‘সার্কিট’ শব্দটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে টিভি বা কম্পিউটারের জটিল কোনো সার্কিট; যা আমাদের মাথার উপর দিয়ে যায়। সার্কিট মানেই জটিল সার্কিট না. সেটা হতে পারে খুব সাধারন কোনো লাইট এর সংযোগ, কিংবা কোনো ডিসি মটরের সাথে ব্যাটারি লাগিয়ে মটর চালানো।
ইলেক্ট্রনিক্স জগতে যেকোনো সার্কিট এ কাজ করতে হলে আমাদেরকে তার নকশা অর্থাৎ সার্কিট ডায়াগ্রাম এঁকে নিতে হয়।
উত্তরঃ সার্কিট ডায়াগ্রাম হল সার্কিটের বিভিন্ন উপকরনের চিহ্ন সম্বলিত এমন একটি চিত্র রূপ যা দেখে এর উপকরণগুলো কিভাবে পরস্পর যুক্ত রয়েছে তা বুঝা যায় এবং এদের মান সংক্ষেপে ডায়াগ্রামে উল্ল্যেখ থাকে।
ইলেক্ট্রনিক্সের বেসিক ও কানেকশন প্রসেস নিয়ে পূর্বে কিছু আর্টিকেল দেয়া হয়েছে। নতুনদের অনুরোধ করবো আগে সেগুলো দেখে নিতে:-
ইলেক্ট্রনিক্সের ডায়াগ্রামের নির্দিষ্ট একটি ভাষা বা সিস্টেম রয়েছে। যার মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক্স কম্পনেন্টস গুলোকে চিহ্নের আকারে প্রকাশ করে চিত্রের রূপ প্রদান করা হয়। এতে করে যেকোনো সার্কিট ডিজাইন আকা সহজ হয়ে যায়।
নিম্মে ইলেক্ট্রনিক্সের গুরুত্বপূর্ন কিছু কম্পোনেন্ট সিম্বল দেয়া হলঃ-
সিম্বল সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পাওয়া গেল। এখন আমরা সার্কিট ডিজাইনিং এ হাত দিব। সার্কিট ডায়াগ্রাম না পারলে আমাদের পক্ষে কোনো সার্কিটই তৈরি করা সম্ভব নয়।
নিম্মে একটি সাধারন ও সহজ সার্কিট ডায়াগ্রাম দেয়া হলঃ
চিত্র হতে বুঝতে পারছি, সার্কিটটি একটি ব্যাটারি চলিত লাইটের। এখানে একটি ব্যাটারির পসিটিভ প্রান্তের সাথে বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে একটি সুইচ লাগানো হয়েছে এবং সুইচের আরেক প্রান্ত লাইটের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। লাইটের অন্য প্রান্ত ব্যাটারির নেগেটিভ প্রান্তের সাথে সংযুক্ত। সার্কিটের সুইচটি ব্যবহারের মাধ্যমে লাইটটি অন/অফ করা যাবে।
ব্যাস! তৈরি হয়ে গেল একটি খুব সাধারন সার্কিট ডায়াগ্রাম।
ইলেট্রনিক্স খুব কঠিন কিছু না। তবে সঠিক বেসিক জ্ঞান না থাকার কারনে এটি হয়ে উঠতে পারে এভারেস্ট জয় করার মতই কঠিন বিষয়!
তাই আমরা এভারেস্ট জয় করার মত কঠিন না করে এটিকে যতটা সম্ভব সহজে বুঝবো।
সাথে থাকুন এবং পরবর্তি সার্কিটের জন্য অপেক্ষায় থাকুন.
আমি আসিফ মাহমুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Val lagce vai