যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন, সেদিন থেকে আপনি আপনার, আপনার নেই কোন ধরা বাধা পেশা। আপনি স্বাধীন এবং আপনার উন্নতি আপনার দক্ষতার উপর। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি বিপ্লব, আধুনিক যুগে নিজেকে উচু করে তোলার একটি নতুন পদ্ধতি।
আজ থেকে বহু বছর আগে ইংল্যান্ডে শিল্প বিল্পব হয়েছিল, কিন্তু আজো নতুন প্রজন্ম সেই দিনটির কথা স্মরন করে। এখন থেকে বহু বছর পরের প্রজন্ম ঠিক তেমনি করে স্মরন করবে ফ্রিল্যান্সিং বিপ্লবের কথা।
২০১১-২০১২ সালটা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়ের জন্য, তাদের মনে ২য় কোন ভাবনা আছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে অনেকে এটাকে টাকা আয়েরর সরল পথ হিসেবে অভিহিত করে।
চলুন আজ থেকে ১০ বছর আগের বাংলাদেশে ফিরে যাই, কয়টা কম্পিউটার ছিল বাংলাদেশে? হাতে গোনা শ’খানেক? কিংবা আরো কম/বেশি। তখন যুব সমাজের মনে প্রশ্ন জাগতো পড়াশোনা শেষ করে একটা ভালো চাকরি করবো, কেউ ডাক্তার কেউ ইঞ্জিনিয়ার হত। অনেক সময় ছোট একটি চাকরি করেও ভালোই দিন কেটে যেত। তো ২০১২ সালের যুক সমাজের মনে কি প্রশ্ন জাগে? ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে টাকা আর টাকা ইনকাম? নাকী অন্য কিছু?
প্রযুক্তির যতই কাছে যাচ্ছি ততই আমরা সর্টকার্ট হয়ে যাচ্ছি, কাজে কর্মে, যাতায়াতে কিংবা বিনোদনে। কিন্তু একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে চাকরি করলে কি বিনোদনের সময় পাবেন?
সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫টা বাজার আগে বাড়ি গিয়ে বিশ্রামের চিন্তা? ইম্পসিবল। বসের গাল মন্ধ না শুনলে সেটা কি চাকরি হল? মাস শেষে অফিসের ম্যানেজারের রুমের সামনে গোরাগোরি ছাড়া মাইনে নিবেন? অসম্ভব।
আপনার কি ইচ্ছে করে না বাসায় বসে গরম কপিতে চুমুক দিয়ে বসের ঝাড়ি না খেয়েই অফিস করতে? কিংবা সকাল বেলা চাকুরি করে বিকেল বেলা পার্কে গিয়ে সময় কাটাতে? সপ্তাহের যে কোন দিন পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমনে যেতে? যদি ইচ্ছে থাকে তবেই ফ্রিল্যান্সিং এ আসুন।
ভালো কথা, আরাম আয়েশ এর কথা শুনে এই পথে আসলেন? তো করবেন টা কি?আপনার যোগ্যতা কি? বিকম/এমবিএ কিংবা ডাক্তার? অনলাইনে বসে ডাক্তারি করবেন? হয়েছে আপনি রুগি মেরে ফেলবেন। তো আপনার প্রথমেই জানা দরকার অনলাইনে কি কি কাজের ক্ষেত্র আছে।
আপনার বর্তমান পেশায় আপনার বেতন কম, পদোন্নতি হচ্ছে না, পদোন্নতির ভবিষত সুযোগ নেই, আমি এই পেশায় আগ্রহী নই, আমি অফিসের নিয়ম কানুন মেনে চলতে পারছি না।
যদি এই হয় আপনার উত্তর তবে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এ স্বাগতম।
সব কিছুর একটা বয়স/সময় আছে, সঠিক সময়ে সঠিক পথে না গেলে পরে সফল হবার সম্ভাববনা কমেই যায়। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন, বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ আসলে আপনি মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা। যদি আপনি শিক্ষার্থী কিংবা সদ্য পাশ করা যুবক হয়ে থাকেন তবে এক কথায় বলবো এই পথে আপনার সূচনা হওয়া চাই।
প্রতিটা মানুষের চাকরি/কাজ করার জন্য একটা উপযুক্ত সময় লাগে, আপনি যদি একজন ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষার্থীকে এনে এই পেশায় ডুকিয়ে দিন তবে তার বড় হওয়া তো দূরের কথা স্বপ্ন দেখাই পাপ হয়ে দাড়াবে। তাই যখন তখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসা যাবে না। আগে একটা উপযুক্ত সময় বেছে নিন। আপনি যখন নিজেকে মানষিক ভাবে যখন কাজ করার জন্য প্রস্তুত মনে করবেন, তখনি আসুন।
দরুন আপনি বর্তমানে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা, আপনি একটু স্বাধীন ভাবে চলার জন্য ব্যাংক এর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন? ভুল সিব্ধান্ত নিবেন না কারন আপনার দক্ষতা হিসাব নিকাশে অন্য কিছুতে নয়।
আপনি আপনার বর্তমান পেশাকে সম্মান করেন, এবং কাজটি আপনার জন্য সহজ অথচ মাইনে কম, তো আপনি কি বেশি আয়ের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এ নামবেন? টাকা তো পরের কথা আসল কথা হচ্ছে আপনি তো এই কাজে পারদর্শী নন।
তাই আমি বলবো আপনি যে কাজটি ভালো পারেন সেটাই করুন, হোক না কয়টা টাকা মাইনে কম বা বেশি।
এই পেশায় ২/৪টা ভুল করবেন এটা নিশ্চিত, তবে আপনি যদি বাসায় বসে কাজ করেন তবে আপনার ভুলগুলো সংশোধনের জন্য কি আপনি প্রস্তুত? যদি নিজের ভুল নিজে ধরতে না পারেন তবে আপনার জন্য এই পেশা কিছুটা ঝুকির হতে পারে। যারা ভুল করার পর অন্নত সেটা উপলব্ধি করতে পারেন তবে তাদের জন্য এই পেশা শুভ।
অফিসে আপনি বসের প্রতিদিন বকা খেতেন দেরিতে আসার জন্য, কিন্তু এই আচরন যদি আপনার থেকে চিরবিদায়া না নেয় তবে ফ্লিল্যান্সিং ও আপনার জন্য কল্যানকর হবে না। কারন এখানে মানুষ টিকে থাকে পার্সোনালীটি এবং দক্ষতার উপর। তাই বাজে অভ্যাশ ত্যাগ করুন।
আপনি যদি ডিগ্রি প্রাপ্ত হোন তবে আপনার জন্য ওয়েলকাম, বর্তমানে আগের মত আর সুযোগ নেই যে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবনা শুরু করে পরে ১০ বিলিয়নের মালিক হবেন।
বর্তমানে অবস্থা হচ্ছে সঠিক পথে না যেতে পারলে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবসা করে ১০ বিলিয়নের মালিক হওয়া যাবে না।
যাদের শিক্ষাগত যোগত্য নেই তাদের জন্য এই পেশা অসম্ভব, যদি স্বয়ং আল্লাহ আপনাকে কোন বিশেষ জ্ঞান না দিয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য এই পেশা উপযোগী নয়।
কেননা এখানে আপনাকে ভিন্ন ধরনের একটি সমাজে উপস্থিত হতে হবে, যার সাথে আপনি সম্পূর্ণ অপরিচিত। তাই আমি বলবো আগে শিক্ষাগত যোগত্য অর্জন করুন এবং পরে পেশায় আসুন।
এই পেশায় আসতে হলে আমর কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন?: প্রথমত আপনাকে স্কুল/কলেজের/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অর্জন করতে হবে। হতে পারে তা হাতে কলমে শিক্ষা কিংবা বই মুখস্ত করে শিক্ষা, তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করতেই হবে।
২য় কথা হচ্ছে ফ্লিল্যান্সিং পেশায় আপনি যে কাজটি করতে চাইছেন তার সম্পর্কে শিক্ষা লাভ। যদি তা হয় চিত্রাংকন কিংবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট তবে সেই বিষয়ে আপনাকে শিক্ষাগ্রহন করতে হবে।
আমি কিন্তু ডিগ্রি বলতে শুধু নামকরা প্রতিষ্ঠানের বড় বড় সার্টিফিকেটের কথা বলছি না, যে কোন প্রতিষ্ঠান হতে পারে, তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করেই এই পেশায় আসার অনুরোধ করছি।
ধরুন আপনি ইংরেজীতে অনার্স করেছেন এবং ইংরেজী অনেক ভালো জানেন। আপনার বন্ধু মার্কেটিং কিংবা হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স করেছে। এখন আপনি করেন কোন কলেজে ইংরেজী বিষয়ে শিক্ষকতার চাকুরি।
আর আপানার বন্ধু করে শেয়ার বাজার বিজনেস। আপনি চাইলেন আপনার জমানো টাকা দিয়ে তার সাথে শেয়ার বিজনেস শুরু করবেন, এবং শেয়ার বাজারে আপনার ১ লক্ষ টাকাও বিনিয়োগ করলেন।
১ মাস বাধে আপনার ১ লক্ষ টাকা লস হলো, এবং আপনি শেয়ার বাজারের সামনে লাঠি নিয়ে অবস্থান করলেন। আপনার ধারনা সব দোষ শেয়ার বাজারের।
কিন্তু আসল ব্যাপার হচ্ছে কিভাবে শেয়ার বিজনেস পরিচালনা করতে হয় আপনি তা জানেন না, কথন কোন প্রদক্ষেপ নিতে হয় আপনি তাও জানেন না। কেননা শেয়ার বাজার সমন্ধে আপনার কোন ধারনা নেই, আপনি ইংরেজীতে অনেক পারদর্শী তাই বলে শেয়ার বাজারে আপনার লাভ হবে তা নয়। আপনারই বন্ধু শেয়ার বাজারে লাভ করতে পেরেছে কারন তিনি শেয়ার বাজার সমন্ধে অনেক ভালো বুঝেন, তিনি এই বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেছেন সে জন্য।
তাই অন্যকে দেখে তার পেশায় ঝুকে পড়বেন না, আপনি যা ভালো পারেন তাই করুন। আর পেশা বদলাতে হলে সেই পেশার সমন্ধে আগে অবগত হোন, ট্রেইনিং গ্রহন করুন। না ঝুঝে, না জেনে, যেখানে সেখানে নিজেকে পরিচালিত করবেন না।
ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসেবে নিতে হলে আগে ফ্রিল্যান্সিং এর উপর খোঁজ খবর নিন, অভিজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিন প্রয়োজনে প্রশিক্ষন নিন।
আপনি কিসের ছাত্র তা দেখার বিষয় নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কোন বিষয়ে আগ্রহী এবং দক্ষ। আপনি যদি ফিজিক্স এর ছাত্র হয়ে থাকেন কিন্তু আপনি আইটি সেক্টরে অনেক আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে আমি বলবে আপনিও এই পেশায় আসতে পারেন।
কেননা আপনার সফলতা নিশ্চিত, যেহেতু আপনি এই পেশার প্রতি আগ্রহী। তবে আগের কথা হচ্ছে এই যে আপনাকে উপযুক্ত শিক্ষা লাভ করতে হবে এবং তারপরেই ফ্রিল্যান্সিং এ প্রবেশ করবেন।
আমি যে কাজ করি তার জন্য ক্লায়েন্ট এর কাছে কত টাকা চাইতে পারি?
যা আপনাকে ক্লায়েন্ট বলতে পারে-
“ এই কাজের জন্য আমরা ইতিমধ্যে অনেক টাকা খরচ করে ফেলছি.”
তার মানে ক্লায়েন্ট আপনাকে বলতে চাচ্ছে যে তারা আপনাকে যে কাজের জন্য নিতে চাচ্ছেন সে কাজটি তারা এর আগেও অন্য কাউকে দিয়ে করিয়েছেন, এবং অনেক অর্থ খরচ করেছেন।
“ আপনি যে টাকা দাবি করছেন, তার অর্ধেক দামেই আমাদের আগের কর্মীরা কাজ করেছেন“
এখন আপনি আপনার ক্লায়েন্ট এর কাছে একটা টাকার পরিমান চাইবার পরে সে আপনাকে বলবে যে এর আগে তারা অনেক সস্তায় কাজ করিয়েছেন।
“ আমাদের এখানে আপনার দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ রয়েছে ”
আপনাকে লোভ দেখানো হচ্ছে যে আপনি কিছু টাকা কম নিলে তারা আপনাকে অনেক দিন তাদের কাজে রাখবে
“ আপনার পূর্বের করা কাজের নমুনা দেখতে চাই ”
আপনি তাদের কাজটি করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে ধারনা পেতে তারা আপনার কিছু সদ্য শেষ করা কাজের নমুনা দেখতে চাইবে।
“ আপনাকে আমাদের সাথে সময় মেনে কাজ করতে হবে ”
আপনি যে দেশেই থাকুন না কেন ক্লায়েন্ট চাইবে তার সুবিদা মত আপনাকে কাজে পেতে, তাই একটা সময় নির্ধারন করে নিবে।
“আপনিই প্রথম, যাকে আমি নিজে থেকে hire করেছি”
তার মানে ক্লায়েন্ট বলতে চাইছে, তার কাছে আপনাকে হয়তো পছন্দ হয়েছে অথবা যোগ্য মনে হয়ছে।
“আপনার কাজের মূল্যায়ন করেই আপনার সাথে আগাবো”
এখন আপনাকে অগ্রিম তাদের সাথে কাজ কন্টিনিউ করার একটা প্রসেস বলে দেওয়া হয়েছে।
ANGER!
জেনে নিন ANGER এর পূর্ণ রুপ আসলে কি
A=Acknowledge= স্বীকার
N=Nod = নড়া
G=Guide= গাইড
E=Execute= সম্পাদন
R=Retreat= পশ্চাদপসরণ
আপনার ক্লায়েন্ট রেগে গেছেন এটা কোন ব্যাপার নয়, আপনি ক্লায়েন্ট সমন্ধে কি চিন্তা করছেন তাও ব্যাপার নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কিভাবে এটা হ্যান্ডেল করবেন।
এবার আপনিও রেগে গেছেন? একটাই সমাধান চুপ করে বসে থাকুন, নো টক
মনে করুন আপনি একজন ডাক্তার, আপনি কারো পেট কেটে তার টিউমার অপারেশন করেছেন, তার পেটে কেটে দেখলেন যে তার কিডনির ও সমস্যা আছে, এখন আপনি কি করবেন?তার টিউমার এর সমস্যা সমাধান করে তার পেট সেলাই করে দিবেন এবং অন্য ডাক্তার এনে আবার তার পেট কেটে কিডনির সমস্যা সারাবেন? এক পেটে কত সেলাই করবেন? রুগী কি বাচবে? আপনার যদি কিডনির সম্পর্কে ধারনা থাকতো তবে এই অপারেশনে ২টি সমস্যার সমাধান করে পেলতে পারতেন।
কেন এই উদাহরন দিলাম: মনে করুন আপনি নিজেকে ওয়ার্ডপ্রেস/জুমলা এক্সপার্ট পরিচয় দেন কিংবা মনে করেন। আপনাকে যদি আপনার ক্লায়েন্ট বলে যে আপনি আমাকে সাইটের মধ্যে অমুক ফিচার টি এড করে দিন। তখন আপনি কি করবেন?
তার মানেই হলো ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা জুমলা জানলেই আপনি ওয়েব পরিপূর্ণ নন।
আপনাকে তার পাশাপাশি অন্য কাজগুলো আয়ত্ব করে নিতে হবে। ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে আপনাকে : প্লেইন কোডিং, সিএমএস, সিকুরেটি এইসব কিছুই জানতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা পেশা যার ভবিষ্যত কি হবে তা কেউ বলতে পারবে না, বর্তমানে যে কাজটি বেশি জনপ্রিয় এবং চাহিদা আছে আগামী দিনে তা কি হবে তা কেউ জানে না।
এখানে প্রতিদিন কিন্তু কাজ পাবেন তাও নয়, এটি যেমন স্বাধীন পেশা তাই এখানে সব সময় কাজ পাবেন না। এটাকে সিজনাল ও বলতে পারেন, এখানে অনেক প্রতিযোগী তাই আপনাকে কে ভাবে গড়ে তুলতে হবে।
যাদের মাস পুরালেই অবশ্যই নির্দিষ্ট অংকের টাকা প্রয়োজন তারা এই পেশায় আসবেন না। কেননা এখানে মাস শেষে কতটাকা ইনকাম হবে তা মাসের শুরুতে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন না।
সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত আপনার চাহিদা অনুযায়ী চাকুরি/কাজ কার এবং যাতে আপনার বাজেট ফিক্সড হয়।
যাদের সংসার চালাতে মাসে নূন্যতম একটা টাকার অংক(আবশ্যক) লাগবেই তারা এই পেশায় না এসে কোথাও চাহিদা অনুসারে কাজ নিন। আমি তাদের কথাই বলছি যাদের সংসারে ব্যাকাপ দেবার মত কেউ নেই তাদের।
কেননা এখানে কোন মাসে আপনি অনেক টাকা আয় করবেন আবার কয়েকমাস কোন আয় হবে না, সে ক্ষেত্রে আপনি বিপদে পড়ে যাবেন। তবে আপনি চাইলে চাকুরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং টাকে অপশনাল হিসেবে নিন, তাহলে আপনার আর কোন রিক্স থাকবে না।
কোট টাই লাগিয়ে আপনাদের সামনে ভাষন দিতে আসিনি, কিংবা আমার পিএস আমাতে কাগজে লিখে দিয়ে যায়নি মহান ভক্তা হবার বিশেষ ভাষন।
আমি যা বলছি এবং লিখছি তা জীবনমুখী, এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই। কোন সফল কাহীনির বাংলা অনুবাদ করে লিখছি না, আমরা বাংলাদেশীরা সব সময় ইন্টারনেটে বসে বসে সফল কাহীনি খুঁজে, তাই আমরা সমস্যা গুলো খুঁজে পাইনা।
শতকরা ১০ ভাগ মানুষ সফল হয়, আর বাকী ৯০ ভাগ মানুষ ব্যার্থ হয়, কারন তারা আকাশের দিকে তাকিয়ে হাটতে হাটতে মাটিতে হোচড় খায়, আপনি যদি সফল হতে চান তবে সঠিক পথে ধরে এগোতে হবে।
ব্লগ/নিউজ পেপার/পরিবার/বন্ধু বলেন, কেউ আপনাকে বড়লোক করে দিতে পারবে না, কেউ জানেও না কিভাবে বড়লোক হতে হয়। মানুষ আস্তে আস্তে কোন একদিন অপরের চোখে বড়লোক হয়ে উঠে, তবে তার জন্য কতটা পথ অতিক্রম করতে হয় তা গননার প্রয়োজন নেই। আপনাকে কেই জীবনে বড় হতে বললেই ভাববেন না যে সে মহা অপরাধ করেছে আসলে সে আপনার মাথায় বড়লোক হবার ভাবনা ডুকিয়ে দিয়েছে এখন বাকী কাজ আপনার।
ভাইয়া আমি অনলাইনে আয় করতে চাই, ইনকাম করতে চাই: আমার ভাইয়েরা, আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা যারা ঘরে বসে আয় করতে চান তারা আগে কোন একট নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে প্রশিক্ষন গ্রহন করুন।
মনে রাখবেন দক্ষ হলে যে কোথাও তার কাজ আছে আর দক্ষ না হলে তার স্থান কোথাও নেই।
অনলাইনে আয় করে বড়লোক হোন! : অনেক সময় এই ধরনের শিরোনামের কিছু লেখা চোখে পড়ে, আসলেই কি টাকা উপার্জন এতটা সহজ?
রাতারাতি বড়লোক হবার কোন সর্টকার্ট রাস্তা নেই(ভালো পথে)। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটা সময়উপযোগী পেশা, এখানে আপনার নিজেকে প্রমোট করার সুযোগ নিজের হাতেই, তবে আপনাকে একটা ভালো পজিশনে যেতে হলে প্রচুর কায়িক শ্রম দিতে হবে।
আজকে ফ্রিল্যান্স শুরু করে কালকে বড়লোক হয়ে যাবেন সেটা কথনো হবার নয়। একটা কাজ করতে করতে যখন আপনি সেই কাজে পারদর্শী হয়ে যাবেন তখনি আপনার প্রমোশন। অপরের কথায় আত্বভোলা না হয়ে নিজে বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
পৃথিবীতে অনেক কঠিন সত্য আছে তাই। সব কিছুর একটা বাজে দিক আছে, যদিও এই পেশার সমস্যাগুলো ততোটা বাজে নয় তবুও জেনে শুনে বিষ পান করাও শ্রেয়।
আমার লেখায় ভালো কিছু থাকলে তা গ্রহন করুন আর যা আপনার মতের সাথে মিলছে না তা বর্জন করুন।
আমি সিএক্স রানা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 24 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 12 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
WordPress Developer, Visual Composer and Recurring Payments Expert.
@Saon A Menz:আপনি বললেন যে
আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আজকে যারা ফ্রিলেন্সিং এ সফল তাদের প্রায় ৯৫% ভাগই কোথাও না কোথাও থেকে পেইড কোর্স করেই এসেছে।
এই ব্যাপারটিতে চরম অমত পোষণ করলাম। একটা একযাম্পল দেই, এখানে একটি পোস্ট এ কয়েকজন সফল মানুষ এর ইন্টার্ভিউ নেয়া হয়েছিল। প্রায় ৮-১০ জনের। অবাক করার মত কথা হচ্ছে তারা কেওই কোন পেইড কোর্স করেনি। সবাই অনলাইন থেকে শিখেছে। তাই কোন মতামত দেয়ার আগে একটু ভালো ভাবে জেনে দিবেন
আপনার পোস্ট গুলু সব সময় ই অসাধারণ এবং আমাদের কাজে আগ্রহ যোগায়। আজকের পোস্ট এ বিশেষ কিছু জিনিস দেখলাম। ভাল লাগলো। আপনাকে ধন্নবাদ।তবে যাদের জন্য এই পোস্ট টি লিখেছেন তারা অনেকেই পড়বেনা কারন “আপনার শিরোনাম টি তাদের মন মত হয়নি, যেমন ধরুনঃ ঘরে বসেই আয় করুন টাইপ হলে তারা পোস্ট এ ডু মারত । অনেকেই পোস্ট এর আকার দেখে চলে গিয়েছে। এত সময় কই? আমাকে ২/১ জনে প্রশ্ন করেঃ “ভাই আমিও আপনার মত অনলাইন এ টাকা ইনকাম করতে চাই, কত টাকা লাগবে? ” আমি বলি যে এভাবে টাকা বলতে কাজ শিখতে জা লাগে আর কি। তারা আবার বলে “সহজ কোন উপায় নেই? ” আমি :O করে থাকা ছাড়া আর কিছু বলার থাকেনা। কারন যোগ্যতা ছাড়া কোন কিছু করাই সম্ভব নয় । আবার ও ধন্নবাদ 🙂
খুব সুন্দর পোস্ট,তবে আপনার খারাপ লাগতে পারে তাও বলতে হবে,যারাই এ পেশায় আগ্রহী কিংবা কাজ করে উপার্জন করার চিন্তা করছেন কিংবা পিটিসি থেকে ধরা খেয়ে এখন ফ্রিল্যান্সিং এ ঝুঁকছেন তারা একটু তাড়াতাড়ি কথাগুলো বুঝে গেলে ভালো হত।প্রায়দিনই এ জাতীয় টিউন দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি,সাথে পিটিসির যন্ত্রণাও মাঝে মাঝে পাওয়া যায়