একটি ফ্ল্যুরেসেন্ট বাল্ব আলো উত্পাদনে সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে। ফ্ল্যুরেসেন্ট টিউবের উভয়প্রান্তে দুইটি ইলেকট্রোড ও টিউবের ভিতরে গ্যাস ধারণকারী আর্গন ও মারকারি ভ্যাপর থাকে। ইলেকট্রন স্টীম গ্যাসের মধ্য দিয়ে এক ইলেকট্রোড থেকে আর এক ইলেকট্রোডে প্রবাহিত হয় এবং অনুরূপ পদ্ধতিতে ইলেকট্রন স্টীম ক্যাথোড রশ্মি নলের মধ্য দিয়েও প্রবাহিত হয়।
এইসব ইলেকট্রনই অকস্মাৎ পারদ পরমাণুকে উত্তেজিত করে এবং একসময় পারদ পরমাণুগুলো উত্তেজিত অবস্থা থেকে অনুত্তেজিত অবস্থায় ফিরে আসতে থাকে ও অতিবেগুনী ফোটন ত্যাগ করে। এই ফোটনই ফ্ল্যুরেসেন্ট টিউবের ভিতরের ফসফর প্রলেপকে আঘাত করে যার ফলে দৃশ্যমান আলোর সৃষ্টি হয়।
ফসফরই ফ্ল্যুরেসেন্ট টিউবে আলো উৎপাদন করে থাকে। ফ্ল্যুরেসেন্ট বাল্ব তুলনামূলকভাবে অনেক কম তাপ উৎপন্ন করে তাই এটি ইনক্যানডিসেন্ট বা সাধারণ বাল্বের তুলনায় বেশী দক্ষ হয়। একটি ফ্ল্যুরেসেন্ট বাল্ব প্রতি ওয়াটে ৫০-১০০ লুমেন পর্যন্ত উৎপাদনে সক্ষম। ফলে এটি সাধারণ বাল্বের তুলনায় ৪-৬ গুণ বেশী দক্ষ ও কার্যকরী হয়। সুতরাং আপনি একটি ১৫ ওয়াটের ফ্ল্যুরেসেন্ট বাল্ব কিনতে পারেন যা ৬০-৭৫ ওয়াটএর ইনক্যানডিসেন্ট বাল্বের মত আলো আলো দিবে।
আমি psutradhar। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 18 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
KHUB VALO TOTTHO.