ফিক্সড পেমেন্টে ফ্রীল্যান্সিং করার সময় সমস্যা গুলো। যে কারনে ফ্রীল্যান্সিং ও বিরক্তি কর।

ভালো ক্লায়েন্ট যেমন আছে তেমনি আছে বদ ক্লায়েন্ট। কাউকে আবার শুধু বদ বললে একটু কম হয়ে যায় তারা হচ্ছে মহা বদ। দুই একটা উদাহরন দিব আজ...
বিদ্রঃ টুইটটা ফ্রীল্যান্সিং এর প্রতি খারাপ ধারনা সৃষ্টির জন্য নয়। অফিস করতে গেলে যেমন বসের ঝাড়ি খেতে হয়, ফ্রীল্যান্সিং করতে তেমনি দুই একটা খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। এটা অনেকটা ভাগ্যের উপরও নির্ভর করে।

সব চেয়ে বেশি যে সমস্যা তা হচ্ছে টাইমিং। ক্লায়েন্ট প্রথমেই বলে দিবে আমি ৩ দিনের মধ্যে কাজটা চাই। ভালো কথা, তিনদিনের মধ্যে করে দেওয়া গেলে করা যাবে। কিন্তু যদি ক্লায়েন্ট এপলিকেশন জমা দেওয়ার ৫ দিন পর এসে বলে তুমি কি কাজটা ৩ দিনের মধ্যে শেষ করতে পারবে? তখন কেমন লাগে? ওর যদি এতই আর্জেন্ট কাজ লাগে তাহলে কেন সে প্রথম দিনই কন্ট্রাকটর হায়ার করে নি? কেমন একটা ফাইজলামি মনে হয়।

দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে বাড়তি কাজ যোগ করা। জব পোস্টে যে ধরনের কাজের কথা লেখে পরে দেখা যায় যে তার থেকে অনেক বেশি কাজ করে দিতে হয়। কেমন একটা ভন্ডামি। এটা ফিক্সড জবে হয়। আওয়ারলি জবে হলে সমস্যা নেই, যত টুকুকাজ ততটুকু টাকা। আবার কিছু কিছু ক্লায়েন্ট অনেক ভালো, তাদের যদি কোন বাড়তি কাজ করা লাগে, তারা তার জন্য পে করে দেয়। সমস্যা হচ্ছে এমন ভালো ক্লায়েন্ট কমই আছে।

ডিজাইনিং যারা করেন তারা মনে হয় এ বিষয়টা একটু বেশি ভুগে থাকেন। একটা ডিজাইন করে দিলেন তখন ক্লায়েন্ট বলল এটা হয় নি, ঐভাবে করে দাও। আচ্ছা, করে দিলেন। তখন আবার বলল এটাও হয় নি, নতুন ভাবে করো। যখন  আপননি নতুন ভাবে করে দিলেন তখন যদি বলে প্রথমটাই ভালো ছিল তখন কেমন লাগবে?
কোডিং করতে ও জামেলা কম না, এক রকম কোড লিখে দিলে বলে অন্য ভাবে করে দাও। ক্লায়েন্টকে যদি বুঝাতে পারতাম কোড রিভিউ করে পুনরায় এডিট করা কত জামেলার কাজ, অহ!

এদের মত কাজ করে না দিলে একটা সমস্যা, তা হচ্ছে কাজের শেষের রিভিউটা। রিভিউ খারাপ পেলে কেমন জানি মন খারাপ হয়ে যায়। তখন মনে হয় টাকার থেকে রিভিউটার মূল্য অনেক বেশি। তাই যারা এমন ফাইজলামি  করে, কষ্ট করে তাদের প্রথম কাজটা শেষ করে ওদেরকে বিদায় জানিয়ে দেওয়া ভালো।  ... এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা উপায় হচ্ছে যে সব ক্লায়েন্ট ইন্টারভিউ এর সময় বেশি জামেলা করে, বলে একরকম করে আরকেও রকম, তার কাজ না করা।
.... এত গুলো সমস্যার পরও ফ্রীল্যান্সিং ই ভালো। নিজের কাজের দাম নিজের কাছে।  যেকোন সমই বাড়ানো যায়, যে কোন সময়ই কমানো যায়। আর মাঝে মাঝে ইচ্ছে করলে ডুব দেওয়া যায়। মানে কাজ কর্ম ফেলে কোথাও ভেগে যাওয়া যায়। ফ্রীল্যান্সিং থেকেও ভালো হয় যদি নিজে নিজে কিছু করা যায়।।

Level 0

আমি জাকির হোসাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 224 টি টিউন ও 1487 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

পৃথিবীতে অল্পকয়েক দিনের জন্য অনেকেই আসে, হেঁটে খেলে চলে যায়। এর মধ্যে অল্প কয়েক জনই পায়ের চাপ রেখে যায়।ওদের একজন হতে ইচ্ছে করে। প্রযুক্তির আরেকটি সেরা ব্লগ টেকটুইটস। আপনাদের স্বাগতম, যেখানে প্রতিটি বন্ধুর অংশ গ্রহনে গড়ে উঠেছে একটি পরিবার। আপনাদের পছন্দ হবে আশা করি। ফেসবুকে আমি - ?জাকির!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

“এত গুলো সমস্যার পরও ফ্রীল্যান্সিং ই ভালো। নিজের কাজের দাম নিজের কাছে। যেকোন সমই বাড়ানো যায়, যে কোন সময়ই কমানো যায়। আর মাঝে মাঝে ইচ্ছে করলে ডুব দেওয়া যায়। মানে কাজ কর্ম ফেলে কোথাও ভেগে যাওয়া যায়। ফ্রীল্যান্সিং থেকেও ভালো হয় যদি নিজে নিজে কিছু করা যায়।।”
শেষের কথাগুলো অনেক ভালো লেগেছে কারন আমার নিজের সাথে কিছুটা মিলে গেছে। গত এক মাস হল ফ্রীল্যান্সিং থেকে দুব মেরে নিজে কিছু করার চেষ্টা করছি। তাই একটা ব্লগ খুলেছি গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ভালো কিছু করার আশাই।