ই কমার্স বিজনেস এখন অনেক জনপ্রিয়, এফ কমার্স অথবা ফেসবুক ও কম জনপ্রিয় না। অনেকেই ছোট আকারে ওয়েবসাইট করে অথবা ফেসবুক পেইজ অথবা গ্রুপ করে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেল করার চেস্টা করছে অনেকে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস ও দিচ্ছে যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি। এই আর্টিকেল এ ই কমার্স এর কিছু টিপস দেয়ার চেস্টা করছি
যারা ই কমার্স বিজনেস করতে চায় তাদের প্রথম এবং প্রধান সমস্যা মনে হয় একটা ই সেটা হচ্ছে প্রোডাক্ট নির্বাচন। অনেকে ই বাজেট অনুযায়ী বুঝে না কি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করা যায়, আসলে এটা নির্ভর করে অনেক কিছুর উপর, আপনি কি কি প্রোডাক্ট সংগ্রহ করতে পারবেন, যে প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চান সেটা সম্পর্কে আপনি কেমন জানেন। যারা বিজনেস করছে ইতিমধ্যে তারা কিভাবে শুরু করেছিলো আর অনেক ব্যাপার জানার পর ই আপনার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত যে আপনি কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন। নিচের আর্টিকেল টি প্রোডাক্ট নির্বাচনের উপর বিস্তারিত একটা আর্টিকেল আমার লেখা। পড়তে পারেন
যারা ই কমার্স অথবা এফ কমার্স এর বিজনেস করছেন তাদের মার্কেটিং করার অন্যতম একটা প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক ই অ্যাড, একদম ছোট কোম্পানি থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় কোম্পানি ফেসবুক অ্যাড এর উপর নির্ভরশীল কিন্তু আমরা জানি কি আসলেই কিভাবে অ্যাড দেয়া উচিত, কোন সময়ে অ্যাড দেয়া উচিত, কি রকম বাজেট এ অ্যাড দেয়া উচিত, ছবি কিরকম দেয়া উচিত ইত্যাদি। আমার মনে হয় এগুলি জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ যেমন অ্যাড এর মধ্যে যে ছবি দিবেন সেখানে ২০% এর বেশি লেখা দেয়া যায় না, দিলে অ্যাড এর রিচ কমে যায় আবার মাঝে মাঝে ফেসবুক সেই অ্যাড চালু ই করে না তাই ব্যাপারগুলি যদি আপনার জানা থাকে আপনার বিজনেস এর জন্য ই সেটা ভালো হবে, নিচের লিঙ্ক থেকে দেখে নিতে পারবেন আপনার ডিজাইন ফেসবুক অ্যাড এর জন্য ঠিক আছে কিনা
https://www.facebook.com/ads/tools/text_overlay
ফেসবুক অ্যাড এর কিছু টিপস নিয়ে আমার বিস্তারিত একটা লেখা রয়েছে সেটা পড়তে নিচের লিঙ্ক এ যেতে পারেন, আশা করি কাজে লাগবে
অল্প পুঁজিতে বিজনেস করবেন কিভাবে
সবার পক্ষে অনেক টাকা ইনভেস্ট করে বিজনেস করা সম্ভব হয় না, আবার অনেকে টাকা থাকার পর ও রিস্ক এ যেতে চান না, তারা কিভাবে অল্প টাকা ইনভেস্ট করে বিজনেস করতে পারবে। যেমন যেহেতু প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস করলে সেটা আগে কিনতে হবে তাই সার্ভিস মুলক বিজনেস হতে পারে সেটা, তাহলে আর বিক্রি না হলে লসের সম্ভাবনা কম,আবার প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করলে এমন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করা যায় যেখানে অর্ডার আসার পর ই প্রোডাক্ট কিনতে হয় অথবা বানাতে হয়, ফল্মুল হতে পারে, খাদ্যদ্রব্য হতে পারে ইত্যাদি,
আবার অনেকে প্রথমেই ওয়েবসাইট বানিয়ে বিজনেস করার চিন্তা করে সেটা না করে প্রথমে ফেসবুক এ পেজ ওপেন করে ও করা যেতে পারে, ফেসবুক পেজে এখন অনেক সুবিধা আছে।
প্রথমে অফিস নেবার ও প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। এরকম আরো কিছু ব্যাপার নিয়ে আমার বিস্তারিত একটা আর্টিকেল আছে নিচের লিঙ্ক থেকে পড়ে দেখতে পারেন
অনেকে অনেক বেশি পরিকল্পনা করে মাঠে নামতে চায়, সেটা ঠিক হবে না, উচিত হবে কাজ করার মাধ্যমে শেখা, আপনি যতই পরিকল্পনা করেন মাঠে না নামলে আপনি কিছু কিছু ব্যাপার ধরতে পারবেন না, তাই অল্প পরিকল্পনা করেন, সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করেন, সমস্যা থেকে অথবা ভুল থেকে নতুন করে শিক্ষা নিয়ে আবার শুরু করেন।
একা একা সব কিছু করতে না যেয়ে একটা টিম করে কাজ করার চেস্টা করেন, অনেকেই আছে কাজ শিখতে চায় তাদের টিমে রাখতে পারেন, পার্ট টাইম ভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারেন, অফিসের প্রয়োজন নাই অনলাইন এ তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, মাসে একটা মিটিং হতে পারে বাইরে কোথাও।
আপনি দিনের পর দিন কাজ করছেন, অনেক কষ্ট করছেন কিন্তু দেখছেন কোন কিছুই কাজ করছে না, হতাশ হয়ে গেলেন, ঠিক করলেন হবে না আপনাকে দিয়ে, এরকম করাটা ঠিক হবে না, হতাশা আসতেই পারে, ভুল থেকে শিক্ষা নেন, বেশি পরিশ্রম হয়ে গেলে কোন জায়গা থেকে ঘুরে আসেন, অভিজ্ঞদের সাথে কথা বলেন দেখবেন আবার কাজ করার উৎসাহ পাবেন।
বিজনেস এ যা যা করা উচিত না এটা নিয়ে বিস্তারিত লেখা আছে আমার একটা নিচে লিঙ্ক দিলাম
এটা ও পড়তে পারেন
আমি আরিফুল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 4 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।