ফেসবুক বিজ্ঞাপনে প্রতারণা ফেসবুক বিজ্ঞাপনে প্রতারণা

ফেসবুকে নিশ্চয়ই বিলাসবহুল পণ্যের আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন চোখে পড়েছে? ফেসবুক ব্যবহারকারীকে প্রলুব্ধ করতে এ রকম ফ্যাশন ও বিলাসবহুল পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেখে আকর্ষিত হয়ে তা কেনার জন্য চেষ্টা না করাই ভালো। সম্প্রতি দুজন সাইবার বিশেষজ্ঞ ফেসবুকের বিজ্ঞাপন নিয়ে গবেষণা করেছেন।
আন্দ্রে স্ট্রপা ও অগাস্টিনো স্পেসিয়ারলো প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলকে জানিয়েছেন, তাঁদের গবেষণায় ফেসবুকের বেশ কিছু ফ্যাশন ও বিলাসবহুল পণ্যের বিজ্ঞাপনই ভুয়া হিসেবে ধরা পড়েছে। এসব পণ্যের প্রচার করার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
ফেসবুকে এক হাজারেরও বেশি বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন বিজ্ঞাপনে প্রদর্শিত এক-চতুর্থাংশই পণ্যই ভুয়া। গবেষকেরা জানান, ফ্যাশন ও বিলাসবহুল পণ্যের ১৮০টি বিজ্ঞাপনের মধ্যে ৪৩টি বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে যে তা ভুয়া ওয়েবসাইটে নিয়ে যায় তার প্রমাণ তাঁরা পেয়েছেন।

গবেষকেরা বলেন, আপনি যখন ক্রেডিট কার্ড দিয়ে এসব পণ্য কিনতে যান তখন আপনি কোথা থেকে কী কিনছেন তা বুঝতে পারবেন না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আপনার ক্রেডিট কার্ড ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। এসব বিজ্ঞাপনের পেছনে কারা থাকে তার কোনো হদিস পাবেন না।
গবেষকেরা বলেন, ভুয়া বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে যে লিংকে যাবেন তা অবিকল আসল ইউআরএলের মতো দেখতে হবে। যে ওয়েবসাইটে যাবেন সেখানে নিরাপত্তা ও পেমেন্ট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের যে লোগো দেখবেন তাও ভুয়া।
গবেষকেরা দাবি করেছেন, গবেষণা শুরু করার পর থেকে বেশ কিছু ভুয়া বিজ্ঞাপন ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলার বিষয়টিও টের পেয়েছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে ফেসবুকের বক্তব্য কী? ফেসবুকের এক মুখপাত্র ম্যাশেবলকে জানিয়েছেন, প্রতারণা ও ভুয়া দাবি ও কনটেন্ট ফেসবুকে প্রকাশ করতে আমরা বাধা দিই। প্রতারণামূলক ঠেকাতে এবং ফেসবুকের শর্ত ও নীতিমালা প্রয়োগ করতে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। বিজ্ঞাপনের বিষয়টি স্বয়ংক্রিয় ও কর্মীদের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হয়

THE POST FIRST PUBLISHED IN HERE

Level 2

আমি সজিব হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 24 টি টিউন ও 35 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

সতর্ক করার জন্য থাঙ্কস ।

এসব বিষয়ে বাঙ্গালিরা খুর স্বক্রিয় কারণ আমরা বাংলাদেশীরা অনলাইনে হোক বা অফলাইনে যখন কোন জিনিস ক্রয় করি তখন তা 14 বার করে দেখে বা ভেবে নেই, আর অনলাইনে কেনা কাটার কথা বলছেন বাংলাদেশের 1% লোক হয়ত বা ইন্টরন্যাশনাল ক্রেডিড কার্ড ব্যবহার করছে তাদের ব্যবসার জন্য। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা আউটসোর্সিয়ের জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছে তাদের সবাই খুব সেয়ানা।