ক্লায়েন্টের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার পরিক্ষিত উপায়

প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা ক্লায়েন্ট এর সাথে কাজ করতে করতে আমাদের অনেকেরই ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। একটানা অনেকক্ষন কাজ করা, ক্রমাগত ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে কাজের সমালোচনা শোনা ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে কাজের উদ্দমহীনতা দেখা দিতে পারে। কিন্তু তার পরেও ক্লায়েন্ট এর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আপোসে আসা প্রয়োজন।
আপনি ফ্রিল্যান্সার অর্থাৎ আপনি ক্লায়েন্টের বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করে দেন। তাই একজন সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে আপনাকে অবশ্যই সৎ আন্তরিক এবং ক্লায়েন্টের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। ক্লায়েন্টের যদি ঠিক সময়মতো কাজ করিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনই না থাকতো তাহলে আপনি কার কাজ করতেন?
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে ফ্রিল্যান্সার আর ক্লায়েন্টের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ সম্পর্ক তৈরি করার কিছু টিপস শেয়ার করবো। এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে আপনার নিজের আইডিয়া ক্লায়েন্টের কাছে প্রফেশনাল ভাবে উপস্থাপন করবেন। টিপসগুলো অনুসরন করার মাধ্যমে আপনি জানতে পাবেন সব প্রজেক্ট ভালোভাবে পরিচালনা করার গোপন কৌশল।

একই সাথে চলুন
অধিকাংশ সময় দেখা যায় যে আমারা প্রজেক্টের মূল লক্ষ্য বুঝতেই ব্যার্থ হই। গুরুতর এই বিষয়টি কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে যখন দেখা যায় যে ক্লায়েন্ট এক ধরনের কাজ চাইছে আর কাজ শেষে আপনি অন্য ধরনের কাজ জমা দিচ্ছেন।
এই ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে সবসময় যোগাযোগের রাস্তা খোলা রাখুন। আলোচনার প্রথমদিকেই প্রজেক্ট সম্পর্কে আপনার মনে জমে থাকা সকল প্রশ্ন ক্লায়েন্টকে করে ফেলুন আর ক্লায়েন্টকেও প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করুন। এর ফলে সব সমস্যাগুলো আগেই সামনে চলে আসবে আর তার সমাধানও তারাতারি করা সম্ভব হবে। যেমন: ওযেব ডিজাইনারদের সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে ক্লায়েন্ট লেয়াউট মকআপ এর ভেতর ঠিক কি পেতে চাইছে (নির্দিষ্ট কোনো রং, কোনো ইলমেন্ট, নেভিগেশন অন্য বিশেষ কিছু?)।
তাই প্রজেক্ট চলাকালিন সময়ে একই সাথে চলতে চাইলে প্রজেক্ট সম্পর্কিত সকল আইডিয়া এবং পরিবর্তনগুলো নোট করে রাখুন। পরবর্তি সময়ে ওই নোটগুলোর ওপর একবার চোখ বুলিয়ে নিলেই আপনি বুঝতে পারবেন ক্লায়েন্ট ঠিক কি চাইছে। বিশেষ করে একই ক্লায়েন্টের বা ভিন্ন ভিন্ন ক্লায়েন্টের একাধিক প্রজেক্টে একসাথে কাজ করার সময় ক্রিয়েটিভ আইডিয়াগুলো ম্যানেজ করার এটি একটি প্রফেশনাল উপায়।

পরিবর্তনকে মেনে নিন
ডিজাইনারদের একটি সাধারন অভ্যাস হলো প্রথমে তারা যেই ধরনের ডিজাইন তৈরি করার কথা ভাবে, কাজ করার সময় সেই ডিজাইনের মধ্যে কোনো ধরনের পরিবর্তন করতে চায় না।  কিন্তু আমার মনে হয় প্রজেক্ট চলাকালিন সময়ে নতুন নতুন আইডিয়া ব্যাবহার করে দেখা উচিৎ।  একটি ডিজাইন তৈরি করতে বসার পর পরিবর্তনকে কঠোরভাবে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো মানেই হয়না। মূল ড্রাফটের সাথে শেষ হওয়া ডিজাইনের যেমন পার্থক্য থাকে তেমনি ক্লায়েন্টের আইডিয়াগুলোও সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে পারে।
সাধারনত একজন ক্লায়েন্ট ডিজাইনের কাজ করিয়ে নেওয়ার সময় শুধুমাত্র একটা আইডিয়া না দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া ডিজাইনে সংযুক্ত করে ফলাফল দেখতে চায়। কাজ চলাকালিন সময়য়ে ক্লায়েন্ট এর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন। মাঝে মাঝে ছোট ছোট ই-মেইল পাঠিয়ে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে ক্লায়েন্টকে অবগত করতে পারেন।

কিভাবে আপনার আইডিয়া উপস্থাপন করবেন
উভয়পক্ষের মধ্যে আপোস হওয়ার পূর্বশর্ত হলো যে দুজনেই যেন মনে করে তাদের আইডিয়াকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বা অন্তত মনযোগ দিয়ে শোনা হয়েছে। তাই নতুন কোনো আইডিয়া ভেবে বের করার আগে আপনার ক্লায়েন্ট কি বলতে চাইছে তা ভালো করে বুঝে নিন। ক্লায়েন্ট এর আসলে কি প্রয়োজন তা তো শুধূ তারই ভালো জানা আছে তাই নয় কি?
অপর দিকে একজন প্রফেশনাল ডিজাইনার বা কোডার হিসেবে আপনার দিক চিন্তুা করলে হয়তো আপনি দেখবেন যে আপনার আইডিয়াটি ওই প্রজেক্ট এর জন্য অনেক বেশি কার্যকর হবে। তাই ক্লায়েন্টের ইচ্ছাকে সরাসরি বাতিল না করে আপনার নিজের আইডিয়া কিভাবে তাকে জানাবেন তা জানা প্রয়োজন। আপনার আইডিয়া গুলোকে সম্ভব্য আরেকটি উপায় হিসেবে ক্লায়েন্টের কাছে উপস্থাপন করুন। সেই অনুযায়ী স্কেচ তৈরি করেও তা ক্লায়েন্টকে দেখাতে পারেন।
আপনার আইডিয়ার সাথে মিলে যায় এমন কোনো ওয়েবসাইট এর ঠিকানা বা ডিজাইন যদি আপনার হাতের কাছে থাকে তবে সেটি দিয়েই ক্লায়েন্টকে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে আপনি আসলে ঠিক কি করতে চাচ্ছেন।
আপনি যদি আপনার ক্লায়েন্ট এর মতামতকে সম্মান করতে পারেন তাহলে ক্লায়েন্টও আপনার মতামত শুনতে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে। এমনকি ওয়েব ডিজাইন ছাড়াও অন্যান্য ক্রিয়েটিভ সেক্টর যেমন লোগো ডিজাইন, ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই একই কথা প্রযোজ্য। ক্লায়েন্ট এর যদি ওই সকল ক্ষেত্রে তেমন জানাশোনা না থাকে তাহলে ওই সকল ক্ষেত্রে আপনার মতামতকেই তারা গুরুত্ব সহকারে নেবে। আসলে ক্লায়েন্টের দেওয়া নির্দেশকে বাস্তবসম্মতভাবে বাস্তবায়ন করাই হলো মূল বিষয়।

আপনার আইডিয়া ক্লায়েন্ট বাতিল করে দিলে তা সহজভাবে নিন
আপনার অনেক ভালো ভালো আইডিয়াও অনেক সময় ক্লায়েন্ট ফিরিয়ে দিতে পারে। এ সকল পরিস্থিতিতে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই কেননা ক্লায়েন্ট আপনাকে যেইভাবে ডিজাইনটি করতে বলেছেন হয়তো সেভাবে করিয়ে নেওয়ার বিশেষ কোনো প্রয়োজন রয়েছে তাই সে আপনার কোনো নতুন আইডিয়াই শুনতে চাচ্ছে না। এর অর্থ এই না যে আপনার আইডিয়াটি একেবারে বাজে বা কোনো কাজেরই নয়।
কোনো আইডিয়া বাতিল হয়ে যাওয়া একটি ভালো আপোসেরই অংশবিশেষ। এর ফলে আপনার নিজের মতো করে কাজ না করা বা নতুন কোনো আইডিয়া বের করতে অনুৎসাহিত হওয়ার কোনো কারন নেই। মূলত: ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্লায়েন্ট যা চায় সেরকম কাজ করে দেওয়াই আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু আপনার আইডিয়াটিকে যদি আপনার ভালই লেগে থাকে তাহলে তা নষ্ট না করে পরবর্তি কোনো এক প্রজেক্টে তা কাজে লাগাতে পারেন!

নিয়মের মধ্যে থাকা
আর্টিকেল রাইটিং বা অন্য যে কোনো ধরনের কাজ শূরু করার পূর্বে ক্লায়েন্ট এর সাথে একটি কনট্রাক্ট বা চুক্তি তৈরি করে নিন। এই চুক্তিতে কাজ চলাকালীন সময়ে অবশ্য পালনীয় কিছু নিয়ম কানুন দেওয়া থাকবে। এ চুক্তির ভেতর প্রজেক্টের মূ আইডিয়া, কে কখন কি করবে সাথে অন্যান্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে।
এই চুক্তি তৈরির ফলে প্রজেক্ট শুরুর পূর্বেই এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মিমাংসা হয়ে যায় যেমন: প্রজেক্টটির কোন কাজ আপনাকে কত সময় ধরে করতে হবে। আপনি কখন কোন কাজ করবেন তা জেনে ক্লায়েন্টও এক ধরনের নিরাপত্তা বোধ করবে। প্রজেক্ট চলাকালিন সময়ে প্রয়োজনমতো চুক্তির পরিবর্তনও করে নেওয়া যায়। প্রতিটি কাজে চুক্তি তৈরির ফলে উভয়পক্ষই প্রজেক্টটিতে আরও বেশি সময় দেয় আর এতে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

শেষ ভালো যার সব ভালো তার
আমাদের অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে মধ্যেই একই সাথে একাধিক প্রজেক্ট এ কাজ করতে হয়। এ সময় কোনো নির্দিষ্ট বা বড় কাজের প্রতি অতিরিক্ত সময় দিয়ে ফেলবেন না। প্রতিটি প্রজেক্টেই প্রয়োজন অনুযায়ী সময় দিন। অনেকগুলো প্রজেক্ট এর মধ্যে শুধু বড় প্রজেক্টটিতে কাজ করা বা একটি প্রজেক্টের শুধু বড় অংশটিতেই সময় দিলে দেখা যাবে শেষ মুহুর্তে আপনি প্রজেক্টের অন্যান্য কাজগুলো শেষ করার সময় পাচ্ছেন না।
ফ্রিল্যন্সাররা সবমসয় তাদের কাজটি নিখুঁতভাবে করতে চায় যেন পরবর্তিতে সেই কাজের জন্য সে গর্ববোধ করতে পারে। আসলে আমাদের সবারই নিজের কাজের ব্যাপারে গর্ববোধ করা উচিৎ। কিন্তু সবগুলো প্রজেক্টেরই একটা মূল লক্ষ থাকে আর তা হচ্ছে প্রজেক্টটি সময়মতো শেষ হওয়া। তাই কাজ করার সময় অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষূদ্র বিষয়গুলো বেশি পর্যালোচনা না করে আর নতুন নতুন আইডিয়ার জন্য প্রয়োজনের অধিক সময় ব্যায় না করে মূল কাজে মন দিন। নয়তো আপনি সময়মতো কাজ জমা দিতে ব্যার্থও হতে পারেন।
আপনার হাতে পাওয়া সবগুলো কাজেই ক্রিয়েটিভিটি দেখানোর সুযোগ না-ও মিলতে পারে। মাঝেমধ্যে ক্লায়েন্ট যেভাবে কাজ করতে বলে সেভাবে করা ছাড়া উপায় থাকে না। সময়মতো কাজ জমা দেওয়া আর তারপর ক্লায়েন্টকে প্রয়োজন মতো সাপোর্ট দেওয়াটাই সবসময় আমাদের লক্ষ হওয়া উচিৎ।

সবসময় আত্ববিশ্বাসি থাকুন
আপনার আচার আচরনে ক্লায়েন্ট যদি কখনও মনে করে আপনি যা কাজ জানেন বলেদাবি করেন ঠিক ততটা জানেন না তাহলে আপনি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে বিশ্বস্ততা হারিয়ে ফেলেছেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার সময় আমাদের প্রতিদিনই নতুন নতুন বিভিন্ন বিষয় শিখতে হয়। এই কাজে আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রের জ্ঞান অর্জন করতে হয়। নিজেকে নতুন সব ধরনের আপডেটের সাথে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে হয়। ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যাবসাযয়িক দিক, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপোস করার দক্ষতা ইত্যাদি বিভিন্ন কিছু আমাদের শিখতে হয়। নতুন এবং পুরোনো সব ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষেত্রেই এই কথাটি প্রযোজ্য।
হ্যা, বুঝতে পারছি, সব ফ্রিল্যান্সার ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যাবসায়িক দিকটি তেমন পছন্দ করেন না। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর এটি একটি গুরুত্বপূর্ন দিক যেখানে আপনার আর আপনার ক্লয়েন্টের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগের প্রয়োজন হয়। আর এই যোগাযোগ শুধুমাত্র কাজ কেমন হবে তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং পেমেন্ট সম্পর্কিত আলোচনা, প্রজেক্টের সময়সীমা, পরবর্তিতে অতিরিক্ত সাপোর্ট কেমন হবে ইত্যাদি আলোচনাও এর মধ্যোই পড়ে। যেমন ধরুন আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করছেন। ওই কাজের সাথে আপনি কি ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইট হোস্ট করতেও সাহায্য করবেন? করলে তার জন্য কি অতিরিক্ত টাকা নেবেন?
আপনার নিজের সময়ের মূল্য আগে নির্ধারন করুন। দাম নিয়ে ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে অনিষ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেয় তাহলে তাকে বোঝাতে হবে আপনার কাজও এক ধরনের প্রফেশনাল বিজনেস। ক্লায়েন্টের সাথে পারষ্পরিক বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তুলুন।

পরিশেষে কিছু কথা
আমি বিশ্বাস করি ওপরের টিপস ও আইডিয়াগুলো আপনার ফ্রিল্যান্সিং জীবনে অনেক কাজে লাগবে। ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি দ্বিমূখী রাস্তা যেখানে ক্লায়েন্ট আর ফ্রিল্যান্সার উভয় পক্ষ একই লক্ষে যাত্রা শুরু করে। ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে আপোস করতে পারা অনেক বড় একটি গুন। আপনি যদি আপনার লক্ষে অটল থাকতে পারেন তাহলে কাজ করার সময় আবেগের দ্বারা কম নিয়ন্ত্রিত হবেন ফলে মূল কাজটি আরও ভালোভাবে শেষ করতে পারবেন।

ফ্রিল্যন্সিং সম্পর্কিত নিয়মিত টিপস পেতে ঘুরে আসতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ থেকে: মাইসিস ফেসবুক পেজ

Level 0

আমি মাইসিস ইনিষ্টিটিউট অব আইটি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 32 টি টিউন ও 26 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

চট্টগ্রামে আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষন প্রদানকারী অনেক পুরোনো এবং বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান মাইসিস ইনিষ্টিটিউট অব আইটি। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন মাইসিসের ওয়েবসাইটে । আমাদের ওয়েবসাইটঃ http://misysinstitute.com ব্লগ: http://misysinstitute.com/blog/ ফ্রিল্যান্সিং টিপস সমৃদ্ধ ফ্যান পেইজঃ http://fb.me/MISYSInstituteOfIT


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

thanks..