আসসালামু আলাইকুম।
😛 🙄 সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের দিনের টপিকস মুলত বিট কয়েন আয় বিষয়ে! বিট কয়েন কি? এই বিষয়ে আমাকে নতুন করে কিছু বলার নাই। কারন, টিটিতে এই বিষয়ে অনেক টিউন আছে। তথাপি বিট কয়েন আয় নিয়ে আমি ৫ টি পর্বে আলোচনার মাধ্যমে টেকটিউনে পাবলিশ করেছিলাম, নিচের লিংক হতে সেইগুলো দেখতে পারেন। সুতরাং নতুনভাবে ব্যাখ্যা করে বিরক্তি করতে চাইনা। 🙄
বিট কয়েন বিষয়াবলী সম্পর্কে পাঠকদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানসহ প্রশ্নোত্তর পর্ব! রিকোয়েস্ট টিউন!!
এর মধ্য হয়ত আমার টিউটোরিয়াল অনুসরন করে অনেকেই বিট কয়েন সাইটে কাজ করছেন। অবশ্য আমিও এখনো অন্যান্য কাজের সাথেও বিট কয়েন সাইটে কাজ করি, আয় চলছেই। সেই প্রায় ২ বছর পূর্বে শুরু করেছিলাম। তখন কিন্তু বিট কয়েন আয়ের পরিমান ছিল ১ বিটিসি প্রায় ২৫০ ডলারের মত। অবশ্য বিটকয়েন প্রেমী ও ডেভেলপরা এই বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন যে, বিট কয়েন চাহিদার প্রেক্ষিতে এর মাত্রা যে কোন সময় বেশী হতে পারে। তার আজকের প্রমান বর্তমানে ১ বিটিসি = ১২৮০ ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশী মুদ্রা হিসাবে ১,০২,৪০০ ৳। এখন কথা হল, কি কারনে এই ই-কারেন্সী মুদ্রার মান বৃদ্ধি পেল সেই দৃষ্টিতে প্রধান কয়েকটি টপিক করছি-
এটা একটা অন্যতম কারন। বর্তমানে বলা চলে বিশ্বের প্রায় সব কয়টি দেশের ব্যবহারকারীগন বিটিসি নামের সাথে জড়িত এবং একাউন্ট ওপেন করে কাজ করছেন। তথাপি আমেরিকা, বৃটেন, সুইডেন, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ তাদের দেশে এই কারেন্সী স্বীকৃতি দিয়েছে বিধায় গ্রহন যোগ্যতা অপ্রতুল হয়েছে। যদিও বাংলাদেশে এই মুদ্রা নিষিদ্ধ হওয়া স্বত্তেও আমার-আপনার মত ইউজারেরা কাজ করছেন।
বিট কয়েন অনেকটাই শেয়ার বাজারের মত। অর্থাত যে কোন সময় দাম উঠা-নামা করে। উদাহরন হিসাবে বলি প্রায় ৪ মাস পূর্বে যার একাউন্টে ৪০০ ডলার ছিল কিংবা ক্রয় করেছিল। সেখানে মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে তার হবে মুনাফা হবে প্রায় ১০০ ডলারের মত। সুতরাং সুযোগ বুঝে যে কেউ তার মুদ্রা কনভার্ট কিংবা অন্য কোথাও বিক্রয় করতে পারছেন। আমাদের দেশের মত শেয়ার বাজারে অংশ গ্রহন করতে গেলে সেখানে অনেক বড় টাকার বিনিয়োগ করতে হয়। কিন্তু এখানে আপনার বিনিয়োগ না করলেও চলে। শুধুমাত্র ইউজার হলেই হবে। সুতরাং বিটকয়েন সাইটে এমন মাচেন্ট আছেন যারা বিটিসি সাইটকে অনলাইনে ট্রাষ্টটেড শেয়ার সাইট হিসাবে গন্য করছেন।
প্রায় ৩-৪ বছর পূর্বে ইন্টারনেটে ইনকামের একটা মহৎসব ছিল তা হল পিটিসি সাইট। বর্তমানে ৭০% ইউজার বুঝতে শিখেছে পিটিসি সাইট গুলো বর্তমানে ২/৩ টি সাইট ব্যতিত সবই ভূয়া। একেত এখানে কাজ করে সময় নষ্ট তথাপি আয়ের মাত্রাও অনেক কম। সুতরাং বর্তমানে পিটিসি সাইট ছেড়ে বিট কয়েন সাইটে যোগদান করার কারনে বিটিসি মূল্য বৃদ্ধি পাওয়াটা স্বাভাবিক।
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন অনলাইন মার্চেন্ট/প্রভাইডারগণ পে হিসাবে বিট কয়েন একসেপ্ট করার কারনে বিট কয়েন অনেক জনপ্রিয় হয়েছে। যেমনঃ অনলাইন ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান হোস্ট ডায়াম, ফাইভার, নেমসিলো বিটকয়েন সাপোর্ট করছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে নেমসিলো হতে বিট কয়েন আয়ের মাধ্যমে ৪ টি ডোমেইন ক্রয় করি।
বিট কয়েন আয়কে ইচ্ছা মতো বিশ্বের বিভিন্ন মুদ্রাতে কনভার্ট করার কারনে এটি অন্যতম জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তাছাড়া বিট কয়েন আয়কে সরাসরি মোবাইলে ফ্লেক্সি হিসাবে ব্যবহার করার অন্যতম কারনসহ আরও অনেক সুবিধা আছে।
হ্যা বর্তমানে পিটিসি সাইটের মতই অনেক বিট কয়েন আয়ের ভূয়া সাইট গজিয়েছে। এই গুলো মূলত সাতোশি সাইট হিসাবে। অনেকে জেনে না বুঝেই জয়েন করছেন। সুতরাং সাইটগুলোতে জয়েন করার পূর্বে যাচাই বাছাই করে নিবেন। অন্তত হলেও বেশী পরিমানে কোন ডলার/বিটিসি ইনভেস্ট করতে যাবেন না। কারন, অনেক ইনভেস্ট সাইট আছে যেখানে ৬-৭ মাস ব্যবসা করে স্ক্যাম হয়ে যায়। সুতরাং সেখানে যদি ইনভেস্ট করেন তবে ১ ডলারের বেশী রিস্ক নিতে যাবে না। এবং হ্যা যাবতীয় বিট মাইনিং সাইট হতে ১০০ হাত দূরে থাকবেন।
বিটিসি আয় কিন্তু কোন বড়লোক হবার মাধ্যম নই। মূলত যারা নেটে নিয়মিত সময় দেন, সেখানে মামুলি কিছু আয় করার ট্রাস্টেড ও সবচেয়ে সহজ পন্থা হচ্ছে বিট কয়েন আয়। প্রফেশনাল হতে গেলে অবশ্যই আপনাকে ব্লগিং কিংবা ফ্রিল্যান্স বাছাই করতে হবে। আমি ছোটখাট ফ্রিল্যান্স সাইটে কাজ করলেও বিট কয়েন আয়টা কি কারনে যেন ভাল লাগে। প্রায় 2 বছর পূর্বে শুরু করেছিলাম। এই পর্যন্ত আয় করতে পেরেছি প্রায় 30,000/-। এখানে আয় করার বিষয় হচ্ছে নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করা, সাতোশি সাইট বাছাই করা ও রেফারেল কালেক্ট করা। এই যেমনঃ বর্তমানে আমার রেফারেল সংখ্যাটা প্রায় 11০০ এর মত। এই গুলো সংগ্রহ করেছি সোস্যাল সাইট যেমনঃ ফেসবুক, ব্লগ, গুগল+ ও লিংকডেন মাধ্যম শেয়ার করে। সুতরাং পারলে আপনিও রেফারেল কালেক্ট করতে পারেন ও সোস্যাল সাইটে শেয়ার করুন। এছাড়া বিট কয়েন সাইটে মাঝে মধ্যে লটারী ও গেম প্লেতে অংশ নিয়েছি। এবং বিট কয়েন আয়ের ৬০% দেশী মুদ্রাতে কনভার্ট করেছি, বাকিটা মার্চেন্ট সাইটে কেনাকাটাতে কাজে লাগিয়েছি। বর্তমানে প্রতি ৩ দিন অন্তর আমার বিট কয়েন আয়ের মাত্রা থাকে 1.0-1.20 ডলারের মত। যেমনঃ আগামী উইথড্র হবে ২.১৫ ডলারের মত। নিম্নে আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে কিছু চিত্র প্রদান করলাম।
ক।
খ।
টিউনের আলোচনার একদম শেষ সময়ে। আশা করি উপরোক্ত আলোচনা হতে বিট কয়েন সম্পর্কে সম্যক ধারনা পেয়েছেন। মূলত যারা কোন ফ্রিল্যান্স সম্পর্কে কাজ জানেন না কিন্তু নেটে একটু হলেও নিয়মিত সময় দেন তারা কিছুটা মামুলি আয় করতে পারবেন। তথাপি মানে এই নই যে, আমি বিট কয়েন সাইটে সর্বদা কাজ করার জন্য প্রমোট করছি!! আমি পূর্বের টিউন সহ পুনরায় রিপিট হিসাবে বলছি আপনি এই সকল কাজ করার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্স শেখার চেষ্টা করুন। টিটি সহ বিভিন্ন ব্লগ সাইটে সার্চ করলেই অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন অপরদিকে বাজারে টিউটোরিয়াল ভিডিও, প্রশিক্ষণ সেন্টার, এবং সহায়িকা বইয়ের তো অভাব নাই। সুতরাং আপনার যখনই সময় হবে একটু করে ফ্রিল্যান্স জানার ও শেখার চেষ্টা করুন। তথাপি বিটকয়েন সম্পর্কে কোন জানার বিষয় থাকলে টিউমেন্ট করতে পারেন। পরিশেষে সবাই ভাল থাকবেন।
Save
Save
আমি এএমডি আব্দুল্লাহ্। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 157 টি টিউন ও 1046 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
সম্মানীয় ভিজিটর বন্ধুগন! সবাইকে আন্তরিক সালাম ও ভালবাসা। আশা করি ভাল আছেন। পর সংবাদ যে, আমরা একটি ব্লগ সাইট তৈরি করেছি। সাইটটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম শিক্ষা ও প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তি, শিক্ষা, কম্পিউটার বিষয়ক যেমনঃ অনলাইন ইনকাম, ফ্রিল্যান্স, টিউটোরিয়াল, মুভি, গেমস, সফটওয়্যার, ভ্রমন, ইতিহাস, ভূগোল, কার্টুন, ধর্ম, টেক সংবাদ, এবং সংবাদপত্র ফিউচার...
Earn Bitcoin by doing nothing..no work,no mining,no software needed
http://bit.ly/2m4Uflv