.
যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত পারিশ্রমিকের পাশাপাশি ভালো পরিবেশে কাজ করতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা সবারই থাকে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠান যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় সুবিধাও দিয়ে থাকে, তাহলে কর্মীদের খুশি আর দেখে কে। শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মপরিবেশের দিক থেকে গুগলের সুনাম বরাবরই বিখ্যাত। সম্প্রতি সেই খ্যাতির তালিকায় যোগ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের নাম। বাড়তি কিছু সুবিধা রয়েছে ফেসবুকের মেনলো পার্কের প্রধান কার্যালয়ে।
ফেসবুকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মীরা হয়তো কাজ করতে করতে বাড়ি ফেরার কথা ভুলেই যান। হতেও পারে, সামাজিক এ যোগাযোগমাধ্যমটির ২০০ কোটির বেশি ব্যবহারকারীর দেখভাল যে তাঁরা করেন। তাই তাঁদের জন্য ফেসবুক কার্যালয়ে রয়েছে কাপড় ধোয়ার ব্যবস্থা।
* কর্মীদের জন্য রয়েছে গাড়ি রাখার সুবিশাল জায়গা। সেই সঙ্গে বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার ব্যবস্থাও রয়েছে পার্কিংয়ে। যাঁরা সাইকেল চালিয়ে ফেসবুক কার্যালয়ে আসেন, তাঁদের জন্য রয়েছে সাইকেল মেরামতের দোকানও।
* কর্মীদের কর্মদীপ্ত রাখতে এবং তাঁদের সুস্বাস্থ্য নিয়ে ফেসবুক বেশ যত্নবান। কার্যালয়ে আছেন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। বিনা মূল্যে কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি রয়েছে ব্যায়ামাগার এবং অন্যান্য শরীরচর্চার সামগ্রীও।
* শুধু স্বাস্থ্যসচেতনতাই নয়, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ খেয়াল রেখেছে কর্মীদের সৌন্দর্যেও। ফেসবুকের প্রধান কার্যালয়ে রয়েছে স্যালনও।
* কথায় আছে, ‘পেট শান্তি তো, দুনিয়া শান্তি’। এদিকেও তাদের মনোযোগ কম নয়। কর্মীদের জন্য রয়েছে বিনা মূল্যে খাবার ও নাশতার ব্যবস্থা।
* শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই শিশুর পূর্ণ বিকাশের কথা খেয়াল রেখেই শিশুর জন্মের প্রথম চার মাস বেতনসহ ছুটি পান বাবা কিংবা মায়েরা। এমনকি সন্তান দত্তক নিলেও কর্মীদের জন্য একই সুবিধা দেয় ফেসবুক। সেই সঙ্গে বেতন ছাড়াও আরও চার হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া হয় নতুন বাবা-মায়েদের। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু সুবিধাও রয়েছে।
* একটানা অনেকক্ষণ কাজ করতে করতে প্রায় সবারই একঘেয়েমি চলে আসে। তাই শরীরের ক্লান্তি দূর করে মনকে প্রফুল্ল করে তুলতে ভিডিও গেম খেলার ব্যবস্থা রয়েছে ফেসবুকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মীদের জন্য। বছরে একবার ২১ দিনের বেতনসহ অবকাশ যাপনের ছুটিও মেলে সেখানকার পূর্ণকালীন কর্মীদের।
ইলিয়াস হোসাইন, সুত্র : গ্যাজেটস নাউ
আমি ইলিয়াস হোসাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
খুবই সাধারন একটি ছেলে আমি। পড়তে ভালবাসি, তাই পড়তে থাকি। এখানে কাজ করতে পেরে আমি সত্যিই খুব গর্বিত বোধ করছি।