টেকটিউনস এ আমার প্রথম টিউন এটা। যা ই লেখতে যাই মনে হয় ওটা তো আগেই লেখে ফেলছে ওটা আর কি লিখবো। এটা নিয়েও কেউ লেখছে কিনা জানি না। তাও লিখে ফেললাম। লেখালেখির অভ্যাস নাই একদম।খারাপ হলে আবার বকা দিয়েন না। 😀 , তবে গঠনমূলক সমালোচনা কে সাধুবাদ জানাই।আসুন টিউনে প্রবেশ করি-
ফ্রিল্যান্স কাজ করতে গেলে বেশিরভাগ মানুষের ই যে সমস্যা দেখা যায় তা হলো তাদের প্রোফাইল নিয়ে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা, প্রোফাইল ১০০% না করা পর্যন্ত কেউ বিড ও করে না এমন মানুষ ও আছে। আর কাজ নিয়ে তো ৯৫ ভাগ মানুষ সমস্যায় থাকেই। কিন্তু একটা গুরুত্তপূর্ন জিনিস যেটা নিয়ে কাউকে কখনো প্রশ্ন করতে দেখি ও নাই শুনি ও নাই, কোথাও আলোচনা ও করতে দেখি নাই সেটা হলো ক্লাইট হ্যান্ডলিং। যদি ও বেশির ভাগই কন্ট্রাকটর রা ই বিগিনিং লেভেলে তাই তারা আগে কাজ পাওয়া নিয়ে ই ব্যস্ত। পরবর্তিতে হয়তো এটা নিয়ে তারা ভাবতেন/প্রশ্ন জাগতো। যাই হোক মূল আলোচনায় আসি,
ক্লাইন্ট হ্যান্ডলিং এর গুরুত্ত তারা বুঝে যারা ৫ ডলার দিয়ে কাজ শুরু করছে তারপর ১০০০ ডলার পার হয়ে গেছে কিন্তু কাজ আর শেষ হয় না। তাদের কাজটা কিন্তু ছিল ৫/১০ ডলার এর ফিক্সড জব, অনগোয়িং ও না, তাহলে প্রশ্ন ১০০০ ডলার এর কাজ করলো কিভাবে ? আসল ব্যাপারটা সবাই জানেন, সেটা হলো ক্লাইন্ট কন্ট্রাকটর এর কাজ , কন্ট্রাকটর এর ব্যবহার ইত্যাদি বিষয় পছন্দ করার কারনে নিয়মিত তাকে জব দেয়/মান্থলি কোন জব দেয়। যারা সবসময় ফ্রিল্যান্স জব করে তাদের কাছে মান্থলি ফ্রিল্যান্স জব পাওয়া অনেকটা আরামদায়ক এবং সবাই এটা প্রত্যাশা করে যে সে একটা মান্থলি/অনগোয়িং বড় একটা জব পাবে। সেক্ষেত্রে কি কি করনীয় আসুন তা একবার দেখে নিই। এসব কোনটাই নিয়ম নয়। কিন্তু এসব করলে পজেটিভ ফল অবশ্যই পাবেন।
১. ডেডলাইন কখনো মিস করবেন না ; [এক্ষেত্রে করনীয় হলো যা সময় লাগবে তার থেকে ২/৩/৪ দিন সময় বেশি নেয়া , সম্ভব হলে দিগুন সময় নেয়া]।
২. ক্লাইন্টকে এর সাথে মেইল/ওডেস্ক মেসেজিং বেশি না করে স্কাইপ এ এড করে নিন/তাকে বলুন এড করতে। এতে কমুনিকেশন ভালো হয়। সম্পর্ক ও ভালো থাকে।
৩. যা কাজ দিবে শুধু সেটুকু ই করে বসে থাকবেন না, সময় থাকলে অন্যজিনিসগুলার দিকে নজর দিন। যেমনঃ আমিএকটা এসইও এর কাজ করতে গিয়ে সাইটে বেশ কিছু বাগ পেলাম, আমি সেটা বায়ার কে নোটিশ করি, এসইও এর কাজ শেষে বায়ার আমাকে বাগ গুলা ফিক্স করতে বলে এবং ভালো মানের একটা বোনাস দেয়। এবং কাজ টা ইন্ড না করে তার সাইটের অভারঅল ম্যাইটেনেন্স এর দায়িত্ত আমাকে দেয়।
৪. কখনো আপ-ফ্রন্ট আগে চাবেন না। ক্লাইন্ট এর রিকোয়ারমেন্ট মনযোগ দিয়ে শুনুন, সমস্যা থাকলে আলোচনা করুন, সবকিছুর শেষে তাকে আপফ্রন্ট এর কথা বলুন (যদি দরকার না থাকে তাহলে বলার দরকার নাই অথবা যদি নতুন বায়ার হয় তাহলে বলুন)।
৫. আমি কখনো ক্লাইন্ট কে বলি না যে তোমার কাজের এখানে সমস্যা হচ্ছে/ এখানে কাজ হচ্ছে না, সবসময় বলি এটা করলে আমাদের ভাল হবে। এতে সে বুঝে যে কাজটা আমি নিজের মনে করে করতেছি। (এটা ইম্পর্টেন্ট না তবে আমার কাছে কেন জানি গুরুত্তবহন করে)।
৬. যেকোন মেইল/মেসেজ এর রিপ্লাই যতদ্রুত সম্ভব দিন। যত লেট করবেন সে তত বিরক্ত হবে। কারন আপনি রিপ্লাই দিলে তাকে ও আপনার উত্তর এর উপর ভিত্তি করে রিপ্লাই দেয়া লাগতে পারে।
৭. কখনো যদি কোন কাজ করতে আংশিক/সম্পূর্ন ব্যর্থ হোন তাহলে সাথে সাথে ক্ষমা চেয়ে নিন। এবং সেজন্য যদি কোন পেমেন্ট নিয়ে থাকেন তা ফেরত দিন। তাতে বায়ার খুশি হবে।
৮. কখনো ও এমন কাজ করবেন না যাতে বায়ার এর চেহারা নিচের ছবির মতো হয়। 😛
৯. বেশির ভাগ ক্ষেত্রে টাকা পয়সা নিয়ে বায়ার দের সাথে বেশি লাগে ; এব্যাপারে সচ্ছ থাকুন।
১০. কন্টাক্ট শেষ হলেই যোগাযোগ এর রাস্তা চিরতরে বন্ধ করে দিবেন না। সময় সুযোগ হলে তাদের নক করবেন / মেইল ও করতে পারেন। (ইম্পর্টেন্ট)।
১১. প্রতিটা কাজ কনফিডেন্স নিয়ে করুন। বায়ার কে সবকিছু সম্পর্কে অবহিত করুন যে আপনি কি কি করতেছেন। তাতে সে বুঝবে যে আপনি কি পরিমান কাজ করছেন এবং সে অনুপাতে আপনাকে পেমেন্ট দিবে, আপনাকে কিছু বলতে হবে না (যদি পেমেন্ট আগেই ফিক্সড না থাকে)।
১২. সব সময় কাজের কথা না বলে, দুজন ই ফ্রি থাকলে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করতে পারেন, এটা অনেক কাজে দেয়। তবে কখনো কোম্পানীর হয়ে কাজ করে এমন বায়ার কে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করবেন না। তাইলে শেষ , 🙁
আজ আর মনে আসছে না। এটা নিয়ে পরবর্তিতে আবার লেখবো ইনশাল্লাহ এবং খুব তাড়াতাড়িই ... আর এগুলা আমার সম্পূর্ন ব্যক্তিগত অভিমত। ভুল জায়গায় ভুল ইউজ করে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে আমি দায়ি থাকবে না।
আমার এক বায়ার ট্রাভেলার। তাকে আমি বাংলাদেশের ভালো ভালো জায়গার (কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন, নীলগিড়ি, বগালেক, ফয়েজলেক, মহাস্থানগড়, সৃতিসৌধ, সুন্দরবন ইত্যাদি ) অনেক ছবি দেখিয়েছি অনেক খাবার , পিঠার ছবি ও দেখিয়েছি, সে এবং তার কয়েক জন বন্ধু এখন বাংলাদেশে আসতে অনেক আগ্রহী। এতে আমার কোন আর্থিক লাভ হয় নাই, কিন্তু তারা আসলে আমার দেশ কিছুটা হলেও লাভবান হবে। সবসময় সবকিছু শুধুমাত্র অর্থের জন্য করবেন না। মানসিক শান্তি এবং আমাদের দেশের জন্য ও কিছু করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মেহেদী হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 117 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
http://www.dhrubohost.com, ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন, বাজেট ওয়েব হোস্টিং, বিজনেস ওয়েব হোস্টিং, রিসেলার হোস্টিং, ভিপিএস এবং SSL সার্টফিকেট প্রোভাইডার। ফেসবুকে পাবেনঃ https://fb.com/DhruboHost, হটলাইন : +88 01795 470074
উহ, এইমাত্র দেখলাম আপ্নিই হলেন মেহেদি, কিন্তু যা বলার তা বলে দিয়েছি। আপনি আপনার ব্লগের seo অনেক খারাপ করে দিচ্ছেন । আর আমিও চুরি করা ভেবে, হুম। কোন BACKSPACE নাই টেকটিউন্সে।