পেওনিয়ার মাস্টার ডেবিড কার্ড কি?
পেওনার হচ্ছে ইন্টারনেট বেস্ড ফাইনানসিয়াল সার্ভিস যা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। পেওনার বিনামূল্যে ভার্চুয়াল প্রিপেইড মাস্টার কার্ড দিয়ে থাকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে অর্থ উত্তলন এবং লেনদেনের জন্য। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ২১০টিও বেশী দেশে এই ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ডটি ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে একটি অফারের আওতায় রেফারেলের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলের উভয়কে ২৫ ডলার করে দিয়ে থাকে পেওনার।
২৫ ডলার পাবার শর্ত:
ফ্রিতে ২৫ ডলার পেতে হলে অবশ্যয় যেকোন রেফারেল থেকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং কার্ডে নূন্যতম ১০০ ডলার লোড করতে হবে। ১০০ ডলার লোড করার পরে উভয়ই ২৫ ডলার করে পাবে। তাই আমার এই রেফারাল লিঙ্ক টি দিলাম যাতে আপনিও কিছু পান আর আমিও কিছু পাই। এছাড়া সরাসরি রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে আপনিও পাবেন পাইন্না কচু আমিও পামু পাইন্না কচু 😀 তাই অনুগ্রহ করে এই লিঙ্কে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন।
যা যা লাগবে:
১৮ বছর বা তার বেশী বয়সী যেকোন নাগরিক এই কার্ডটির জন্য আবেদন করতে পারেন। এজন্য লাগবে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট।
কার্ডটি যেসব কাজে ব্যবহার করতে পারবেন:
যেহেতু এটি মাস্টার কার্ড সেহেতু যেকোন মাস্টার কার্ডের লগো সম্বলিত এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তলন করতে পারবেন, পিওএস এ পেমেন্ট করতে পারবেন এবং অনলাইনে শপিং/পেমেন্ট করতে পারবেন।
যেভাবে টাকা লোড করতে পারবেন:
পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড দ্বারা ওডেক্স, ইল্যান্স সহ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে টাকা লোড করতে পারবেন। এছাড়াও অনান্য মাস্টার কার্ড থেকে পেওনার মাস্টার কার্ডে লোড করতে পারবেন।
কার্ডের খরচ:
প্রতিমাসে কার্ডের রক্ষাণাবেক্ষণ খরচ ৩ ডলার। কিন্তু মাসে ২ এর অধিক বার লোড করলে খরচ ১ ডলার। তবে কার্ডে ৩ ডলারের কম থাকলে ততটুকই উক্ত মাসের রক্ষাণাবেক্ষণ খরচ হিসাবে কাটবে।
এটিএম থেকে টাকা উত্তলন করলে প্রতি উত্তলন প্রতি ২.১৫ ডলার চার্জ হবে।
এটিএম থেকে টাকা উত্তলন ব্যার্থ হলে .৯০ ডলার চার্জ হবে।
এটিএম থেকে অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করলে .৯০ ডলার চার্জ হবে।
নতুন কার্ড বা কার্ড পরিবর্তন এর খরচ ১২.৯৫ ডলার।
তবে অফলাইন (পিওএস) বা অনলাইনে কেনাকাটার জন্য কোন চার্জ নাই।
বর্তমানে মাসিক রক্ষাণাবেক্ষণ খরচের পরিবর্তে বাৎসরিক ২৯.৯৫ ডলার কর্তন করে। প্রথম কার্ডের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১২.৯৫ লাগবে না। বিস্তারিত খরচ সম্পর্কে https://myaccount.payoneer.com/MainPage/Fees.aspx থেকে জানতে পারবেন।
আগেই বলে রাখি যদি কার্ড প্রয়োজন না হয় তাহলে অর্ডার করবেন না।
এই কথা বলছি কারন আমি নিজে রেফার করেছি আজ পর্যন্ত ৪৮৫ জনকে তার মধ্যে কার্ড অর্ডার করেছে
৪৩৬ জন, আর কার্ড Active করেছে ৪২২ জন কিন্তু এই ৪২২ জন এর মধ্যে মাত্র কার্ডে ফান্ড লোড করেছে মাত্র ২০ জন।
আর বাকি ৪০২ জন কার্ড গুলো পকেটে নিয়ে ঘুরছে...।
ভারতে এইভাবে এহেতুক কার্ড অর্ডার করে স্পামিং এর চুডান্ত পর্যায়ে পৌছে গিয়েছিলো তাই মাস্টার ব্যান করে দিয়েছে
পেওনিয়ার।
এবার আপনারাই বলুন এভাবে যদি করতে থাকেন তাহলে একদিন দেখা যাবে পেয়নিয়র কার্ড বাংলাদেশেও ব্যান করে দিয়েছে।
যেভাবে আবেদন করবেন:
কার্ডটি পাওয়ার তিনটি ধাপ রয়েছে। প্রথম রেজিষ্টেশন দ্বিতীয়ত ঠিকানা নিশ্চিত করন এবং তৃতীয়ত কার্ড গ্রহন।
ধাপ ১:
আবেদন করার জন্য এই লিংককে গিয়ে সাইনআপ বাটনের ক্লিক করুন।
এবার Order your Payoneer Prepaid MasterCard® Card এ স্টার্ট হেয়ার এবং স্টেপ-২ ও স্টেপ-৩ এর তথ্যগুলো যথাযথ প্রদান করে নিচের চেকবক্স গুলোতে টিক মার্ক দিয়ে Finish বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ২:
এর পরে আপনার মেইলে একটি মেইল আসবে তাতে আপনার পরিচয় পত্র আপলোড করার লিংক দেওয়া থাকবে। উক্ত Upload link এ ক্লিক করে আপনার পরিচয় পত্র আপলোড করতে হবে।
ধাপ ৩:
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হবার পরে ১-৫ দিনের মধ্যে মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে আপনার আবেদন গ্রহন করা হয়েছে কি না। যদি গ্রহন করা হয় তবে ২৫ দিনের মধ্যে আপনার প্রদত্ত ঠিকানায় কার্ড পাঠিয়ে দিবে।
কার্ড সক্রিয় করা:
কার্ডটি হাতে পেলে পেওনার অ্যাকাউন্ট লগইন করে Click here to active your card লিংকে ক্লিক করে আপনার কার্ড নম্বরদিয়ে আপনার পছন্দ মত চার সংখ্যার পিন নম্বর দিন এবার Active বাটনে ক্লিক করলেই হবে। আপনার মেইলে একটি নিশ্চিতকরণ মেইল আসবে।
আপনি আপনার কার্ডের ব্যালেন্ট, লেনদেন পেওনার অ্যাকাউন্ট লগইন করে দেখতে পারবেন।
আমি মহিউদ্দিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।