আমাদের মাঝে একটা ব্যাপার খুব সাধারণ, এটা হচ্ছে অনেকেই নানা ধরনের আই টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ও বেকার সময় নষ্ট করেন। প্রোপারলি কাজ জানার পরে ও কাজ করতে পারছেন না। ঠিক তেমনি সমস্যায় যারা আছেন তাদের জন্য আমার এই লেখা।
এখানে আমি মোট ছয়টি আয়ের রাস্তা দেখাবো ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপারদের জন্য। যেগুলো অনুসরণ করতে পারলে আয় নিশ্চিত হবেই।
ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার হিসেবে সর্বোচ্চ আয় করতে চাইলে থিম এবং প্লাগিন বানানোর বিকল্প নেই। আমি ধরে নিলাম যে, আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের এ টু জেড জানেন, আপনার কোন কিছুতেই গ্যাপ নাই।
এক্ষেত্রে আপনি নিজস্ব একটা থিম এবং প্লাগিনের জন্য কোম্পানি করতে পারেন। কোম্পানি করা মানে অফিস, কর্মচারী এসব না কিন্তু। ধরে নেন, থ্রাইভ থিমস একটা কোম্পানি। ওদের একটা ওয়েব সাইটে ওরা ওদের থিম এবং প্লাগিন সেল করছে।
ঠিক তেমনি আপনি আপনার নিজের বানানো প্লাগিন, থিম, টেমপ্লেট এসব সেল করতে পারেন। সেল করার জন্য আরো এডভান্স মার্কেটিং পলিসির সাহায্য নেওয়া লাগবে।
সে জন্য থিমের যে বড় বড় মার্কেট গুলো আছে, যেমন থিমফরেস্ট এসবে থিম সাবমিট করতে পারেন। এপ্রুভ হলে অটোমেটিক সেল আসবে আপনার থিমের। এর জন্য আপনাকে রেগুলার আপডেটেড থাকতে হবে এবং এসব ব্যাপারে খুবই খুঁটিনাটি ব্যাপার ও জানা থাকা লাগবে।
থিম বা প্লাগিন মোটামুটি সেল হওয়া শুরু করলে আপনি অ্যাফিলিয়েটদের আহবান করতে পারেন আপনার থিম নিয়ে রিভিউ লিখার জন্য। এতে করে সেল ও বাড়বে এবং অ্যাফিলিয়েটরা ও কমিশন আর্ন করবে।
বর্তমানে ৮০ মিলিয়নের ও বেশী ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেসের উপর ডিপেন্ডেড। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় সি এম এস। আপনি চাইলে খুব সহজেই ওয়েব ডেভলপমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইড করা শুরু করতে পারেন। এটা আপনি চাইলে অফিস করে ও করতে পারেন কিংবা বাসা থেকে ও করতে পারেন।
আপনার দরকার হবে শুধু টার্গেটেড প্রতিষ্ঠান গুলোর কাছে নিজের সার্ভিসের ব্যাপারটা সঠিকভাবে তুলে ধরা। আমাদের দেশে প্রচুর রেস্টুরেন্ট রয়েছে যাদের কোন ওয়েবসাইট নেই। ধরলাম আপনি তাদের টার্গেট করে কাজ করা শুরু করলেন।
আপনার আগে তাদের কন্টাক্ট নাম্বার যোগাড় করতে হবে এবং সরাসরি কল করে সার্ভিস অফার করতে হবে। সার্ভিস অফারের সময় তাদের এটা বুঝাতে হবে যে, একটি ওয়েবসাইট তাদের রেস্টুরেন্টের জন্য কতটা জরুরি।
বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি বেশ ভালো কনভার্ট হয়, যদি আপনি ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারেন এবং নিজেকে কাজে নিয়োজিত রাখেন।
আমাদের দেশে কনসাল্টিং সার্ভিস খুব বেশী জনপ্রিয় না, আসলে কেউ এসবের জন্য টিপস নিতে টাকা খরচ করতে চায় না। কিন্তু আপনি চাইলে অনেক মার্কেটপ্লেস এবং ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে টাকার বিনিময়ে কনসাল্টেন্সি করতে পারবেন।
এটা দিন দিন খুবই গ্রহনযোগ্য একটা পেশা হচ্ছে। এর জন্য আপনাকে খুব ভালো মানের ইংরেজি জানা লাগবে এবং গুছিয়ে কথা বলার ক্ষমতা থাকতে হবে।
সত্যি বলতে, বাংলাদেশীদের জন্য মার্কেটপ্লেসে কাজ করার অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। কোন কারণ ছাড়াই একাউন্ট ব্যান হওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে। কিন্তু তবু ও আপনি চাইলে খুব সহজেই মার্কেটপ্লেস যেমন, আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার এসবে একটা একাউন্ট করে আপনার সার্ভিস সেল করতে পারেন।
এটা একটা টোটাল কোম্পানি হবে যা ওয়ার্ডপ্রেস বেজড। এখানে আপনি একটা অফিস নিবেন এবং কিছু কর্মচারী, মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ নিয়োগ দিবেন। সেখান থেকে থিম, প্লাগিনস ডেভলপমেন্ট থেকে শুরু করে কনসালটেন্সি এবং সার্ভিস প্রোভাইডিং সব থাকবে।
চাইলে সাথে ট্রেনিং সেন্টার ও করে ফেলা যায়।
মানে, এটা অনেক বড় সড় একটা প্রজেক্ট হবে।
আপনি যদি ভালো লিখতে পারেন তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস রিলেটেড টিউটোরিয়াল নিয়ে ব্লগিং শুরু করতে পারেন। এটা খুব পপুলার একটা টপিক। আপনি যত ডিপে গিয়ে লিখতে পারবেন ততো বেশী রিডার পাবেন।
সেখান থেকে সার্ভিস ও সেল করতে পারবেন।
কাজের চাইতে দক্ষতাটা বেশী গুরুত্বপুর্ন। আমাদের দেশের বেশীরভাগ ছেলেরা লাফালাফি বেশি করে, সামান্য ওয়ার্ডপ্রেস শিখেই নিজেকে অনেক বড় ডেভলপার মনে করে। এটাই হচ্ছে মুল সমস্যা।
এমন মানসিকতা দূর করে আগে ভালো করে কাজ শিখে দেন মাঠে নামলে ভালো কিছু করা অসম্ভব না।
Check My Blog - BestGeeky
I'm on Facebook.
আমি ব্লগার সফর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন ফুলটাইম ব্লগার এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার। পেশায় একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হলে ও এটাই এখন আমার মুল পরিচয়।