বেসিক ইলেকট্রনিক্স [পর্ব-০১] :: রেজিস্টর (Resistor)

বেসিক ইলেকট্রনিক্স

আসসালামুআলাইকুম। আমি মোঃ তাজউদ্দিন চৌধুরী। ইলেকট্রনিক্স এর একজন ছাত্র। আমি কথা না বাড়িয়ে শুরু করছি। আমাদের আজকের বিষয় হল রেজিস্টর (Resistor)। চলুন জেনে নেই রেজিস্টর আসলে কি? আর কি কাজ এই রেজিস্টরের? যারা জানেন তাদের জন্য এই টিউন নয়। আমি আগেই বলেছি নতুনরা অনেক সহজেই ইলেকট্রনিক্স বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারবে আমার টিউনগুলোর মাধ্যমে।

যারা ইলেকট্রনিক্স বিষয়ে অনেক আগ্রহী কিন্ত সঠিক গাইডলাইন এর অভাবে থেমে আছেন, তাদের জন্য আমি চেইন টিউন এর মাধ্যমে  একেবারে  প্রথম থেকে শুরু করছি। আশা করি আপনাদের ইলেকট্রনিক্স বিষয়ে আর ভয় থাকবে না। এবং আপনারাও সহজে বুঝে আপনাদের চাহিদা মত ইলেকট্রনিক্স প্রজেক্ট তৈরি করতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

রেজিস্টরঃ যে ইলেকট্রনিক্স উপকরন কারেন্ট প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে তাকে রেজিস্টর বলে।

রেজিস্ট্যান্সঃ পরিবাহীর যে ধর্মের কারনে এর মধ্য দিয়ে কারেন্ট চলাচল বাধাগ্রস্থ হয় তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে।

রেজিস্ট্যান্সের একক ওহম।

রেজিস্টরকে ইংরেজী R অক্ষর দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

প্রকারভেদঃ কার্বন কম্পোসিট রেজিস্টর, মেটাল ফিল্ম রেজিস্টর, কার্বন ফিল্ম রেজিস্টর, ওয়্যার উন্ড রেজিস্টর ইত্যাদি।

***কালার কোডঃ ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে রেজিস্টরের গায়ে কিছু রং এর দাগ কাটা রয়েছে। এগুলোকে বলা হয় কালার কোড। এই রং দেখেই আমরা রেজিস্টরের মান নির্ণয় করতে পারব। তো চলুন শুরু করা যাক।

  • 4 টা রং থাকলে তাকে বলা হয় 4 ব্যান্ড কালার কোড।
  • 5 টা রং থাকলে তাকে বলা হয় 5 ব্যান্ড কালার কোড।
  • সর্বশেষ কালার হিসেবে একটু দূরে যে রং (সোনালী, রূপালী কিংবা কোনো রং থাকবে না) দেখা যায় সেটা হল টলারেন্স ব্যান্ড। টলারেন্স টা আবার কি?

***টলারেন্সঃ রেজিস্টর প্রস্ততকারক কোম্পানী রেজিস্টরের সঠিক মানটি বজায় রাখতে পারে না। এক্ষেত্রে প্রকৃত মান অপেক্ষা রেজিস্টরের মান কিছুটা কম বা বেশি হয়। রেজিস্টরের এই মান কম-বেশি হওয়াকেই টলারেন্স বলে। টলারেন্স ব্যান্ড এর হিসেব নিম্নরূপঃ

  • সোনালী +5% অথবা -5%
  • রূপালী +10% অথবা -5%
  • রং না থাকলে +20% অথবা -20%

চলুন এবার আমরা রেজিস্টরে ব্যবহৃত সকল রং সমূহের মানগুলো জেনে নিইঃ

  • কালো= 0
  • বাদামী= 1
  • লাল= 2
  • কমলা= 3
  • হলুদ= 4
  • সবুজ= 5
  • নীল= 6
  • বেগুনী= 7
  • ধূসর= 8
  • সাদা= 9

 নিচের ছবিটা দেখতে পারেনঃ

বুঝতে সমস্যা হলে চলুন তাহলে আমরা একটা ছোট অংক করি। আশা করি সমাধান হয়ে যাবে।

আশা করি সবাই রেজিস্টরের মান বের করতে পারবেন। আজ এ পর্যন্তই। বুঝতে সমস্যা হলে টিউমেন্ট করে জানাবেন। আগামী পর্বে আমরা রেজিস্টরের সিরিজ ও প্যারালাল সংযোগ সম্পর্কে জানবো এবং এজাতীয় গানিতিক সমস্যা সমাধান করব। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে টিউমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমি একজন ছাত্র আমি সাধ্যমত সকল বিষয় সহজ ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। ভাল থাকেবেন সবাই।

Level 2

আমি মোঃ তাজউদ্দিন চৌধুরী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 49 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ধন্যবাদ। @ফরহাদ উজ জামান ভাই।

প্রিয় টিউনার,

আপনাকে এই চেইনটি চলমান করার জন্য অনুরোধ করা গেল। দয়া করে আপনার চেইন টিউনটি নতুন পর্ব যুক্ত করুন এবং নিয়মিত আপডেট করুন। ধন্যবাদ।

A = 0, B = 1 তাহলে A*B = 10 কিভাবে হইছে, বুঝলাম না ?

ভাই
10*10=100 হয়
সেই হিসেবে
100*1000=100000 হবে
আসলে আমি নতুন তো বুঝতে একটু কষ্ট হচ্ছে
আরও একটু সহজ করে অর্থাৎ বিস্তারিত ভেঙ্গে দিয়ে হিসেব করলে আমি তথা
যারা নতুন তাদের জন্য সহজ হবে
ধন্যবাদ