অনেকে কম্পিউটারের অনেক ধরনের কাজ জানে, কাজ করতে পারেন। যেমনঃ ডাটা এন্ট্রি, এক্সেলের ফর্মুলা, গ্রাফিক্স ডিজাইন, পাওয়ার পয়েন্ট এনিমেশন, ফ্লাস এনিমেশন, ওয়েব ডিজাইন কিংবা প্রোগ্রামিং ভালো জানেন। কিন্তু কাজ খুজে পায়না। কাজের অভাবে ভাল জানা সত্তেও বেকার থাকতে হয়। কাজের জন্য ঘুরে ঘুরে অনেক টাকা খরচ করে,অনেক সময় ব্যয় করে হতাশ হয়। অতচ অনলাইনে বিশাল কাজের ক্ষেত্র আছে যেখান থেকে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুজে নিতে পারেন। আয় করতে পারে হাজার বা লক্ষ টাকা। তাই অনলাইনে কাজ খুজে নেওয়ার জন্য আপনাকে জানতে হবে কোথায় কাজ পাওয়া যায়,কিভাবে কাজ পাওয়া যায়। এই কাজ খুজে বের করাই ফ্রিল্যান্স এন্ড আউটসোসিং। এখন জেনে নেই ফ্রিল্যান্স এন্ড আউটসোসিং বিষয়ে বিস্তারিত।
ফ্রীলান্সিং :- ফ্রীলান্সার হচ্ছেন এমন একজন ব্যাক্তি জিনি কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি ছাড়া কাজ করেন। একজন ফ্রীলান্সারের যেরকম কাজের ধরন নির্ধারণের স্বাধীনতা, তেমনি রয়েছে যখন ইচ্ছে কাজ করার স্বাধীনতা। আমাদের দেশে যেমন নির্দিষ্ট একটা সময়ে অফিসে হাজীর থাকতে হবে, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস থেকে বের হতে হবে। ইন্টারনেট এর কল্যাণে ফ্রীলান্সিং এ নির্দিষ্ট কোন অফিস টাইম নেই, নির্ধারিত কোন স্থান নেই। আপনার বাসাটিই হতে পারে আপনার অফিস। শুধুমাত্র দরকার একটি কম্পিউটার এবং কম্পিউটারের সাথে ইন্তেরনেট এর সংযোগ। তা হলে আপনার পছন্দমত কাজ বেছে নিয়ে কাজে বসে যেতে পারেন।
আউটসোসিং :- কোন প্রতিষ্ঠান তার কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানে লোক নিয়োগ না দিয়ে বাহিরের কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি করিয়ে নেয়া। এটা হতে পারে কম্পিউটার রিলাটেড কাজ অথবা কোন প্রোডাক্ট উৎপাদন। কম্পিউটার রিলাটেড হলে এমন হতে পারে কোন পণ্যের ডিজাইন, কোন সফটওয়্যার, এনিমেশন, ডাটা প্রসেসিং, গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া ইত্যাদি। প্রোডাক্ট হলে হতে পারে সম্পূর্ণ উৎপাদন অন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে করিয়ে নেয়া। কোন প্রতিষ্ঠানের আউটসোসিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার কারন উৎপাদনের খরচ কমানো। পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে উৎপাদনে খরচ কমানোই আউটসোসিংয়ের মূল লক্ষ্য। মুলত তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর কাজগুলো আউটসোসিং এ করা হয়।
ফ্রীলান্সিংয়ের জন্য আমাদের কিছু ওয়েবসাইটের শরণাপন্ন হতে হয়। এই সকল ওয়েব সাইট আউট-সোসিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এই সকল সাইটকে বলা হয় ফ্রীলান্স মার্কেট প্লেস। এই সব ওয়েবসাইটে যারা কাজ দিয়ে থাকে তাঁদেরকে বলা হয় বায়ার এবং যারা কাজগুলো সম্পন্ন করে তাঁদেরকে বলা হয় ফ্রীলান্সার, প্রোভাইডার, সেলার, অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে কোডার। একটি কাজ সম্পন্ন করার জন্য একাধিক ফ্রীলান্সাররা আবেদন করে, এই সকল আবেদনকে বলা হয় বিড করা। ফ্রীলান্সারে আবেদন করার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ম রেট দেয়া থাকে। তাই আবেদন করার সময় ফ্রীলান্সাররা কত টাকায় কাজটি সম্পন্ন করতে পারবে তা উল্লেখ করতে হয়। বিড করার পর ক্লায়েন্ট সকল কিছু বিবেচনা করে যাকে ইচ্ছা তাকে নির্বাচন করতে পারে। কাজের অভিজ্ঞতা, তাকার পরিমাণ এবং মন্তব্যের উপর নির্ভর করে বায়ার ফ্রীলান্সারকে নির্বাচন করে। নির্বাচন করার পর বায়ার প্রজেক্ট এবং নির্ধারিত টাকা ঐ সাইটের একাউন্ট এস্কোতে জমা রাখে। কাজ শেষ হবার পর ফ্রীলান্সার সম্পূর্ণ প্রজেক্টি সাইটটে জমা দিতে হয়। এরপর বায়ার ফ্রীলান্সারের কাজটি যাচাই করে দেখে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বায়ার তখন সাইটে একটি ইয়েছ/ওকে বাটনে ক্লিক করে কাজটি গ্রহন করে। সাথে সাথে এস্কো থেকে ঐ অর্থ ফ্রীলান্সারের একাউন্টে জমা হয়ে যায়। ঐ সাইট থেকে কাজটি পাওয়া এবং কাজটি প্রসেসিং এ সকল সার্ভিসের জন্য ঐ সাইটকে আয়ের একটা অংশ কমিশন হিসাবে প্রদান করতে হয়। আয়কৃত অর্থ বিভিন্ন পদ্ধতিতে ফ্রীলান্সারের হাতে এসে পৌছে। আজ এই পর্যন্তই, পরবর্তী টিউনে আলোচনা করব ফ্রীলান্সিং সাটের কিছু গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় নিয়ে।
টিউনটি এর আগে এখানে প্রকাশিত হয়। আমার টিউন ভাল লাগলে আমার ব্লগ থেকে গুরে আসার অনুরধ রইলো । আর ফেসবুক পেজ ।
আমি কামাল হোসেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 53 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সময় পরিবর্তনের সাতে সাতে জীবন জীবীকার ধারনাটা ও পরিবর্তন হয়। বর্তমান সময় তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যাবহার করে আমাদের দেশের তরুণরা খোঁজ করে নিচ্ছে নিজেরদের ভাগ্য পরিবর্তন এর চাকা। আর সেটা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে সম্ভহব হরচ্ছে।
সুন্দর টিউন।