ইচ্ছে আর আগ্রহ থাকলে আপনি ঘরে বসে ফ্রিতেই শিখে নিতে পারেন গ্রাফিক্স ডিজাইন কিংবা অন্য যে কোন কাজ। প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে করেছে সহজ আর সৃষ্টি করেছে নান রকম সম্ভাবনা।
সবাইকে শুভেচ্ছা। ফ্রিল্যান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং শব্দ গুলো এখন আর অপরিচিত নয়। কাজে দক্ষতা এবং আগ্রহ থাকলে আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারেন হাজার হাজার টাকা। এসব খুব সহজ এবং পুরোনো কথা এবং ইতিধ্যে এ নিয়ে অনেক আর্টিকেল ই আমরা পড়ে ফেলেছি। কিন্ত কিভাবে আয় করা যায় এবং একটা নির্ভরযোগ্য ইনকাম সোর্স তৈরি কিংবা এ পেশায় স্থায়ী ক্যারিয়ার গড়ারর জন্য কোন কোন পন্থায় কাজ করা উচিৎ এবং কি যানা দরকার ইত্যাদি বিষয়ের উপর স্বচ্ছ ধারনা অনেকেরই নেই। নতুন এবং পুরোনো সবার কথা চিন্তা করেই আমার আজকের এ টিউন।
অনলাইন এ আয় করার রয়েছে নানা উপায় তা একদিনে কিংবা একটি টিউন এ বর্ণনা করা সম্ভব নয়। কিন্ত একটা বিষয় অন্তত বর্ণনা করা সম্ভব যে, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী কোন কাজে খুব সহজে সফলতা পাওয়া সম্ভব! আমি গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার কথা বলছি। গ্রাফিক্স ডিজাইন এমনই একটি বিষয় যেখানে আপনার সৃজনশীন চিন্তা কাজে লাগিয়ে স্বাধীন ভাবে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন।
বর্তমান বিশ্বে দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। আর মার্কেটপ্লেসগুলোতেও রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রচুর চাহিদা। আপনি যদি ভালমানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন তাহলে অনলাইনে কাজ করার রয়েছে অফুরন্ত সুযোগ। এছাড়া অন্যান্য কাজের তুলনায় (যেমন, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, প্রগ্রামিং, মার্কেটিং, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট) গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে খুব বেশী সময়েরও প্রয়োজন নেই।
নিমিত ভাবে অনুশীলন করলে মাত্র ১ থেকে ২ মাসের মধ্যেই আপনি শুরু করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং এরপর টুকটাক আয় করার পাশাপাশি আপনি শিখে নিতে পারেন এর খুটিনাটি বিষয়গুলো। চলুন এখন আমরা যেনে নেই আপাতত কোন কোন বিষয়গুলো সম্পর্কে একটু ধারনা পেলে আমরা শুরু করতে পারি। প্রথমেই একটা সহজ বিষয় (বিজনেস কার্ড) নিয়ে আলোচনা করা যাক।
বিজনেস কার্ড হচ্ছে একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা একজন ব্যক্তির পরিচয় বহনকারী একধরনের শক্ত কাগজ। যেখানে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের লোগো, নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি প্রিন্ট করা থাকে। মার্কেটপ্লেস গুলোতে এই বিজনেস কার্ড এর রয়েছে প্রচুর চাহিদা। খুব অল্প সময় অনুশীলন করেই আপনি শিখে ফেলতে পারেন বিজনেস কার্ড ডিজাইন আর http://www.fiverr.com এ একটি একাউন্ট খুলেই শুরু করতে পারেন ইনকাম।
টুকটাক ইনকামের পাশাপাশি আপনি চালিয়ে যান নিয়মিত প্রাক্টিস আর নিজেকে তৈরি করতে থাকুন একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে। মোটামুটি দক্ষতা তৈরি হলে আপনি শুরু করতে পারেন টি-শার্ট, লোগো ও ব্রসিয়ার ডিজাইন এর মত নতুন কোন কাজ। এবার ফাইবার এর পাশাপাশি আপওয়ার্ক, 99 ডিজাইন ও ফ্রিল্যান্সার.কম এ চেষ্টা করুন টুক টাক বিড করা এবং বিভিন্নি কনটেষ্ট গুলোতে অংশগ্রহন করার। আশাকরি নিয়মিত পরিশ্রম করলে আপনি এখানেও খুব সহজে সফলতা পেয়ে যাবেন।
এতো গেলো এককালীন ইনকাম এর কথা। আপনি চাইলে একটি কাজ একবার করে দীর্ঘ সময় ধরে এর ইনকাম পেতে পারেন। যেমন একটি বিজনেসস কাড তৈরি করলেন একবার অথচ বিক্রি করছেন সারা বছর এবং যতবার সেল হবে ততবার ইনকাম। বিষয়টি খুব সহজ।
আপনি যখন মানসম্মত ডিজাইন করতে পারবেন তখন এ ধরনের বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল প্রডাক্ট তৈরি করে সেই মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপলোড করে রাখতে পারেন আর সেখানথেকে যতবার সেল হবে ততবারই আপনি কমিশন পাবেন। এ ধরনের মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে, গ্রাফিক্স রিভার ও ক্রিয়েটিভ মার্কেট অন্যতম।
ভাবছেন সবই বুঝলাম সবই জানি কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখব কিভাবে? কোর্স করার মত এত টাকাতো হাতে নেই। কোন সমস্যা নেই ইচ্ছে থাকলেই হবে। গ্রাফিক্সডিজাইন শেখার জন্য অনলাইন এ আপনি প্রচুর পরিমান টিউটরিয়াল পাবেন। আপনি গুগল কিংবা ইউটিউব এ একটা সার্চদিলেই হাজার হাজার টিউটরিয়াল এর লিংক পেয়ে যাবেন। আর সেখান থেকে আপনার কাঙ্খিত বিষয়টি নির্বাচন করে আজ থেকেই শুরু করুন অনুশীলন। আপনার সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করে আজকে এখানেই শেষ করছি।
আমি জাহাঙ্গীর সরকার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 14 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
জাহাঙ্গীর ভাই আপনার কন্টাক নাম্বার দিন। আমি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চাই। অথবা fb.com/saeem35 এ যোগাযোগ করুন।