ফ্রিল্যান্সিংয়ে কড়াইল বস্তির শিক্ষার্থীরা.
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করছেন রাজধানীর কড়াইল বস্তির বেশ কিছু শিক্ষার্থী। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজে উৎসাহ দিতে সম্প্রতি বিডিং নামের একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ডেনমার্ক ভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্ট। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পেয়েছেন।
কোডারট্রাস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তাদের বিডিং প্রতিযোগিতায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। এঁদের প্রত্যেকে আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং বাজারে কাজের জন্য আবেদন করে কাজ পাচ্ছেন। তাঁদের প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণরত বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাবেক শিক্ষার্থীরাও প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে বাসরত অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন।
কোডারট্রাস্টের দাবি, বিডিং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১২ হাজার ডলারের কাজ পেয়েছেন দেশের ফ্রিল্যান্সারা। এর মধ্যে কড়াইল বস্তির অনেক ফ্রিল্যান্সার কাজ পেয়েছেন।
কোডারসট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ফার্দিনান্দ বলেন, প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই, আমাদের সবাইকে অবাক করে বনানীর কড়াইল বস্তির ছাত্রছাত্রীরা তাদের দক্ষতার প্রমান দিয়েছে। কোনো রকম আর্থিক ও পারিবারিক প্রতিবন্ধিকতা তাদেরকে বেঁধে রাখতে পারেনি। কোডারসট্রাস্ট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রথম মাস শেষে প্রায় ২০০টি প্রকল্প সম্পূর্ণ করেছে এখানকার শিক্ষার্থীরা। তাঁরা মোট দুই হাজার ৬৩০টি প্রকল্পে আবেদন করেছে।
কোডারসট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, শিক্ষার্থীদের জন্য কোডারসট্রাস্টের অনলাইন সাপোর্ট প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে। শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময় যেকোনো সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। শিক্ষার্থীদের উন্নতমানের শিক্ষা প্রদানে কোডারসট্রাস্ট বনানীতে তাদের কার্যক্রম বড় পরিসরে শুরু করেছে।
কোডারসট্রাস্ট গত এক বছরে দেশে বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালু করেছে। শিক্ষার্থীদের কোড বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে দক্ষ প্রশিক্ষক দিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি কড়াইল বস্তির শিক্ষার্থীদের কোড শেখার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
ইলিয়াস হোসাইন, সুত্র: প্রথম আলো।
আমি ইলিয়াস হোসাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 12 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
খুবই সাধারন একটি ছেলে আমি। পড়তে ভালবাসি, তাই পড়তে থাকি। এখানে কাজ করতে পেরে আমি সত্যিই খুব গর্বিত বোধ করছি।