সিসিটিভি ক্যামেরা ক্রয় একটি ব্যয়বহুল ব্যপার। তাই কেনার পূর্বে ভালোভাবে চিন্তা, ভাবনা করে নিতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরার সবথেকে একটি গুরুত্ত পুর্ণ অংশ হল ক্যামেরা, কারন এটি একটি সিস্টেমের চোখের কাজ করে। সিসি ক্যামেরা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে Google.com এ সার্চ করুন CCTV Camera Price in Bangladesh, বিভিন্ন ওয়েব সাইট ঘেটে আপনার সিসি ক্যামেরা সম্পর্কে জানতে পারবেন। দামী বা বড় সিসিটিভি ক্যামেরা কিনলেই যে ভালো হবে এমন কোনও কথা নেই। প্রথমে আপনার প্রয়োজন বা চাহিদা শনাক্ত করতে হবে। প্রয়োজনগুলো শনাক্ত করতে পারলে এর সাথে সামঞ্জস্য রাখলে ক্যামেরা কেনা খুবই সহজ হতেপারে। ক্রেতা খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে যদি তার চাহিদা যানা থাকে এবং ভালো ক্যামেরাটিও যথাযথভাবে কিনতে পারে। তাই সিসিটিভি ক্যামেরা সম্পর্কে প্রথমেই আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য জানতে হবে।
সিসিটিভি ক্যামেরা কিভাবে কাজ করে
বাসার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো বেশির ভাগ সলিড-স্টেট ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যা সংযুক্ত থাকে একটি সেন্ট্রাল রেকর্ডারের সাথে। ক্লোজড্ সার্কিট ক্যামেরা বলাহয় কারন ক্যামেরা গুলি একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে থেকে কাজ সংগঠিত করে। লেন্স ফোকাছ করে সেন্সরে ইমেজ হিসেবে ধারন করানর জন্য ও সেন্সর থেকে ডিএসপিতে স্থানান্তরিত করানর জন্য। ডিএসপি টিভি সিগনাল রুপান্তরিত করে। এরপর সিগনালটি সঠিক স্থানে প্রেরিত করে সংরক্ষন ও পরিবেশন এর জন্য।
সঠিক লেন্স নির্বাচন–ডিভিআর এর রেকর্ড ও ব্যবহারকারী যেটা দেখে সবই লেন্স এ মাধ্যোমে হয়। লেন্স নির্ধারন করে যে কতটুকু দূরত্বে একটি গাড়ির নাম্বার প্লেট পড়া যাবে অথবা কারও চেহারা চেনা যাবে, কারন ফোকাস নিয়ন্ত্রন করে লেন্স। অনেক সময় লেন্স বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে হায়ার আউটপুট রেজোলিউশানের চেয়ে কারন সবসময় আউটপুট ইনপুট দ্বারা সীমাবদ্ধ এবং ইনপুটের সিস্টেম হল লেন্স। এছাড়া জুম লেন্সও বাজারে পাওয়া যায়। কিছু কিছু সিসিটিভি ক্যামেরাতে লেন্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল জুম এবং বাকিগুলোতে অপটিক্যাল জুম আছে। তাই যথাসম্ভব ক্রেতাকে অপটিক্যাল জুমকে ডিজিটাল জুমের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। একটি সমস্যা হল মূল ইমেজের সাথে ডিজিটাল জুম কোনও তত্ত্ব যোগ করতে পারেনা। আর এদিকে মূল ইমেজের সাথে নতুন তত্ত্ব অপটিক্যাল জুমই ব্যবহার করতে পারে এর কারন ইমেজ লাইট সেন্সরে পৌঁছানোর সাথে পরিবর্তিত হয়।
সেন্সর সঠিক ভাবে নির্বাচন– ডিজিটাল সেন্সর সব একই রকম হয়না। তাই ২টি জিনিস বিবেচনা করতে হয় ক্যামেরার সেন্সরের স্পেসিফিকেশন যাচাইয়ের ক্ষেত্রে তা হল সেন্সর টাইপ ও সেন্সর সাইজ। বেশিভাগ সেন্সর হয় সিএমওএস নয় সিসিডি। সিসিডি এর কর্মক্ষমতা ও সংবেদনশীলতা সিএমওএসের থেকেও বেশি তাই পরিষ্কার ইমেজ ধারন করতে পারেনা। তাই সিএমওএস ব্যবহার না করাই ভাল। সিএমওএসের মুল্য সিসিডি থেকে কম তাই এটা একট সুবিধা। খুব ভাল ইমেজের জন্য সিএমওএস সম্বলিত সেন্সরের সিগনাল প্রসেস করতে হয় অনেক বেশি। সেন্সর যতটা বড় হবে, লাইট প্রসেসও হবে ততবেশি এবং খুব ভাল ইমেজ ধারন করতে পারে। বেশিরভাগ সেন্সর এর সাইজ ১/৪ ইঞ্চি বা ১/৩ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এমএম যেভাবে পরিমাপ করতে হবে, ১/৪ ইঞ্চি দ্বারা ৩.২ বাই ২.৪৪ এমএম এবং ১/৩ ইঞ্চি দ্বারা ৪.৮ বাই ৩.৬ এমএম। অসাধারণ আলো শুধু বড় সেন্সর ধারন করেনা, ডিএসপিকে কাজ করার জন্য অতিরিক্ত তথ্য দেয় যা অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাসম্পন্ন বাজেট ক্যামেরাগুলোর জন্য সহায়ক।
আউটপুটের সঠিক রেজোলিউশান নির্বাচন- টিভি রেজোলিউশানের সমতল লাইনের সংখ্যা বা টিভিএল হল সিসিটিভি ক্যামেরার একটি প্রচলিত স্পেসিফিকেশন, ৭০০টিভিএল পর্যন্ত এর রেঞ্জ হয়ে থাকে। ৩৮০ ও ৫৪০টিভিএলেরও বিভিন্ন ক্যামেরা পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা ৪২০টিভিএলকে সর্বনিম্ন হিসেবে ধরে থাকে তবে সবক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়। আইটপুট সবসময় ইনপুটের উপর নির্ভর করে। তাই লেন্স এবং সেন্সর যদি আউটপুট রেজোলিউশানের(ডিএসপি দ্বারা নির্ধারিত) সাথে ম্যাচ করতে না পারে তাহলে অতিরিক্ত রেজোলিউশানের পুরোটাই বৃথা যায়। তাই যথেষ্ট পরিমাণ রেজোলিউশান থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা দ্বারা ক্যামেরায় ধারণকৃত ইমেজ স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করা যায়।
বিভিন্ন ধরনের সিসিটিভি ক্যামেরা-
সকল প্রকার সিসিটিভি ক্যামেরার সাইজ ও গঠন এক রকম হয় না। ক্যামেরাও বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে তার প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে। ব্যাসিক ক্যামেরার ৩টি উদাহরণ দেওয়া হল
বুলেট ক্যামেরার ধরন– যেখানে নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেখানেই সাধারণত ছোট নলাকার বুলেট ক্যামেরা গুলো পারিপার্শ্বিক অবস্থায় ব্যবহার করা হয়। একে নিরাপত্তামূলক ডোমে স্থায়ীভাবে ইন্সটলের প্রয়যন হয়না। এটি দোকান অথবা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করার ইপযুগি।
ডোম ক্যামেরা - ডোম ক্যামেরা নজরদারি করার জন্য অসাধারণ। এটি শুধু নৈমিত্তিক ক্ষতি থেকেই ক্যামেরাকে রক্ষা করেনা বরং অতিমাত্রায় নিরাপত্তা প্রদান করে, এবং ক্যামেরাটি যে দিকে পয়েন্ট করে থাকে তা বোঝা প্রায় অসম্ভব।
আইআর ডে/নাইট ক্যামেরা– লাইটিং এর অবস্থা যাই থাকুক না কেন, এই ক্যামেরাগুলো ২৪ ঘণ্টা আউটডোর কভারেজ দিয়ে থাকে। এগুলো দিনের বেলা একটি নির্দিষ্ট কালার ইমেজ দিয়ে থাকে এবং রাতে ইনফ্রারেড ভিউ এর জন্য সাদাকালোতে রূপান্তরিত হয়।
ব্যবহারকারীর কোন ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করবে সেটি তার উদ্দেশ্য ও চাহিদার উপর নির্ভর করে এবং ক্যামেরা নির্বাচন করা খুবই সহজ হয়েযাবে চাহিদাগুলি সে নির্ণয় করতে পারলে।
সঠিক সিসিটিভি ক্যামেরা নির্বাচন করুন
সঠিক ক্যামেরাটি ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রথমেই যা বিবেচনা করতে হবে তা হলো লেন্স। লেন্স ব্যবহারকারীকে স্পষ্ট ইমেজ প্রদান করে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে সেন্সর। ক্রেতার ১/৩ ইঞ্চি সিসিডি সেন্সর ক্রয় করা উচিত কারন এটির অধিকাংশ প্রসেসিং এর জন্য ডিএসপিতে প্রদান করে। ক্যামেরার শেষ একটি ফিচারটি হচ্ছে আউটপুট রেজোলিউশান। এর উপযোগিতা প্রথম ২টি ফিচারের উপর নির্ভর করে। হার্ডওয়্যারের সামর্থ্য নির্ণয়ের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে এর চাহিদার সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্রেতাকে নির্ধারণ করতে হবে। অনেক বেশি আউটডোর এরিয়া কভার করার জন্য বাড়িওয়ালা তার সম্পত্তি রক্ষায় ডে/নাইট ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারে। বুলেট ক্যামেরা স্টাফদের মনিটর করার জন্য এবং ডোম ক্যামেরা দোকান বা ব্যবসার জন্য ভালো।
সিসিটিভি ক্যামেরার দাম কেমনঃ
সিসিটিভি ক্যামেরার কোয়ালিটি অনুযাই ক্যামেরার ভালো দাম নির্ধারিত হয়, প্রোভাইডার ও আনুষঙ্গিক আরো অনেক সমীকরণ মিলিয়ে। এখনি আপনি কয়েকটা সিসিটিভি ক্যামেরা প্রোভাইডার দের ওয়েবসাইট এ গিয়ে এর দাম সম্পর্কে অনুধাবন করুন। গুগল এ CCTV Camera company in Bangladesh লিখে সার্চ করুন আর ৫-৬ টা ওয়েবসাইট ঘেটে দেখুন।
আমি এনামুল রুবেল হক। CEO, Computerstorebd.com, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।