বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আগেই বলে নেই সফলতা কোনো দুত কলা দিয়ে মাখানো ভাতঁ নই, যে অতি সহজেই খেয়ে ফেলবেন। সফলতা হলো অনেক কষ্টের ফল।
আমাদের মধ্যে কে না সফলতা পেতে চাই? কেও পড়ালেখাই, কেও ব্যবসাই ইত্যেদি। তবে পৃথিবীতে এমন অনেকেই আছে যারা জীবনে অন্যান্য বিষয়কে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের সফলতার পথ থেকে অনেক দূরে সরে যায়। ফলসরুপ অনেকে আত্মহত্যার মতো জঘন্য কাজটিও করে বসে।
তাই সবকিছুর আগে জেনে নেয়া প্রয়োজন কোন বিষয়গুলো সফলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং জীবনে সফলতা পেতে হলে কোন বিষয়গুলোকে এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।
১. অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়া:
সফলতা না পাওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন নির্দিষ্ট হলো অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়া। আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়ি। নতুন একটি কাজ করতে গেলে কিংবা কোনো একটি কাজ শুরু করলে এর মধ্যে ভুল হতেই পারে, ফলাফল আশানুরূপ নাই হতে পারে কিন্তু সেজন্য হতাশ হয়ে পড়লে কখনো সামনে এগোনো যায় না।
আমাদের সবার চেনা মুখ, জাহেদ সাবুর সার (সার বললাম এই কারনে, নির্দিষ্ট আমার কাছে তাকে অনেক ভালো লাগে) বলেছেন - যখন তোমি কোনো কাজ করতে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়বা এবং কাজটি আর করতে মনে চাইবেনা, তখন বেবে নিবে এই যারা কাজটিতে সফলতা পাইনি তারা সবাই এই পর্যায়ে এসে হাল ছেড়ে দিয়েছে যার।
তাই কোনো কিছু শুরু করলে মাঝপথে হতাশ হয়ে সেটা ছেড়ে না দিয়ে সব সময় শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবে। তাহলে দেখবে কোনো একসময় তুমি ঠিকই সেটাতে সফলতা পেয়ে গেছো।
“অনেক মানুষ ব্যর্থ হয়েছে শুধু হার মেনে নেয়ার কারণে। অনেকেই হার মেনে নেয়ার সময়ে বুঝতেও পারেনি তারা বিজয়ের কতটা কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। ”
– টমাস আলভা এডিসন, বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী ও সফল উদ্যোক্তা
আপনি যদি এমনটি ভেবে থাকেন তাহলে মনে করবেন, আসলে আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের নেই, আর সফলতার জন্য আত্মবিশ্বাস অবস্যই থাকতে হবে।
মনে রাখবেন আপনি যদি সফলতা পেতে চান তাহলে, আপনাকে অবস্যই দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে যে, ‘আমি যেভাবে চিন্তা করি, সেভাবেই সবকিছু পরিবর্তন করতে পারবো (ইন্সা আল্লাহ)।
এটি গবেষণার দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, যারা এই ধরনের ইতিবাচক মনোভাব ধারণ করে, তারা সহজেই সফলতার দেখা পেয়ে থাকে।
৩. অতীত নিয়ে বেশি বেশি চিন্তা করা:
সব সময় অতীত নিয়ে চিন্তা করলে, অতীতে কী হয়েছে সেসব ভেবে থেমে থাকলে জীবনে কখনো এগোনো যায় না। জীবনে ব্যর্থতা থাকবেই, খারাপ সময় থাকবেই, কিন্তু সেগুলো নিয়ে সবসময় চিন্তা না করে নিজের উপর ভরসা রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
অতীতের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে কীভাবে ভালো কিছু করা যায় সেই চেষ্টা করবে। তাহলে দেখবে একসময় তুমি সত্যি সত্যিই সফলতার কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। সফলতার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সবকিছুর জন্য নিজেকে দায়ী না ভাবা।
“পৃথিবীর বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ অর্জন সেইসব লোকদের দ্বারা হয়েছে, যারা সব আশার আলো নিভে যাওয়ার পরও চেষ্টা করে গেছে। ”
– ডেল কার্নেগী, লেখক ও মোটিভেটর
৪. একসাথে অনেককিছুর পেছনে ছোটা:
একসাথে অনেককিছুর পেছনে ছুটতে গেলে দেখা যায় শেষপর্যন্ত কোনটাতেই আর সফলতা পাওয়া যায় না। তাই একসাথে অনেক কিছুতে জড়িয়ে না পড়ে প্ল্যান করে একটির পর একটি কাজ করার চেষ্টা করবে। এতে করে একদিকে যেমন তোমার নিজের উপর চাপ অনেক কমে আসবে অন্যদিকে তেমনি তোমার কাজগুলোও ভালোভাবে শেষ হয়ে যাবে।
“আমি আসলে খুব বেশি বুদ্ধিমান নই, আমি শুধু সমস্যার পেছনে অন্যদের চেয়ে বেশি সময় দিই। ”
– আলবার্ট আইনস্টাইন, বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী
৫. হুট করে কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়া:
কোন ব্যাপারে হুট করে কিছু সিদ্ধান্ত নিলে পরবর্তীতে আমাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হলেও সেই ঘটনাটি সম্পর্কে আমাদের আগের মনোভাবে কোন পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই, কোন কিছু নিয়ে উপসংহারে পৌঁছাতে চাইলে আগে প্রমাণ দেখতে হবে, যুক্তি দিয়ে মিলিয়ে সবকিছু বাছবিচার করে তবেই নিজের মতামতকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যেমন: কোন প্রমাণ ছাড়াই বেশভুষা দেখেই কোন একজনকে যদি মনে হয় সেই ব্যক্তি ভালো নয় এবং এই মনোভাব নিয়েই যদি সে ব্যক্তির সাথে তুমি খারাপ আচরণ করো তাহলে সেটি অন্যায় হবে। আগে জানতে হবে সে ব্যক্তি সত্যিই ভালো নাকি মন্দ।
মনে রাখবেন ব্যর্থতা আসলে নতুন করে শুরু করার একটা দারুন সুযোগ, এবার আপনাকে শুধু আরেকটু বেশি বুদ্ধি খাটাতে হবে।
আজ এই পর্যন্তই। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
সফলতা এবং অনুপ্রেরনা মুলক গল্প পেতে, আমাদের গ্রুপটিতে Join করতে পারেন।
লিঙ্কঃ সফলতা - THE SUCCESS
SPECIAL CONTENT:
“যে জ্ঞান অর্জনের খোঁজে বের হয়, সে আল্লাহর পথে বের হয়।
- তিরমিযী
আমি মো আজিজুর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 11 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।