আপনার সাথে ক্লায়েন্ট এর একটা ছোট কিন্তু ভালো কাজ আপনাকে পুনরায় হায়ার করতে সাহায্য করবে। তারা সহজে আপনাকে রিকমেন্ড করবে এবং অন্য ক্লায়েন্ট এর কাছে নিজে থেকে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিবে। আর আপওয়ার্ক এর নতুন পলিসি অনুযায়ী সামনে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আপনার সাক্সেস রেট ই হতে যাচ্ছে আপনার জব পাওয়ার একমাত্র চাবি কাঠি। আমার নিজ অভিজ্ঞতা থেকে আপনার সাক্সেস রেট বাড়ানোর কিছু কৌশল বর্ননা করবো।
আপনার বাস্তব জব মার্কেট বলেন আর অনলাইন জব মার্কেট ই বলেন আপনার কাজের পূর্ব ইতিহাস আপনার ভবিষ্যত ক্লায়েন্ট এর কাছে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব পায়। আর জব সাক্সেস রেট আপনার পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতার সামগ্রিক চিত্র। আপনার মার্কেটপ্লেস এ সার্চ র্যাংক ও আপনার জব সাক্সেস রেটে এর উপরে নির্ভর করে।
আপনি যে কাজে বেশি আগ্রহী বা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, শুধুমাত্র সেসব কাজেই এপ্লাই করুন। তার মানে এই না যে আপনার সামনে যেসব কাজ আসবে তাতেই বিড করবেন। আপনি আপনার ক্রাইটেরিয়া, বাজেট এবং সময় অনুযায়ী কাজ বাছাই করার অভ্যেস গড়ে তুলুন। এখানে আরো কিছু কি পয়েন্ট দিলাম এ ব্যাপারে -
আপনি সিওর হয়ে নিন এই কাজ টি করার জন্য কি কি ধরনের স্কিল এবং টুল্স প্রয়োজন। আপনার কি সেসব স্কিল সম্পর্কে ধারনা আছে, অথবা আপনার স্কিল এর মধ্যে এসব পড়ে কি না সে সম্পর্কে অবশ্যই সিওর হয়ে নিবেন।
কাজ এর জন্য কতটা সময় প্রয়োজন এবং ক্লায়েন্ট এর হাতে কতটা সময় আছে সে সম্পর্কে একটা খসড়া হিসেব করে নিন। আপনার সময় আছে কি না সে সম্পর্কে সিওর হয়েই কাজে বিড করার সিদ্ধান্ত নিন। যথাসময়ে কাজ জমা দিতে না পারলে আপনি সেটা ক্লায়েন্ট কে বলে নিতে পারেন, তার কাজ এর জন্য আরো বেশি সময় দিতে পারবে কি না। ডেডলাইন মিস মানে কিন্তু ক্লায়েন্ট মিস।
আপনি কাজের জন্য ফিট আছেন কি না সেটা আপনি শুধু জানেন। কিন্তু শুধুমাত্র আপনার জানাটা যথেষ্ট না। আপনি ক্লায়েন্ট কে কতটা প্রেজেন্ট করতে পারছেন তার উপরে কিন্তু ক্লায়েন্ট এর ভরসা তৈরি হবে। আপনি আপনার কাজের ছক এবং বিস্তারিত জিষ্ট আকারে উপস্থাপন করুন। এতে ক্লায়েন্ট এর ভরসা বাড়বে আপনার উপর।
শুধু একজন ভালো ওয়ার্কার একাই একটা সফল কাজ নামাতে পারে না। ক্লায়েন্ট এর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে জেনে নিন। সে কতটা কাজের ব্যাপারে তথ্য এবং অভিজ্ঞতা রাখে সে ব্যাপারে ক্লিয়ার ধারনা থাকলে কাজ বোঝানো টা সুবিধা হয়। আপনার যদি মনে হয় ক্লায়েন্ট কাজ এর জন্য সুবিধার না তাহলে সরাসরি না বলে দেওয়াই উত্তম।
আপনি নতুন কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই একটা প্রবলেমেএ পড়বেন “কিভাবে শুরু করবো”। চিন্তা করার কোন কারন নেই। অন্য সব ফ্রিল্যান্সারদের মতো আমি নিজেও এ সমস্যায় ভুগি। সবচাইতে ভালো মাধ্যম হলো ক্লায়েন্ট এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা এবং কাজের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করে নেয়া। এখানে সাধারন কিছুু পদ্ধতি বলে দিলাম আপনাদের জন্য-
ফোন হোক, স্কাইপি হোক কিংবা ইমেইল হোক। কাজ পেয়ে ক্লায়েন্ট এর সাথে কাজের ব্যাপারে কথা বলুন। ডেডলাইন টা আরেকবার ক্লিয়ার হয়ে নিন।
আপনি ক্লায়েন্ট এর এভেইলেবল সময় এবং আন-এভেইলেবল সময় সম্পর্কে জিগ্গেস করতে ভুলবেন না। এমনকি কাজের ব্যাপারে ডিসকাস করার জন্য ক্লায়েন্ট এর বেষ্ট সময় টা জেনে নিন। আলোচনা করে ঠিক করুন কখন কাজের ব্যাপারে কথা বলতে পারবেন।
আপনার সম্ভাব্য ডেডলাইন সম্পর্কে স্পেসিফিক হয়ে ক্লায়েন্ট কে জানান। আমি বার বার ডেডলাইন এর ব্যাপারে বলছি মানে আপনার কাজের জন্য এটা সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ন। আপনি যদি কোন কারনে ডেডলাইন মিস করেন তবে অবশ্যই মার্কেটপ্লেস এর মেসেজ সিস্টেম এর মাধ্যমে জানান। যাতে করে এটা সিস্টেম রিভিউয়ারদের নজরে আসে।
আপনি একটা লিষ্ট করতে পারেন আপনার প্রজেক্ট এর জন্য কি ধরনের তথ্য বা ম্যাটেরিয়াল লাগতে পারে। বার বার জিগ্গেস করার চাইতে একবারে এসব বিষয়ে আলোচনা করে নিলে বেশি ভালো হয়। যেমন পাসওয়ার্ড কিংবা লোগো ফাইল কিংবা হতে পারে কোন স্পেশাল পারমিশন। আপনি লিষ্ট করে ক্লায়েন্ট এর কাছে থেকে একবারে সবকিছু সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন।
আপনার কোন ব্যাপারে অস্বস্তি থাকলে কিংবা কোন কিছু নিয়ে সমস্যা থাকলে ক্লায়েন্ট কে সরাসরি বলুন যাতে করে সে অনুযায়ী সে প্ল্যান করতে পারে।
ভালো কাজ এর জন্য রেসপন্সিভ হওয়া মাষ্ট। এর বিকল্প নেই এছাড়া ক্লায়েন্ট এর মাতমত কে গুরুত্ব দেয়া এবং নিজস্ব রুচি এবং আইডয়া সম্পর্কে আলোচনা করে নেওয়া যেতে পারে -
আপনি ডেলাইন এর আগেই কাজ কমপ্লিট করতে পেরেছেন ? সমস্যা নাই। ক্লায়েন্ট কে জানান আপনি কথা বলার জন্য প্রস্তুত এবং তাঁর সময় অনুযায়ী সে ব্যাপারে আলোচনা করুন।
আপনি ডেডলাইন এর কিছু আগেই আপনার নিজের ডেডলাইন ঠিক করুন। কোন কারনে ডেডলাইন মিস হবার সম্ভাবনা থাকলে ক্লায়েন্ট কে জানান আপনার নেক্সট ডেডলাইন কবে হতে পারে।
আপনি সবকিছু হয়তো প্রথম মিটিং এ জেনে নিতে পারবেন না। কাজের সময়ে কোন তথ্য বা কোন ম্যাটেরিয়াল এর প্রয়োজন পড়লে হেজিটেশান এ না ভুগে জিগ্গেস করে ফেলুন। এটা আপনার জন্য একটা পজিটিভ মার্ক।
ক্লায়েন্ট এর ইমেইল বা মেসেজ এর উত্তর দিতে চেষ্টা করুন। ক্লায়েন্ট আপনার কাছে উত্তর না পেয়ে বা দেরিতে উত্তর পেয়ে আপনার উপর হাল ছেড়ে দিতে পারে।
আপনি ফিডব্যাক চাইতে লজ্জা করবেন না। আপনার ফিডব্যাক প্রয়োজন না থাকতে পারে কিন্তু আপনি যে কাজ করেছেন সে কাজের ফিডব্যাক নিন। ফিডব্যাক সম্পর্কে উদাসীন থাকলে সেটা আন-প্রফেশনাল হিসেবে গন্য হবে। আপনার ফিডব্যাক এর প্রতি স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড হওয়া ক্লায়েন্ট কে আরো বেশি কাজের জন্য উদ্বুদ্ধ করবে।
আপনার প্রথম ইম্প্রেসান তো আপনাকে কাজ এনে দিবে কিন্তু আপনার লাষ্ট ইম্প্রেসান আপনার ভালো ফিডব্যাক এবং ভবিষ্যৎ প্রজেক্ট এর জন্য পথ প্রশস্ত করবে। আপনার দু্ই ইম্প্রেসান ই যেন সমান পজিটিভ হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
আপনার ফাইনাল সাবমিশান এর পরে ক্লায়েন্ট কে শেষবারের মতো জিগ্গেস করে নিন তিনি তার প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ টা পেয়েছেন কি না। প্রয়োজনে আরো বেশি রিভিসন এর জন্য আপনি তৈরি আছেন সে ব্যাপারে ক্লিয়ার করুন। আপনি যদি তাকে খুশি করতে পারেন তাহলে বার বার ই পজেক্ট পেতে পারেন একই ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে। সাথে ফাইভ স্টার ফিডব্যাক তো থাকছেই।
আপনি যখন আপনার ফাইনাল কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছেন তখন ক্লায়েন্ট কে বলুন তিনি কন্ট্র্যাক্ট এন্ড করতে চান কি না। ক্লায়েন্ট নিজে থেকে কন্ট্র্যাক্ট এন্ড করলে বেশ ভালো ফিডব্যাক দিয়েই এন্ড করে যেটা সাকসেস রেট বাড়াতে সবচাইতে বেশি সহায়ক। এবং মার্কেটপ্লেস এ বার বার হায়ার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
অনেকেই ভালো স্কিল নিয়ে কাজ করতে নামছেন কিন্তু মার্কেটপ্লেস এ বেশি দিন রেপুটেশান নিয়ে টিকে থাকতে পারছেন না। আপনাদের জন্য এই ছোট্ট কিছু টিপ্স আমার মনে হয় বেশ কাজে দিবে। মার্কেটপ্লেস এ নিজের এবং নিজ রেজিওন এর নাম উজ্জল হোক এটাই যেন সবার কামনা থাকে।
Prevously posted herein my blog.
আমি নাহিদ হোসেন। Graphics Designer, Rajshahi। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 35 টি টিউন ও 266 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।
A stupid learner
ভাই আপনার সাথে কী জগাজোগ করার কন উপাই আছে কী।।।।।।থাকলে Plz বলেন।।।।।।