বর্তমানে নিজের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে ব্লগিং করাটা অনেক ভালো একটি মাধ্যম। তো আপনার মনে যদি ব্লগিং করার ইচ্ছা জেগে থাকে এবং কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খায় অর্থাৎ ব্লগিং করে টাকা আয় করতে চান তাহলে আজকের টিউন আপনার জন্য।
আসসালামু আলাইকুম, টেকটিউনস এর পক্ষ থেকে আমি অভি আছি আপনাদের সাথে। আমি প্রায় দুই বছর ধরে ব্লগিং এর সাথে জড়িত আছি, তো আজকের এই টিউনের মাধ্যমে পাঠকদের কে আমি ব্লগিং করে টাকা আয় করার বিষয় সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেব। তো যদি কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো এই প্রশ্নটির উত্তর পেতে চান তাহলে পোস্টটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
বর্তমানে অনলাইনের যুগে শত শত উপায় আছে যার মাধ্যমে যেকোনো সাধারণ মানুষ টাকা ইনকাম করতে পারে। আর এই অনলাইনে টাকা ইনকামের জন্য বাইরে কোথাও যেতে হয় না ঘরে বসেই কিছু কার্যক্রম সম্পন্ন করার মাধ্যমে টাকা আয় করা সম্ভব।
আর এই কার্যক্রম গুলোর মধ্যে ব্লগিং জগতটা অনেক বড় একটি জগত। যদি আপনি অনলাইন থেকে সত্যিই ভালো কিছু টাকা ইনকাম করার স্বপ্ন দেখে থাকেন তাহলে অবশ্যই ব্লগিং শুরু করা উচিত। চলুন কথা না বাড়িয়ে কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো এই প্রশ্নটির উত্তর জানার পাশাপাশি ব্লগিং করে টাকা আয় করা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে আসি।
নিচে ব্লগিং শুরু করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নিয়ে বিস্তারিত আলচনা করা হলোঃ
কনটেন্ট রাইটিং: বন্ধুরা ব্লগিং শুরু করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কনটেন্ট রাইটিং শিখে নিতে হবে। তো এই কন্টেন্ট রাইটিং শেখার জন্য আপনি ইউটিউবে কন্টেন্ট রাইটিং শেখার বিষয়ে সার্চ করতে পারেন। এছাড়া গুগলে কোন কিছু খোঁজাখুঁজি করার সময় যে সকল কন্টেন্ট গুলো আপনার সামনে আসে সেগুলো পড়ার মাধ্যমেও আপনি আপনার কন্টেন্ট রাইটিং এর জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
কনটেন্ট রাইটিং শেখার পাশাপাশি আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে (ফেসবুক, ট্রিক বিডি তে) আপনার কনটেন্ট গুলো পাবলিশ করে কনটেন্ট রাইটিং এর অভিজ্ঞতাটা আরো বাড়িয়ে নিতে পারেন।
এসইও: ব্লগিং করে টাকা আয় করতে চাইলে আপনার ওয়েবসাইটে অবশ্যই বেশি বেশি ভিজিটর আনতে হবে। যদি প্রচুর ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন তাহলে ব্লগিং করে টাকা আয় করার অনেক উপায় খুঁজে পাবেন। তো এই ভিজিটর বারানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে ভালোমতো এসইও শিখতে হবে এবং আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইট কে প্রোপারলি এসিও করতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইট গুগলে র্যাংক করবে এবং সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর পাবেন।
মার্কেটিং: ওয়েবসাইটকে এসইও করে গুগল থেকে ভিজিটর আনার পাশাপাশি যদি আপনার ওয়েবসাইটকে ভালো মতো মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে এখান থেকে ইনকাম হওয়ার সম্ভাবনা আরো অনেক বেশি থাকবে। তো আপনি চাইলে ফেসবুক মার্কেটিং বা ইউটিউব মার্কেটিং এছাড়া কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে আরো জনপ্রিয় করে তুলতে পারবেন।
উপরের এই পয়েন্ট গুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার পর আপনি চাইলে ব্লগার এ কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসে একটি ওয়েবসাইট খুলে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করে দিতে পারেন। আর ব্লগিং ওয়েবসাইট কিভাবে খুলতে হয় এই বিষয়ে আপনি গুগলে এবং ইউটিউবে অসংখ্য টিউটোরিয়াল পাবেন।
ওপরে আমরা এতক্ষন কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো এই বিষয় নিয়ে সংক্ষেপে কিছু পয়েন্ট আলোচনা করেছি। এখন আমরা ব্লগিং করে টাকা আয় নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলোচনা করব।
প্রথমেই বলে রাখি যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন তাহলে টাকা আয় নিয়ে কোন ধরনের চিন্তা করতে হবে না। ভিজিটর নিয়ে আসতে পারলে আপনি গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভাল করিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপণ দেখানোর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের স্পনসরশীপ নিয়েও প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
এছাড়াও যদি আপনার ওয়েবসাইট অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে যায় তাহলে এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং করে টাকা আয় এর আরো শত শত উপায় রয়েছে যেগুলো আপনি আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার পরিচালনা করার সময় নিজে নিজেই বুঝতে পারবেন।
পরিশেষে:
আজকের টিউনে মূলত আমরা ব্লগিং করে টাকা আয় এবং কিভাবে ব্লগিং শুরু করব এই বিষয়গুলো নিয়ে দর্শকদেরকে কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনি আমার এই টিউনের মাধ্যমে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। যদি এই ব্লগিং সম্পর্কিত আরো কোন বিষয়বস্তুর সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই টিউমেন্টে জানাবেন আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
আমি খন্দকার অভি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন কন্টেন্ট রাইটার, নিজের ব্লগে লেখার পাশাপাশি টেক টিউন্স এ লেখালেখি করে থাকি।
Nice post