আমি সবসময় এসইও কিংবা অনলাইনে মার্কেটিংয়ের চাইতে যেকোন প্রোডাক্টকে ব্রান্ডিংয়ের জন্য সবচাইতে বেশি জোর দিয়ে থাকি। যখন ব্রান্ডিং করার স্বপ্ন দেখবেন, তখন আপনাকে হতে হবে অনেক দু:সাহসী, অনেক ক্রিয়েটিভ, অনেক বিচক্ষণ। আর এজন্যই এজন্যই মূলত ব্রান্ডিং করাতেই বেশি মজা পাই। কারণ এ ক্ষেত্রে কোন সফলতা পেলে সেখানে পৈশাচিক আনন্দ পাওয়া যায়। ক্রিয়েটিভ আইটির ব্রান্ডিং করে কিংবা আমার ব্লগ, জেনেসিসব্লগসকে মাত্র ১ বছরে আজকের এ অবস্থানে নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে যে তৃপ্তি পেয়েছি, সেটা কোটি টাকা দিলেও আমি পাবনা। আমার নেশা কখনওই টাকার দিকে ছিলনা। কখনও টাকার লোভকে পাত্তা দেইনি। কোন কিছুকেই ব্রান্ডিং করতে পারলে আয় এমনিতেই আছে।
জেনেসিসব্লগস নিয়ে যখন শুরু করেছিলাম, তখন অনেক পরামর্শের মধ্যে দুটি নিয়ে আলোচনা করি।
তখন উত্তর ছিল, মাত্র ১মাসের ১টি ব্লগের সব কনটেন্টে মডারেট করার মত ম্যাচিউরড হয়নি। বিশ্বের যে কোন ব্লগ বয়স বাড়ার সাথে সাথে ম্যাচিউরড হয়। আমার পরিকল্পনাটাও সেইভাবে এগিয়েছি। ezinearticle সহ সকল ব্লগ আজ অনেক বছর পর পেজর্যাংকের এত উন্নতি হওয়ার পর এসে সব পোস্টে অনেক মডারেটর করছেন। সব ব্লগগুলোতেই এমন কি টেকটিউনসেও অনেক ব্লগার আগে নিজের ব্লগে পোস্ট করে তারপর এসে সেই পোস্টটা এসব গেস্ট ব্লগিং সাইটগুলোতে করে। সেখানে এসব কপি পোস্টের পাশাপাশি নিজস্ব ব্লগার দিয়ে কিছু ইউনিক পোস্টও ফেলা হয়। সেখানে জেনেসিসব্লগ কেন মাত্র ১মাসে সব কিছুতে কঠিন স্তরের মডারেট করার পরিকল্পনা করবে? আমি নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ি এগিয়েছি। আর তার ফল এখন হয়ত দেখছেন সবাই। আমার পরিকল্পনাটা সঠিক ছিল। ইউনিক , ভাল লেখার পাশাপাশি কপি পোস্টও অনেক ক্ষেত্রে ভাল কনটেন্ট হলে অ্যাপ্লুভ করেছি। আমার এ পরিকল্পনাটাতে আমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি, অাল্লাহর রহমতে সফল হয়েছি।
জেনেসিসব্লগস নামটা এবং এর লোগোটা আমার কাছে অনেক পছন্দের। সেজন্য এ নামটা পরিবর্তন না করার ব্যাপারেই স্থীর থাকি। ব্রান্ডিংয়ের জন্য অনুপুযুক্ত এ নামটা নিয়েই আমি চলাটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। নাম পরিবর্তন করিনি। আমার মনে মনে যুক্তি ছিল, ফেসবুক কিংবা টুইটার কিংবা অন্য নামগুলো শুনলে কখনই সোশ্যাল মিডিয়া সাইট নামে কোন গন্ধ পাওয়া যায়না। কিন্তু শুধুমাত্র আজকে নামটা ব্রান্ড হওয়ার কারনে সেই নামটা সবার কাছে পরিচিত। আমার ব্লগের নামটাকেও ব্রান্ড করবো। সুতরাং, সেটাও কঠিন হলেও একদিন অবশ্যই সবাই ঢুকবে, সেটি আমার বিশ্বাস ছিল।
ফলাফল এখন পযন্ত যে অবস্থানে আছে, সেটাতো সবাই নিজেরাই দেখছেন, এবং আমিও অনেক সন্তুষ্ট।
এমনকি এখন পযন্ত ব্লগের ওয়েবসাইটটিও ১০০% তৈরি না। ৭৫% শেষ করা ১টি ওয়েবসাইটকে আজকে যে পযায়ে নিয়ে আসতে পেরেছি, এবং এখন পযন্ত একাই আমি নিজে মডারেটর ও মার্কেটার হিসেবে কাজ করে এ পযায়ে নিয়ে আসতে পেরেছি, সেটাতেতো সন্তুষ্টতো অবশ্যই হতে হবে। ব্যস্ততার কারনে এবং অন্য কাউকে এখানে এখন পযন্ত যুক্ত না করতে পারার কারনে অনেক কিছু পরিকল্পনা থাকলেও করা সম্ভব হচ্ছেনা।
ক্রিয়েটিভ আইটির ব্রান্ডিং করার ক্ষেত্রেও আমার একই রকমভাবেই পরিকল্পনা ছিল। অনেক কিছুই নাই। অনেক কিছুই ব্রান্ডিংয়ের জন্য অনুপুযুক্ত ছিল। সেই অবস্থা থেকেও যে করা সম্ভব সেভাবে করেই এগিয়েছি। সেই ক্ষেত্রেও কিন্তু ব্যর্থ হতে হয়নি আমাকে। আজকের অবস্থানই সেটার প্রমাণ।
- সফলতার ব্যাপারে আত্নবিশ্বাস
- কম্পিটিটরদের ব্যাপারে কোন ভয় না করা
- নিজের দুর্বলতাগুলোকে নিয়ে আফসোস না করে নিজের শক্তিকে সর্বোচ্চ ব্যবহারের চেষ্টা
- পাঠকদের চাহিদাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কনটেন্ট প্রকাশ করা
- কনটেন্ট প্রকাশেও অনেক ভ্যারিয়েশন আনার চেষ্টা ছিল
- কনটেন্টের ব্যাপারে সর্বদা পাঠকদের ফিডব্যাক মনিটরিংয়ের চেষ্টা চালিয়েছি।
- সস্তা মানের কনটেন্ট না দিয়ে উচ্চ মানের সবসময়ে মনে রাখার মত কনটেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
এক্ষেত্রে মাথাতে রেখেছিলাম, বর্তমানের সিনেমাগুলো যত খরচ করেই প্রস্তুত হোক, মানুষ মনে রাখছে পুরানো দিনের সিনেমাগুলো। সেই কারণগুলো, এ ব্লগের কনটেন্টে অনুসরণ করার চেষ্টা চালিয়েছি।
- কনটেন্ট প্রচারেও অনেক বেশি ক্রিয়েটিভ হওয়ার চেষ্টা করেছি। আরও বেশি ক্রিয়েটিভ হওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু একা একা এত বড় একটি ব্লগ চালাতে গিয়ে সেগুলো সম্ভব হয়নি।
- ব্লগের প্রচারে শুধুমাত্র ফেসবুক এবং গেস্ট ব্লগিং টেকনিক ব্যবহার করেছি। বাংলা ব্লগ দেখে এর চাইতে বেশি কিছু দরকার মনে করিনি।
- সবসময় চেষ্টা করেছি কনটেন্ট ডেভেলপ এবং কনটেন্ট প্রচারে অন্যদেরকে অনুসরণ না করার জন্য। ব্যতিক্রম কিছু সবাইকে আকর্ষণ করে। সেই টেকনিক মাথাতে রেখেছি সব ক্ষেত্রে।
আপনারাও নিজের ব্লগের প্রচারে কিংবা নিজের কোন প্রোডাক্টকে ব্রান্ডিং করার জন্য এ বিষয়গুলো মাথাতে রেখে এগিয়ে যান। তাহলেই সফল হবেন অবশ্যই।
ক্রিয়েটিভ আইটিতে এসইও কোর্সের আর্টিকেল রাইটিং বিষয়ক ক্লাশে আর্টিকেল রাইটিং বিষয়ক নিজস্ব আইডিয়া শেয়ার করেছিলাম। ক্লাশটি রেকর্ড করা হয়েছিল। সেটি সবাই দেখে কিছু শিখতে পারবেন।
ভিডিও লিংক:
ক্লাশটির প্রেজেন্টেশন লিংক: Article writing tips
গেস্ট ব্লগিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে পোস্ট প্রমোশনের জন্য কিভাবে কনটেন্ট ডেভেলপ করবেন, সেই বিষয়ে সেই একই ব্যাচের পরের ক্লাশটিও রেকর্ড করা হয়েছে। সেটিও সবার জন্য লিংক দিলাম।
ভিডিও লিংক:
ক্লাশটির প্রেজেন্টেশন লিংক: Content develop for guest blogging & social media marketing
যদি প্রোডাক্ট ব্রান্ডিংয়ের প্রসেসগুলো নিজেরা স্বচক্ষে দেখে শিখতে চান, তাহলে ৩টি ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে দেখতে পারেন, কিভাবে সকল কাযক্রম এগোচ্ছে। তাতেও অনেক কিছু নিজেরা শিখতে পারবেন।
১) জামদানী শাড়ির ব্যবসার ব্রান্ডিং দেখতে পারেন।
পেজলিংক: https://www.facebook.com/JamdaniVille
২) হিজাব সম্পর্কিত প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং দেখতে পারেন।
পেজলিংক: https://www.facebook.com/Joti.hizab
৩) ডিজিটাল সিকিউরিটিভিত্তিক ইকমার্স ব্যবসার প্রমোশনটিও দেখতে পারেন।
পেজলিংক: https://www.facebook.com/ProjuktiShop
এ পেজ ৩টি লাইক দিয়ে থাকুন। তাহলে সবসময় এদের কাযকলাপ মনিটরিং করলেই শিখতে পারবেন অনেক কিছু।
এরপরও যদি কারও প্রয়োজন হয়, তাহলে ক্রিয়েটিভ আইটিতে এসইও কোর্সেই ভর্তি হতে পারেন। সেখানে আমি নিজে শিখাই।
আমি মোঃ ইকরাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 102 টি টিউন ও 130 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
নিজেকে অনলাইন ব্রান্ড এক্সপার্ট হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করলেও গ্রাফিকস, ওয়েবডিজাইন এবং অ্যানিমেশন বিষয়েও প্রচুর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ব্লগিংটা নেশার কারনে করি। নিজের ব্লগের লিংকঃ http://genesisblogs.com/
দারুন। অনেক কিছু শিখলাম।