উইন্ডোজ সিস্টেম ব্যবহারকারীরা হয়তো ক্লিপবোর্ডের নাম শুনে থাকবেন। আপনি প্রতিবার যখন Ctrl (কন্ট্রোল) + C চেপে কোনো ছবি, ফাইল, ডকুমেন্ট বা টেক্সট কপি করেন, সেটি সঙ্গে সঙ্গে আপনার ক্লিপবোর্ডে জমা হয় এবং সাময়িকভাবে সংরক্ষিত থাকে। আবার যখন Ctrl (কন্ট্রোল) + V চেপে সেটি পেস্ট করেন সেটি এই ক্লিপ বোর্ড থেকেই পেস্ট হয়।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা এক্সেল ব্যবহার করার সময় সাধারণত ২৪টি ক্লিপ (কপি করা টেক্সট/প্যারাগ্রাফ/বাক্য) সংরক্ষিত থাকে ক্লিপবোর্ডে। আর এছাড়া অন্যান্য ফাইল, ডকুমেন্ট বা ছবির ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার কপি না করে পেস্ট করার কোনো উপায় নেই। অর্থাৎ আপনি যদি পর পর তিনটি জিনিস কপি করেন এবং Ctrl (কন্ট্রোল) + V চাপেন তবে আপনি সবশেষে যেটি কপি করেছিলেন (মানে তৃতীয়টি) সেটি পেস্ট হবে। এখন যদি আপনার পূর্বে কপি করা (প্রথম এবং দ্বিতীয়টি) প্রয়োজন হয় তখন কী করবেন?
আপনি আপনার উইন্ডোজ ক্লিপবোর্ডের পুরো ফায়দা উঠাতে পারেন ছোট্ট একটি ফ্রিওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে; যার নাম, ক্লিপএক্স (ClipX)।
ক্লিপএক্স নামের ফ্রিওয়্যারটি আপনি ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এটি অত্যন্ত কার্যকরী এবং সত্যিকারর্থেই উপকারী একটি ফ্রিওয়্যার যা ব্যবহার করে আপনি আপনার ক্লিপবোর্ডের উপর রাখতে পারবেন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। ক্লিপএক্স আপনার কপি করা প্রতিটি ছবি, ফাইল, ডকুমেন্ট ও টেক্সট হিস্ট্রিতে জমা রাখে। আপনি আপনার প্রয়োজন মত এই হিস্ট্রি থেকে যেকোন কপি করা উপাদান যেকোন অ্যাপলিক্যাশনে ইনসার্ট করতে পারবেন।
তবে সেজন্য অবশ্যই ক্লিপএক্স (ClipX) রান করতে হবে এবং হিস্ট্রি Enabled রাখতে হবে (ছবি দ্রষ্টব্য)। ক্লিপএক্সে কনফিগার অপশনের মাধ্যমে আপনি কতগুলো কপি সংরক্ষিত রাখতে চান, কী ধরনের ফাইল (শুধু টেক্সট, শুধু ফাইল অথবা উভয়ই) কপির হিস্ট্রি সংরক্ষণ করতে চান ইত্যাদি বিষয় নির্ধারণ করতে পারবেন। সাধারণত ডিফল্ট অবস্থায় ক্লিপএক্স ১০২৪টি পর্যন্ত কপি সংরক্ষণ করে থাকে।
ক্লিপএক্স রান করার পর আপনি যেকোন টেক্সট ফাইল, ওয়ার্ডফাইল বা অন্য কোন ফাইলে থাকাকালীন হটকী Ctrl+Shift+V চাপলে পূর্বে কপি করা কোনো ফাইল, টেক্সট বা প্যারাগ্রাফ এর ম্যেনু পেয়ে যাবেন।
সেখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয়টি ইনসার্ট করতে পারবেন। তবে আপনি চাইলে configure এ গিয়ে এই হটকী পরিবর্তনও করতে পারেন।
তাছাড়া আপনার সিসট্রে (সিসটেম ট্রে, টাস্কবারের ডান পাশে, স্টার্ট বাটনের উল্টোদিকে) তে ক্লিপএক্সের একটি আইকন দেখতে পাবেন। পূর্বে কপি করা কোনো ফাইল বা টেক্সট পুনরায় পেস্ট করার প্রয়োজন হলে সিসট্রে থেকে ক্লিপএক্স এর আইকনের উপর ক্লিক করলেই আপনি সাম্প্রতিক সময়ে কপি করা ফাইলের তালিকা পাবেন। সেখান থেকে প্রয়োজনমতো ফাইল বা টেক্সট এর উপর ক্লিক করে তারপর যথাস্থানে স্বাভাবিক নিয়মেই পেস্ট করতে পারবেন।
ক্ষুদ্র তবে অসাধারণ কার্যকর এই ফ্রিওয়্যারটির সঙ্গে ব্যবহারের জন্য রয়েছে অতিরিক্ত কিছু প্লাগ-ইন; যা ব্যবহার করে আপনি এর কর্মপরিধি আরো বাড়াতে পারবেন। বেশকিছু প্লাগইন ডাউনলোড করার লিঙ্ক পাবেন ক্লিপএক্স এর হোমপেজে। প্লাগ-ইন কিংবা মূল ফ্রিওয়্যার (ক্লিপএক্স) ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে।
আমি মো. আমিনুল ইসলাম সজীব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 83 টি টিউন ও 201 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 7 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ক্লিপএক্স (ClipX) ডেভেলোপারদের জন্য খুবই সহায়ক একটি টুল। কারণ কোড স্নিপিট রিইউজ করার ক্ষেত্রে Clipx বন্ধুর মত কাজ করে। আর যারা ওয়ার্ডে অনেক বেশি কাজ করে বা ব্যববহার করে তাদের জন্যও নিঃসন্দেহে একটি সময় বাঁচানো একটি ইউটিলিটি।
সজীব ভাই অনেক দিন পর টিউন করলেন আর এসেই ফাটাফাটি টিউন।অনেক ধন্যবাদ অনেক কাজের একটি সফট