কোমন আছেন? ভালতো? আপনার ব্যবসার কি অবস্থা?
আগের গুলার উত্তর দেয়ার সময় ঠোঠের কোনায় হাসি লেগে থাকলেও পরের প্রশ্ন পড়ার সাথে সাথে বেশির ভাগ মানুষ উত্তর হবে এইরকম, “ভাই, অবস্থা করুণ”। যাদের অবস্থা করুণ না, তাদের জন্য শুভ কামনা রইল। আর যারা চিন্তায় আছেন ব্যবসা করুণ এই কথা চিন্তা করে তাদের জন্য কথা পুনরায় আর একটা প্রশ্ন।
“আমার কথামত কি ছয়টা মাস চলতে পারবেন?” আগে চিন্তা করেন পারবেন কি না? একটা ওয়ারেন্টি দিতে পারি ছয় মাস পর থেকে “অবস্থা করুণ এই কথা বলা লাগবে না।” আর প্রতিদিন আমার সাথে ৫ ঘণ্টার মত সময় দেয়া লাগবে। এইডা যদি না পারেন, তাহলে আর্টিকেলের বাকি অংশ পড়ে সময় নষ্ট করে লাভ নাই। কিবোর্ডে “ctrl + w” প্রেস করেন।
প্রেস করার পরেই যদি মনে হয় “ইস”, তাহলে “ctrl+shift+t” প্রেস করেন। আপনি যদি এখনো আর্টিকেল পড়তে থাকেন, তাহলে আমি ধরে নিব আপনি জীবনে কিছু করতে চান। মনের মধ্যে একটা জোর আছে কিন্তু ভাল প্লানের জন্য সাফল্য ক্যামন যেন “ছুই, ছুঁই, ছুঁই না” অবস্থার মধ্যে আছে। আসেন তাইলে দেখা যাক এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমার এখন কি করতে পারি।
এই আর্টিকেলে আমি বেশি ফোকাস করব কি ভাবে নিজেকে একটা ব্র্যান্ড তৈরি করা যায়, সেই সম্পর্কে। তবে, আপনি যদি এই প্লান কোন বিজনেসে কাজে লাগান তাহলেও কোন ক্ষতি নাই। সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই খানে যে ব্যাপার গুলর কথা, আমি উল্ল্যেখ করছি সেই গুল যে প্রত্যেক দিন করতে হবে তা কিন্তু নয়। তবে, চেষ্টা করুন সব গুল ভাল ভাবে করার জন্য।
যে গুল দেখবেন ভাল ভাবে কাজ করছে ঐ গুল মন প্রান দিয়ে করতে লেগে যান। খাস বাংলায় জারে বলে “লুঙ্গী কাছা দিয়ে নাইমা পড়া”। আপনি যদি লুঙ্গী কাছা দিয়ে যাকে ভালবাসেন (যে কাজকে) তার সাথে মন প্রান দিয়ে সময় দিতে পারেন। তাহলে সাফল্য আপনার কাছে আসতে বাধ্য।
কিন্তু, কথা হইল নিজেরে পার্সোনাল ব্র্যান্ড হিসাবে বানায়ে লাভ কি? একটা গুরুত্ত পূর্ণ প্রশ্ন করছেন? আপনার এলাকায় সব থেকে ভাল “চা” বানায় কে? আমি নিশ্চিত আপনার মাথায় এখন চলে আসছে “অমুক মামা খুব ভাল চা বানায়”। খুলনার পাওয়ার হাউজের মোড়ে একজন পুরি বানায় প্রত্যেকদিন বিকালে। আপনি যদি ঐ খানে পুরি খাইতে যান তাহলে অন্তত ২০ মিনিট দাড়ায় থাকা লাগবে।
আমি অনেক লাট সাহেবরে দেখছি গাড়ি পার্ক করে দাড়ায় থাকতে। খুলনায় পুরি ভালবাসে আর ঐ মামার দোকানের পুরি খায় নাই এমন লোক খুজে পাওয়া যাবে না। খুলনায় কয়েক’শ পুরির দোকান আছে কিন্তু ঐ মামা হল পুরির জগতে খুলনায় ব্র্যান্ড। আমি মনে হয় বুঝাতে পারছি নিজেরে ব্র্যান্ড হিসাবে তৈরি করতে পারলে সুবিধাটা কোন জায়গায়।
আসেন তাহলে দেখাযাক, আপনি এখন কি করবেন নিজের পার্সোনাল ব্র্যান্ড হিসাবে তৈরি করার জন্য।
ভালবাসা থেকে লিখুনঃ
নিজেকে ব্র্যান্ড হিসাবে তৈরি করার সব থেকে গুরুত্ত পূর্ণ একটা প্লান হল প্রত্যেকদিন ব্লগ লেখা। আপনার ভাল লাগা, খারাপ লাগা, আপনার কাজ, প্রতিটা দিন কি ভাবে কাটে। এই গুলা, আপনাকে যারা জানতে চায় তাদের প্রথম আগ্রহের বিষয় থাকে।
মানুষ এখনো কারো জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা পড়তে, শুনতে ভালবাসে। আর বাঙ্গালী হলেত কথায় নেই। নিজের, কাজ বাদ দিয়ে যারা রাস্তার পাশে দাঁড়ায়ে অন্যের দালান বানান যারা দেখতে পারে, তারা আপনার লেখা অনেক আবেগ দিয়ে পড়বেই “গ্রান্টি”।
আর ফেসবুকে আপনার লেখা শেয়ার করবে আর লিখবে “মনের ভিতর জোর পাইলাম, এখন থেকে আমিও করব”। এখন যদি আপনাকে আমি প্রশ্ন করি যে “কেন ঐ ছেলেটা আজ হটাত করে আপনার লেখা ফেসবুকে শেয়ার করে ঐ লেখাটা লিখে ফেলল”। আমি ঠিক জানি না, আপনি কি উত্তর দিবেন। তবে আমার মনে হয় ছেলেটা ভাবা শুরু করছে “এই বিখ্যাত (আপনি) মানুষটাও তার মত একজন সাধারণ মানুষ ছিল, ইচ্ছা করলে সেও আপনাকে একদিন ছাড়িয়ে যেতে পারে।”
আপনি যদি কোন কিছু কোন সময় বাজারে কিনতে যান তবে সাধারণত চেষ্টা করেন কোন পরিচিত মানুষরে কাছে যাওয়ার জন্য। এই কাজটা আপনি জীবনে অনেকবারই করছেন কিন্তু কখন ভাববার সময় পাননি যে “কেন আপনি যান”। এর সরল সাধারণ উত্তর হল “আপনার কাছে কোন একটা নিদৃষ্ট পণ্যের জন্য ঐ মানুষটা ব্র্যান্ড”।
সুতরাং, নিজেকে প্রমাণ করতে শিখুন। আর এই নিজেকে প্রমাণ করার বর্তমান সব থেকে ভাল মাধ্যম হল ব্লগিং করা।
আধুনিক সোশ্যালঃ
আপনি সামাজিক জীব হয়েও অসামাজিক হয়ে যেতে পারেন যদি আপনার সোশ্যাল নেটওয়ার্কে (বিশেষত ফেসবুক) কোন প্রকার অ্যাক্টিভিটি না থাকে।
সুতরাং, চেষ্টা করেন সামাজিক হওয়ার। এখন কথা হল, আপনি সেখানে কি টিউন করবেন। এত চিন্তা করারত কিছু নেই “আপনি সারা দিনে কোন জিনিস গুল করে ভাল/খারাপ লাগে সেই গুলর ছবি তুলে দিন”। ব্যাস হয়ে গেল। মনেকরেন, আপনি সকাল বেলার সূর্য উঠা দেখতে আপনার প্রতিদিন ভাল লাগে। বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, “প্রিতিদিন সূর্য হয়ত একই ভাবে উঠে কিন্তু তার রুপ, প্রকৃতি প্রত্যেক দিন একই রকম থাকে না”। এইরকম হাজারো জিনিস পাবেন আপনার হাতের কাছে। যে গুল রবি দাদুর কবিতার মত হয়েছে আপনার জীবনেঃ
“দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশিরবিন্দু।”
ছবি জিবনের কথা বলে। আপনাকে যারা সোস্যাল মিডিয়াতে ফলো করে, তাদেরকে জানতে দিন আপনার সময় গুল কি ভাবে কাটে। তাদের সাথে কথা বলার একটা ভাল মাধ্যম হল সোশ্যাল মিডিয়া।
ভিডিওঃ
প্রত্যেকদিন যদি আপনি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে পারেন তাহলে তার সুফল যে কি আজ আমি আর এই খানে বলব না। আপনি নিজেই একদিন বুঝতে পারবেন।
সালমান মোক্তাদিরকে চিনেনা, এই রকম নতুন জেনারেশনের খুব কম ছেলেমেয়েই পাওয়া যাবে। আপনি যদি না চিনে থাকেন, তাহলে ইউটিউবে “SalmoN TheBrownFish” নামে একটা চ্যানেল আছে। একবার ডু মাইরে আসতে পারেন। আশা করি কিছু সময়ের জন্য হইলেও আপনি ভুলে জাবেন “আপনার অবস্থা করুণ”।
আর ভিডিও দেখার সময় আপনার যদি মনে হয় আপনার যদি একটা ক্যামেরা থাকত তাহলে আপনি আজকেই সালমান ভাইয়ের মত ভিডিও বানাতেন, কিন্তু অত টাকা আপনি কই পাবেন। তাহলে আপনার আর একটা ভিডিও দেখা দরকার। এই খানে ক্লিক করেন।
আমার কাছে মনে হয়ঃ
একটা ৫০০ ওয়ার্ডের আর্টিকেল = ১ টা পিকচার
১০০ টা পিকচার = ৫ মিনিটের একটা ভিডিও
প্রত্যেকটা ভিডিও শো করবে “আপনি আসলে কি? কেন আজকে আপনি আজ অত ভাল জায়গায়?”
কথা বলুনঃ
আপনার কাছে স্মার্ট ফোন + ইন্টারনেট থাকা মানেই কিন্তু জগত আপনার হাতের মুঠিতে। কিন্তু, এত ভাল সুবিধার পরো দেখবেন আপনার ফোন এফএম ব্যবস্থা থাকবেই। আসলে, রেডিওর একটা আলদা জায়গা এখনো আছে।
আপনার ফোন ১০০০ হাজারের মত গান আছে। সব গুল আপনার প্রিয়। মনেকরেন, প্রত্যেকটা গান আপনার ফোনে যখন আপনি শোনেন তখন আপনার ৫০ ইউনিট পরিমান ভাল লাগে।
কিন্তু, হটাত করে আপনি যদি ঐ গানটাই এফএমে শোনেন তাহলে আপনার ভাললাগা অবশ্যই ৫০ এর বেশি হবে। বিশ্বাস হচ্ছে না, তাইত। তাহলে, আপনার এমন কোন দিন কি হইছে যে আপনার প্রিয় কোন গান রেডিওতে হচ্ছে আর আপনি রেডিও বন্ধ করে দিছেন। হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, কিন্তু ফোন হচ্ছে আর বন্ধ করে দিছেন এইটা প্রায় হয়ে থাকে।
এই জন্য চেষ্টা করেন ছোট ছোট রেকর্ড বানানোর জন্য। যাকে ইংরেজিতে বলে Podcast. এই কাজটা করা অবশ্য ইউটিউবে ভিডিও বানানোর থেকে অনেকটা সোজা কাজ।
আপনি কোন একদিন দেখবেন ঠিক এইরকম একটা মেসেজঃ “আপনার বলা প্রত্যেক টা রেকর্ড আমি প্রায় শুনি। এখন আর আগের মত গান শোনা হয় না। আপনার কথা শুনতেই বেশি ভাল লাগে। গান শুনলে মনের মধ্যে এক ধরনের শান্তি শান্তি ভাব কাজ করে, কিন্তু মনের মধ্যে কোন জোর খুজে পাই না। যা আপনার রেকর্ড গুল শুনলে পাই। ধন্যবাদ, আমার জিবন পরিবর্তন করে দেয়ার জন্য।”
আপনার কথা কোন মানুষের জীবন পরিবর্তন করে দিছে। চোখ বুঝে, একবার চিন্তা করে দ্যাখেন আপনার ভাল লাগা ঐ মানুষটার ভাল লাগা থেকেও অনেক বেশি।
ফেসবুক টিউনঃ
সোশ্যাল মিডিয়ার কথা আগে একবার বলছিল। কিন্তু, ফেসবুকের জন্য মনেহয় আর একটা সাবহেডিং দরকার। ফেসবুক হল এমন একটা মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনি খুব অল্প সময়েই নিজেরে ব্র্যান্ড করে ফেলে দিতে পারেন। আপনার যদি ফেসবুকে ফলোয়ারের সংখ্যা অনেক থাকে তাহলে চেষ্টা করুণ প্রত্যেক দিন নতুন কিছু আপডেট দেয়ার।
ফেসবুক মেইলের থেকেও বেশি কার্যকর। আপনি কোন কিছু মেইলে দিলে স্প্যামে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিন্তু এই খানে সেই সম্ভাবনা শূন্য। সুতরাং, হাতের কাছে একটা ভাল মাধ্যম থাকলে তাকে হেলায় হারাবেন কেন? তবে, ফেসবুক পেজের থেকেও ফেসবুক গ্রুপ গুল বেশি মাত্রায় ইন্টারঅ্যাক্টিভ হয়।
তবে একটা কথা, কখনই চেষ্টা করবেন না নিজেরে সুপারম্যান হিসাবে প্রকাশ করার জন্য। আপনার ভাল খারাপ দুইটাই প্রকাশ করার চেষ্টা করেন। আপনার কোন প্রোজেক্টে লাভ হল এবং কেন হল + ক্ষতি হল এবং কেন হল দুইটাই শেয়ার করেন।
আপনিও মানুষঃ
আপনি মামুর (গুগল) একনিস্ট ভক্ত। মামুর কাছে কোন প্রশ্ন করার সাথে সাথে মামু তার সব থেকে ভাল উত্তর আপনার কাছে এনে দেয়। মামু বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড। কিন্তু আপনি কি জানেন এই মামুর অনেক প্রোজেক্ট আছে যেখানে তার ইনভেস্ট মোটামুটি জলে গেছে, প্রফিট অনেক দুরের কথা।
সুতরাং, আপনার খারাপ লাগা প্রকাশ করতে শিখুন। “Boss is always RIGHT”, এই কথা ভুলে জান। আপনারও ভুলে হতে পারে। সেই ভুল গুল শেয়ার করতে শেখেন। অনেক কাজে দিবে। শেয়ার করার আগে হয়ত আপনি বুঝতে পারছিলেন আপনার সমাধানটা কি ছিল। কিন্তু, শেয়ার করার পর দেখবেন আপনার ভাবা সমাধান থেকেও অনেক ভাল সমাধান আপনাকে ফলো করে এমন অনেকেই দিছে।
প্রফেসনালঃ
এই ওয়ার্ডটার মধ্যেই কেমন যেন একটা আলদা ভাব আছে। মাথার মধ্যে কেমন যেন অন্য একটা প্রতিছবি তৈরি করে। কেউ যদি আপনারে “ছাগল” বলে ডাক দেয়, তখন আপনার মেজাজ যতটা খারাপ হয়। ঠিক অন্য কেউ আপনাকে “প্রফেশনাল লোক” বলে ডাক দেয় দুইটার অনুভূতি দুইরকম। কিন্তু, অনুভূতির পরমাণ যদি আপনি দাঁড়ি পাল্লায় মাপেন তাহলে প্রায় সমান হবে।
সব সময় চেষ্টা করেন, প্রফেশনাল সব কিছু চিন্তা করার। তবে, অবশ্যই বিবেক কে বাদ দিয়ে নয়। অনুরোধে ঢেখি গেলার অভ্যাসটা ত্যাগ করেন, অনেক কাজে দিবে। মনেকরেন, একটা ক্লাইন্টের সাথে আপনি অনেক দিন ধরে কাজ করছেন। এখন তিনি আপনাকে এমন কিছু করতে অফার করলেন যে কাজ আপনি পারেন না।
কিন্তু, ক্লাইন্ট চলে যেতে পারে এই চিন্তা করে আপনি বলে দিলেন “এইডা কোন ব্যাপার, এই কাজত খুবই সাধারণ।” পরে আপনার সাধের ক্লাইন্টের মন পাওয়ার জন্য আপ্রান কয়েক দিন চেষ্টা করার পর যখন পারলেন না তখন বললেন “আমার ডাইরিয়া হইছে, কাজটা অন্য কাওরে দেন”।
তার মানে হল, আপনার ক্লাইন্টের সাথে তিলে তিলে গড়ে তোলা এত সুন্দর কাঁচটায় আপনি নিজের সাথে আজ দাগ বসায় ফেললেন। এই ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য চেষ্টা করুণ যে কাজ পারেন না ঐ কাজে “পারি না” এই কথা বলার প্রফেশনাল ভাবটা বজায় রাখার জন্য, এইডা খুব কাজের।
ভিন্ন কিছু করুনঃ
আপনার যদি এখনো ছাত্র অবস্থায় থাকেন, তাহলে এই প্রশ্নটা আপনার জন্য একদম পারফেক্ট। “আপনার ক্লাসের সব থেকে ভাল আর বাজে ছাত্রের নাম বলুন?” আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে আপনি এর মধ্যেই দুই জনের নাম বলে ফেলেছেন। আপনার জন্য পরবর্তী প্রশ্নঃ
“আপনার ক্লাসে ২৩ রোল কার?”
আমি এইবার একদম সিওর যে আপনি এইবার মাথা চুলকাইতে শুরু করছেন, যদি আপনার রোল ১৫ – ৩১ এর মধ্যে না হয়। তবে এই কথা সবার জন্য প্রযোজ্য যে আপনি এই প্রশ্নে আগের থেকে বেশি সময় নিচ্ছেন।
মাঝের সারির লোক দেরকে কেউ কখন মনে রাখে না। আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কোন কাতারের লোক। এই খান থেকে আপনি কি শিখলেন? যে ভিন্ন কিছু করেন। আপনার মনে হতে পারে, ১০০০ বছর আগে জন্ম নিলে আপনার নাম আজকে বইয়ের পাতায় থাকত মহাবিখ্যাত লোক হয়ে। আপনার জীবনী মানুষ পড়ত, ফলো করত। আপনার আগে যারা জন্ম নিছে তারা আপনার জন্য আবিষ্কার করার মত আর কিছু রাখে নাই।
এই কথা যদি আপনার মনের ভিতর ঘুরপাক খায়। তাহলে বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, আপনি ১০০০ বছর আগে জন্ম নিলেও আজকে যে চিন্তা করছেন ঐ চিন্তাই করতেন।
সময় থাকলে জুয়েল ভাইয়ের নিউটনের সূত্র গুলর উপর বানান ভিডিও গুল দেখতে পারেন।
আপনাকে অনেক কিছু নতুন ভাবে চিন্তা করতে শেখাবে। প্রত্যেকটা জিনিস একটু সময় দিয়ে দেখার চেষ্টা করেন, দেখবেন এখনো অনেক কিছু বাকি আছে ঐ জিনিসটা ডেভেলপ করার জন্য।
ফ্যান দেখে কখন মনে হয়নি যে “শব্দ ছাড়া ফ্যান কি ভাবে বানান যায়?” ভাবতে শিখুন, ভাবনা শেয়ার করতে শিখুন। নিজে কখন ব্র্যান্ড হয়ে যাবেন বুঝতে পারবেন না।
আপনার ফ্যামিলিঃ
জন ন্যাস, স্টিভ জবস এই দুই জন মানুষের আমি একজন অন্ধ ভক্ত। আমাকে যদিকেউ অফার করে “তুমি যদি পৃথিবী সাইকেল চালায়ে ৫ বার ঘুরে আসো, তাহলে তোমার সাথে ঐ দুই জনের মানুষের সাথে দেখা হতে পারে।” বিশ্বাস করেন আর নাই করেন আমি আজকেই সাইকেল চালান শুরু করব। কিন্তু, দুঃখের ব্যাপার হল এই দুই জনের কেউই এখন আর বেঁচে নেই।
আমি যখন তাদের অন্ধ ভক্ত হয়ে পড়লাম, তখন আমি চেষ্টা করতাম তাদের প্রত্যেকটা কাজ কি ভাবে করছে জানার জন্য। জন ন্যাস কি ভাবে Non-Cooperative Game Theory বের করল। অ্যাপেল কোম্পানি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি। পরে যখন মোটামুটি তাদের কাজ সম্পর্কে জানতে পারছি তখন তাদের ব্যক্তিগত জীবন খুব জানতে ইচ্ছা করত। তাদের বাবা, মা কে ছিল? তার বর্তমান বংশধরা এখন কি করে? কিন্তু, এই প্রশ্নের উত্তর আমি খুব কমই পাইছি খোঁজা খুঁজি করে।
আপনার যারা ভক্ত আছে, তারা কিন্তু আপনার ফ্যামিলি সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করে। আপনি চেষ্টা করুণ, আপনার পরিবার সম্পর্কে জানাতে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে মনে করেন কোন এক জায়গায় ঘুরতে গেলেন। চেষ্টা করুণ, ঐ জায়গার একটা বর্ণান দিতে, সাথে আপনার পরিবারের সকালের একটা গ্রুপ ছবি দিয়ে দেন।
যখন আপনার কোন ভক্ত ঐ টিউন টিউমেন্ট করবে, চেষ্টা করবেন তার উত্তর দেয়ার। আপনার কোন ভক্ত আপনার ছবি দেখে কোন টিউমেন্ট করল, আর আপনি কোন উত্তর দিলেন না, এইডা কোন ভাল গুরু দেবের কাজ না। এই ব্যাপার টা ভাল ভাবে বোঝার জন্য, আপনি নীল পাতিলের ফেসবুক পেজটা দেখতে পারেন। আপনি খেয়াল করবেন প্রত্যেকটা টিউমেন্টের রিপ্লে আছে, টিউমেন্ট না থাকলে অন্তত একটা লাইক। এই কাজ গুলা ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ায়।
নিজের ঘটনাঃ
নিজের সম্পর্কে কথা বলুন। হতে পারে সেটা কোন সাফল্য, বাঁশ খাওয়া, জীবনের পেছনের কথা, আপনার পরিশ্রমের কথা, যে কোন কিছু। এমন ভাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করুণ যেন দেখে মনে হয় যে আপনার এই বর্তমান সাফল্য গত রাতের ঘটে যাওয়া ঘটনা না। আপনাকে অনেক পরিশ্রম করা লাগছে, এই খানে আসার জন্য। আপনার ভক্তকে বিশ্বাস করাতে শিখুন তারা যদি ইচ্ছা করে তাহলে তাদের গুরুদেবর থেকেও ভাল কিছু করতে পারে।
গ্রহণযোগ্যতাঃ
আমি আগেই বলছি প্রিতিদিন ব্লগিং করাটা খুবই কাজে দেয় তাই সেইডা পার্সোনাল ব্র্যান্ডইং হউক আর বিজনেসর হউক। চেষ্টা করুণ, আর্টিকেল লেখার সময় ভাল গ্রহণযোগ্য সোর্সের কথা বলার জন্য। আপনি যত বেশি ভাল মানের সোর্স উল্ল্যেখ করবেন আপনার লেখা তত বেশি ভাল মানের হবে।
লিঙ্কদিনে একটা অপশন আছে Endorse নামে। লিঙ্কদিনে, আপনার অনেক স্কিলের কথা আপনি উল্ল্যেখ করছেন। মনে করেন, আপনি যে কোম্পানিতে জব করেন ঐ কোম্পানি আপনাকে ঐ স্কিলকে Endorse করল। এখন কেউ যদি আপনাকে নতুন করে আবার জব অফার করতে আসে তাহলে সে কিন্তু ঐটা দেখে বুঝতে পারবে আপনি আসলেই কাজটা জানেন।
আমি আদার ব্যাপারি আর আপনি জাহাজ বানান। এখন আমি যদি আপনার জাহাজ বানান স্কিলকে Endorse করি। তাহলে, বুঝতে কারো বাকি থাকবে না যে ব্যাপারটা ঝামেলার। সুতরাং, আপনার সোর্স যত ভাল হবে। আপনার আর্টিকেলের গ্রহণ যোগ্যতা তত বেড়ে যাবে।
আমি জীবিতঃ
প্লে স্টোরে থেকে আমি একবার একটা অ্যাপ ডাউনলোড করলাম। অ্যাপটা জেনারেল নলেজের উপর ছিল। সেইখানে প্রায় হাজার খানেকের মত জেনারেল নলেজ ছিল। আমি পড়ে শেষ করে ফেললাম। আমি ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করি না। কিন্তু, হটাত করে কি যেন একটা কাজে ফোনে ইন্টারনেট প্যাকেজ নেয়া লাগল কয়েক দিনের জন্য।
অদ্ভুত বায়পার হল, ঐ অ্যাপ প্রতি দিন আমাকে কিছু কিছু নতুন প্রশ্ন করত। এই ব্যাপারটা কিন্তু অন্য যে কোন ঐ ধরনের অ্যাপ থেকে একদমই আলাদা। যে কারনে, আমি ঐ অ্যাপটা অনেক দিন পর্যন্ত ব্যবহার করছি। সুতরাং, প্রতিদিন এমন কিছু করুণ যেন আপনার ফলোয়্যারদের কাছে মনে হয় আপনি জীবিত।
প্রথমঃ
আপনি প্রথম বিশ্বাস করতে শিখুন আপনি নিজেই একটা ব্র্যান্ড। আপনার নিজের উপর যদি কোন ভরসা না থাকে তাহলে অন্যকেউ আপনাকে বিশ্বাস করবে কি করে। নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করুণ যেন একটা বিশ্বাসী ব্র্যান্ড হিসাবে সবাই মনে করে। এমন কোন প্রোডাক্টে কখন রিকমেন্ড করবেন না, যা ব্যবহার করে আপনার ফলোয়ারদের পশ্চাতে সিলেটি বাঁশ যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ভক্ত, খুব ভয়ংকর জিনিস। বিশ্বাস না হলে শাহারুখ খানের ফ্যান মুভিটা দেখতে পারেন।
শেষ কথাঃ
আমি উপরে অনেক গুল কাজের কথা বলছি। সব গুল প্রত্যেক দিন করাটা আপনার জন্য অনেক ঝামেলার মনে হতে পারে। কিন্তু, চেষ্টা করুণ দেখবেন এক সময় খুব সোজা মনেহবে। ছয়মাস পরে হয়ত, আপনি আকাশ চুম্বী সাফাল্য পাবেন না। কিন্তু, এত টুকু সিওর আজকে যে পরিমানে হতাশায় আছেন, জিবনে এত হতাশা থাকবে।
তখন, মনে হবে “আমাকে দিয়ে হবে”।
“কাল থেকে শুরু করবেন”- এই চিন্তার পশ্চাতে লাথি মেরে, লুঙ্গি কাছা দিয়ে এখনই লেগে পড়েন।
আর অবশ্যই কোন প্রশ্ন, সাজেশন থাকলে টিউমেন্ট করে জানাবেন। চেষ্টা করব প্রত্যেকটার উত্তর দেয়ার জন্য। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল। ভাল থাকেন।
প্রিয় Biddrup,
আমি টেকটিউনস কমিউনিটি ম্যানেজার, শোয়াইব,
টেকটিউনস থেকে আপনার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ করতে চাচ্ছি। টেকটিউনস থেকে আপনার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ করার জন্য http://techtun.es/2obSQxE লিংকটিতে ক্লিক করে আপনার সাথে যোগাযোগের প্রয়োজনীয় তথ্য সাবমিট করে আমাদের সাহায্য করবেন আশা করছি।
ছদ্ম ছবি, নাম, ইমেইল, ফোন, ঠিকানা ও সৌশল Contact পরিহার করে আপনার প্রকৃত/আসল ছবি, নাম, ইমেইল, ফোন, ঠিকানা ও সৌশল Contact দিন। যেহেতু টেকটিউনস থেকে আপনার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ করা হবে।
সাবমিট করার পর আমাদের এই ম্যাসেজের রিপ্লাই আপনার কাছ থেকে আশা করছি।
বিশেষ নোট: আপনি যদি পূর্বে আমাদের এই ম্যাসেজ পেয়ে ফর্মটি সাবমিট করে থাকেন তবে আর পুনরায় সাবমিট করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি আপনি এখনও আমাদের এই ফর্মটি পেয়ে সাবমিট করে না থাকেন তবে অবশ্যই এখনই সাবমিট করুন এবং সাবমিট করার পর অবশ্যই আমাদের এই ম্যাসেজের রিপ্লাই দিন।
ধন্যবাদ আপনাকে।