যে দশটি বিষয় ক্লায়েন্ট শুনতে চায় না

আগের আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পেরেছেন যে দশটি বিষয় একজন ফ্রিল্যান্সার তার ক্লায়েন্টের কাছ থেকে শুনতে চায় না। কিন্তু ক্লায়েন্ট যেমন মাঝে মধ্যে ফ্রিল্যান্সারদের দু:স্বপ্নের কারন হতে পারে তেমনি কিছু ফ্রিল্যান্সারও ক্লায়েন্টের মেজাজ খারাপ করে দিতে পারে। কোউই ভুলের উর্ধে নয়। তাই আজকের আর্টিকেলটি লেখার বিষয়বস্তু হলো কোন কথাগুলো একজন ক্লায়েন্ট তার ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে শুনতে চায় না। আমরা আশা করি এই লেখাটি পড়ার পর ক্লায়েন্ট বুঝতে পারবে যে এসব কথা ফ্রিল্যান্সাররা কেন বলে আর এই পরিস্থিতি থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে। সাথে ফ্রিল্যান্সাররাও বুঝতে পারবে যে কোন কথাগুলো ক্লায়েন্টকে বলার আগে ভালো করে ভেবে নেওয়া উচিৎ। এতে দুই পক্ষেরই সম্পর্ক আরও সুন্দর ও কার্যকর হবে।

১. কাজ জমা দিতে আরও দেরি হবে
কিছু ক্লায়েন্ট যেমন ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট দিতে বিলম্ব করে তেমনি কিছু ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা ডেডলাইন এর মধ্যে কাজ জমা দেয় না, এমনকি কাজ জমা না দেওয়ার কারনও ক্লায়েন্টের কাছে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন মনে করে না। তারা শুধু এটুকুই বলে যে ‘কাজটি জমা দিতে আরও দেরি হবে’। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর পরে তাদের কাছ থেকে আর কোনো রিসপন্স পাওয়া যায় না।
ক্লায়েন্ট হিসেবে আপনার উচিৎ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি ডেডলাইন তৈরি করে দেওয়া আর তাদের বুঝানো যে আপনি এমন এক পরিস্থিতিতে আছেন যেখানে সময়মতো কাজ শেষ হওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ন। বড় বড় প্রজেক্ট এর ক্ষেত্রে আপনি কিছু মিনি ডেডলাইনও তৈরি করে দিতে পারেন যা ফ্রিল্যান্সারকে মুল ডেডলাইনে কাজটি শেষ করতে সাহায্য করবে। মাঝে মধ্যে ফ্রিল্যান্সাররা আপনাকে ডেডলাইন বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করতে পারে কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো কারন ছাড়া দয়া দেখানোর জন্য ডেলাইন বাড়াবেন না করান ওই ফ্রিল্যান্সার হয়তবা একসাথে আরও কাজ করার পরিকল্পনা করছে।

২. দেরিতে রিপ্লাই এর জন্য দু:খিত
যেসব ফ্রিলান্সার শুধু ডেডলাইনের সময় কাজ জমা দেওয়ার জন্য আর পেমেন্ট নেওয়ার সময় হাজির হয় কিন্তু কাজ চলাকালীন সময় ক্লায়েন্ট এর সাথে যোগাযোগ করে না তাদের অধিকাংশ ক্লায়েন্টই অপছন্দ করেন। কাজ চলাকালীন সময় ক্লায়েন্ট আর ফ্রিল্যান্সার এর মধ্যে যদি কোনো কমিউনিকেশন না থাকে তাহলে ওই কাজটি দিয়ে ক্লায়েন্টকে খুশি করা অনেক কঠিন। একটি প্রজেক্ট সঠিকভাবে শেষ হওয়ার জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ থাকা অত্যন্ত জরুরী এতে কাজ চলাকালে যদি কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে তা শুধরে নেওয়ার অনেক সময় থাকে।
একজন ফ্রিল্যান্সারের উচিত ২-৩ দিন পরপরই ক্লায়েন্ট এর সাথে যোগাযোগ করা। ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে নিজের কাজের রিভিউ নিতেও ভুলবেন না। অপরদিকে ক্লায়েন্টেরও উচিত কিছুদিন পরপর ফ্রিল্যান্সার এর সাথে যোগাযোগ করে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোজ নেওয়া। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারের ইন্সট্যান্ট ম্যাসেন্জার এর অ্যাড্রেস নিতে পারেন তাতে যে কোনো আর্জেন্ট কারনে দ্রুত যোগাযোগ সম্ভব হবে।

৩. এই কাজগুলো করার জন্য আমাকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে
মাঝেমধ্যেই এমন কিছু ফ্রিল্যান্সার দেখা যায় যারা ছোটখাটো পরিবর্তন করে দেওয়ার জন্যও অনেক বেশি টাকা দাবি করে। আমাদের চারপাশেও এমন লোক কম দেখা যায় না। কাজটি শেষ করতে কত টাকা লাগবে তা জিজ্ঞাসা করলে তারা এমন সব হিসাব আপনাকে দেখাবে যে আসলেই সে অনেক… অনেক কাজ করছে। কিন্তু আসলেই কি তাই?
অধিকাংশ ক্লায়েন্ট এর কোডিং বা ডিজাইন সম্পর্কে ধারনা একেবারেই কম। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই অনেকে বাড়তি টাকা আয়ের চেষ্টা করে। এমনও দেখা যায় যে এইচটিএমএল এর Strong ট্যাগ থেকে em ট্যাগে পরিবর্তন অর্থাৎ বোল্ড থেকে ইটালিক করার জন্যই তারা ২০০ ডলার দাবি করে বসে। আবার ব্যাকগ্রাউন্ড কালারে সামান্য পরিবর্তন করতে চাইলেও গুনতে হয় ৫০ ডলার! ওবেসাইট থেকে Lorem Ipsum লেখা রিমুভ করতে চান? বের করুন ৩০ ডলার। এ যেন মগের মুল্লুক!
প্রতিষ্ঠিত অনেক ফ্রিল্যান্সারদের সাথে আলাপ করে জানা যায় যে তারা কখনোই এত ছোট ছোট পরিবর্তনের জন্য অতিরিক্ত ফি রাখে না। আসলে সবারই তাই করা উচিত। তাই প্রতিটি প্রজেক্ট শুরুর আগেই চার্জ নির্ধারনের ব্যাপারে ভালো ধারনা রাখা প্রয়োজন।

৪. আপনাকে আমি ডিসকাউন্ট এ কাজ করে দিতে পারি
কোনো প্রজেক্টে মাত্রাতিরিক্ত দাম চাওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। মাঝেমধ্যেই এমন শুনতে পাওয়া যায় “এই কাজটা করতে আসলে ১০,০০০ ডলার লাগতো কিন্তু আপনাকে আমি কিছু ডিসকাউন্টে করে দিতে পারি!” একে তো দাম অতিরিক্ত বেশি চাচ্ছে তার ওপর এমন ভাব যেন ক্লায়েন্টকে দয়া করেই সে কম টাকা নিচ্ছে। এই আচরনের দ্বারা কিন্তুু সে পরোক্ষ ভাবেই আপনাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তার সার্ভিসের মূল্য অস্বাভাবিক ভাবেই বেশি।
ক্লায়েন্ট সাধারনত কোনো প্রোজেক্ট শুরু হওয়ার আগেই পেমেন্ট সম্পর্কে আলোচনা করে নেয়(আপনারও তাই করা উচিত)। শূধু মুল প্রজেক্ট নয়, প্রজেক্ট শেষ হওয়ার পর বাড়তি কিছু কাজ বা রিভিশনের ব্যাপারটাও প্রথমেই আলোচনা করে নিতে হবে। এতে করে ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সার কারোরই পরে সমস্যা পোহাতে হবে না। এক্ষেত্রে উভয় পক্ষ একটি কন্ট্রাক্ট সাইন করতে পারে। কিছু কিছূ ক্লায়েন্ট কনট্রাক্ট ব্যাবহার করতে চান না কারন তারা মনে করেন এতে তাদের ওপর অতিরিক্ত দায়িত্ব চলে আসে। কিন্তু একটি কনট্রাক্ট এর মাধ্যমে আপনি এই নিশ্চয়তা পেতে পারেন যে ক্লায়েন্ট বা ফ্রিল্যান্সার কেউই মাঝপথে কারও কোনো সমস্যা তৈরি করবে না।

৫. আপনার আইডিয়াতে কাজ হবে না
একজন ডিজাইনার যখন তার ক্লায়েন্টকে বলে “আপনার আইডিয়াটি পুরোটাই বাজে” তখন ক্লায়েন্টের কেমন অবস্থা হয় তা সহজেই কল্পনা করা যায়। কিন্তু অন্যভাবে দেখলে আবার কাজটা প্রয়োজনীয় বলেও মনে হতে পারে। কেননা বেশিভাগ ক্লায়েন্ট যেহেতু ডিজাইন সম্পর্কে তেমন কিছূ জানে না, কালার থিওরি, ইউজার এক্সপিরিএন্স সম্পর্কে তেমন ধারনা রাখে না তখন ফ্রিল্যান্সারদের বলতেই হয় যে তার আইডিয়াটি আসলেই তেমন কাজের না।
কিন্তু ফ্রিল্যান্সারদের মনে রাখতে হবে যে এই বিষয়টি ক্লায়েন্টকে আরও অনেকভাবে বলা যেতে পারে। আপনি যদি আপনার ক্লায়েন্ট এর সাথে লড়াইএ নামতে না চান তাহলে এমনটা সরাসরি না বলাই ভালো। আর ক্লায়েন্টদেরকেও বলা যায় যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার মতের চেয়ে ওই ক্ষেত্রে একজন প্রফেশনালের মতামতকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত। আসলে প্রফেশনাল সাহায্য পাওয়ার জন্যই তো আপনি তাদের হায়ার করছেন তাই নয় কি? একজন ডিজাইনারের ডিজাইন সম্পর্কে অনেক ভালো ধারনা থাকে কারন ডিজাইন করেই তার জীবন চালাতে হয়। তাই প্রোজেক্টটির ফাইনাল রেজাল্ট তাকেই ঠিক করতে দিন। তবে আপনার ভালো কোনো আইডিয়া থাকলে সেই অনুযায়ি কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য ভালোভাবে আলোচনা-পর্যালোচনা করে দুই পক্ষেরই মতামত অনুসারে সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন।

৬. আমি আপনার চেয়ে বেশিই বুঝি
আরও একটা কথা যা কখনোই ক্লায়েন্টকে বলা উচিত নয় তা হলো “এ বিষয়ে আমি আপনার চয়ে বেশি জানি”। অন্তত কাজ হারানোর ভয়ে না হলেও ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার রেপুটেশন বজায় রাখতে কখনোই এ কথা বলা ঠিক না। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার ফিল্ডে আপনি ক্লায়েন্ট এর চেয়ে বেশি জানতেই পারেন তাই বলে ক্লায়েন্টের মতামতের গুরুত্ব না দিয়ে কাজ করে কেনো লাভ নেই কারন সে ক্ষেত্রে দেখা যাবে যে কাজটি ক্লায়েন্টের পছন্দ হবে না।
ক্লায়েন্টের পছন্দমতো কাজ না হলে ক্লায়েন্ট কখনোই তার জন্য পেমেন্ট দেবে না। আবার ক্লায়েন্টদের মাঝে যদি আপনি এমন একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে পরিচিত হন যে ক্লায়েন্টের চাহিদা মতো কাজ করে না তাহলে আপনার কাজ যদি আসলে অনেক ভালও হয় তবুও আপনাকে আর কেউ কাজ অফার করতে আসবে না। ফ্রিল্যান্সারকে অবশ্যই ক্লায়েন্টের চাহিদা পূরন করতে হবে।
কিছু ‌‌‌কছু সময় ক্লায়েন্টেরও উচিত ফ্রিল্যান্সারের মতামতকেও গুরুত্ব দেওয়া কেননা টার্গেট অডিয়েন্স সম্পর্কে তারও ভালো ধারনা থাকতে পারে আর সেই অনুযায়ি সে অনেক ভালো কিছু তৈরি করে দিতে পারে। কিন্তু যদি এসব কোনো কিছুই আপনার প্রয়োজনীয় মনে না হয় আর আপনি আপনার আইডিয়াটিকেই বাস্তবায়ন করতে চান তাহলে তা ফ্রিল্যান্সারকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলুন। কেন আপনি ঠিক ওরকমই কাজ চাচ্ছেন সেটি বললে তার বুঝতে কোনো সমস্যা হবে না।

৭. কাজটাকে ভালো করার জন্য আমি এইখানে পরিবর্তন করেছি
কোনো সময় দেখা যেতে পারে আপনি একদম পারফেক্ট একটা ডিজাইনের আইডিয়া ফ্রিল্যান্সারকে দিলেন কিন্তু কাজের শেষে দেখা গেল সে আপনার আইডিয়ার অনেক কিছুই নিজের মতো করে পরিবর্তন করে ফেলেছে। সে হয়তো তখন বলবে “ডিজাইনটাকে ভালো করার জন্যই আমি এইখানে পরিবর্তন করেছি।” এই সময় আপনার কি করা উচিত?
উদ্যোমী ফ্রিল্যান্সারকে অধিকাংশ ক্লায়েন্টই পছন্দ করে। তারা চায় না যে ফ্রিল্যান্সার শুধু মাত্র তাদের দেওয়া নির্দেশ যন্ত্রের মতো অক্ষরে অক্ষরে পালন করুক। কারন এসব কাজে সৃজনশীলতাই প্রয়োজন। কিন্তু কাজ শুরু হওয়ার পূর্বেই ফ্রিল্যান্সারকে কাজটির মূল যে বিষয়গুলো কোনো ভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না তা বুঝিয়ে দিতে হবে। কোন বিষয়গুলো না জানিয়ে পরিবর্তন করা যাবে না তা-ও বলুন।
এর পরও যদি ফ্রিল্যান্সার ওই সব ক্ষেত্রে পরিবর্তন করে ফেলে তাহলে একটু সময় নিয়ে ভেবে দেখুন যে নতুন কাজটি কি আসলেই ভালো হয়েছে নাকি খারাপ? বেশিভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় নতুন ডিজাইনটিই অনেক বেশি আকর্ষনীয় হয়ে থাকে।

৮. এই কাজটা আমি পারবো, কোনো ব্যাপারই না!
বেশিভাগ নতুন ফ্রিল্যান্সারই এই কাজটি করে থাকে। কোনো কাজ নেওয়ার সময় কাজটি সম্পর্কে তার কোনো ধারনা না থাকা সত্বেও সে মনে করে যে ডেডলাইনের আগেই আমি কাজটা শিখে কাজ শেষ করে ফেলবো। মাঝে মধ্যে হয়তো এভাবে ‘শিখে নিয়ে’ কাজ করা যায় তবে এভাবে কাজ না নেওয়াই ভালো কারন ডেডলাইনের ভেতর কাজ জমা না দিতে পারলে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে খারাপ রিভিউ পেতে পারেন।
এই সমস্যা এড়ানোর জন্য ক্লায়েন্টের উচিত যে ফ্রিল্যান্সার এই কাজটি আসলেই করতে পারবে কি-না তা যাচাই করে নেওয়া। আর তা যাচাই করতে পারেন তার এ জাতীয় অন্য কোনো কাজের সেম্পল দেখে। যদিও এভাবে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না যে ফ্রিল্যান্সার আপনার কাজটি শেষ করতে পারবে কিন্তু এইটুকু অন্তত বোঝা যাবে যে সমস্যার প্রায় অর্ধেকটুকুই সে ইতিমধ্যেই সমাধান করতে পারে। আর ফ্রিল্যান্সারদের বলবো আপনারা সবসময় খেয়াল রাখবেন বর্তমানে ক্লায়েন্টেরা কোন বিষয়ে মার্কেট থেকে বেশি কাজ করিয়ে নিচ্ছে। নতুন ট্রেন্ডের সাথে সবসময় নিজেকে পরিচিত করতে হবে।

৯. আমি এইভাবেই কাজ করি
মাঝেমধ্যেই আপনি এমন কোনো ফ্রিল্যান্সার পেতে পারেন যে অন্য সকল ফ্রিল্যান্সার এর চেয়ে আলাদা ভাবে কাজ করে। কোনো কিছু ডিজাইন বা প্রেডাক্ট তৈরির ক্ষেত্রে একেক ফ্রিল্যান্সার একেক ভাবে কাজ করতেই পারে এতে দোষের কিছুই নেই। কিন্তু কোনো কোনো সময় সঠিকভাবে প্রোজেক্ট পরিচালনা করার জন্য আর অন্যান্য সমস্যা এড়ানোর জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
প্রত্যেকেরই কাজ করার ধরন ভিন্ন হতে পারে। যেমন কেউ একটি ডিজাইনের স্কেচ তৈরি করে তাতে রং না দিয়ে ক্লায়েন্টকে দেখাতে চান না কারন শুধু স্কেচ দিয়ে ডিজাইনটিকে পুরোপুরি বোঝানো যায় না। কিন্তু এই প্রসেস যদি মূল কাজকে অনেকখানি দেরি করিয়ে ফেলে তাহলে এই বিষয়ে আপনাকে একটি সিদ্ধান্তে আসতেই হবে।
আপনার কম্পানির যদি নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি না থাকে তাহলে এ সকল ক্ষেত্রে যার অভিজ্ঞতা বেশি তার মতামতকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত তা সে ক্লায়েন্ট বা ফ্রিল্যান্সার যে-ই হোক না কেন। কাজে দেরি হওয়া কেইউ পছন্দ করে না। তাই কাজ শুরু হওয়ার আগেই কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত হতে হয় নিজের কাজের স্টাইলকেই সবসময় ধ্রুব বলে মেনে নিবেন না।

১০. thnx c u ltr, gd n8
“tats kool. bai”
না, ফ্রিল্যান্সিং বা অন্য কোনো প্রফেশনেই এ ধরনের লেখা “কুল” নয়। আপনি যদি চান যে ক্লায়েন্ট আপনাকে সিরিয়াসলি নেবে তাহলে আপনাকেও সেভাবেই কাজ করতে হবে। অফিসে যেমন কোন ধরনের পোষাক পড়া যাবে আর কোন ধরনের পোষাক পড়া যাবে না তার একটি নিয়ম আছে ঠিক তেমনি ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও প্রফেশনাল হওয়া দরকার।
আপনি বাসায় বসে ফ্রিল্যান্সিং করেন কিন্তু এটাও তো একটা কাজ নাকি? আর বেশিভাগ ক্লায়েন্ট কিন্তু অফিস থেকেই কাজ সম্পাদন করে সে বিষয়টিও খেয়াল রাখবেন। আপনাদের মধ্যে যোগাযোগ এর সময় মাঝেমধ্যে যদি ক্লায়েন্ট আপনার সাথে অনেক ফ্রেন্ডলি ব্যাবহার করা শুরু করে আর আপনার পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে আলাপ করা শুরু করে তবুও ফরমাল ভাবেই তার উত্তর দেবেন। ক্লায়েন্ট যেন বুঝতে পারে যে আপনি তার আচরনে অনেক খুশি কিন্তু তা প্রকাশ করবেন সঠিক শব্দ ব্যাবহার করে আর সঠিক বানানে।
আর ক্লায়েন্টদের জন্য উপদেশ হলো: আপনার ফ্রিল্যান্সারের খুব কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কেননা তখন ফ্রিল্যান্সার যদি আপনার মনমতো কাজ দিতে না পারে তবুও তা বলা অনেক কঠিন হয়ে পরে। আপনি যদি চান আপনার ফ্রিল্যান্সার আপনাকে সম্মান করুক তাহলে আপনারও যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রফেশনাল হওয়া উচিত।

এই লেখাটির মূল লক্ষ হলো ফ্রিল্যান্সার ও ক্লায়েন্ট এর মধ্যে ভালো যোগাযোগ সম্পর্ক বজায় রাখা। আপনার মনে হতে পারে ‘এগুলো এখন আমার প্রয়োজন নয়’, কিন্তু কে জানে কখন এগুলোর প্রয়োজন আপনার পরতে পারে? উভয় পক্ষের অনেক ধৈর্য আর সঠিক আচরনের দ্বারাই সর্বোচ্চ ফলাফল পাওয়া সম্ভব। আপনার কি মনে হয় ক্লায়েন্ট আর কোন কোন বিষয় ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে শুনতে পছন্দ করেন না? আপনার মতামত আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। Happy Freelancing!

ফ্রিল্যন্সিং সম্পর্কিত নিয়মিত টিপস পেতে ঘুরে আসতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ থেকে: মাইসিস ফেসবুক পেজ

Level 0

আমি মাইসিস ইনিষ্টিটিউট অব আইটি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 32 টি টিউন ও 26 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

চট্টগ্রামে আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষন প্রদানকারী অনেক পুরোনো এবং বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান মাইসিস ইনিষ্টিটিউট অব আইটি। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন মাইসিসের ওয়েবসাইটে । আমাদের ওয়েবসাইটঃ http://misysinstitute.com ব্লগ: http://misysinstitute.com/blog/ ফ্রিল্যান্সিং টিপস সমৃদ্ধ ফ্যান পেইজঃ http://fb.me/MISYSInstituteOfIT


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভালো লাগলো। সবার কাজে লাগবে আশা করি। 😀

ঠিক বলেছেন বিষয় গুলো অনেক দরকারি…আমি এগুলো মাথায় রেখে কাজ করি।