভিস গুলা সুন্দর করে দিতে পারেন। আপনি যা পারেন তাই সার্ভিসে দিবেন। যা পারেন না তা দিবেন না। পরে অনেক সমস্যায় পরতে পারেন।
#পোর্টফলিও – এইবার আসি ওয়েবসাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। পোর্টফলিও এর মাধ্যমে আপনি মূলত কাজ পাবেন। সবাই আপনার পোর্টফলিও চেক করবে। অনেকেই একটা কমন ভুল করে, যা প্র্যাকটিস করে তাই পোর্টফলিও তে দিয়ে দেয়! ধরুন, আপনি দোকানে গেলেন। দেখবেন পুতুলের মধ্যে বিভিন্ন কাপড় ডিসপ্লে করা থাকে। তাদের বেস্ট কাপড় গুলা ডিসপ্লে তে রাখে। যাতে আপনার আকর্ষণ জাগে। কোন দোকানে দেখছেন তারা সবচেয়ে কমদামি আর কম সুন্দর কাপড় ডিসপ্লে তে রাখে? তাহলে আপনি কেন প্র্যাকটিস এর কাজ পোর্টফলিও তে রাখবেন। যেকোনো কাজ পোর্টফলিওতে রাখার আগে নিজে নিজের কাজের বিচার করবেন। আপনি যদি মনে করেন আপনি টাকা দিয়ে এই কাজটা কিনবেন বা আপনি মনে করেন কাজ ভালো হয়েছে তাইলে পোর্টফলিও তে রাখেন। যে কাজ দেখার পর আপনার নিজেরই পছন্দ হয় না সেই কাজ আরেকজন কেন টাকা দিয়ে কিনবে? আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কাজের স্ক্রিনশট বা লাইভ লিঙ্ক রাখতে পারেন। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন তাহলে কাজের স্ক্রিনশট বা ড্রিবল বিহেন্স এর লিঙ্ক রাখতে পারেন। বা আপনি অন্যান্য সেক্টরে কাজ করলে অই কাজের স্ক্রিনশট বা আরও ভালো হয় একটি ভিডিও বানাতে পারলে যা আপনার কাজের সামারি হিসেবে থাকবে 🙂
#হায়ার মি – এই নামে আপনি একটি সেকশন রাখতে পারেন। এইখানে বিভিন্নও মার্কেট প্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্ক ইত্যাদি প্রোফাইল লিঙ্ক রাখতে পারেন। কারন অনেকেই মার্কেট প্লেসের বাইরে কাজ করতে সাহস বা ভরসা পায় না।
#টেস্টিমোনিয়াল – আপনি বিভিন্নও কাজ করলে ক্লায়েন্ট আপনাকে রিভিউ দিবে। কিছু রিভিউ এখানে ছবি সহ রাখতে পারেন। যদি আপনি নতুন হন, আপাততও এই সেকশন অফ রাখতে পারেন। তবে রিভিউ পেলে অন করবেন। এইটা দেখে অনেকেই কাজ দিতে ভরসা পাবে।
#ব্লগ – এই পার্টটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে বিষয়ে কাজ করেন অই বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন। তাহলে আপনার নিজের জ্ঞানও বাড়বে আর আরেকজন দেখে বুঝতে পারবে আপনি কাজে কত ভালো পারেন 🙂
#যোগাযোগ – এইখানে একটি ফর্ম রাখতে পারেন যাতে কেউ আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। সাথে ফোন নাম্বার, ইমেইল ইত্যাদি রাখতে পারেন।
আপাতত এইভাবে আপনার পোর্টফলিও ওয়েবসাইট শুরু করতে পারেন। আগামী পর্বে কিভাবে পোর্টফলিও ওয়েবসাইট মার্কেটিং করতে হয় সেই বিষয়ে আলোচনা করবো 🙂 আর ডিজাইন চেষ্টা করবেন মোটামুটি সিম্পল রাখার জন্য। যাতে সহজে সব কিছু পড়া যায়। অন্যের ওয়েবসাইট থেকে কোন কিছু কপি করবেন না দয়া করে।
আমি Abdullah Nahian। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।