সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওই আপিল আদালত এক রায়ে জানিয়েছে, কোনো কর্মী ফেইসবুক বা কোনো সোশাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার ফলে তা কর্পোরেট কম্পিউটার নীতিমালা লংঘন করলেও তা বেআইনি কোনো কাজ নয় ---ঝামেলায় পড়তে হলে কর্মীকে সুনির্দিষ্ট কোনো অপরাধ করতে হবে।
এক প্রতিবেদনে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট জানিয়েছে, নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি)-এর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এক মামলার রায়ে এ কথা জানিয়েছেন বিচারক।
মামলায় বিপক্ষের আইনজীবিরা জানিয়েছেন, ওই এনওয়াইপিডি কর্মকর্তা কিছু সংখ্যক ব্যক্তির খোঁজে কম্পিউটার ব্যবহার করছিলেন যা পুলিশ কার্যক্রমের বাইরে। বিষয়টি ওই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার নীতিমালা বহির্ভূত এবং এর মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘কম্পিউটার ফ্রড অ্যান্ড অ্যাবিউজ অ্যাক্ট’ আইনটিও লংঘন করেছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ওই আপিল আদালত রায়ে জানিয়েছে, যদি এ বিষয়টি অবৈধ হয়, তাহলে লাখো সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারীও আইন লংঘন করছেন।
এনগ্যাজেট জানিয়েছে, এনওয়াইপিডি-এর অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা কী করছিলেন, তা দেখাতে চাইলেও আদালত বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে আদালত রায়ে বলেছে, “কল্পনা নিয়ে কোনো চিন্তা বা কাজ করা কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ড নয়।” আরও সহজ করে বললে, খারাপ কিছু বা কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্য নিয়ে কম্পিউটার ব্যবহার করলে তা-ই কেবল অপরাধ হিসেবে ধরা হবে।
বিশেষ এ রায়টি অনলাইন ‘ফ্রি স্পিচ’ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই টিউমেন্ট করেছে এনগ্যাজেট।