আমরা বাংলাদেশী! আমাদের আছে গৌরবময় অনেক ইতিহাস! যেখানে আছে আমাদের সকল বিজয় গাঁথা। আর অন্যান্য স্বাধীন দেশের মত আমাদের স্বাধীনতা/বিজয়ও এসেছে অনেক লড়াই করার পর। একটি বিষয়ঃ অন্যরা যেভাবে তাদের দেশ রক্ষায় লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। আমরাও কিন্তু তাই করেছি। কিন্তু, তারপরেও বলবো.. আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস অন্যদের থেকে আলাদা। কেন জানেন? আমরা শুধু দেশ স্বাধীন করতে লড়াই করি নাই। আমরা আমাদের মায়ের ভাষার "বাংলা"- কে পরাশক্তির হাত থেকে মুক্ত করতে লড়াই করেছি। এই মুক্তি অর্জন করতে আমাদের ত্যাগ করতে হয়েছে অনেক সময়, শ্রম, ত্যাগ, রক্ত, সম্মান। সেগুলো আজ কারোরিই অজানা নয়।
তবে, আমরা জানি না আমাদের এই সাফল্য গাঁথা ইতিহাস কতটি দেশের মানুষ জানে। সবাই জানুক বা কয়েকজন, আমাদের লক্ষ আমাদের এই ইতিহাসকে পৃথিবীর সবার সামনে তুলে ধরবার। জানি আমাদের এই তুলে ধরার পথটি সহজ নয়। অনেক নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে আমাদের লক্ষে তীড় ছুড়তে হবে।
সামনের বছরের “২১শে ফেব্রুয়ারী”, “২৬শে মার্চ”, এবং “১৬ই ডিসেম্বর”- এই তিনটি দিনে যেন গুগল তাদের “ডুডল” ক্যালেন্ডারে আমাদের দেশের ইতিহাস হিসেবে স্থান দেয় এবং প্রতি বছর এই দিনগুলোতে আমরা আমাদের দেশকে সম্মানিত দেখতে পারি। তবে আমাদের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ আপাতত একটিকে নিয়েই কাজ করা সেটা হল আমাদের “২১শে ফেব্রুয়ারী” আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অন্ত্যত প্রতি বছর যেন এই দিনটিতে(২১শে ফেব্রুয়ারী) আমারা আমাদের ডুডল লোগো দেখতে পারি।
অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন বা বলতে পারেন যে, একটি-ই কেন, তিনটাকেই করা হোক। আমরা বলতে চাই, “২১শে ফেব্রুয়ারী” আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং এটি আন্তির্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তাই গুগল এটিকেই সর্বপ্রথম এবং হয়তো একমাত্র এটিকেই নিতে পারে আমাদের আবেদন সাপেক্ষে। তাই একসাথে অনেকগুলো চিন্তা না করে আমরা একটিকে নিয়ে কাম্পেইন এর কাজ পরিচালনা করছি নিরলসভাবে।
কারন, ধারনা করা হচ্ছে একসাথে তিনটা দিবসের ক্যাম্পেইন করলে একটাও একসেপ্ট নাও হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আর একমাত্র আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারিকেই আমাদের সামনে নিয়ে আসা উচিত। ২৬ মার্চ এবং ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের লোকাল ইভেন্ট তাই এই দুটো দিন যদি তাঁরা একসেপ্ট করে তবুও আমরা পাব শুধু http://www.google.com.bd লিংকে। এর ফলে সারা বিশ্ব বিষয়টা জানতেই পারবেনা। তিনটার জন্য একসাথে আবেদন করলে হয়ত দায় সারার জন্য একটা লোকাল ইভেন্ট চালু করে দেবে। যেমন ১৮.১২.১১ তারিখে সুইডেনে ছিল http://www.google.com/doodles/christoffer-polhems-350th-birthday এটা এবং রাশিয়ায় ছিল এটা http://www.google.com/doodles/yury-nikulins-90th-birthday তাই আমার মতে ২১শে ফেব্রুয়ারি যেহেতু আন্তর্জাতিক দিবস তাই এটা নিয়েই আমাদের কাজ করা উচিত। এটা একসেপ্ট হলে পরে বাকিগুলোর জন্যও আমরা চেষ্টা করতে পারি।
প্রতি দিন বিশ্বের যত শ্রেষ্ট সন্তানদের জন্মদিন বা মৃত্যু দিবস, ঘটে যাওয়া কোন বিশেষ ঘটনা, কোন আবিস্কারের এমন ঘটনা যা কোন মানুষ বা সম্প্রদায়কে স্মরনীয়-বরনীয় করে রেখেছে, কোন দেশের স্বাধীনতা বা বিজয় দিবস সহ এমন সব ঘটনা বা মুহুর্ত গুলোকে নির্দিষ্ঠ দিনে গুগল তাদের হোম পেজের লগো এবং টাইটেল লেভেল দিয়ে বিশ্বের সামনে তুলে ধরে। এটাকেই আমার ডুডল বলি। আর এটা যেহেতু গুগলের একটি সেবা তাই গুগল তার নামের সাথে এটাকে সংযুক্ত করে দিয়ে “গুগল ডুডল” করেছে।
গুগল ডুডল সম্পর্কে আরো পড়তে চাইলে পাশের লিঙ্কে ভ্রমন করুনঃ http://www.google.com/doodles/about। এই পর্যন্ত ২০১১ সালের অন্যান্য সব ডুডল গুলো দেখতে চাইলে http://www.google.com/doodles/finder/2011/All%20doodles লিঙ্কে ভ্রমন করুন। আর শুরু থেকে অন্যান্য সব দেশের সব সালের ডুডল গুলো দেখতে চাইলে পেজের বামদিকের উপরে থেকে সাল ও দেশ সিলেক্ট করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব দেখতে পারবেন। 😀
ক্যাম্পেইনের কর্মসূচী হিসাবে আপনাদের অনেক কিছুই করতে হতো। আবার ব্যাপারটি এমনও নয় যে আমরাই সর্বেসর্বা। সবার অংশগ্রহনই এই ক্যাম্পেইনকে সফল করবে এটাই আমাদের সবার কাম্য। তদূপরি, আমার আপনাদের সবার কাজকে অনেক সহজ করে উপস্থাপন করছি সকল প্রকার দলিলসহ। আসলে গুগলের মত একটি জায়েন্ট এর কাছে এতো সহজেই এক্সেপ্টাবল হয় না। আবার অনেক ব্যাপার-ই সাদরে তারা গ্রহণ করেন। সাদরে গ্রহণ তখনই করবে যখন তারা সবকিছু সহজেই দেখতে এবং বুঝতে পারবে।
আর আমাদের ক্যাম্পেইন এর কাজের লক্ষ-ই ছিল কাজটি যেন সহজে এবং সুশৃঙ্খলভাবে সারা বাংলাদেশে সহ সকলদেশে বসবাসরত বাঙ্গালীরা অংশগ্রহণ করত পারেন সেভাবে ব্যবস্থা করা। আমারা কতটুকু সমন্বয় করতে পেরেছি তা আপনারাই মূল্যায়ন করবেন।
যেহেতু আমরা সব কাজগুলো গুছিয়ে নিয়ে আজ থেকে ২/৩ দিনের মধ্যে গুগলকে আবেদন করবো, তাই আমাদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে আরো তিনটি কাজ রয়ে গ্যাছে। সেগুলো হল
১. একটি ইন্টারন্যাশলান ইভেন্ট(ফেসবুকে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজীতে);
২. একটি ফ্যান পেজ(ফেসবুকে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজীতে);
৩. গুগল প্লাস ফ্যান পেজ(ফেসবুকে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজীতে)।
যেহেতু গুগল প্লাস এখনও ইভেন্ট করার মত সুবিধা উম্মুক্ত করে দেয় নাই তাই আপাতত জি+ এর ইভেন্ট করা যাচ্ছে না। এই সুবিধা চালু হলে পরের ইভেন্টুগুলোতে আমরা জি+ ইভেন্ট তৈরী করবো। তাই, উপরের পেজ এবং ইভেন্ট দুটোকে নিজ দায়িত্বে প্রোমেট করার দ্বায়িত্ব আমাদের সবার। যত দ্রুত আমরা বেশি সাপোর্টার পাবো আবেদনের সাথে আমাদের সংযুক্ত তত জোড়দার হবে। কারন আমরা আমাদের আবেদন এর সাথে প্রমানাদি আমরা সাবমিট করবো। তাই আমাদের দেশের স্বার্থে আমাদের পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।
আমাদের পাবলিক গুগল প্লাস পেজ লিঙ্কঃ https://plus.google.com/b/104046267758515254234/
আমাদের পাবলিক ফেসবুক ইভেন্ট লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/events/265528673501672/
আমাদের পাবলিক ফেসবুক ফ্যানপেজ লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/BDGoogleDoodle
আমরা সবাই এই পেজ ও ইভেন্ট দুটিতে যেগাদান করে, দেশের ভাবমূর্তিকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সচেষ্ঠ হবে এটাই সবার কাম্য। আর আবেদনের পূর্বের সকল আপডেট একসাথে পাবেন পেজ, ইভেন্ট এবং বিভিন্ন কমিউনিটি ব্লগ ও ফোরামে। তাই পেজ ও ইভেন্টের সাথে থাকুন এবং আপনাদের মতামত তুলে ধরুন।
কিভাবে, কোখায় আবেদন করবেন তা শীঘ্রই নিয়ে আসবো। সেই পর্যন্ত, সকলকে ধন্যযোগ!
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 🙂
আমি আরিফুল ইসলাম শাওন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 44 টি টিউন ও 1073 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
হ্যালো টেকটিউনার্স!! :) আমি আরিফুল ইসলাম শাওন, ডাক নাম "শাওন" এই বেশি পরিচিত। বিভাগীয় শহর রংপুরেই থাকি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এ্যাকাউন্টিং-এ গ্রাজুয়েশন করেছি। পেশায়আছি গত ৬ বছর থেকে। নিজের ফ্রীলান্স ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট রংপুরসোর্স এর প্রতিষ্ঠাতা, সিইও এবং লিড ডেভেলপারের দায়িত্বে আছি। ব্লগিং করছি আমার অফিশিয়াল ব্লগ বাংলা...
ছায়ার মত আছি 😛