আসসালামু আলাইকুম! সকল টিউনার কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আজকে আমরা আলোচনা করবো ইলেকট্রনিক্স নিয়ে, বর্তমান আধুনিক বিশ্বে ইলেকট্রনিক্স আমাদের জীবনের সাথে এমন ভাবে জড়িয়ে আছে যে এটি আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে গেছে। ইলেকট্রনিক্স ছাড়া নিজের জীবনকে যেন কল্পনাই করা যায় না। তাহলে শুরু করা যাক।
ইলেকট্রনিক্স কাকে বলে:
আধুনিক বিজ্ঞান পরে আমরা জেনেছি যে মৌলিক পদার্থের পরমাণু কে ভাঙলে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন পাওয়া যায়।
ইলেকট্রন যখন কোন ভ্যাকুয়াম, গ্যাস বা সেমিকন্ডাক্টর এর মধ্য দিয়ে প্রবাহ হয়, তখন সেই কথাগুলো বিজ্ঞানের যে শাখায় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয় তাকে ইলেকট্রনিক্স বলে। ইলেকট্রনিক্সে সকল প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস, এর গঠন ও কার্যপ্রণালী সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস:
যে সকল ডিভাইসের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহের ফলে সৃষ্ট কারেন্ট প্রবাহিত হয়, তাদেরকে ইলেকট্রনিক ডিভাইস বলে। যেমনঃ বিভিন্ন ধরনের ডায়োড, ট্রানজিস্টর, ক্যাপাসিটর, ট্রান্সফর্মার ইত্যাদি।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস এর প্রকারভেদ:
গঠন অনুসারে ইলেকট্রনিক ডিভাইস মূলত দুই প্রকার। যথা-
1.বাল্ব স্টেট ইলেকট্রনিক্স (Bulb State Electronics): কোন ভ্যাকুয়াম টিউব অথবা গ্যাস এর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহের ফলে সৃষ্ট কারেন্ট প্রবাহিত হয়, তাকে বাল্ব স্টেট ইলেকট্রনিক্স বলে।
2.সলিড স্টেট ইলেকট্রনিক্স (Solid State Electronics): কোন সেমিকন্ডাক্টর এর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহের ফলে সৃষ্ট কারেন্ট প্রবাহিত হয়, তাকে সলিড স্টেট ইলেকট্রনিক্স বলে।
ইলেকট্রনিক্স এর পরিধি:
ইলেকট্রনিক্স তড়িৎ প্রকৌশলের প্রধান শাখাগুলোর একটি, প্রথম ইলেকট্রনিক যন্ত্র ছিল থার্মোনিক ভালভ বা ভ্যাকুয়াম টিউব, যার ভিতরের শূন্যস্থানে ইলেকট্রনগুলো ছুটোছুটি করে এবং এটি বেতার, টেলিভিশন, রাডার ও ডিজিটাল কম্পিউটারের মতো উদ্ভাবনগুলোর প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। ১৯৪৮-এর দিকে ট্রানজিস্টারের উদ্ভাবন এবং পরবর্তী সময়ে ইনটিগ্রেটেড সার্কিট (IC)-এর বিকাশ ইলেকট্রনিক্সের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে এবং এগুলো সবই পূর্বের ইলেকট্রন টিউব প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিগুলো সব সূক্ষ্ম সিলিকন চিপ-এর ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে যা অন্তত 10 হাজার ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্ট ধারণ করে। এ ধরনের উন্নয়ন ইলেকট্রনিক সার্কিটকে অধিক ঘনত্বসম্পন্ন বিন্যাসে সাজাতে সাহায্য করেছে এবং যন্ত্রের আকার ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর করতে সহায়তা করেছে। এর ফলে সম্ভব হয়েছে ঘনবিন্যাস্ত ক্ষুদ্রাকৃতির কম্পিউটার, উন্নত রাডার ও দিক বা অবস্থান নির্ণয় ব্যবস্থা এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি তৈরি যেগুলোতে বিপুল সংখ্যক যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে হয়। ১৯৩০ সালে বেতার কেন্দ্র ও টেলিফোন এক্সচেঞ্জ স্থাপন এবং ওয়ারলেস যোগাযোগের ক্ষেত্রে এদেশে প্রথম ইলেকট্রনিক্সের ব্যবহার শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সামরিক প্রয়োজনে ওয়ারলেস যোগাযোগ প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়। বেতার, টেলিভিশন, অডিও-ভিডিও ক্যাসেট রেকর্ডার ও প্লেয়ার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, তারবিহীন টেলিফোন, ইত্যাদি বহুল ব্যবহৃত ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি এর উদাহরণ।
আমি মোঃ মোজাহেদুল ইসলাম মিয়া। মাস্টার ইলেকট্রিশিয়ান, হোভার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, চট্টগ্রাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
আমি স্পষ্টভাবে নিখুঁত নই, তবে সীমিত সংস্করন।