বেশ কিছুদিন আগে সস্ত্রীক নিউমার্কেটে কিছু কেনা কাটা করতে গিয়েছিলাম। নিউ মার্কেটের ভেতরে ক্রোকারিজের একটি মার্কেট রয়েছে। সেখানে চোখে পড়ল মাথার উপরে একটি বিশাল সাইজের প্লাজমা স্ক্রীন ঝোলানো। সেখানে কোন এক মেলামাইন কোম্পানির বিজ্ঞাপণ চলছিল। আমার স্ত্রী সেই বিজ্ঞাপণের একটি পণ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে কিনেই ফেললো।
এমন স্ক্রীন অনেক মার্কেটেই দেখা যায়। যেহেতু মিডিয়াটি ডিজিটাল, সে কারনে এ ধরনের মিডিয়াকে ডিজিটাল সাইনেজ (Digital Signage) বলা হয়। আর আমার এ লেখার অবতরণা এ ডিজিটাল সাইনেজ ঘিরেই।
ডিজিটাল সাইনেজ হচ্ছে এক প্রকার ডিজিটাল মিডিয়া যার মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট (Multimedia Contents) প্রদর্শণ করা হয় বিভিন্ন ভেন্যুতে। এটি ডাইনামিক সাইনেজ, ইলেক্ট্রনিক সাইনেজ (Electronic Signage) অথবা ন্যারোক্যাস্টিং (Narocasting) নামেও পরিচিত। ডিজিটাল সাইনেজ হতে পারে ছোট ডিস্পে থেকে বিশাল ডিস্পে পর্যন্ত।
এলইডি (LED) স্ক্রিন এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আউটডোর মিডিয়া এর পদযাত্রা শুরু হয়েছে অনেক আগের থেকেই। আনন্দ সিনেমা হল এর উপরে আরকে মাল্টিমিডিয়া এর বিশাল স্ক্রিন বাংলাদেশে আউটডোর ডিজিটাল সাইনেজ এর সর্বপ্রথম পদক্ষেপ। একটি কম্পিউটার এর মাধ্যমে চালিত এই ডিজিটাল ডিস্পে এখনও স্বগর্বে চলছে। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি ডিস্পে চালনা করা হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে।
বাংলাদেশের আউটডোর মিডিয়া জনপ্রিয় হলেও ইনডোর এর ক্ষেত্রে এটি সম্পূর্ন বিপরীত। দোষ মিডিয়ার নয়, দোষ আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঠিক পরিচালনা। অনেক প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিসরে চেষ্টা চালিয়েছেন। চাপিয়ে দিয়েছেন চড়া মূল্যের মাসিক ভাড়া। কারন তাদের ডিস্পে এর মূল্য। অথচ মার্কেটে রয়েছে স্বল্পমূল্যের এবং অনেক এডভান্সড টেকনোলজির ডিস্পে। সঠিক পরিচালনার অভাবে সে সকল প্রতিষ্ঠানগুলো হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ডিসপ্লে হিসেবে প্লাজমা টিভি (Plasma TV) ব্যবহার করা হচ্ছে। যা একদিকে যেমন অধিক মূল্যের আবার অন্যদিকে হিসেব করলে এর কোয়ালিটি আবার বেশ ভাল। কিন্তু একটু কম কোয়লিটির এলসিডি প্লেয়ার (LCD PLAYER) বর্তমানে বিশ্ব বাজারে পাওয়া যাচ্ছে অর্ধেকেরও কম দামে।
একটি প্লাজমা টিভির সাথে ইনপুট হিসেবে একটি কম্পিউটার অথবা একটি প্লেয়ার এবং সাউন্ড এর জন্য একটি স্পিকার প্রয়োজন (কিছু কিছু প্লেয়ার এ বিল্টইন স্পিকার ও থাকে)। যে ডিস্পে নিয়ে আলোচনা করবো তার সাথে রয়েছে বিল্টইন স্পিকার এবং ইনপুট হিসেবে সিএফ কার্ড (CF Card = Compact Flash Card) ব্যবহার করা হয়। এ ডিসপ্লের নাম ডিজিটাল এডভার্টাইজমেন্ট প্লেয়ার (Digital Advertisement Player)।
ডিজিটাল এডভার্টাইজমেন্ট প্লেয়ার এর চালনা খুবই সহজ। কার্ড রাইটার (Card Writer) এর মাধ্যমে কার্ডটিতে কম্পিউটার থেকে প্রয়োজনীয় ভিডিও, অডিও, ইমেজ কপি করে, সেই কার্ডটি ডিস্পেতে স্থাপন করে দিলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা চালু হয়ে যায়। কখন ডিস্পেটি অন হবে এবং কখন অফ হবে তা আগের থেকেই বলে দেওয়া যায়, যার কারনে অন/অফ করার জন্য কোন লোকের প্রয়োজন হয়না। যদি লোড শেডিং হয় তাহলে যে বিজ্ঞাপনটি প্রচার করার সময়তে গিয়ে লোডশেডিং হয়েছে, ইলেকট্রিসিটি আসার সাথে সাথে সেই বিজ্ঞাপণ থেকেই চালু হয়। এছাড়া এর রয়েছে আরো অনেক ফিচার।
কেউ যদি অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর ব্যবসা করতে চান অথবা কেউ তার দোকান, সুপার সপ এমনকি বাসে, লিফ্ট এ ডিস্পে লাগাতে চান, ডিজিটাল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট প্লেয়ারই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ডিস্পে।
ডিজিটাল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট প্লেয়ারএ নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে সম্পূর্ন ডাইনামিক ভাবে নিউজ, আবহাওয়ার সর্বশেষ খবরাখবরসহ আরো অনেক কিছূ দেখানো যায়। এসব বিষয় নিয়ে পরবর্তী কোন প্রতিবেদনে আলোচনা করবো। তবে এ বিষয়য়ে তথ্যউৎসাহীরা যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭১৩০৮১৭২০ মোবাইল নম্বরে।
কে এম মাহমুদ হাসান
ইমাজিন টেকনোলজীস বিডি প্রাইভেট লিঃ
আমি মাহমুদ হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
নতুন কিছু জানলাম …… আপনাকে টেকটিউনসে স্বাগতম