ফেসবুক একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। কেও এটাকে অসাধু উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে, কিংবা এখান থেকে কোন ক্রাইমের চেষ্টা করলে, সেটা বৈধভাবে ফেসবুকের নিকট অভিযোগ করা যায়, এবং এটার নামই রিপোর্ট। এই রিপোর্ট তদন্ত করার দায়িত্বে রয়েছেন বিভিন্ন ভাষাভাষীর গোটাকতক কমিউনিটি অপারেটর।আর এখন ট্রান্সলেটরের সাহায্যে তো আরো সহজ হয়ে গেছে অপরাধ সনাক্ত করা।
আগে ইংরেজি ভাষা ছারা অন্যান্য ভাষার স্ল্যাং ল্যাঙ্গুয়েজ ডিটেক্ট করা টাফ ছিলো। যাহোক অনেক ফালতু প্যাচাল পারলাম। কাজের কথায় আসা যাক। আপনার ছবি দিয়ে অন্য কেও আইডি খুলছে, এমন সব ভিক্টিমদের জন্য এই টিউন.দেখুন ২ আর দুই যোগ করলে ৪ হয় এটা বুঝানো সহজ হলেও কিভাবে ৪ হয় সেটা বুঝানো কঠিন।
আমি সংক্ষেপে নিয়মটা বলেকিছু টিপস দিয়ে দিচ্ছি।.আপনার ছবি + নাম দিয়ে কেও একাউন্ট খুললে সেটা সাধারণত ক্লোন হিসেবেই পরিচিত। শুধু আপনার ছবি ব্যবহার করলেও সেটা ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এর নিয়মানুযায়ী অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত।.এক্ষেত্রে আপনাকে হেয় করার জন্য যে আইডিটি খুলছে সেটাতে রিপোর্ট করার সিস্টেম→
এখন ধরুন, আপনার ছবি দিয়ে যে আইডি খুলছে, সেই আইডি থেকে আপনাকে ব্লককরছে। এখন আপনার করণীয় হচ্ছে, আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে আছে এমন কাউকে দিয়ে রিপোর্ট করান। সেক্ষেত্রে আপনার ফ্রেন্ডকে যা করতে হবে-
৪। ব্রাউজার ভেদে দুটো অপশন আসে এখানে। কোনটাতে select অপশনে ক্লিক করলে সার্চ বক্স আসে, আপগ্রেড এবং অ্যাপস গুলোতে ৪ নং ধাপ শেষ করলেই সার্চ বক্স পাবেন। সেখানে আপনার বন্ধু আপনার নাম টাইপ করে সার্চ করলে আপনার আইডি শো করবে, এবং সে আপনার নামটা সিলেক্ট করে সাবমিট দিবে।
এটাই সাধারণত নিয়ম। এর বাইরেও আপনার ফটো / ভিডিও কেও ব্যবহার করলে (অনুমতি নিয়েই হোক বা না নিয়ে) সেটা রিমুভের জন্য আলাদা রিপোর্ট ফর্ম রয়েছে। যেটা সাধারণত স্প্যামারদের কাছেই থাকে। (আমার কাছে সবধরণের রিপোর্ট ফর্মই আছে) ওসব জেনে আপনাদের কাজ নেই।.আমি এতক্ষণ রিপোর্টের নিয়মটা বলছি।
কিভাবে এটা কাজ করে সে সম্পর্কে কিছু বলতে চাই।আমি যে রিপোর্টের নিয়মটা বললাম সেটা প্রেটেন্ডিং এবং বিকল্প রিপোর্ট টা ইম্টিউনার নামেই পরিচিত স্প্যামার মহলে।.যদিও ইম্টিউনার হিসেবে সম্যক পরিচিত রিপোর্ট হচ্ছে ফর্ম ফিল আপ করে যেটা করা হয়। যাকগে ওটা আপনাদের জানার বিষয় না।
আপনি রিপোর্ট টা করার পর আপনার কাজ শেষ। আপনার রিপোর্ট জমা হয়ে যাওয়ার পর কমিউনিটি অপারেটর রা যে সিস্টেমে কাজ করে সেটা নিয়ে একটু ধারণা দিতে চাই।দেখুন আপনার প্রেটেন্ডিং রিপোর্ট পাওয়ার পর সাধারণত- রিপোর্ট করা আইডি, অথবা যে আইডিকে মেন্সন করে রিপোর্ট করা হয়েছে সে আইডি এবং রিপোর্ট খাওয়া আইডি দুটোর মধ্যে ম্যাচিং কন্টেন্ট খোঁজা হয়। ধরুন দুটোর প্রোফাইল ফটো একই।
এখন তাদেন বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে ফটো আপলোড এর ডেট এবং টাইম। যেহেতু আপনারটা আসল আইডি, সুতরাং আপনার আপলোডের সময় অবশ্যই আগে হবে। তাই নিশ্চিত থাকুন আপনার আইডির কিছু হবে না।.বি:দ্র: জানি উপরের উল্লেখিত নিয়ম স্প্যামার মাত্রই জানেন। তবুও যেহেতু কেও এমন টিউন করেন নি, তাই আমি করলাম। টিউমেন্ট বক্স উন্মুক্ত রইলো যে কোন প্রকার প্রশ্ন করতে পারেন এ বিষয়ে
আমি সাখাওয়াত হোসাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।