CT Scan MRI Scan কি এবং কেন

টিউন বিভাগ নির্বাচিত
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

CT Scan এবং MRI (কিম্বা NMRI) Scan এই দুটি নামের সাথে আমরা অনেকেই কম বেশি পরিচিত। পরিচিত কিম্বা পরিবারের কারো অসুখে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক আর হাসপাতালে এই দুটির নাম আমরা দেখেছি ও শুনেছি অনেকবার। কিন্তু কি এই CT Scan, আর কিই বা MRI Scan? X-Ray কি সেটা আমরা ইতিমধ্যেই জানি, এর দ্বারা চিকিৎসা বিজ্ঞানে শরীরের বিভিন্ন অসুস্থ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ছবি নেওয়া হয়ে থাকে, এয়ারপোর্টে আমাদের মালপত্রের স্ক্যান হয় ইত্যাদি অনেক ব্যবহার হয়। CT এবং MRI এই দুটিও ছবি তোলার মাধ্যমেই আমাদেরকে দেয় X-ray থেকে আরও উন্নত মানের ছবি যাতে আমরা আরও বিবরনসহ আমাদের কাঙ্খিত বস্তু দেখতে পাই। Author Ria, akashprodip.wordpress.com

< !- Author Ria, Web akashprodip.wordpress.com ->

CT পুরো নামটি হচ্ছে Computed Tomography; মূলত এটি X-ray দিয়েই করা হয়, চিকিৎসা বিজ্ঞান ছাড়াও এর ব্যবহার হয় অন্যান্য অনেক বিষয়ের পরীক্ষানিরীক্ষায়। X-ray ছবি তোলার সময়ে ray পাঠানো হয় সরাসরি শরীরের মধ্যে দিয়ে এবং উলটো পারে থাকা ফিল্মের উপরে গিয়ে ছবি ওঠে। CT Scan সামান্য ভিন্ন ভাবে করা হয়, এখানে X-ray পাঠানোর সময়ে ray tube এবং x-ray film এই দুটির অবস্থান হেরফের করার মধ্যে দিয়ে শরীরের বিশেষ কিছু অংশের আরও পরিষ্কার ছবি আমরা পাই। স্বাভাবিক X-ray ছবি তোলার সময়ে ray tube, মানবদেহ কিম্বা x-ray ফিল্ম কোনোটিরই অবস্থান বদল করা হয়না। কিন্তু CT Scan করার সময়ে টিউব এবং ফিল্মের (ডিজিটাল সেন্সর) অবস্থানের পরিবর্তন এমনভাবেই করা হয় যাতে মানবদেহের কাঙ্খিত অংশটিই কেবল পরিষ্কার ভাবে ছবিতে ধরা দেবে, শরীরের অন্যান্য অংশ আবছা ভাবে দেখা দেবে। এই পরিষ্কার করা, আবছা করার ব্যাপারটা নির্ভর করে কিভাবে টিউব এবং ফিল্ম সেন্সরের অবস্থান পরিবর্তন করা হল তার উপরে। আধুনিক যুগের CT Scan হয় টমোগ্রাফিক রিকন্সট্রাকশান সফটওয়্যার দিয়ে, কমপিউটারের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল জিওমেট্রি প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে 3D ছবি আমরা পাই, সমস্ত algorithm প্রসেসিং হয় কমপিউটারের মাধ্যমে। আপনারা যারা এই যন্ত্র দেখেছেন, তারা নিশ্চয় জানেন যে এক্ষেত্রে একটি যন্ত্রাংশ বিভিন্ন দিকে ঘুড়ে ছবি তুলে নেয়। এর দ্বারা অনেকগুলি 2D x-ray ছবি নেওয়া হয়, সেইগুলিকে প্রসেসিং করেই পরে কমপিউটারের মাধ্যে তৈরি হয় 3D ছবি। CT Scan'এর নাম অনেক আগে ছিল EMI Scan, পরে তার নাম হয় CAT/CT Scan (CAT - computed axial tomography); এই স্ক্যান করার আগে রোগীকে নির্দিষ্ট মাত্রায় একটি রাসায়নিক ইঞ্জেকশান দেওয়া হয় যাকে বলে contast agent। নিচে CT Scanner যন্ত্রের ছবি (যন্ত্রের কভার সরিয়ে, ছবিটি নেওয়া হয়েছে উইকিমিডিয়া থেকে)

< !- Author Ria, Web akashprodip.wordpress.com ->

Ct-internals

এবারে আসি MRI প্রসঙ্গে। Magnetic resonance imaging (MRI) বা Nuclear magnetic resonance imaging (NMRI) আরও সূক্ষ্ম ছবি তুলে নিতে সাহায্য করে। এর contrast power আরো বেশি হওয়ার ফলে শরীরের অত্যন্ত নরম টিস্যুগুলোর ছবিও এতে ধরা পড়ে অনেক স্বচ্ছতার সঙ্গে। এই স্ক্যান সাধারনভাবে ব্যবহার হয় নিউরোলজি, মাংসপেশী, হার্ট এবং ক্যানসারের ইমেজিংয়ের ক্ষেত্রে যেখানে ডাক্তারদের প্রয়োজন পড়ে মানবদেহের অনেক সূক্ষ্ম অংশের ছবি। CT Scan'এর মতো এক্ষেত্রে কোনো contrast agent দেওয়া হয়না। তবে, যদি ডাক্তাররা মনে করেন, তাহলে অতি অল্পমাত্রায় কিছুটা রাসায়নিক তারা দেন, তবে সেটা রক্তকনিকার রঙে সামান্য পরিবর্তন আনার জন্য। এক্ষেত্রে অতিশক্তিশালী চুম্বকশক্তি দিয়ে মানবদেহে জলের অস্তিত্বের হাইড্রোজেন কণাগুলিকে বিভিন্নভাবে এঙ্গেল করে ছবি নেওয়া হয়। রেডিও ফ্রিক্যোয়েন্সি দ্বারা এই এঙ্গেল নির্ধারন করা হয়ে থাকে। এই রেডিও ফ্রিক্যোয়েন্সি হাইড্রোজেন পরামাণুর উপর দিয়ে গেলে একটি ঘূর্ণায়মান চুম্বকশক্তির বলয় সৃষ্টি হয় যেটা এই স্ক্যানার ধরে ফেলার ক্ষমতা রাখে। নিঃসন্দেহে ব্যাপারটা অনেক জটিল, কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে ডাক্তাররা পেয়ে যাচ্ছেন মানবদেহের বিভিন্ন সূক্ষ্ম অংশের এমন এমন ছবি যা সাধারন দৃষ্টিতে দেখাই সম্ভব হবেনা। MRI স্ক্যানের বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে। নিচে এই স্ক্যানার যন্ত্রের কার্যপ্রনালীর দুটি ছবি।

< !- Author Ria, Web akashprodip.wordpress.com ->

mri-scanner

mri-scanner < !- Author Ria, Web akashprodip.wordpress.com ->

যারা আরো বিশদে জানতে ইচ্ছুক, তারা উইকিপেডিয়া পাতাগুলিতে এর সম্বন্ধে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন। Author Ria, akashprodip.wordpress.com

Level 0

আমি রিয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 96 টি টিউন ও 362 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

জীবনের সব ভুল, যদি ফুল হয়ে যায়... জীবনের সব কালো, যদি আলো হয়ে যায়...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ধন্যবাদ আপনাকে। এমন একটি বিষয়ের উপর টিউন করার জন্য।

আমি সামান্যই চেষ্টা করেছি। তবে টেকটিউনসে এইসব বিষয়ের লেখার প্রতি উৎসাহ নেই বেশিরভাগ পাঠক/টিউনারের। প্রযুক্তি বলতে ৯৫% টিউনার আশা করেন কমপিউটার এবং ইন্টারনেট বিষয়ের লেখা। এর বাইরে খুব জোর মোবাইল পর্যন্ত গিয়েই প্রযুক্তির শেষ। এইসব ছাড়াও প্রযুক্তির কতো কিছু যে আছে, আমি ভেবেছিলাম সেইসব লিখবো, কিন্তু পাঠকদের আশা আকাঙ্খার বাইরের লেখা লিখেই বা কি লাভ? কেবল পরিশ্রমই বাড়বে, কেউ উৎসাহী হবেনা পড়তে। অন্য দুই একজন টিউনারও লিখতে চেষ্টা করেছিলেন অন্যান্য বিষয়ে। সাড়া মেলেনি একেবারেই। তারা লেখাই ছেড়ে দিয়েছেন।

আপনি মেডিক্যাল প্রফেশনালদের সুন্দর করে বুঝিয়ে লেখার কথা বলছেন? অবস্থা দেখলে তারাও লিখতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। আমি চেষ্টা করলাম সোজা করে লিখতে, এইসব তো আমাদের নানা কারনে দরকার পড়ে, তাইনা? সামান্য ধারনা থাকা ভাল! এই ভেবেই লেখা। কিন্তু…

Madam A+ Grade Tune. সবাই না আশা করোক তবে আমি এবং আমার মত যারা আছে তারা সবাই এই ধরনের টিউন খুবই পছন্দ করে। কম্পিউটার রিলেটেড টিউন পড়তে পড়তে এক ঘয়েমি শুরু হয়ে গছে । এবার কিছু ভিন্ন স্বাদ চাই।

[বি.দ্র. যদিও বিষেশ কিছু কারনে আমি কমেন্ট কার থেকে বিড়ত আছি তার পরও আপনার এই ভিন্ন ধারার টিউন এবং হতাশা জনক মন্তুব্যর করনে কমেন্ট না করে পারলাম না। ]

এধরনের টিউন সত্তিকারে প্রশংসার দাবিদার।আমরা ভুলেই গেছি যে এগুলোও প্রযুক্তির বড় অংশ। রিয়া আপু আপনাকে ধন্যবাদ দেবার ভাষা খুজে পাচ্ছি না।

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর টিউনের জন্য। আমার একবার পড়ে গিয়ে ব্যাথা পাইিলাম তখন আমার কমরে এস.আর.আই স্ক্যান করেছিল।

রিয়া আপু ডোমেইন কিনেই ফেললেন

সুন্দর পোষ্ট। অনেক কিছু শিখলাম।

Level 0

রিয়া আপু ,
আপনাকে আনেক আনেক ধন্যবাদ
এমন জটিল টিউন করার জন্য।

    রিয়া আপু,
    ধন্যবাদ CT Scan, MRI এসবই সাধারন মানুষের চিন্তা ও পরীক্ষা করার ক্ষমতার বাইরে, আমাদের সাধারন মানুষের নাগালের সব
    সব তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করলে অবশ্য আরও ভাল হত।আশা করি লিখবেন।
    তারপরও বলব গ্রাফিক্স সুন্দর ও উপভোগ্য হয়েছে।

    মাসুদ, ধন্যবাদ। আসলে কি জানেন, সাধারন মানুষের নাগাল বলতে একেবারেই কমপিউটার সংক্রান্ত ব্যাপারেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে টেকটিউনস। সেইজন্য একটু ভিন্ন কিছু লিখে দেখছিলাম। একটু অন্যভাবে যদি দেখেন, CT Scan/MRI ইত্যাদি কিন্তু নানা অসুখে সাধারন মানুষের জীবনের সাথে জরিয়েই আছে, আমরা শুধু সেগুলিকে চিনতে চাইছিনা।

    যদিও “প্রযুক্তি”/”tech” বলে দাবী করছি, তবুও প্রযুক্তিকে কেবলই কমপিউটারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ দেখতে চাইছি আমরা। কেন? আমি মডারেটারদের ধন্যবাদ জানাবো এই লেখাকে স্টিকি করার জন্য। প্রযুক্তির আরো অন্য অনেক দিক আছে যা আমাদেরকে জানতে হবে, এগিয়ে চলতে গেলে সেইসবকে উপেক্ষা করলে চলবেনা। অন্যান্য দেশ কি হারে এগিয়ে গেছে, আর আমরা কি শুধুই কমপিউটার আর মোবাইলেই পড়ে থাকবো?

সকলের উদ্দেশ্যেই জানাচ্ছি: এই টিউনের বিষয়টা সামান্য জটিল মনে হতে পারে অনেকের কাছে। অনুরোধ করবো, তবুও উপরে উপরে একটু পড়ে নিন। যেকোনো দিন পরিবারের কারো অসুস্থতায় প্রয়োজন পড়তেই পারে, সেদিন ক্লিনিকে/হাসপাতালে দাঁড়িয়ে অন্তত মনে মনে ধারনাটুকু রাখতে পারবেন যে বন্ধ ঘরের ভিতরে আপনাদের প্রিয়জনের কি ধরনের চিকিৎসা চলছে। জটিল জিনিস হলেও যতোটা পেরেছি সহজ করে লিখতে চেষ্টা করেছি। আমি কিন্তু আমার নিজের ব্লগেও http://akashprodip.wordpress.com এই লেখাটা দিইনি, শুধুই টেকটিউনসের জন্যই লিখেছিলাম এটা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বলতে শুধুই কমপিউটার টিপস & ট্রিকস নয়, শুধুই মোবাইল গেজেট নয়, তাইনা? আমি জানি, আজ ঘরে ঘরে কমপিউটার, অনেক টেক এক্সপার্ট, সেটা ভালো কথা, কিন্তু সেখানেই কি শেষ? এইটুকুই কি হওয়া উচিৎ আমাদের প্রযুক্তির জগত?

Thanks a lot. nice post

আমার আব্বা গত ২০.০১.২০১০ তারিখ সেন্সলেস হয়ে যায়, সেন্স ফেরার পর থেকে খুব উত্তেজিত আচরণ করতে থাকে এবং আবুল তাবুল বকতে থাকে যার কিছুটাই বুঝিনা, বিছানায় চারপাঁচজনে চেপে ধরে রাখতে হয়।

হসপিটালে নিয়ে গেলে ডাক্তার সিটি স্ক্যান করাতে দেয়। যার রিপোর্ট নিম্নরূপ (কিন্তু আমরা এর কোনো মানে বুঝলামনা, ডাক্তারাও আমাদের খোলাখুলি কিছু বলেন নি) :

Cerebrum and cerebellum show normal sulcation.
No focal nor diffuse lesion is seen in brain.
Basal ganglia, internal capsule, external capsule, corpus callousm and thalamus appear normal.
Ventricles are mildly dilated more are posterior horns of both sided lateral ventricles.
Interhemispheric fissure is centered i midline.
Midbrain, pons and cerebellum appear normal.
There are no abnormalities in calvaria, exposed skull base and bony orbits.

বলতে পারবেন উপরোক্ত রিপোর্টের ব্যাখ্যা কি?। আব্বা এখন সুস্থ আছেন তবে ডায়াবেটিকটা একটু বেশি।

    রিয়া’পু যদি পারেন একটু ব্যাখ্যা করবেন।

    ভাই, আমি তো ডাক্তার নই, তাই সঠিক ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবোনা। তবে রিপোর্টে অস্বাভাবিক কিছুই তেমন নেই। যা আছে তার কারনে আপনার আব্বার ওইরকমের কোনো অসুস্থতা দেখা দেওয়ার কথা নয়। আমার যেটা মনে হয়, ডাক্তার কি ব্লাড ইউরিয়া চেকিং করেছিলেন? সম্ভাবনা আছে রক্তে ইউরিয়ার পরিমান বেড়ে গেলেই ডায়াবেটিস রুগীদের ক্ষেত্রে এমন অসুস্থতা দেখা দেয় মাঝেমধ্যে। সেইসাথে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকবে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে একটা পরামর্শ দিতে পারি, বিশেষভাবে নজরে রাখবেন কিডনীর কাজকর্ম ঠিকঠাক চলছে কিনা তার টেস্ট প্রতি ছয় মাসে যেন করানো হয়। ডাক্তারকে বলবেন, তিনিই তার প্যাডে লিখে দেবেন এই টেস্টের কথা। এতে সুবিধা এই যে ডায়াবেটিক রুগীদের ক্ষেত্রে অধিকাংশই কিডনীর বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, আগেকার দিনে এটা অনেক দেরীতে ধরা পড়তো বলে কিছুই করা যেতোনা। কিন্তু আজকাল কিডনী বিকল হওয়ার সম্ভাবনা আসার আগেই তা টের পাওয়া যাবে, এবং ঔষধেই সেটা ঠিক করা সম্ভব। এতে রুগীও সুস্থ থাকবেন, আপনারাও ভবিষ্যতে বিপুল পরিমানে কিডনীর চিকিৎসার ব্যায়ভার থেকে মুক্তি পাবেন। আব্বা কি ইনসুলিন নেন, নাকি ট্যাবলেট দেওয়া হয় ডায়াবেটিসের জন্য? নিয়মিত প্রতিমাসে ব্লাড গ্লুকোজ পরীক্ষা করাবেন, রক্তচাপ মাপাবেন অবস্থা বুঝে, প্রতি ১৫ দিনে কিম্বা ১ মাসে চেক করাবেন। আর যেটা বলেছি, বছরে দুইবার কিডনী ফাংশান টেস্ট। এতেই উনি সুস্থ থাকবেন।

    আপনার বাবা যেরকম আচরন করেছিলেন তাতে ডাক্তার সন্দেহ করেছিলেন যে উনি কোনো psychiatric disorder এ আছেন কিনা। কারন সেন্সলেস হওয়াটা অন্য কোনো কারন যেমন ব্রেনে গ্লুকোজ কমে জাবার কারনে হলেও সেন্স ফেরার পর তার আবোল তাবোল বলার কথা না। ব্রেনে কোন imbalance হলেই এরকম হওয়ার কথা। সেই কারনেই টেস্ট করতে দিয়েছিলেন। যেগুলোর নাম রিপোর্টে দেয়া আছে সেগুলো ব্রেনের অংশ যাদের এক এক্টির কাজ আলাদা। অগুলো বুঝাটা অনেক কঠিন। যাই হোক আসল যেটা তা হল আপনার বাবার ব্রেনে কোনো প্রব্লেম নাই। ব্রেনে গ্লুকোজ কমে যাওয়াতেই খুব সম্ভব এটা হয়েছিল। আপনার বাবা কি ইন্সুলিন নেন? যদি নিয়ে থাকেন, তাহলে ওবশ্যই তাকে ইন্সুলিন নেবার সর্বোচ্চ ৩০ মিমিটের মাঝে খেতে দিবেন, নাহলে গ্লুকোজ কমে গিয়ে hypoglycemic shock এ চলে জেতে পারেন। আর তার ওই রকম আচরনের কারন ছিল আতঙ্কজনিত।

আব্বা এখন ইনসুলিন নিচ্ছেন, আগামী শুক্রবার তার RBS টেস্ট করানো হবে। গত সপ্তাহে RBS 24.5, ইনসুলিন দেয়ার পর 10.5, দৈনিকই কমছে, বাড়ছে। BP 100-145। আপনার সুন্দর পরামর্শ গ্রহণ করলাম। অবশ্যই কিডনি টেস্ট করাবো।

ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন, সুন্দর পোস্ট দেবেন।

    ইনসুলিন যারা নেন, তাদেরই সামান্য মোটা হয়ে যাওয়ার ধাত থাকে, ভালো একজন ডায়েটিসিয়ানের কাছে গিয়ে খাদ্যের তালিকা বানিয়ে নিন। আব্বা পেট ভরেই খাবেন, কিন্তু কম ক্যালোরীর খাবারই শুধু খাবেন। BP যেটা ১০০ আছে ওটাকে কমাতেই হবে। উপরের ১৪৫ ডায়াবেটিক রুগীর ক্ষেত্রে ঠিক আছে, কোনো অসুবিধা নেই। ১০০’কে যদি ৮৫’তে নামাতে পারেন তাহলে ভালো হয়, এমনকি ৯০ মাঝে মাঝে বিপজ্জনক হতে পারে।

    আপনার বাবার কি এই BP তে অসুস্থবোধ করেন? যদি না করেন, তাহলে আমি বলবো BP থিক আছে। কারন বয়স হলে রক্তনালিকায় atherosclerotic change এর কারনে এম্নিতেই BP বেশী হয়। ৯০+ হতে পারে ডায়াস্টলিক। এটা পারসন টু পারসন vary করে। আসল যে কথা, তা হল উনি অসুস্থবোধ করেন কিনা। প্রধান লক্ষনগুলো হচ্ছে ঘাড়ের পেশী টেনে ধরা, অস্থির লাগা, ঘেমে যাওয়া ইত্যাদি

Level 0

@রিয়া: আপু , খুব প্রয়োজনিয় তথ্য জানলাম । টিউনটি করার জন্য আপনাকে ধন্যযোগ (ধন্যবাদ + ধন্যবাদ = ধন্যযোগ) ।