সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। উপরের শিরোনাম দেখে বুঝতে পেরেছেন যে, কোন বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা করব। হ্যা বন্ধুরা বিট কয়েন আয়ের মাইনিং বিষয়ে আলোচনা ও কাজ করার কৌশলাদি সম্পর্কে জানাব। বিট কয়েন এই বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই। এটা অনেকটাই পূরনো বিষয় হতে চলেছে তথাপি অনেকেই এই সকল সাইট হতে আয় করছেন। তারপরও এই সকল বিষয় বিস্তারিত জানার জন্য নিচের টিউনগুলো অনুসরন করতে পারেন।
বর্তমানে বিটকয়েনের মুল্য বৃদ্ধি পেয়ে ১ বিটকয়েন= ১৫, ০০০ ডলার ছাড়িয়েছে যা একসময় ৫০০-৭০০ডলারের মধ্যে ছিল। আসলে এটা অনেকটা শেয়ার বাজরের মত। যারা গতবছর অল্প টাকাতে বিট কয়েন ক্রয় করে কিংবা উপার্জন করে রেখে দিয়েছিল। তারা অনেক লাখে সেইগুলো বিক্রি করতে পেরেছে। সুতরাং দিনদিন ক্রিপ্টোকারেন্সীর গুরুত্ব বেড়েই চলছে যার ফলশ্রুতিতে অনেক নিত্য নতুন ডিজিটাল কারেন্সী মার্কেটেআসছে। আমাদের উচিত এই সকল নতুন কয়েন রির্জাভ করা যেমনঃ ডগি কয়েন, লাইট কয়েন, ইথারামইত্যাদি। এজন্য মাইনিং হচ্ছে একমাত্র উপায়।
মাইনিং বিষয়ে কমবেশি হয়ত সবাই জানে সাধারণত মাইনিং বলতে নিজ কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপেরমাধ্যমে একটি মাইনিং সফটওয়্যার চালিয়ে মাইন করাকেই বুঝায়। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সীইমাইন করা হয়ে থাকে। পিসিতে মাইনিং সফটওয়্যার চালিয়ে আয় করা করা সম্ভব কিন্তু এরকম মাইনিং কিছুসমস্যা আছে যেমন পিসি বা ল্যাপটপ যেখানে মাইনিং সফটওয়্যার থাকবে সেটা সবসময় চালিয়ে রাখতে হবেএতে পিসির আয়ু কমে যায় অথবা বিদ্যুৎ বিল বেশী উঠে। ওপরে যে সমস্যাটির কথা বলা হল, সেই সমস্যারসমাধানের জন্যই ক্লাউড মাইনিং এর উৎপত্তি।
এখানে মুলত আপনি নিজেই নিজের কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপে মাইন না করে, আপনি কোন থার্ড পার্টিপ্রতিষ্ঠান মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ইনভেস্ট করবেন এবং তারা আপনার জন্য তাদের হার্ডওয়্যার এবং মাইনিংসেটাপ ব্যবহার করে মাইন করবে এবং আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমান প্রোফিট দেবে।
ক্লাউড মাইনিং এ ইনভেস্টমেন্ট লাভজনক কিন্তু সমস্যা অনেক কারন আপনি ট্রাষ্ট করার মত ওয়েবসাইটপাবেন না। বেশীরভাগ ওয়েবসাইটই স্ক্যাম। তারা আপনার কাছ থেকে ইনভেস্টমেন্ট নিবে এবং কয়েকদিনআপনাকে প্রোফিট দিবে এবং এরপর আরো বেশি লাভ পাওয়ার জন্য আপনি আরো বেশি ইনভেস্ট করবেন এবংসর্বশেষে দেখবেন ওয়েবসাইট উধাও। আপনাকে স্ক্যাম করে চলে যাবে বা সাইট ডাউন করে দেবে।
কিন্তু তার মানে এই না যে পৃথিবীর সব ক্লাউড মাইনিং সাইটই স্ক্যাম।
পূর্বেই বলেছি মাইনিং বিষয়ে অনেক সাইট আছে যা ইন্টারনেটে সার্চ দিলে পাবেন। কিন্তু সেই গুলো সবাই স্ক্যাম পর্যায়ে। দেখা যাবে আপনাকে প্রফিট বেশী দেবার আকর্ষণ করছে। অপরদিকে আপনার হার্ডওয়্যার কিংবা ইন্টারনেটের অযথা প্রেশার সৃষ্টি করবে। সুতরাং মাইনিং বিষয়ে জেনে বুঝে সঠিক সাইটে কাজ করাটা হবে বুদ্ধিমানের পরিচয়। তাহলে আজ কাজ করা যায় এই রকম একটি জনপ্রিয় ফ্রি মাইনিং সাইট সম্পর্কে জেনে নিই।
১। এটি বিশ্বের এক নম্বর মাইনিং সাইট। অ্যালেক্সা র্যাংক এ সবার উপরে (নিচে চিত্র অনুযায়ী)।
এটার মাইনিং ২০১৩ থেকে শুরু হয়েছিলো। ফ্রিতে মাইনিং করা যায়, আবার ডিপোজিট করেও। কোনো রিস্কনেই। মাইনিং হবে তাদের মেশিনে। আপনি জাস্ট তাদের মেম্বার হবেন। তাছাড়া থাকছে ১৯ ঘন্টায় শুধুমাত্রএকবার ফসেট ক্লেইম করে বিটিসি রিওয়ার্ড পাওয়ার সুযোগ।
২। এটা ক্লাউড মাইনিং। এরকম মাইনিং এ আপনি তাদের সাথে চুক্তিভিত্তিক কাজ করবেন। বিনিময়ে তারাতাদের মাইনিং সিপিইউ প্রসেসর ব্যবহারেরর সুযোগ দেবে আপনাকে। তাদের রয়েছে মাইনিং এর বিখ্যাত প্রজেক্টযা বেস্ট কোয়ালিটির গ্রাফিক্স কার্ড যুক্ত মাইনিং প্রসেসর বা সিপিউ। মাইনিং করতে পারবেন প্রায় ৩০ প্লাসকয়েন।
৩। এটাবর্তমানে ১০০% বিশ্বস্ত ক্লাউড মাইনিং সাইট দিচ্ছি যেখানে ইনভেস্ট না করে ও আপনি ইনকামকরতে পারবেন কারন এখানে আপনি অ্যাকাউন্ট খুললে ওরা আপনাকে ১০০ GH/S দিবে যা দিয়ে আপনিমাইনিং শুরু করতে পারবেন আর প্রতিদিন যে পরিমান আয় হবে তা দিয়ে আপনি আরো Hash-rateকিনবেন।
তারপর আপনার মেইল এ ভেরিফিকেশন লিংক এ ক্লিক করে একাউন্ট ভেরিফিকেশন কমপ্লিট করুন। মেইল এ ভেরিফিকেশন করার পর কার্সর এই বক্সে রেখে GHS 4.0 সিলেক্ট করুন:
তারপর Products এ গিয়ে Faucet সিলেক্ট করেন।
রিলোড হয়ে নীম্নরুপ একটি ক্যাপসা আসবে, ক্যাপসা পুরন করে প্রতিদিন আপনার ফ্রি মাইনিং পাওয়ার নিবেন।
এবার Accounts এ ক্লিক করুন Cloud Mining এ আপনার মাইনিং পাওয়ার দেখাবে।
এটাকে বলা হয় GHS 4.0 পাওয়ার। এই GHS 4.0 পাওয়ার দিয়ে আপনি পিসি অন রেখে প্রতি দিন Cloud Mining করে বিটকয়েন, লাইট কয়েন, ডগি কয়েন সহ অন্যান্য সকল কয়েন আয় করতে পারবেন। এবার আসুন কিভাবে Cloud Mining করবেন? ধরুন আপনি ডগি কয়েন মাইটিং করতে চাচ্ছেন, তাহলে বক্সে ডগি কয়ে সিলেক্ট করুন। অটো মাইনিং শুরু হয়ে যাবে।
আমার একাউন্ট করেছি প্রায় ৭ দিন পূর্বে। যখনই নেটে কাজ করি তখনই মাইনিং অন করে রাখি। এই পর্যন্ত প্রায় 10 ডগি কযেন আর্ন করতে পেরেছি। নিচের চিত্র দেখলেই বুঝতে পারবেন-
আশা করি, টিউটোরিয়াল অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন। এবং হ্যা যখনই লগইন করে কাজ করতে যাবেন সর্ব প্রথমGHS 4.0 পাওয়ার অন অবশ্যই করবেন। এটি মূলত প্রতি ১৮ ঘন্টাতে ১ বার লগইন করতে হয়। এবং অবশ্যই একের অধিক একাউন্ট ওপেন করা যাবে না। তথাপি শুধুমাত্র ব্রাউজার অন করে রাখলেই ইনকাম তথা মাইনিং হতে থাকবে। এখানে ইন্টারনেটের তেমন এমবি কাটবেনা। এবং পিসির র্যামেরও চাপ পড়েনা (পরীক্ষিত)। এই টিউন সম্পর্কে কোন অভিমত থাকলে টিউমেন্ট করার প্রত্যাশা রাখছি। আজ এই পর্যন্তই, সবাই ভাল থাকুন।
আমি এএমডি আব্দুল্লাহ্। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 157 টি টিউন ও 1046 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
সম্মানীয় ভিজিটর বন্ধুগন! সবাইকে আন্তরিক সালাম ও ভালবাসা। আশা করি ভাল আছেন। পর সংবাদ যে, আমরা একটি ব্লগ সাইট তৈরি করেছি। সাইটটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম শিক্ষা ও প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তি, শিক্ষা, কম্পিউটার বিষয়ক যেমনঃ অনলাইন ইনকাম, ফ্রিল্যান্স, টিউটোরিয়াল, মুভি, গেমস, সফটওয়্যার, ভ্রমন, ইতিহাস, ভূগোল, কার্টুন, ধর্ম, টেক সংবাদ, এবং সংবাদপত্র ফিউচার...
Your post is very good. but problem is 1. That is how i shall withdraw this money. Go ahead. God bless you.