বেসিক ইলেকট্রনিক্স [পর্ব-০৫] :: ইলেকট্রনিক্স এর বহুল ব্যবহৃত কম্পোনেন্ট ও এদের প্রতীক পরিচিতি

বেসিক ইলেকট্রনিক্স

আসসালামু-আলাইকুম। আমি মোঃ তাজউদ্দিন চৌধুরী। ইলেকট্রনিক্স এর একজন ছাত্র। হয়ে যান ইলেকট্রনিক্স এর মহাগুরু। যাদের ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে আগ্রহ রয়েছে তাদের জন্য আমি একেবারে শুরু থেকে সহজ ভাষায় চেইন টিউন করছি।  গত পর্বগুলোতে যারা দেখেন নি তারা দেখে নিতে পারেন। গত পর্বে আমরা ইলেকট্রনিক্স এর ব্যবহৃত বিভিন্ন টুলস এর কাজ ও এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম। আমাদের আজকের বিষয়ঃ ইলেকট্রনিক্স এর বহুল ব্যবহৃত কম্পোনেন্ট ও এদের প্রতীক। আমি কথা না বাড়িয়ে শুরু করছি।

১) আই সিঃ (I.C): Integrated circuit ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট : অর্ধপরিবাহী(semi conductor) উপাদানের উপরে নির্মিত অত্যন্ত ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক বর্তনী। এর বাংলা নাম সমন্বিত বর্তনী।

সমন্বিত বর্তনীর সুবিধাঃ

ক) এর সাহায্যে তৈরি বর্তনী আকারে বহুগুণ ছোট হয়।

খ) ওজনে হালকা।

গ) একসাথে অনেকগুলো চিপ তৈরি হয় বলে মূল্য খুবই কম।

ঘ) কম বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়।

নিচের চিত্রটি দেখতে পারেনঃ

২) ভেরিএবল রেজিস্টরঃ Variable Resistor: ইলেকট্রনিক্স সার্কিট তৈরিতে কখনও কখনও আমাদের এই ভেরিএবল রেজিস্টর ব্যবহার করতে হয়। এর সাহায্যে রেজিস্ট্যান্সের মান প্রয়োজন মত কম-বেশি করা যায়। নিচের চিত্রটি দেখুনঃ

৩) Diode: ডায়োডঃ এসি কারেন্টকে ডিসি কিংবা বিদ্যুৎ প্রবাহকে একমুখি করতে ডায়োড ব্যবহৃত হয়। এতে দুটো টার্মিনাল থাকে। অ্যানোড এবং ক্যাথোড। ডায়োড নিয়ে এখন বিস্তারিত বলব না। পরবর্তীতে ডায়োড নিয়ে একটি বিস্তারিত টিউন করব।

নিচের চিত্রটি দেখুনঃ

৪) Transistor: ট্রানজিস্টরঃ দুটি ইংরেজি শব্দ “ট্রান্সফার” এবং “রেজিস্টর” এর সম্মিলিত রূপ হচ্ছে ট্রানজিস্টর। এটি মূলত রেজিস্ট্যান্স ট্রান্সফার নীতিতে কাজ করে। ট্রানজিস্টরকে কারেন্ট ড্রাইভেন বা কারেন্ট দ্বারা চালিত ডিভাইস বলা হয়। আর এই কারেন্ট রেজিস্ট্যান্সের দ্বারা ট্রান্সফার হয়।  আর এ কারনেই এর নাম রাখা হয়েছে ট্রান্সফার রেজিস্টর বা ট্রানজিস্টর। দুটি সেমি কন্ডাক্টর ডায়োটকে পাশাপাশি সংযোগ করলে ট্রানজিস্টর তৈরি হয়। ট্রানজিস্টরে তিনটি টার্মিনাল বা লিড থাকে। ট্রানজিস্টরকে ইংরেজী অক্ষর Q দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

  • কালেক্টর (C)

  • বেস (B)

  • ইমিটার (E)

ট্রানজিস্টর দুই প্রকার। যথাঃ

  • পি. এন. পি ট্রানজিস্টর

  • এন. পি. এন ট্রানজিস্টর

ট্রানজিস্টর সম্পর্কে পরবর্তীতে একটি বিস্তারিত টিউন করব। তখন আরো বিস্তারিত আলোচনা করব। নিচের চিত্রটি দেখুনঃ

 

 

৫) LDR: Light Dependent Resistor: নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে আলোক নির্ভর রেজিস্টর। এই এল. ডি. আর অন্ধকারে থাকলে রেজিস্ট্যান্স বেশি থাকে এবং আলোর সংস্পর্শে আসলে রেজিস্ট্যান্স কমে। পরবর্তীতে আমরা এই LDR দিয়ে কিছু সার্কিট তৈরি করব। নিচের চিত্র দেখুনঃ

 

৬) আরেকটা জিনিসের কথা না জানলেই নয়। ব্রেড বোর্ড। ঝালাই ছাড়া কম্পোনেন্ট বসিয়ে সার্কিট তৈরিতে খুবই গুরুত্বপূর্ন। এর সাথে থাকে মেল-মেল/মেল-ফিমেল কানেকটর। পরে আমরা সার্কিট তৈরির সময় বিস্তারিত দেখব। নিচের চিত্রটি দেখুনঃ

আজ এ পর্যন্তই। বুঝতে সমস্যা হলে টিউমেন্ট করে জানাবেন। আগামী টিউনে আমরা রিলে/ম্যাগনেটিক সুইচ(Relay/Magnetic Switch) সম্পর্কে আলোচনা করব। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে টিউমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমি  ইলেকট্রনিক্স এর উপর একজন ছাত্র। আমি সাধ্যমত সকল বিষয় সহজ ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। ভাল থাকেবেন সবাই। আসসালামু-আলাইকুম।

Level 2

আমি মোঃ তাজউদ্দিন চৌধুরী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 49 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাই ভালো হয়েছে, চালিয়ে যান।

টিউনটি বেশ সুন্দর হয়েছে। চালিয়ে যান। সাথেই আছি।
একটি ছোট্ট সংশোধন: শব্দটি হচ্ছে ‘diode’ বা ‘ডায়োড’; হয়ত টাইপিং এর ভুলে সেটা diot হয়ে গেছে। ঠিক করে দিন।

ধন্যবাদ ভাই। ভুলটা আমি সংশোধন করে দিয়েছি। ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি একজন ছাত্র, তবে আপনারা সাথে থাকলে আমি আমার লেখা-লেখি চালিয়ে যেতে পারব। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবাই।

খুব সুন্দর টিউন। ভাইয়া ২২০ এসি ভোল্ট থেকে ডিসিতে যেকোনো ভোল্ট নিতে কি পাস গুলো ব্যবহার করতে হবে ট্রাসফার্মার ছাড়া

Level 0

ডিজিটাল মাল্টিমিটারের সাহায্যে কিভাবে কালেক্টর (C)বেস (B)ইমিটার নির্ণয় করা যায় জানালে উপকৃত হতাম

@আবদুল্লাহ আল শাকিলঃ শুধুমাত্র ডায়োড এবং ক্যাপাসিটর দ্বারা ব্রিজের মাধ্যমে এসিকে ডিসি করা যায়। সেক্ষেত্রে 220 ভোল্ট এসি থেকে 220 ভোল্ট ডিসি পাওয়া যাবে।
তবে ভোল্টেজ কমাতে গেলে অবশ্যই ট্রান্সফরমার ব্যবহার করতে হবে। এই ট্রান্সফরমার নিয়ে আমি একটা সহজ টিউন করব ইনশা-আল্লাহ।

নীল ভাইঃ মাল্টিমিটারের ব্যবহার নিয়ে আমি একটা টিউন করব খুব শীঘ্রই। আমি একজন ছাত্র। আমি শিখি এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করি। মাল্টিমিটারের ব্যবহার নিয়ে আমি যতশীঘ্র সম্ভব আপনাদের সামনে হাজির হব। সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ

vai apnar mobile no dawa jabe?