ভাইরাস,ট্রোজান,ওয়রম,স্পাইওয়্যার,অ্যাডওয়ারে আর মেলওয়ার

virus

প্রতিদিন কম্পিউটার ব্যাবহারকারির সংখ্যা বেরে চলেছে , সেই সাথে বেরে চলেছে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারির সংখ্যা , বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারির সংখ্যা ২,০৭৬,১৫৫,০০০ উপরে (INTERNET USAGE STATISTIC), বেরে চলেছে বিভিন্ন ওয়েব সাইট ।
প্রতিদিন আমরা কতইনা ওয়েবসাইটে ঘুরে বেরাই , কত চেনা কত অচেনা, এভাবে আমরা সম্মুখীন হই কোন ভাইরাস,স্পাইওয়্যার,ট্রোজান বা এরকম অনেক সমস্যায় । পুরনো দিনে আমরা এরকম সবকিছু কে ভাইরাস নামে চিনতাম , তাহলে কেন এই নামের ভিন্নতা !
আসলে এই নিরাপত্তা জনিত হুমকি গুলোকে আরও বেশি যথাযত শ্রেনীবিভাগ করতে এই নাম গুলো দেওয়া হয়েছে ।

ভাইরাস

Virus

কম্পিউটার ভাইরাস হচ্ছে একটি ক্ষুদ্র প্রোগ্রাম, যা আপনার অজান্তে কম্পিউটারকে সংক্রমিত করার জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে, এধরনের প্রোগ্রাম কি করবে তা নির্ভর করে প্রোগ্রামার একে কি কাজের জন্য তৈরি করেছে । এটি আপনার ফাইল নষ্ট করতে পারে, অপারেটিং সিস্টেম নষ্ট করতে পারে, নিজেকে আপনার কোন ফাইলে রেপ্লিস করতে পারে, নিজের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে, এমনকি একটি বুট ভাইরাস আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারও ধ্বংস করতে সক্ষম ।
সহজ ভাবে বলতে হলে, একটি জিবন্ত ভাইরাস আমদেরকে যে ভাবে ক্ষতি করতে পারে কম্পিউটার ভাইরাসও এরকম ক্ষতি করতে পারে ।
আমরা যে ভাবে এক জন থেকে আন্য জন্য ভাইরাসে সংক্রমিত হই , কম্পিউটার ভাইরাসও এক কম্পিউটার থেকে ডিস্ক,নেট,পেন ড্রাইভ বা অন্য কোন যোগাযোগের মাধ্যমে ছরিয়ে পরে ।

ট্রোজান

trojan

ভাইরাসের পরপরি বর্তমানে সবচে বড় নিরাপত্তা জনিত হুমকি হচ্ছে ট্রোজান বা ট্রোজান হরসেস ।
একটি ভাইরাস এবং একটি ট্রোজান এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য যে এটি নিজেকে অন্য কোন ফাইল বা প্রোগ্রামে রিপ্লেস করে না , তাই বলে এটি কম ক্ষতিকারক নয় । ট্রোজানের প্রধান কাজ হচ্ছে অপারেটিংএ প্রোগ্রামারের জন্য ব্যাকডোর(backdoor) তৈরি করা । আর একবার ব্যাকডোর হলে প্রোগ্রামার বা প্রোগ্রামারের স্ক্রিপ্ট(Scripts) আপনার কম্পিউটারে রিমোটলি নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে সব কিছুই করতে পারবে । এছারাও ট্রোজান ভাইরাসের মত আমাদের কম্পিউটারের অনেক ভাবে ক্ষতি করতে পারে ।
দুঃখজনক হলেও সত্যি যে এই ট্রোজানকে বেশির ভাগ সময় আমরা নিজেরাই ইনস্টল করে থাকি , কিভাবে !
যখন আমরা কোন ক্র্যাক করা প্রোগ্রামস ইনস্টল করি, কোন কীগান ব্যাবহার করি, কোন প্যাঁচ ব্যাবহার করি বা কোন ওয়েব থেকে ফ্রী গেমস ইনস্টল করি , এমনকি কোন MP3 বা ছবির ফাইল থেকেও ট্রোজানের শিকার হতে পারি ।

ওয়রম

Worm

ওয়রম(worm) বা ক্রিমি ,
ক্রিমিরা যা করে , এটি ফায়ারওয়াল্ল ছিদ্র সৃষ্টি করে সয়ংক্রিয়ভাবে এক পিসি থেকে অন্যান্য পিসিতে নিজের কপি পাঠায় ।
নেটওয়ার্ককে এরা খুব দ্রুত ছরিয়ে পরতে পারে । এটি সবচে বড় সমস্যা করে কম্পিউটারের নিরাপদতা বেষ্টনীতে ,যা থেকে আপনার কম্পিউটার আনান্য ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে । এছারাও এটি কম্পিউটার হার্ডওয়্যারকে সর্বচো ব্যাবহার করে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে ।

স্পাইওয়্যার

spyware

স্পাইওয়্যার মূল কাজ হচ্ছে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে তার রচয়িতাকে পেরন করা , যাতে তারা এই সব তথ্য আইনবহির্ভূত কাজে ব্যাবহার করতে পারে । স্পাইওয়্যার আপনার ব্রাউজারের হোম পেজ পরিবর্তন, সার্চং পেজ পরিবর্তন , অনাকাংকিত টুলবার যোগ করে নানান সমস্যার সৃষ্টি করে, যা খুবই বিরক্তকর । এছাড়া এই সমস্ত স্পাইওয়্যার সাথে কীলজ্ঞিং(keylogging) থাকতে পারে , যা থেকে স্পাইওয়্যার রচয়িতা আপনার ক্রেডিট কার্ড নাম্বার, পাসওয়ার্ড, ইউজার নামের মত বিভিন্ন তথ্য পতে পারে ।
স্পাইওয়্যার নিজে নিজে ছড়াতে পারে না, এটা কোন প্রোগ্রামের বা ওয়েবপেজর অংশ হিসেবে কম্পিউটার ইনস্টল হয় , তারপর তার কাজ শুরু করে । সবচে বড় ভাবনার বিষয় হচ্ছে , সাধারণ এন্টিভাইরাস এদের শনাক্ত করতে পারে না । এর জন্য এন্টিভাইরাসে এন্টিস্পাইওয়্যার অপশন থাকতে হয় ।

অ্যাডওয়ার

adware

অ্যাডওয়ার সধারন্ত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন কাজে ব্যাবহার হয় , যেমন উইন্ডোজ লাইভ মেসেঞ্জার বা ইয়াহু মেসেঞ্জারে অ্যাডওয়ার সংযত করা থাকে । যাকিনা মেসেঞ্জার ইনস্টল করার সময় চক্তির অন্তর্ভুক্ত থাকে । এছাড়াও অনেক প্রকার অ্যাডওয়ার আছে , যে সব আপনার অনুমতি ছারাই কম্পিউটার ইনস্টল হতে পারে , যদিও অ্যাডওয়ার সরাসরি আমাদের কোন ক্ষতি করে না তবুও অবৈধ অ্যাডওয়ার অনান্য ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম আনার রাস্তা হয়ে যায় ।

মেলওয়ার

malware

মেলওয়ার(malware)কেও বানান হয় অসদুদ্দেশ্য । মেলিকিওউস(malicious) সফটওয়্যারের সংক্ষিপ্ত রূপ মেলওয়ার ।
ঘটনাক্রমে যদি পিসিতে মেলওয়ার ইনস্টল হয়, তাহলে এটি ভাইরাস,ট্রোজান,ওয়রম,স্পাইওয়্যার,অ্যাডওয়ারে বা অন্য মেলওয়ার কাজে ব্যাবহার করতে পারে, মোট কথা উপরের যেকন ক্ষতিকারক দিক থেকে ক্ষতি হতে পারে ।মেলওয়ারকেও সাধারণ এন্টিভাইরাস শনাক্ত করতে পারে না , আর ক্র্যাক করা এন্টিভাইরাসের কথা নাই বা বললাম ।

Level 0

আমি আলফা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 10 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অনেক সুন্দর টিউন। ধন্যবাদ।

nice information

দারুন টিউন 🙂

ফাটাফাটি টিউন।আশাকরি এমন তথ্যবহুল টিউন আরো পাবো।
এইসবগুলা থেকে বাচার জন্য সবচেয়ে ভালো এন্টিভাইরাস কোনটি?

    সবচেয়ে ভালো এন্টিভাইরাস কোনটি?
    এটা আসলে খুব কঠিন প্রশ্ন করেছন । বর্তমানে সারা প্রথিবি জুড়ে এই প্রশ্নটি অনেকেই করছে ।এটা অনেকের পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার ।
    আমি যা ব্যাবহার করি তাই শুধু বলতে পারি এখানে । আমি উইন্ডোজ 7 এ নরটন ইন্টারনেট সেকোরিটির(2011) সাথে আভিরা এন্টিভাইরাস পারসনাল(free antivirus) ব্যাবহার করি । যা আমার কম্পিউটার রামের প্রায় ৯০ MB জায়গা নেয় ।

Level 0

ফাটাফাটি টিউন। 2 টা কিভাবে ইউজ করেন ?

আপনার টিউনগুলি খুবেই উপকারি।ধন্যবাদ আপনাকে।

Level 0

ভালো টিউন হয়েছে।আমার কিছু প্রশ্ন. আশা করি উত্তর দিবেন।
১.kasper 7 use করি।যতবার MY computer scan করি বারবার ই trojan backdoor ধরে এবং আমি সেগুলো delete করি।trojan, black door থেকে যাচ্ছে কেন?
২.আমি kasper anti virous(kav) use করি।kis and kav এর মধ্যে পার্থক্য কি?কোনটি ভাল?

    স্ক্যান করার পরো ট্রোজান বা ভাইরাস থেকে যায়ার মানে আপনার কম্পিউটারে মেলওয়ার(malware) বা বুট ভাইরাস রয়েছে ।
    কনো ভাল বুট স্ক্যান এন্টিভাইরাস দিয়ে বুট স্ক্যান করে নিন ।
    কাস্পেরস্ক্য KIS(Kaspersky Internet Security) যা ভাইরাসের সাথে স্পাইওয়্যার,অ্যাডওয়ার জাতিয় সুরক্ষা প্রদান করে ।
    কাস্পেরস্ক্য KAV(Kaspersky Anti Virus) যা ভাইরাস,ট্রোজান,ওয়রম জাতিয় সুরক্ষা প্রদান করে , স্পাইওয়্যার,অ্যাডওয়ার জাতিয় নয় । এবার আপনি ভেবে নিন আপনার কি রকম সুরক্ষা প্রয়জন ।
    কিন্তু এ দুটির একটিও বুট ভাইরাস রেমুভ করতে পারবে না । বুট ভাইরাস রেমুভ করতে হলে কাস্পেরস্ক্য বুট স্ক্যান এন্টিভাইরাসের সিডি প্রয়জন হবে ।

বুট ভাইরাস রিমুভ করার কিছু ভালো সফট এর নাম বলেন। আর বুট ভাইরাস স্কান করার সিস্টেম কি অন্যান্য এন্টিভাইরাসের মতই কি? আশা করি উওর দিবেন।

    আসলে বুট ভাইরাস গুলো বুট সেক্টরে থাকে , যা অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করার সময় বুটাবেল সিডি ইনফেক্টেট থাকলে সিস্টেমও ইনফেক্টেট হয় । এগুলো সধারন অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে দূর কারা যায় না । অপারেটিং সিস্টেম(xp বা উইন্ডোজ) দেওয়ার সময় যেভাবে বুট করেন তেমনি ভাবে অ্যান্টিভাইরাস বুটাবেল সিডি থেকে বুট করে স্ক্যান করতে হবে । এর জন্য আপনি
    Norton bootable CD
    আথবা ফ্রী ভাবে ব্যাবহার করতে পারেন
    Hiren’s Boot CD 13
    এতে আপনি অনেক ধরনের বুটাবেল অ্যান্টিভাইরাস পাবেন ।

Level 2

Nice