সারা পৃথিবীজুড়ে চলছে গরিবের উপর ধনীদের অত্যাচার, উন্নত বিশ্বগুলো চালাচ্ছে উন্নয়ানশীল দেশগলোর উপর বঞ্চনার স্টিম রোলার। প্লেটের ভাত যারা কেড়ে নিচ্ছে, যারা সন্ত্রাসী ধমনের নাম করে মেরে যাচ্ছে বেসামরিক মানুষ, যারা কেড়ে নিচ্ছে শিশুর ভবিষ্যত তারা আর যাই হোক কারো বন্ধু হতেই পারেনা।
বাংলাদেশের মত উন্নয়ানশীল রাষ্ট্রগুলোর কোন ক্ষমতা নেই এই সকল অবিচারের প্রতিবাদ করার, নেই তাদের হুশিয়ারী করার মত পথ, নেই তাদের কোনভাবে আটকানোর রাস্তা।
পৃথিবীর বহুদেশ আর হারিয়েছে নিজেদের অস্তিত, নেই মানচিত্রে তাদের নিজস্ব ভুমির আয়তন, নেই এটা আমার দেশ বলার মত ভুমি। যেখানে মাথার উপরে আকাশ হয় তাদের চাদ, যেখানে মৃত পশুর পচাঅংশ হয় শিশুদের আহার, যেকানে কোন মাকে উজ্জত ডাকতে বেচে নিতে হয় ছালার বস্তা।
নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার হচ্ছে দেখে নিজেকে যিনি ঠিক রাখতে পারলেন না, যিনি বসে গেলেন একাই বানাতে লেগে গেলেন এক নতুন কোডিং ট্যাগ, এক নতুন বোমা, এক নতুন স্বপ্ন, একটি নতুন আকাশ, একটি নতুন প্রহর।
জানেন তো সেই বোমার নাম কি? জানেন তো সেই বোমা কার হাতেই তৈরী শুরু হয়েছে?
তার তৈরী বোমার নাম- উইকিলিকস
বোমাটির কাজ - চাপা পড়া সত্য বের করে আনা
সেই কোডিং ট্যাগটি হচ্ছে -
আপনি কোন দিন পারবেন না নিরীহ মানুষের হাসি পিরিয়ে দিতে, পারবেন না যা তারা হারিয়েছে তা পুনরায় এনে দিতে, পারবেন না নবীনদের জন্য সুন্দরকরে পৃথিবী সাজাতে, আসলে অত্যাচারীরা আপনাকে দিবে না সেই সুযোগ।
চারদিক হতেই গরিব দেশগুলোকে ঘিরে রাখা হয়েছে, একটা কথা মনে রাখবেন চোরে চোরে মাসতুতো ভাই, যতই চিন কিংবা জার্মানী আমেরিকা কে বলুক না কেন যে, তোমরা অমুক দেশকে আক্রমন করলে আমরা তোমাদের চাড়বো না, আসল কথা হচ্ছে বিশ্ব যুদ্ধ লাগলে ক্ষমাতাশীল দেশগুলোই একত্র হয়ে পৃথিবীর বাকি দেশগুলো ভাগ করে দখল করে নিবে।
এক কথায় আমেরিকানদের থেকে আপনার আমার বাঁচার কোন রাস্তা নেই, সব স্থানেই তাদের হস্তক্ষেপ আছেই, আপনি আপনার দেশে একটা তেলের খনি পেলে তার ভাগ ও তাদের দিতে হবে, না হয় অল্প দামে তাদের কাছে বিক্রি করতে হবে, অপারগতা জানালে আপনার দেশে ইন্টারন্যাশনাল সন্ত্রাসী আছে বলে ড্রোন কিংবা বিমান হামলা চালিয়ে নীরিহ মানুষ হত্যা করবে।
আপনার কাছে কোন অস্ত্র আছে?যা দিয়ে ন্যাটো কিংবা আমেরিকান বাহিনীর সাথে লড়বেন? পারবেন কি নিজের শেষ সম্বল বাচাতে? পারবেন কি নিজের দেশের খনিজ সম্পদগুলো নিজেদের বলে দাবি করতে?
কোথ্থেকে পারবেন আপনি তো বড় কোন পারমানবিক পরীক্ষাও চালাতে পারেবন না, তাহলেই আপনার নাষে বানিজ্য বন্ধ।
আমাদের মত উন্নয়ানশীল দেশুগুলো আজ থেকে ৫০ বছর পর যে অস্ত্র ব্যবহার করবে আমেরিকা তা আরো ১০ বছর আগ থেকেই ব্যবহার করছে। আজ থেকে ২০ বছর পরে ব্যবহার করার জন্য আমেরিকান রা পারমানবিক বোমা কিংবা উন্নত বিমান কিংবা রোবাট তৈরী করে প্যাকেট করে রেখে দিয়েছে।
আমাদের কোন পথ নেই? কোন উপায় নেই? কেউ কি নেই নিরীহ মানুষের পাশে? কে বলেছে কেউ নেই আছে একজন, যার হাত ধরেই দিন দিন বড় হচ্ছে উইকিলিকস এর আয়তন।
পৃথিবী জুড়ে কোটি কোটি নিপিড়িত মানুষ, লাখ লাখ সেচ্চাসেবী, হাজার হাজার সাইবার অপরাধী আজ নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে অসহায় মানুষের জন্য। তারা নানা ভাবে বড় করে তুলেছে উইকিলিকসকে, তারা বিশাল থেকে বিশালতর করছে উইকিলিকসের তথ্য ভান্ডার। হয়ত শুনে থাকবেন আমেরিকান নেী বাহিনীর একটি অফিসার(মেয়ে) উইকিলিকসের হয়ে কাজ করে তা সামনে গটে যাওয়া সবই রেকর্ড সহ দিয়েছে উইকিলিকসকে। তার জীবন বিপন্ন হবে তা ভাবে নি, কারন সে দেখেছে কিভাবে আমেরিকানরা উন্নয়ানশীল দেশ, মুসলমান দের প্রতি অন্যায় অবিচার করেছে।
আমেরিকান রা যেমন সবচেয়ে নিকৃষ্ঠ শুকর খেতে আনন্দ পায় ঠিক তেমনি তারা জগন্যতম কাজ করেও আনন্দ পায়।
আমেরিকানরা যেখানেই মুসলমানদের সুভাস পায় সেখানেই রটিয়ে দেয় মাদকের উন্মাদনা, ছড়িয়ে দেয় নিজের লালিত সন্ত্রাসী আর যাদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে নতুন নতুন কৌশলে কোন না কোন রাস্ট্র দখল করে নিচ্ছে।
ইরাকে কত সাধারন মানুষ হত্যা করেছে তার সঠিক হিসেব কারো জানা নেই, শুধুমাত্র খনিজ সম্পদের লোভেই এতটা জগন্যতম কাজ।
তাই আশাকরি।
পরিপূর্ণ স্বচ্ছতার পক্ষে লড়াকু সাইবার-যোদ্ধা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে শেষ করে দিতেই আমেরিকান রা লেগেছে তার পিছে, ছাড়ছে না কোনমতে, তাইতো আজ থেকে ২ বছর আগে তার বিরুদ্ধে আনা হয় কয়েকটি অভিযোগ, যেমন:যৌন অসদাচরণ
আমি বুক হাত দিয়ে বলতে পারি এটি মিথ্যা, বোনোয়াট।
দুই সাবেক ভক্ত তরুণীর দায়ের করা মামলায় সুইডিশ প্রসিকিউটর অফিস ২০১০ সালের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অ্যাসাঞ্জ তখন লন্ডনে, ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অ্যাসাঞ্জ লুকিয়ে থাকতে বেশ পারঙ্গম। শেষে ইন্টারপোলের ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়ান্টেড লিস্টে’ প্রচার করা হয় তাঁর নাম: আন্তর্জাতিক হুলিয়া। অ্যাসাঞ্জ তখনো পলাতক। কারণ, তাঁর বিশ্বাস, যৌন অসদাচরণের অভিযোগ আসলে অজুহাত। সুইডিশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে পেতে চায় আমেরিকার হাতে তুলে দিতে। কারণ, আমেরিকানদের কাছে তিনি তত দিনে হয়ে উঠেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যক্তি। ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের বর্বরতার প্রত্যক্ষ বিবরণ-সংবলিত যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পাঠানো ‘ফিল্ড রিপোর্ট’ আর সারা বিশ্বের মার্কিন দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনগুলোর গোপন তারবার্তা—সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ গোপন নথিপত্র—উইকিলিকসের মাধ্যমে ইন্টারনেটে ফাঁস করে দিয়ে অ্যাসাঞ্জ পরিণত হয়েছেন আমেরিকার এক নম্বর শত্রুতে। তাই, তাঁর ধারণা, আমেরিকা সুইডেনকে দিয়ে তাঁকে পাকড়াও করে নিয়ে যাবে; মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি-সংক্রান্ত আইনের আওতায় বিচার করবে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
এক কথায় এখন একমাত্র আন্দোলন, করেই নয় আমেরিকানদের উপর চাপ সৃষ্টি করা চাড়া আমাদের এই হিরোকে বাচানো সম্ভব নয়।
২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর অ্যাসাঞ্জ তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে লন্ডনের এক থানায় যান পুলিশের প্রশ্নের জবাব দিতে। কিন্তু পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এক ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা তাঁর জামিনের আবেদন করেন, কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট নামঞ্জুর করেন। তারপরের ১০ দিন অ্যাসাঞ্জকে কাটাতে হয় দাগি কয়েদির পোশাক পরে লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ কারাগারে। ১৭ ডিসেম্বর তাঁকে এমন শর্তে জামিন দেওয়া হয়, তিনি লন্ডনের আশপাশেই থাকবেন, প্রতিদিন নিকটস্থ থানায় সশরীরে গিয়ে খাতায় সই করে আসবেন। তাঁর পায়ের গোড়ালিতে সব সময় বাঁধা থাকবে একটা ইলেকট্রনিক ট্যাগ। সেই থেকে আজ প্রায় ১৮ মাস জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এক অদ্ভুত গৃহবন্দী, যাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়নি।
অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে একযোগে তৎপর হয়ে উঠেছে ব্রিটেন, সুইডেন ও আমেরিকা। এমনকি তাঁর স্বদেশ অস্ট্রেলিয়ার সরকারও ওই তিনটি দেশের সরকারের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
আমেরিকান রা যেমন ছাড়ে নি, সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাপি কে, ঠিক যানি না এই মহান মানুষটিকেও ছাড়বে কিনা।
fig: এভাবে আমেরিকান রা মানুষ মেরে টিভিতে প্রকাশ করতো আত্বঘাতি বোমা/রাস্তায় পুতে রাখা বোমায় মারা গেছেন বলতেন
আফগানিস্তানে আফগান যুদ্ধের সূচি, আফগানিস্তানে যুদ্ধের পূর্বে প্রচার না হওয়া ৭৬, ৯০০ নথির একটি সংকলন প্রকাশ করে
অক্টোবর ২০১০সালে-প্রায় ৪০০, ০০০ নথির একটি প্যাকেজ সমন্বয়ে ইরাক যুদ্ধের একটি পরিপূর্ণ খসড়া প্রকাশ করে।
এপ্রিল ২০১১সালে, আফগানিস্তানের৭৭৯ টি গোপন সম্পর্কিত, গুয়াতানামো শিবিরে আটক বন্দীদের ফাইল প্রকাশ করে হইচই এন দেয় এই অ্যাসাঞ্জ।
তারপর থেকেই এক এক আরো কিছু দেশের গোপন নথি প্রকাশ করে উইকিলিকস তাইতো পুথিবীর সকল প্রভাবশালী দেশগুলো আজ উইকিলিকস কে শেষ করতে লেগেছে।
What’s the difference between Facebook’s Mark Zuckerberg, and Wikileaks’ Julian Assange? This image says it all:
উইকিলিকসের একজন ভলেনটিয়ার হই, উইকিলিকসয়ের জন্য সামান্য ডোনেট করি।
উইকিলিকসকে গোপন তথ্য দিয়ে উইকিলিকসয়ের ভান্ডার বড় করুন।
আপনার বন্ধুকেও আহব্বান জানান উইকিলিকসয়ের ভলেনটিয়ার হতে, তবেই তো আসবে মুক্তি।
অ্যাসাঞ্জ ও উইকিলিকস কে সাপোর্ট দিতে সোস্যাল প্রোফাইলে নিচের ছবিটি ইউজ করুন।
এই লেখাটি সবাই ফেইসবুক, ডিগ, টুইটারে সবার সাথে শেয়ার করুন। সাংবাদিক রা এটি প্রকাশ করুন, ব্লগে ব্লগে এই মেসেজ ছড়িয়ে দিন।
আশাকরি, ব্যানার নিয়ে পথে নামি আর অ্যাসাঞ্জ ও উইকিলিকসকে সম্রদ্ধ করি
অল্প পরিমান লেখা প্রথম আলোর একটি নিউজ থেকে নেয়া হেয়ছে, ইউকিপিডিয়া এবং উইকিলিকস থেকে তথ্য কালেকশন করা হয়েছে, সকল ছবি গুগল থেকে।
আসুন এবার হিরোর বন্ধু হই
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের হয়ে বার্তাটি ছড়িয়ে দিতে পেরে আমি আনন্দিত.
আনোয়ার হোসেন রানা (Cx Rana), ব্লগার ও সাংবাদিক
[email protected], facebook.com/ranapatwary
আমি সিএক্স রানা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 24 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 12 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
WordPress Developer, Visual Composer and Recurring Payments Expert.
“টিউনার তোমার নাম কি” টিউনে পরিচয় । যাহোক আপনিসহ আমার আরও কয়েকজন প্রিয়টিউনারের লেখা থেকে অনুপ্রেরনা পেয়ে আমার টিউনও এখন নির্বাচিত সারিতে স্থান পায় । যাহোক আপনার প্রত্যেকটা টিউনই অসাধারন ।ধন্যবাদ আপনাকে ।