প্রতিনিয়ত পৃথিবীতে প্রায় কোটি কোটি মানুষ তাদের দৈনিক জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়ে দেন ফেসবুকের অনলাইন ওয়ার্ল্ডে। অনেকে প্রতিদিন কম্পক্ষে ২-৩ ঘণ্টা ফেসবুক ব্যবহার করে দিনই পার করতে পারেন না। ফেসবুক অনলাইন ওয়ার্ল্ডে প্রায় একটি বড় ধরনের বসতি বা একটি বড় শহর তৈরি করে ফেলেছে যেখানে কোটি কোটি মানুষের বসবাস।
অনলাইন ওয়ার্ল্ডে বসতি তৈরি করার পর এবার হয়ত ফেসবুক বাস্তব জীবনে তাদের নিজেদের একটি শহর তৈরি করতে চায়। এবং বাস্তব জীবনের এই শহরে প্রধানত বসবাস করবে ফেসবুক কর্পোরেশনের চাকরীজীবীরা। অনেককিছুই থাকবে তাদের এই নতুন শহরে।
চলুন দেখা যাক এই নতুন শহরটি সম্পর্কে কি পরিকল্পনা ফেসবুকের এবং কি কি থাকতে পারে এই নতুন বসতিতে।
গত বৃহস্পতিবার মেনলো পার্ক, ক্যালিফোর্নিয়া ক্যাম্পাসে ফেসবুক তাদের এই নতুন পরিকল্পিত শহরটির ব্যাপারে সবকিছু অফিশিয়ালি জানায়। ফেসবুকের ভাষ্যমতে, এই শহরটি স্থাপিত হবে একটি ৫৬ একর জায়গার ওপরে যেই জায়গাটি ফেসবুক ২০১৫ সালে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে কিনেছিল। এই জায়গাটিই এই নতুন শহরের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে জানায় ফেসবুক কর্পোরেশন। এই জায়গার ওপরে ফেসবুক প্রায় ১.৬ মিলিয়ন স্কোয়ার ফিটের সমান একটি শহর তৈরি করবে।
এই পরিকল্পনাটির ব্যাপারে অফিশিয়ালি ফেসবুক একটি ব্লগ টিউন লিখে জানায় যে, তাদের এই পরিকল্পনাটির নাম দেওয়া হবে " Mixed-Used Village "। এই গ্রাম বা শহর যেটাই হোক, এখানে থাকবে সাধারন বাড়ি-ঘর, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, গ্রোসারি শপ, ফার্মেসী এবং আরো অনেক কিছু যা যা একটি ছোট শহরে থাকা উচিত।
ওপরের এই ছবিটি ফেসবুক তাদের পরিকল্পনা অফিশিয়ালি জানানোর সময় মিডিয়াকে দেখায়। ফেসবুকের মতে তাদের এই নতুন বসতিটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে তা অনেকটা এমন দেখতে হবে। ফেসবুকের এই মূল্যবান প্রোজেক্ট এর দায়িত্বে যারা যারা আছেন এবং যারা যারা এই প্রজেক্টটিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন, তারা জানান যে এই বসতিটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি করতে প্রায় ১০ বছরের মত সময় লাগবে। প্রজেক্টটির প্রথমদিকের কাজগুলো ২০২১ সালের প্রথম দিকেই হয়ে যাবে বলে তারা জানান। ২০২১ সালের মধ্যে প্রাথমিকভাবে এই বসটিতে কিছু বাড়ি-ঘর এবং একটি গ্রোসারি শপ তৈরি করা হবে। এরপর থেকে বাকি সব কাজ এবং বাকি সব ডেভেলপমেন্ট পরবর্তী দুই বছর পরপর আস্তে আস্তে করা হবে এবং ১০ বছরের মধ্যেই এই সম্পূর্ণ প্রজেক্টটি শেষ করা হবে।
যদিও এই বসতির অধিকাংশ বাড়ি-ঘর ফেসবুকের চাকরিজীবীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে, তবে ফেসবুক জানিয়েছে যে তারা ভবিষ্যতে এই বসতিটিকে আরো বড় করবে এবং সাধারন মানুষদের জন্যও এখানে বাড়িঘর রাখার ব্যাবস্থা করবে। এবং এই বসতি তে যখন তারা বাড়ি-ঘর বিক্রি করবে তখন তা সাধারন বাজারদরের থেকে কিছুটা কম হবে যাতে মানুষকে দাম নিয়ে খুব একটা বেশি অসুবিধায় পড়তে না হয়। ফেসবুকের মতে এখানে বাসস্থানের দাম সাধারন বাজারদরের থেকে ১৫% পর্যন্ত কম হতে পারে।ফেসবুকের মতে তাদের এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হচ্ছে ফেসবুকের চাকরিজীবীদেরকে একই জায়গায় একত্রে রাখার মাধ্যমে তাদের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা এবং ফেসবুকের নিজেদের কাজটিকে আরো সহজভাবে করা। ফেসবুকে তাদের এই পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করেছে, যদিও তা এখনো অনুমোদিত হয়নি। আশা করা যায়, তাদের এই পরিকল্পনাটি আগামি ২ বছরের মধ্যেই অনুমোদিত হবে।
ফেসবুক তাদের এই পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করার সময় যে অফিশিয়াল Demo Video টি দেখায় সেটি নিচে দেখতে পারেন :
তো এই ছিল ফেসবুকের " Mixed-Use Village " নিয়ে পরিকল্পনা। আজকের মত এখানেই টিউনটি শেষ করছি। আশা করি টিউটি আপনাদের ভাল লেগেছে। টিউন সম্পর্কে কোন ধরনের কোন প্রশ্ন বা আপনার কোন মতামত থাকলে অবশ্যই টিউনমেন্ট করে জানাবেন।ভাল থাকবেন।
You can contact me on : Facebook
আমি সিয়াম একান্ত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 40 টি টিউন ও 82 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 12 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমার নাম সিয়াম রউফ একান্ত। অনেকে সিয়াম নামে চেনে আবার অনেক একান্ত নামে। যাইহোক, পড়াশুনা একেবারেই ভাল লাগেনা আমার। ভাল লাগার মধ্যে দুইটা জিনিস , ফটোগ্রাফি আর প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির প্রতি ভাললাগা থেকেই টেকটিউন্স চেনা এবং টেকটিউন্সে আইডি খোলা। দেখা যাক কতদূর কি করা যায়......