আপনি যদি প্রোফেসনাল ফ্রীল্যান্সার হতে চান তাহলে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই । কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ কোন কিছু চিন্তা না করেই প্রশিক্ষণের দিকে ছুটে । যার ফলে হয় অপ্রয়োজনীয় দক্ষতার উপর প্রশিক্ষণ নেয় বা একাদিক বার প্রশিক্ষণ নিতে হয় , নতুবা কিছু না শিখেই সার্টিফিকেট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় । বেশির ভাগ মানুষ ফ্রীল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান পয়সার লোভে । কিন্তু পয়সার লোভ নিয়ে আগালে বেশি দূর যাওয়া যায় না । পয়সার সাথে আরেকটা জিনিসের প্রয়োজন হয় তাহলো- Passion . Passion নিয়ে পয়সা কামানোর জন্য পেশায় প্রবেশ করতে চাইলে, আপনাকে সঠিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে । মানে আপনি কোন দিকে আগাবেন, কি কি করতে চান, ইত্যাদি । ক্যারিয়ার শব্দটাকে অনেকেই চাকুরির সমর্থক ভাবেন । কিন্তু ক্যারিয়ার আলাদা একটা জীবন , আপনার প্রোফেসনাল জীবন । জীবনের ৮ ঘণ্টা যদি ঘুম হয় , ৮ ঘণ্টা যদি ব্যাক্তিগত জীবনের জন্য হয় , তাহলে আপনার ক্যারিয়ার ঘুম বাদে আপনার জীবনের অরদেক । তাই ক্যারিয়ার পরিকল্পনা আপনার জীবনের পরিকল্পনার ৫০% । ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করতে গেলে সর্বপ্রথম আপনার নিজেকে চিনতে হবে । আপনাকে অবশ্যই আপনার দক্ষতাকে যাচাই করে নিতে হবে ।
নিজেকে প্রশ্ন করতে হবেঃ ভালো গান গাইতে , নাচতে অথবা আঁকা আঁকি করতে পারেন ? আমেরিকানদের সাথে সহজেই কমিউনিকেশন করতে পারেন ? ভালো ট্রান্সলেশন দক্ষতা রয়েছে ? কম্পিউটার দক্ষতা আছে ? লেখা লেখির দক্ষতা আছে ? ভালো বাণিজ্যিক দক্ষতা আছে ? এই প্রশ্ন গুলু নমুনা মাত্র ।
নিজেকে প্রশ্ন করে বের করে নিন , এমন সব দক্ষতা , যা অন্যকেউ করে দিতে টাকা নিবে । মানে এই দক্ষতা গুলু যেন বিক্রয় উপযোগী হয় সেটি বিবেচনা করতে হবে । এরপর আপনি সবচেয়ে বেশি কি পছন্দ করেন সেটি নির্বাচন করতে হবে । আপনি বেশি কি পছন্দ করেন সেটি নির্বাচন করতে নিচের প্রশ্ন গুলুর উত্তর দিনঃ কষ্টকর হওয়া সত্ত্বেও আপনি কোন কাজটি বিনামূল্যে করে করতে পারবেন ? টানা ১৪ ঘণ্টা কাজ করার পরেও আপনি কোন চাপ বোধ করবেন না । এমন কি ডিনার করতে ভুলে যান ? যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে আপনি ওই কাজটি নিশ্চয়ই ভালবাসেন । এমন কাজ প্রয়োজনে আপনি বিনা পয়সায় করতে পারেন । কারন সেখানে আপনার পছন্দ জড়িয়ে আছে ।
এই প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা ও পছন্দের বিষয় খুজে পাবেন । এখানে বিষয় গুলু একত্র করেন এবং এটিকে আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন । আপনার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা হয়ে যাওয়ার পর , আপনাকে কি কি শিখতে হবে, সেটারও পরিকল্পনা করতে হবে ।
যা যা শিখতে হবে, এর মানে এই না যে আপনাকে সব কিছুর প্রশিক্ষণ নিতে হবে ।
যেটা সবার জন্য বলব, গুগল কে আগে কাজে লাগাতে শিখুন । সেখান থেকে আপনি প্রাথমিক ধারনা নিন । তারপর যেগুলোকে জটিল মনে হয় সেগুলুর জন্য প্রশিক্ষণ নিন । যখন আপনি জানতে বা বুজতে পারলেন আপনি কি করতে চান , আর কি কি প্রশিক্ষণ নিতে চান, তখনই সে বিষয়ক দক্ষদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণের বিষয় টি ভাবতে পারেন । আমি মনে করি আইডিয়া ছাড়া প্রশিক্ষণ করা মানে টাকাটাই অপচয় করা ! তাই প্রশিক্ষণের বিষয়ে বেসিক ধারনা থাকা প্রয়োজন ।
লিখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন ।
আমাকে ফেসবুকএ পেতে এখানে ক্লিক করুন ।
দয়া করে আমাদের পেজটিটে একটি লাইক দিয়ে আমাদের পথ চলতে সাহায্য করুনঃ পেজে যেতে এখানে ক্লিক করুন
আমি মাহমুদুল হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 44 টি টিউন ও 25 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Bah valo. Thanks