সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে অনেক আগেই যে ব্যবসায়িক প্রচারণার সর্বোচ্চ স্থানটি দখল করে নিয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। আপনারা কি এর গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ চান? তাহলে নিচের পরিসংখ্যানই এর যুক্তিযুক্ত প্রমাণ দিতে সক্ষম:
আশা করি social media marketing এর গুরুত্ব বুঝতে আর কোন বাধা রইলো না। বাকি রইলো জানার কি করে social media marketing-এ সফল হবেন? আর অপেক্ষা নয়, চলুন মূল আলোচনায়:
Facebook –এ আপনার পণ্যকে জনপ্রিয় করে তোলার সবচেয়ে ভাল উপায় হল আকর্ষণীয় ছবি ব্যবহার করা। আর তা হতে পারে সরাসরি আপনার পণ্যের বা সেবার ছবি কিংবা বেনার। তবে আপনাকে অবশ্যই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে তা যেন অবশ্যই প্রাসঙ্গিক গ্রুপ বা পেজে পোষ্ট করা হয়। তা না হলে তা মার্কেটিং এর পরিবর্তে ডি- মার্কেটিং হবে।
1. অতীতকালের ছবি: Facebook-এ অতীতকালের ছবি আলোচনার ঝড় তুলতে সক্ষম। তাই খুঁজে বের করুন আপনার কিংবা আপনার কোম্পানির অতীতকালের বা স্মৃতিময় ছবি যা আপনার Follower-দের মধ্যে আবেগ সৃষ্টি করবে।
2. জনপ্রিয় বিষয়: Facebook-এ খুঁজে বের করুন কোন বিষয় গুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। জনপ্রিয় বিষয় গুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং উক্ত বিষয় সম্পর্কিত টিউন বা স্টেটাস দিন।
3. Quotes: Quotes image সবচেয়ে বেশি ভোক্তা আগ্রহ তৈরি করতে পারে। যেমন নিম্নের চিত্রটি লক্ষ করুন,
4. Fill in the blanks: Fill in the blanks-টাইপের স্টেটাস দিন। blanks-এর অংশটি আপনার বন্ধুরা টিউমেন্টস করে ফিলআপ করবে। এতে আপনি যেমন আপনার বন্ধদের মতামত সম্পর্কে জানতে পারবেন, বন্ধদরাও আপনার ব্যাপারে তাদের ধারণা ও পরমর্শ দিতে পারবেন। এই ব্যাপারে আরো পরিষ্কার ধারণা নেয়ার জন্য নিম্নের চিত্রটি লক্ষ করুন,
Blank question
5. প্রশ্ন করা: Facebook-এ Followers-দের এনগেজ রাখার অন্যতম একটি উপায় হল question poll। এই পক্রিয়ায় খুব সহজেই আপনার বন্ধু কিংবা Followers-দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি Facebook-এর অন্যান্য কৌশল এর চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরীও বটে। এই পক্রিয়ায় আপনি খুব সহজেই মতামত যাচাই করে আপনার লক্ষ নির্ধারণ করতে পারবেন। নিম্নের চিত্র আরো পরিষ্কার ধারণা দিবে:
Pinterest এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনার কোম্পানির মূল্যবান তথ্যসমূহ পিন বোর্ডে পিন করে রাখতে পারবেন। যদি আপনার কোম্পানির পর্যাপ্ত ছবি শেয়ার করার মত নাও থাকে, তাহলে এখানে অন্যান্য তথ্যসমূহ পিন করার সুযোগ পাবেন, যা আপনাকে ভোক্তা সংগ্রহে সহযোগিতা করবে।
6. Inspiration boards: এটি Pinterest-এর একটি ভিন্নধর্মী আয়োজন। যেখানে আপনি আপনার পণ্য বা সেবার বিভিন্ন ছবি পিন করে রাখতে পারবেন। এটা আপনার কোম্পানি সম্পর্কে এক ধরনের অনু্প্রেরণা সৃষ্টি করবে। এর ফলে আপনার ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরো বেশি সহজ হয়ে যায়।
7. Staff photos: Pinterest- এর অপর আরেকটি ভিন্নধর্মী আয়োজন হল আপনার কোম্পানির সহকর্মী বা স্টাফদের সংক্ষিপ্ত বায়োডাটাসহ ছবি দেয়ার ব্যবস্থা। এর ফলে ভোক্তা সাধারণ সহজেই আপনার কোম্পানির ব্যাপারে আরো স্বচ্ছ ধারণা পায় এবং তাদের বিশ্বাসের জায়গাটি আরো জোড়ালো হয়।
8. Event photo: যদি আপনি কোন ইভেন্ট এর আয়োজন করেন তাহলে , আপনি ইভেন্ট ফটো তৈরি করতে পারেন। ইভেন্টে কারা কারা উপস্থিত থাকবে তাদের ছবি ও বিবরণ দিয়ে দিতে পারেন। এটা আপনাকে সোস্যাল মার্কেটিং-এ সহায়তা করবে।
9. Holiday themed boards: বিভিন্ন ছুটির দিনগুলোতে আপনি নানান ধরনের theme পিন করতে পারেন যা নিউজজেক বাড়াতে সাহয্য করবে। যেমন Christmas day, valentine day, Independent day ইত্যাদি ছুটির দিন উপলক্ষে আকর্ষণীয় ছবি পিন করে দিতে পারেন।
1o. Staff favorite recipes: আমরা সবাই জানি Pinterest-এ recipes খুবই জনপ্রিয়। তাই আপনার ব্যবসায়ের সাথে সামঞ্জ্যপূর্ণ না হলেও বিভিন্ন খাবার এর recipes গুলো পিন করে দিতে পারেন।
11. Info-graphics: আপনার কোম্পানির সাথে সামঞ্জ্যপূর্ণ Info-graphics খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
12. Videos: Pinterest-এ Youtube-এর মজার মজার Video দিতে ভুলে যাবেননা। Video হতে পারে সহকর্মীদের সাথে আর্ডার কোন একটি মুহূর্ত কিংবা তাদের গাওয়া মজার কোন গান বা কবিতা, হতে পারে জোঁকস।
আন্তর্জাতিক সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে Twitter-এর সফলতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। ভাল ও ইনফরমেটিভ টুইট আপনাকে খুব সহজে ভোক্তা সাধারণের নিকট পৌঁছে দিবে।
13. Stats: সহজে Follower-দেরকে এনগেজ করার উপায় হল Stats। আপনার Stats ভাল হলে, ভোক্তাদেরকে আকৃষ্ট করতে সহজ হবে।
14. Questions: এমন একটি প্রশ্ন করুন যার উত্তর ১৪০ character-এর মধ্যে দেয়া সম্ভব হয়। এরপর প্রশ্নের উত্তর আসলে রিটিউমেন্টস করুন।
15. Quotes: Stats-এর মতই সুবিধা পাওয়া যায় Quotes বা উদ্ধারন চিহ্ন ব্যবহার করা থেকে। রিটুইট পাওয়ার জন্য ১৪০ character-এর মধ্যে একটি কনটেন্ট লিখে টুইট করুন যেখানে Quotes বা উদ্ধারন চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে ।
16. Article: আপনার পণ্য বা সেবা সম্পকিংত Article লিখে টুইট –এ শেয়ার করুন।
17. Tips & Tricks: মাঝে মধ্যে কিছু Tips & Tricks দিন যা আপনার বন্ধুদেরকে এনগেজ করতে সহায়তা করবে।
18. Event hashtags: আপনার কোন ইভেন্ট থাকলে hashtags করতে পারেন। এটি সোস্যাল মার্কেটিং-এর নতুন একটি কৌশল।
লিঙ্কডইন শিল্প-বাণিজ্যের কন্টেন্ট প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আরও সহায়ক একটি প্ল্যাটফর্ম।
19. Detailed content: আপনার পণ্য বা সেবার বিষয়বস্তু নিয়ে আরো গভীর বিশ্লেষণ করে ব্লগ লিখুন এবং সেগুলো লিঙ্কডইন-এ শেয়ার করুন।
20. Ask questions in groups: লিঙ্কডইন হল সম্পূর্ণ প্রফেশনাল সোস্যাল মিডিয়া সাইট। আমি লক্ষ্য করেছি, খুব সাধারণ একটি প্রফেশনাল প্রশ্নও লিঙ্কডইন-এ আলোচনার ঝড় তুলতে সক্ষম ।
21. eBooks: যেহেতু LinkedIn অনেক বেশি প্রফেশনাল সোস্যাল মিডিয়া সাইট সেহেতু এখানে আপনি আপনার eBooks গুলো শেয়ার করতে পারেন।
Instagram হল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনার কোম্পানি বা ব্রাণ্ডের লাইফ স্টাইল উপস্থাপন করতে পারবেন।
22. Fun employee photos: আপনার কোম্পানির employee ’রা কি খুব fashionable? তারা কি সবসময় দুপুরে খাওয়ার জন্য স্বাস্থসম্মত খাবার নিয়ে আসেন? তাহলে তাদের নিয়ে একটি সিরিয়াল তৈরি করতে পারেন।
23. Behind the scenes: এখানে আপনি আপনার কোম্পানির employee ’দের সাধারণ জীবন –যাপন কিংবা অফিসিয়াল আচরণের বাইরে ভিন্নধর্মী মজার আচরণ গুলো তুলে ধরতে পারেন। এটা আপনার কোম্পানির স্বচ্ছতা প্রকাশ করতে সহায়তা করবে।
24. Products: ঘন ঘন পণ্য বা সেবার ছবি আপলোড করলে একগেয়েমি সৃষ্টি হয়। এর চেয়ে বরং কোথায় এবং কিভাবে এই পণ্য বা সেবা তৈরি করা হয়, এই ধরনের ছবি আপলোড করুন।
25. Video: আপনার পণ্য বা সেবার Video তৈরি করে এখানে আপলোড করতে পারেন যা আপনাকে ভিডিও মার্কেটিং এর সুবিধা দিবে। এছাড়া কর্মীদের কর্মব্যস্ত মুহূর্ত গুলোরও ভিডিও ধারণ করে দিতে পারেন।
26. Your blog content: সবগুলো প্ল্যাটফর্মে আপনার দৃঢ় অবস্থান তৈরি হলে একের পর এক blog content সবকয়টি প্ল্যাটফর্মে শেয়ার দিন। আর এভাবেই আপনি একজন সফল অনলাইন মার্কেটার হতে পারবেন।
প্রথম প্রকাশের লিংকঃ http://genesisblogs.com/tips-2/6385
এ ব্লগে গেলে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ টিউনও খুজে পাবেন।
আমি মোঃ ইকরাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 102 টি টিউন ও 130 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
নিজেকে অনলাইন ব্রান্ড এক্সপার্ট হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করলেও গ্রাফিকস, ওয়েবডিজাইন এবং অ্যানিমেশন বিষয়েও প্রচুর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ব্লগিংটা নেশার কারনে করি। নিজের ব্লগের লিংকঃ http://genesisblogs.com/
ধন্যবাদ ভাইয়া টিপসগুলো শেয়ার করার জন্য।
আমার ব্লগের লিংক ফেসবুকে স্প্যাম হিসেবে ধরে।কোন সমাধান আছে কি?