সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করলাম। যখন বিভিন্ন ব্লগে, নিউজপোর্টালে অথবা অন্য কোন মাধ্যমে বাংলাদেশী প্রতিভাধর ব্যক্তিদের কাজের প্রশংসা শুনি তখন গর্বে বুকটা ভরে যায়। নিজের অজান্তেই শিহরন অনুভব করি। এই শিহরন বাঙ্গালী/বাংলাদেশী হিসেবে অনুভব করি। সেই সাথে নিজের অজান্তেই তাদের মত নিজেদের প্রতিভার সাক্ষর বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে উদ্ধুদ্ধ হই। কিন্তু থেমে যেতে হয় যখন আমাদের নিজস্ব সীমাবদ্ধতা গুলোর কথা মনে হয়। যখন শুনি বাংলাদেশে উন্নত বিশ্বের মত এত সুযোগ সুবিধা নেই জ্ঞান অর্জন করার মত। যেখানে উন্নত বিশ্ব স্কুল লেভেলে সি প্রোগামিং এর মত কম্পিউটার প্রোগামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখানো হয় সেখানে আমরা উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করার পরও কম্পিউটারের সামনে গেলে হাটু কাপে। তারপরও আমরা এগিয়ে যাই –যেতে চাই সকল সীমাবদ্ধতাকে জয় করে।
যখন শুনতে পারি গুলল মাইক্রোসফট, ইউটিউব এর মত বিশ্বসেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুলোতে বাংলাদেশীরা সুনামের সাথে তাদের প্রতিভার সাক্ষর রাখতে সক্ষম হচ্ছে। তখন আমাদের আত্মবিশ্বাসের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। আমরা ঝাপিয়ে পরি অনলাইন প্রযুক্তির মত একটা বিশাল সাগরে। কিন্তু একবারও আমরা ভেবে দেখি না যে এই মহা সাগর পাড়ি দিয়ে সফল হবার মত যথেস্ট যোগ্যতা আমাদের আছে কিনা। অথবা যেখানে আমরা প্রযুক্তি বিশ্বের মহা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে যাচ্ছি সেখানে আমাদের প্রতিযোগিরা আমাদের চেয়ে কতটুকু বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন। আমাদের সঠিক জ্ঞান নেই অথবা জ্ঞান অর্জনের মত সঠিক অবস্থান নেই সেটা আমাদের সীমাবদ্ধতা হতে পারে কিন্তু না বুঝে শুনে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়া শুধু আহাম্মকিই নয় চরম নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেয়।
একটু লক্ষ্য করলেই বুঝা যায়-যেখানে বাংলাদেশ থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার কারীর সংখ্যা প্রায় ০৯(নয়)কোটি আর ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ সেখানে এই ৬০ লাখের অধিকাংশই অনলাইনে একটা ভাল ক্যারিয়ার গড়ার চেস্টা করে। সেই সাথে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব বা বিভিন্ন প্রযুক্তি ডিভাইস ব্যবহারের পাশাপাশি বেড়েছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। ফলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ভীড় জমায়। কিন্তু আসল কথা হল বাংলাদেশ থেকে কত জন লোক ফ্রীল্যান্সিং,ব্লগিং বা অনলাইনের অন্য কোন অবস্থানে তাদের সফলতার সাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে?
আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেশিরভাগ লোক কিছুকরার জন্য চেস্টা করে যাচ্ছে। হয়ত কেউ কেউ কিঞ্চিত সাফল্য পেয়েছে আবার কেউ কেউ সফলতা লাভের জন্য দিনরাত সব কিছু ভুলে অনলাইনে পড়ে আছে। আবার কেউ কেউ ধৈর্য্য হারিয়ে শুধুমাত্র ফেসবুক বা এমন সোশ্যাল-নেটওয়ার্কিং সাইট গুলাতে অযথা সময় কাটিয়ে দিন পার করছে। এর কারন হল সঠিক জ্ঞান আর গাইডলাইনের অভাব। সেই সাথে পারিপার্শ্বিক অবস্থাও নিয়ামক ভুমিকা পালন করছে। বিশেষকরে সমসাময়িক রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িক, ধর্মীয়, সামাজিক অবস্থান, আর সামাজিক অবহেলা উল্লেখ্যযোগ্য নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে যা বর্তমান তরুনপ্রজন্মকে কিছুটা প্রযুক্তিক্ষেত্রে কর্মবিমুখ বা প্রযুক্তিজ্ঞান অর্জন বিমুখ হিসাবে কাজ করেছে।
নিজেকে যদি বর্তমান প্রযুক্তিজগতে নিজের শক্ত অবস্থান তথা একটি সফল ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে শত বাধা-বিপত্তি দূরে সরিয়ে আর সীমাবদ্ধতাকে জয় করে প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন অত্যন্ত জরুরী। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের বা অনলাইন রিসোর্সের পাশাপাশি ফ্রীল্যান্সার গোল সাইটটিকে আপন করে নিতে পারেন নিজের প্রয়োজনে। আমার দেখা মতে এই ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ ভার্চুয়াল/অনলাইন দুনিয়ার সর্বশেষ তথ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের তরুনদের কথা বিবেচনা করে সাইটের তথ্য সংগ্রহ এবং আপডেট করে আসছে। আর নিশ্চিত করে যাচ্ছে বিশ্বমানের জ্ঞান অর্জন।
আজকের লেখাটা কোন কিছুকে টার্গেট করা লেখা না, কি মনে করে যে লিখতে বসেছিলাম তাও জানি না। মনের ভিতর কথা গুলো ভেসে বেড়াচ্ছিলো, যা সাজানোর বৃথা চেস্টা করেছি। তবে আজকের লেখাটার টাইটেল কি হওয়া উচিত, তা আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম, আপনার মতামতের উপর ভিত্তি করে লেখাটির টাইটেল পরিবর্তন করার চেস্টা করবো, ধন্যবাদ।।
আমি অনুভূতি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 9 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কিছু করতে চাই,কিন্তু কিছুই হয় না ।মাঝে মাঝে নিরুপায় হয়ে বসে থাকি, করার কিছু নেই। মনের বিরুদ্ধে কথা বলতে হয়, অন্যরা মুখ বাঁকিয়ে নেই। আপন জন দূরে যায়, চার পাশ শূন্য মুরুভুমি । নিজেকে অসহায় মনে হয়, তবু বাঁচার আমরণ চেষ্টা।
ভাই মনের কথা গুলো কইছেন। আনেক ধন্যবাদ।