ইলেকট্রনিক্স প্রিয় সবাইকে অভিনন্দন। আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। গরম শুরু হয়ে গেছে। তাই এখনই বিদ্যুতের সমস্যার একটা সমাধান করা গেলে মন্দ হয় না। আবার যারা বেশ উচু শ্রেনীর মানুষ তারা আই.পি.এস এর উপর বেশ নির্ভরশীল। তবে আই.পি.এস বেশ ব্যববহুল হওয়ায় অনেকে এটি ব্যবহার করতে চান না বা পারেন না। তবে সব শ্রেনীর মানুষের জন্য সোলার হতে পারে একটি উত্তম সমাধান।
সোলার কি?: সোলার একটি কমপ্লিট প্যাকেজ। এর মধ্যে প্যানেল, কন্ট্রোলার, ব্যটারী এবং অনুসাঙ্গিক কিছু সরঞ্জাম। এছাড়া ব্যবহার অনুযায়ী বাল্ব, ফ্যান ইনভার্টার ইত্যাদি। সোলার প্যানেল সুর্য থেকে প্রাপ্ত আলোক শক্তিকে বিদ্যুত শক্তিতে রুপান্তর করে। যা কন্ট্র্রলারের মাধ্যমে ব্যাটারীকে চার্জিত করে। এই চার্জ দিনে বা রাতে প্রয়োজন মত ব্যবহার করা যায়। যেহেতু সোলারের মাধ্যমে ব্যাটারী চার্জ হতে কোন বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না তাই প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার সিস্টেমই একমাত্র ভরসা।
সোলার প্যানেল: সোলার প্যানেল দুই প্রকার।
১। মোনো ক্রিস্টালাইন সোলার প্যানেল: মোনো বা একক কোষ থেকে উৎপাদিত সোলার প্যানেলকে বলা হয় মোনো ক্রিস্টালাইন সোলার প্যানেল। এই পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয় ১৯৭৫ সালে। এটির দাম অপেক্ষাকৃত বেশী। এবং এটির জনপ্রিয়তা বেশী। একই ওয়াটের পলি প্যানেলের তুলনায় মনো প্যানেলের আয়তন কম। প্রচন্ড উত্তাপেও এটির কর্মক্ষমতা ভালো থাকে।
২। পলি ক্রিস্টালাইন সোলার প্যানেল: পলি কিস্টালাইন সোলার প্যানেল উদ্ভাবিত হয় ১৯৮৫ সালে। এটিতে একাধিক কোষকে একটি কিস্টাল আকারে গঠিত করে সোলার প্যানেল প্রস্তুত হয়। এটি আনুপাতিক সস্তা। আটির আকার বড়। এটির কর্মদক্ষতা মনো থেকে কম।
কন্ট্রল বক্স: সোলার প্যানেলের খেকে প্রাপ্ত বিদ্যুত শক্তি আলোর তারমম্যের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। এই বিদ্যুত ব্যাটারীর চার্জের জন্য ক্ষতিকর। তাই এটিকে ফিন্টার করা প্রয়োজন। কন্ট্রোল বক্স এই বিদ্যুতকে নিয়ন্ত্রন করে ব্যটারীর জন্য উপযুক্ত করে। এছাড়া ব্যটারীর ওভার ভোল্টেজ ও আন্ডার ভোল্টেজ (লো কাট) থেকে রক্ষা করে।
কন্ট্রোল বক্স দুই প্রকার:
ক) পি.এম.ডব্লিউ (PMW)-Pulse Wide Modulation: এটি সস্তা এবং বহুল ব্যবহৃত সাধারণ প্রযুক্তি।
খ) এম.পি.পি.টি (MPPT)-Maximum power point Tracing: এটি আধুনিক, সাইজে বড় এবং দামী। এটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি ভোল্টেজকে এ্যম্পিয়ারে রুপান্তর করতে পারে। ফলে চার্জ দ্রুত হয়।
ব্যাটারী: বাজারে প্রচলিত সব ধরনের ব্যটারী আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সোলারের জন্য কিছূ ব্যটারী পাওয়া যায় । এগুলোতে টিউবুলার প্লেট ব্যবহার করা হয়। ফলে এগুলোর স্থায়ীত্ব বেশী দিন হয়। এই ব্যটারী গুলো দেখতে একটু বড় হয়ে থাকে। আপনি হ্যামকো বা ভলভো ব্যাটারী কিনলে ৫ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন। তবে ইনভার্টার ব্যবহার করলে বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন না।
বাল্ব, ফ্যান: আপনি যদি কোন ইনভার্টার না ব্যাবহার করেন সে ক্ষেত্রে ডি.সি অর্থাৎ 12 ভোল্ট এর বাল্ব বা ফ্যান অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবেন। আর যদি ইনভার্টার ব্যবহার করেন তবে 220 ভোল্টে চলে এমন সব ডিভাইস চালাতে পারবেন। তবে ডিসি প্যাকেজের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটির স্থায়ীত্ব বেশী। তাই চেষ্টা করুন ডিসি ভোল্টে চালাতে।
প্যানেল:
১। মনোক্রিস্টালাইন প্রতি ওয়াট ৭০-৯০ টাকা
২। পলিক্রিস্টিলাইন প্রতি ওয়াট ৫৫-৬৫ টাকা
কন্ট্রোল বক্স:
১। পি.এম.ডব্লিউ- ৩৫০-১০০০ টাকা
২। এম.পি.পি.টি- ১৫০০-৩৫০০ টাকা
ব্যাটারী:
১। ভলভো- ৪২০০-২০০০০ টাকা
২। হ্যামকো- ৬৫০০-৩০০০০ টাকা
অন্যান্য: বাল্ব- ৮০-৩৫০ টাকা, ফ্যান- ৬৫০-৩৫০০ টাকা, তার- ২৫-৪৫ গজ।
কোন প্রশ্ন থাকলে ফেসবুকে পাবেন: FACEBOOK
আমি জ্ঞান পিপাসু (R@FIZ)। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 74 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
তথ্যবহুল টিউন। অনেকের কাজে লাগবে।ধন্যবাদ আপনাকে।