অনলইনে সবাই টাকা রুজি করতে চায়। কারন একটা গুজব রয়েছে অনলাইনে হাজার হাজার ডলার রয়েছে। এখন শুধু পকেট ভর্তি করা বাকি। কিন্তু আসলেই গুজবটা সত্যি। সমস্যা একটাই আপনাকে সঠিক রাস্তা খুজতে হবে। প্রথম প্রথম ইন্টারনেট পেলে যাদের টাকা রুজি করার চিন্তা থাকে তারা পিটিসি adfly ইত্যাদি নিয়ে অনেক মাতা মাতি করতে থাকে। (টাকা রুজি করার চিন্তাকে আমি খারাপ বলছি না, নিজের খরচ নিজে বহন করা যে কত ভালো একটা কাজ সেটা যে বহন করে সেই বুঝবে, আবার যে করে না সেও বুজবে কারন বার বার নিজের পরিবারের কাছ থেকে টাকা চাওয়া কত বিরক্তি কর তা বলে বুঝানো যাবে না) কিন্তু দেখা যায় যে অনেকেই কিছু দিন পর সব কিছু বুয়া মন্ত্যব্য করে পিচু হটে। যাদের একটু ধৈর্য্য আছে এবং সাথে সঠিক পথ চিনে তাদের সমস্যা হবার কথা না। কারন ফ্রীল্যান্স মার্কেট প্লেসে বাংলাদেশের অবস্থানই তা প্রমান করে দেয়।
ফ্রীল্যান্সিং করা খুবি সহজ এবং অনেক সহজ। এমন কি নিজের দৈনন্দিন রুটিনের কোন পরিবর্তন না করেই ফ্রীল্যান্সিং করে ভালো টাকা রুজি করা যায়।
আপনি যদি কোন কাজ না জানেন তাহলে ফ্রীল্যান্সিং করে একজন সাধারন চাকুরীজীবি থেকে ভালো টাকা রুজি করতে পারবেন। আর যদি কাজ জেনে থাকেন তাহলে একজন ব্যাঙ্কারের থেকে বেশি নয় অনেক বেশি টাকা রুজি করতে পারবেন। ব্যাঙ্কারের কথা এ জন্য বলছি যে বাংলাদেশে নাকি ব্যাংকে চাকুরির বেতন অনেক বেশি। আমি অনেক উদাহরন দিতে পারব যাদের প্রতি ঘন্টায় বেতন ১০০ ডলারের বেশি। এবার হিসেব করে দেখুন একদিন সে যদি ৫ ঘন্টা কাজ করে তাহলে মাসে কত টাকা রুজি করে? আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে দিন ৫ ঘন্টার কাজ সে নিজের অফিশের / বা পড়ালেখার পাশা পাশিই করতে পারে।
এখন প্রয়োজন হচ্ছে সঠিক গাইড লাইন। বা সঠিক পথ। পথের অভাব নেই। আপনি কি পারেন তা নিজেকে জিজ্ঞেস করুন। আর তা দিয়েই আপনি কাজ করতে পারবেন। আপনি শুধু ব্রাউজ করতে পারেন তা দিয়েই প্রতি ঘন্টায় ১-৫ ডলার রুজি করতে পারবেন। কিভাবে যদি জিজ্ঞেস করেন তাহলে বলবে অনেক কাজ আছে যেখানে সার্চ করে কিছু ডাটা এক্সেল বা ওয়ার্ডে প্রসেসরে জমা করে বায়ার কে দিতে হয় বা ওয়ার্ড প্রসেসর থেকে স্প্রেডশীট এ কনভার্ট করে দিতে হয়। যার সুন্দর একটি নাম হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। আর এর মত সহজ কাজ মনে হয় পৃথিবীতে নেই। আর আপনার যদি কম্পিউটিং সম্পর্কে একটু ভালো ধারনা থাকে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে আরো ভালো কাজ আরো ভালো টাকা। আরো সহজ একটি কাজ আছে তা হচ্ছে ওয়েব সাইট চেকিং। ছোট বর্ননা হচ্ছে নতুন যে সাইট গুলো তৈরি করা হয় তা ভিবিন্ন ওয়েব ব্রাউজার দিয়ে চেক করা। যদি কোন সমস্যা থাকে তার একটা রিপোর্ট তৈরি করা। আর এ রকম কাজের মূল্যা একজন ওয়েব ডেভলফারের কাছাকাছি। যদি কিছুই না পেরে থাকেন তাহলে ও সমস্যা নেই। আপনার কাছে আছে তথ্য ভান্ডার – ইন্টারনেট। যদি প্রশ্ন করেন যা দেখি তাই ইংরেজীতে। বাংলাতে তো আমি কিছুই পাচ্ছি না। নাহ! দিন আসলেই এখন বদলে গেছে। বাংলাতেই এখন আপনি সব পাচ্ছেন। টেকটুইটস টেকটিউন্স সহ সকল বাংলা টেক ব্লগ এই আপনি প্রয়জনীয় ইনফরমেশন, টিউটোরিয়াল পাচ্ছেন নিয়মিত। আর তাতে যদি আপনি যদি সন্তুষ্ট না হয়ে থাকেন তাহলে গুগলে গিয়ে একটু সার্চ দিন। হাজার হাজার তথ্য আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। ইংরেজী এত কঠিন না। আপনি নিজে বুঝতে পারলেই হবে। আর যদি ইংরেজী পড়তে ভালো না লাগে তাহলে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন। YouTube এখন এমন কোন বিষয় নেই যে যার উপর ভিডিও টিউটোরিয়াল নেই। সত্যিই আচার্যের বিষয়। সবাইকে বলব কোন বিষয় শিখার জন্য প্রথম আগে YouTube এ সার্চ দিতে। যদি YouTube না পাওয়া যায় তার পর গুগলের সাহায্য নিতে।
ফ্রীল্যান্সিং কাদের জন্য জানেন? হ্যাঁ, যারা স্বপ্ন দেখতে পারে তাদের জন্য। আর হচ্ছে যারা অলস বা ১০-৫টার ঘন্ডিতে যারা আবদ্ধ থাকতে চায় না তাদের জন্য। ফ্রীল্যান্সিং করে মজা পাবেন অনেক। আচ্ছা মজা পাবেন না কেন বলেন তো? আপনার ইচ্ছে হয়েছে আজ কক্সবাজার যেতে। আপনি আপনার বন্ধু বললেন চল আজ একটু ঘুরে আসি। অনেক দিন ঢাকায় থেকে মনের মধ্যে ঘুনে ধরে গেছে। বন্ধু একটা হাই তুলে বলল নারে দোস্ত আমার অফিসে অনেক কাজ পড়ে আছে। এখন গেলে বসের ঝাড়ি শুনতে হবে। কিন্তু আপনি একটু পাগলা টাইপের, যা বলেন তাই। তাই আপনার প্রিয় ল্যাপটপ আর মডেমটা নিয়ে ছুটছেন কক্সবাজারের দিকে। এ দিকে ফ্রীল্যান্সিং সাইটে আপনাকে হায়ার করছে একটা কাজের জন্য। তাই বাসে বসে বসে কিছু কাজ করে বাকিটা সী বিচ এ বসে কমপ্লিট করে দিলেন। আর টাকা গুলোও আপনার একাউন্টে জমা হলো। কি মজা কাজ আর ঘুরা এক সাথে করার। ওহ!! আবার কাজের মূল্যাও যদি আপনার বন্ধুর থেকে বেশি হয় তাহলে তো কথাই নেই। শান্তি আর শান্তি। আসলে এটা একটা গল্প হলেও বাস্তবও তাই। যারা ফ্রীল্যান্সিং করে তারাই এমন মজা করতে পারে।
আমি এমন অনেককে দেখেছি যারা তাদের প্রিয় চাকরি ছেড়ে ফ্রীল্যান্সিং শুরু করছে বা কিছু কিছু মানুষ আছে যারা কিছু দিনের মধ্যেই শুরু করবে।
মজা অনেক হলো। সত্যি সত্যি অনলানে কাজ করে অনেক ভালো করা যায়। অনেক ভালো। নতুন দের জন্য ছোট কয়েকটি কথা লেখার জন্যই এ পোস্টটা লিখছি।
যারা ফ্রীল্যান্সিং শুরু করতে চায় তাদের জন্য ভালো কোনটি হবে তাই সিলেক্ট করতে অনেকের কষ্ট হয়। কারন অনেক গুলো ভালো ফ্রীল্যান্সিং স্পট রয়েছে। একদম নতুন যারা তাদের জন্য ভালো হচ্ছে oDesk. এটা সম্পর্কে আমি এত জোর দিয়ে বলার কারন হচ্ছে আমি নিজেই। কারন অন্যান্য সাইটে আমি অনেক গুলো বিড করে একটা রেসপন্স ও পেলাম না। কিন্তু এখানে কয়েকটি বিড করেই আমি রেসপন্স সহ কাজ পেয়েছি। oDesk এর রয়েছে সুন্দর ন্যাভিগেশন। এত বেশি কঠিন না। সহজেই নিজের পছন্দ মত কাজ বেচে নেওয়া যায়। কাজ করলে পেমেন্ট এর ও কোন সমস্যা হয় না। তার উপর সবছেয়ে দারুন সুবিদা হচ্ছে ফ্রী স্কিল টেস্ট। যা দিয়ে নিজের যোগ্যাতা প্রমান করে সহজেই কাজ পাওয়া যায়। যেখানে অন্যান্য সাইটে স্কিল টেস্ট দেওয়ার জন্য ফী দিতে হয়।
ফ্রীল্যান্সিং এ আমার আগ্রহ ছিল না, আমি কেন ফ্রীল্যান্সিং শুরু করছি তা লিখছি ছোট একটি পোস্টে। তা পাবেন এখানে। হয়তো আপনাকে ও হেল্প করবে ফ্রীল্যান্সিং। এখানে লেখাটা প্রকাশ করতাম না যদি না বাংলাদেশে পিটিসি সাইট নিয়ে এত মাতামাতি না হত। কারন অনেকেই আয় করতে চায়। তাদের জন্য সুন্দর একটি গাইড লাইন তৈরি করতে চাই। যেন নিজেরাই নিজেদের ক্যারিয়ার তৈরি করে নিতে পারে। আর লেখা হত না যদি না আমি খুবি কম সময় oDesk এ 500 ঘন্টা না পূরন করতে পারতাম। হয়তো বাংলাদেশীদের মধ্যে আমারই সবচেয়ে কম সময় লেগেছে ৫০০ ঘন্টা করতে। আরেকটা কারন হচ্ছে আমি মজা পেয়েছি এবং পাচ্ছি। কোন চাকরি করলেও এত মজা পেতাম কিনা সন্দেহ।
আর যদি আপনার চাকুরির সন্মানের কথা চিন্তা করেন তাহলে ও ফ্রীল্যাঞ্চিং এর সন্মান কম না। কিছুদিন আগে আমি ভার্সিটিতে যাওয়ার পথে একটা প্রাইভেট কারে লেখা দেখলাম ফ্রীল্যাঞ্চ ব্যাঙ্কার লেখা। হয়তো কয়েক দিন পর আরো বেশি দেখব এমন ফ্রীল্যাঞ্চ প্রোগ্রামার, ফ্রীল্যাঞ্চ ওয়েব ডেভলপার। আর অনলাইনে কিন্তু ফ্রীল্যাঞ্চার মার্কেটিং ম্যানেজারদের অবস্থান খুব দৃঢ়। কারন মার্কেটিং করার সবছেয়ে ভালো এবং আধুনিক হাতিয়ার হচ্ছে ইন্টারনেট। আর সার্চ ইঞ্জিন অফটিমাইজাররা এখানে নিজেদের জায়গা খুব ভালো ভাবেই করে নিতে পারছে।
এত কিছুর পর ও আমার কষ্ট লাগে যখন দেখি প্রতিবেশিরা প্রতারিত হয়। প্রতারিত হয়, বন্ধুরা প্রতারিত হয় পুরো বাংলাদেশ। আশা করি যাদের ফ্রীল্যান্সিং এর দিকে আগ্রহ আছে তারা কোন দিকে চোখ না দিয়ে শুরু করবেন। শুরু করলেই হবে। আর যদি চিন্তা করেন যে কাজ পাওয়া অনেক কঠিন, আমি কাজই জানি না, না জেনে কি ভাবে শুরু করব। যারা জানেন না তারাও যদি ফ্রীল্যান্সিং সাইটে নিয়মিত ঘুরেন তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার কি শিখা উচিত। তখন নিজের থেকেই শিখার একটা আগ্রহ জন্মাবে, আর শিখার পর কাজ শুরু করতে পারবেন। ঠিক আছে প্রথম প্রথম কাজ পাওয়া কঠিন। কিন্তু তাই বলে বসে থাকলে তো হবে না। যারা আজ নতুন তারাই তো কাজ করেই পুরাতন হয়। তাই আপনি ও কাজের জন্য বিড করা শুরু করুন দেখবেন কত সহজেই কাজ পাওয়া যায় আর আপনি ও একজন সফল ফ্রীল্যান্সার হতে পারবেন।
সবার জন্য শুভ কামনা। সবাই যেন নিজ নিজ স্বপ্ন পূরন করতে পারে। আর আপনি যদি ফ্রীল্যান্সার হতে চান তাহলে দোয়া করি আপনি যেন একজন সফল ফ্রীল্যান্সার হতে পারেন।
আমি জাকির হোসাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 224 টি টিউন ও 1487 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
পৃথিবীতে অল্পকয়েক দিনের জন্য অনেকেই আসে, হেঁটে খেলে চলে যায়। এর মধ্যে অল্প কয়েক জনই পায়ের চাপ রেখে যায়।ওদের একজন হতে ইচ্ছে করে। প্রযুক্তির আরেকটি সেরা ব্লগ টেকটুইটস। আপনাদের স্বাগতম, যেখানে প্রতিটি বন্ধুর অংশ গ্রহনে গড়ে উঠেছে একটি পরিবার। আপনাদের পছন্দ হবে আশা করি। ফেসবুকে আমি - ?জাকির!
thanks brother