পি এল সি সম্পর্কে জানুন [পর্ব-০৪]

আজ আপনাদের লেডার ডায়াগ্রাম সম্পর্কে বলব। লেডার ডায়াগ্রাম করতে বেশ কিছু কন্টাক্ট, কয়েল, টাইমার, কউন্টার ইত্যাদি সেম্বল এর প্রয়োজন হয়। প্রথমে সেম্বলগুলো সম্পর্কে ডিটেইল লিখব। অতঃপর ডিভাইসের নাম এবং বর্ণনা দিব। শেষে সেম্বলের সাথে সমন্বয় করলেই প্রোগ্রাম তৈরি হয়ে গেল।

সেম্বলগুলো নিচে লক্ষ করুনঃ-

১। নরমালি ওপেন কন্টাক্ট।

২। নরমালি ক্লোজ কন্টাক্ট।

৩। ভারটিক্যল লাইন।

৪। হরাইজন্টাল লাইন।

৫। নরমালি ওপেন কয়েল।

৬। নরমালি ক্লোজ কয়েল।

৭। পি এল সি ইনিস্ট্রাকশনাল সেম্বল ইত্যাদি।

মোটামুটি এই কয়েকটি দিয়েই কাজ করা সম্ভব। উপরের ছবি থেকে আশা করি ওপেন, ক্লোজ কন্টাক্ট, কয়েল এবং ইনিস্ট্রাকশন চিনতে পেরেছেন। এই চিত্রটির প্রোগ্রাম অমরন এর সফটওয়্যার দিয়ে করা।

চিত্রে C0001,C0003 এবং C0004 হল ওপেন কন্টাক্ট, C0002 হল ক্লোজ কন্টাক্ট, 0.01 হল ওপেন কয়েল, 0.02 ক্লোজ কয়েল। ভারটিকেল এবং হরাইজন্টাল লাইন লাল তীর চিহ্ন দিয়ে দেখানো হয়েছে। ইনিস্ট্রাকশনের অনেক ব্যাবহার, টাইমার, কাউন্টার, বিভিন্ন প্রকার ডাটা ট্রান্সফার, স্পেশাল রিলে আরও অনেক কাজে এর ব্যাবহার রয়েছে। ছবিতে দেখুন একই ইনিস্ট্রাকশন দিয়ে কাউন্টার এবং প্রোগ্রাম সমাপ্ত করার কাজ করা হয়েছে। এতে ডিভাইসের নামের মাধ্যমে কেরেক্টার পরিবর্তন করা হয়েছে।

ডিভাইসের নাম এবং বর্ণনাঃ

এটি একটি বিষয় যে পিএলসি সিপিইউ এর উপর ভিত্তি করে ডিভাইসের নামকরন করা হয়। এখন একটি প্রশ্ন জাগে যে, সি পি ইউ ভিত্তিক ডিভাইসের কি কি নাম থাকতে পারে। এর সঠিক সমাধান হল, সি পি ইউ ভিত্তিক তার ব্যাবহার বিধি বই পড়ে ডিভাইসের নাম এবং ব্যাবহার জানতে পারবেন। গুগুলে সার্চ দিলে আশা করি সব বইই পাবেন।

আমি আপনাদের সাথে মিটসুবিশি এফ এক্স সিরিজের পি এল সির ডিভাইস নিয়ে আলোচনা করব। লক্ষ্য করবেন অমরন ডিভাইসের নাম এবং মিটসুবিশি ডিভাইসের নাম একই না। অমরন "C" দিয়ে এবং মিটসুবিশি "X" দিয়ে।

এফ এক্স সিরিজ ডিভাইসের বর্ণনাঃ

X- ফিজিক্যাল ইনপুটঃ

X এড্রেসগুলি ব্যাবহার করা হয় একটি ফিজিক্যাল ইনপুট কে নামকরন করার জন্য।

Y- ফিজিক্যাল আউটপুটঃ

Y ডিভাইসগুলি ব্যাবহার করা হয় একটি ফিজিক্যাল আউটপুট কে নামকরন করার জন্য।

M- অক্সিলারি রিলেঃ

এম রিলেগুলি অভ্যন্তরীণ বিট ডিভাইস। অভ্যন্তরীণ বিট যেকোনো ফাংশনএ প্রয়োজন হলে তাদের ব্যবহার করা সম্ভব। যখন একটি এম ডিভাইস কয়েল একটিভ হয়, তখন এম ডিভাইস পরিচিতি সক্রিয় হয়ে ওঠে।

এম ডিভাইসএ ডেডিকেটেড একটি  ফাংশন গ্রুপ আছে. তারা M8000 ~ M8511. এর প্রত্যেকটি ফাংশনের বর্ণনা এফ এক্স এর প্রগ্রামিং মানুয়ালে পাবেন।

S- স্টেট রিলেঃ

S রিলেও অভ্যন্তরীণ বিট ডিভাইস। এদের ব্যাবহার করা হয় STL (Initial State) প্রোগ্রামিংএ যা ধাপ, বা লেডার লজিক কোডে সক্রিয়তা ইঙ্গিত আকারে নির্দেশ করে। যদি STL প্রোগ্রামিং ব্যবহৃত হয় না, এই একই পদ্ধতিতে বিট হিসাবে এম বিট ব্যবহার করা যাবে।

এটিকে ফল্ট প্রচারক হিসাবে ব্যাবহার করা হয়। S900~S999 ব্যাবহার করা যাবে ফল্ট নির্দেশক হিসাবে। যাহার ডিটেইল এফ এক্স ম্যানুয়ালে পাবেন।

T- টাইমারঃ

টি ডিভাইস ডিফল্ট টাইমার দ্বারা টাইমার ডিভাইস হয়ে থাকে 100msec বাড়তি, 10msec বাড়তি, অথবা 1msec বাড়তি সময় হয় যা টাইমার ঠিকানার উপর নির্ভর করে। সর্বাধিক টাইমার, তাদের ঠিকানার উপর নির্ভর করে। এবং এদের কিছু non-retentive। অর্থাৎ এরা কখনো বর্তমান সময় ধরে রাখেনা, ইনপুট শর্ত নিয়ে বেস্ত থাকে। T246 এর উপরের গুলি Retentive। এরা এদের ভ্যালু ধরে রাখে রিসেট না হওয়া পর্যন্ত। Retentive টাইমার ইনপুট ঠিকানার উপর নির্ভর করে 100msec  অথবা 1msec সময় বেজ হয়ে থাকে।

যখন একটা টাইমার যুক্ত প্রিসেট মান টি ডিভাইস কয়েলে একটিভ হয়, সংশ্লিষ্ট টি ডিভাইস কন্টাক্টও তার পরিচিতি হিসাবে সক্রিয় হয়। সব টাইমার 16 বিটের হয়, যার অর্থ সর্বাধিক প্রিসেট হয় +32767. বৈধ প্রিসেটগুলি হল K ভ্যালু এবং D ডাটা রেজিস্টার। একটি 100msec টাইমার এর জন্য সর্বাধিক সময় হয় 3276.7 সেকেন্ড। টাইমারের ভ্যালু বেকাপ থাকে বেকাপ ব্যাটারিতে, তাই ব্যাটারি খারাপ মানের বা ডিস্কানেক্ট হলে টাইমার রিসেট হবে।

C- কাউন্টারঃ

সি ডিভাইস হল কাউন্টার ডিভাইস। এর আদর্শ হল এটি ধারণক্ষম (Retentive), রিসেট না হওয়া পর্যন্ত এরা কাউন্টার নাম্বার ধরে রাখে। এবং ধরে রাখার কাজটি ব্যাকআপ ব্যাটারি করে থাকে। যখন একটা কাউন্টার যুক্ত প্রিসেট মান সি ডিভাইস কয়েলে একটিভ হয়, সংশ্লিষ্ট সি ডিভাইস কন্টাক্টও তার পরিচিতি হিসাবে সক্রিয় হয়। কাউন্টার 16 বা 32 বিট হতে পারে, যার অর্থ সর্বাধিক গণনা পরিসীমা হয় -32768 থেকে +32767 (16 বিট) বা -2,147,483,648 থেকে 2,147,483,647 (32 বিট)। নেগেটিভ প্রিসেট খুব একটা ব্যাবহার করা হয় না। বৈধ প্রিসেটগুলি হল K ভ্যালুএবং D ডাটা রেজিস্টার।

সাধারনতঃ তিন ধরনের কাউন্টার হয়ে থাকে। ১৬বিট আপ কাউন্টার, ৩২বিট আপ/ডাউন কাউন্টার এবং ৩২ বিট উচ্চ গতি সম্পন্ন কাউন্টার। উচ্চ গতি সম্পন্ন কাউন্টার আবার তিন ধরনের হয়, ১ ফেজ, ২ ফেজ এবং এ/বি ফেজ কাউন্টার। কাউন্টারের আরও ডিটেইল ম্যানুয়াল থেকে পাবেন।

আজ এইটুকুই থাক। পরবর্তী টিউনে যা থাকবে............।

D – ডাটা রেজিস্টার, R and ER – ফাইল রেজিস্টার এবং এক্সটেনশন ফাইল রেজিস্টার, V and Z – ইনডেক্স রেজিস্টার, P - পইন্টার, K, H, and E – নিউমেরিক্যল কনস্টান্ট, U\G – বাফার মেমোরি এক্সেস।

সবাইকে ধন্যবাদ..........................................।

Level 0

আমি স্বপন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 170 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

সকল কে জ্ঞান দান করুন নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

চালায় যান ………

আপনার সবগুলো টিউন পড়লাম। এ সম্বন্ধে আরও বিস্তারিত জানার আগ্রহ আছে। পরবর্তী টিউনের অপেক্ষায় রইলাম।
plc সহজে শিখার জন্য ভালো কোন বই এর নাম,বা যেকোনো source এর সন্ধান দিলে উপকৃত হতাম।

    @গাধাঁরেনিয়াম: PLC শিখার বাংলা বই এখনো পাই নাই। যদি পাই তবে আপনাদেরকে দেওয়া হবে। ইংরেজি অনেক বই নেটে পাবেন, সেখান থেকে কিছু ধারনা পেতে পারেন। কমেন্টস এর জন্য ধন্যবাদ।

Level 0

Microcontroller Learn section

Level 0

@স্বপন
হুম । ধীরে ধীরে বুজতে পারছি এবং মজা পাচ্ছি

    @newton_01: বাস্তবে কাজ করতে পারলে আরও মজা পাইবেন।

Level 0

থ্যাংক ইউ

@atiqur1192: ইউ আর ওয়েলকাম।