শুরু করার আগেই একটি বিষয় বলতে চাই তা হল আমি এখানে সংক্ষেপে শুধু কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে বিস্তারিত আলোচনার জন্য আপনার পাঠ্যবই অনুসরণ করুন
আজকের শিরোনাম দেখেই অনেকেই অনুমান করে ফেলেছেন যে আজকে কোন অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করব।
আচ্ছা ধরুন আজকে আমি আপনাকে ১০০০ টাকা দিব অথবা ১ বছর পর ১০০০ টাকা দিব আপনি কোনটা নিবেন?
আমি জানি আপনি আজকেই নিতে চাইবেন। কারন ভবিষ্যৎ সর্বদা অনিশ্চিত তাছাড়া আজকে আর
১ বছর পরেও টাকার পরিমাণ সমান
কিন্তু যদি বলি যে আপনাকে ১ বছর পর ১২০০ টাকা দেয়া হবে তাহলে কিন্তু দ্বিধায় পড়ে যাবেন। অর্থের সময় মুল্য মূলত এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করে।
অর্থের সময় মুল্য অর্থাৎ সময়ের সাথে সাথে অর্থের মুল্যের যে পরিবর্তন হয়। সাধারনত বর্তমানের চাইতে ভবিষ্যতে অর্থের পরিমাণ বেশী হয়ে থাকে এর কিছু কারন আছে
তা হল-
১ - অনিশ্চয়তা(Uncertainty)- ভবিষ্যতে কি হবে না হবে তা এখন বলা কঠিন, মানুষের মৃত্যু, অসুস্থতা ইত্যাদি কারনে অবস্থা পরিবর্তন হতে পারে যার জন্য মানুষ বর্তমান কে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আর ভবিষ্যতের বেশী প্রাপ্তি হল এই ঝুঁকি গ্রহনের পুরস্কার।
২-বিনিয়োগ সুবিধা(Investmen opportunities)- হাতে নগদ টাকা থাকলে তা বিভিন্ন লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা অর্জন সম্ভব। তাই স্বভাবতই মানুষ বর্তমান কে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
৩-মুদ্রাস্ফিতি(Inflation)- অনেকেই আমরা জানি যে শায়েস্তা খানের আমলে ১ টাকায় নাকি ৮ মন চাল পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে? এই যে সময়ের সাথে অর্থের মুল্য হ্রাস পেয়েছে, এটি হয়েছে মুদ্রাস্ফিতির কারনে।
উপরের আলোচনা থেকে আমরা একটু হলেও বুজতে পেরেছি যে আজকের ১ টাকা আর ভবিষ্যতের ১ টাকা সমান নয়, এখন আজকের ১ টাকা ভবিষ্যতে কত দিনে কি ভাবে কত টাকায় রুপান্তরিত হবে সেটা নিয়েই আলোচনা অর্থের সময় মূল্যে।
এখানে আমাদের বর্তমানের কোন পরিমাণ টাকা ভবিষ্যতে বা ভবিষ্যতের কোন টাকা কে বর্তমান মূল্যে রুপান্তরিত করতে হলে কয়েকটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে তা হল-
১- অর্থের পরিমাণ(Amount of money)- আপনি যদি অর্থের পরিমাণ না জানেন তাহলে এর ভবিষ্যত মুল্য নির্ধাওন সম্ভব নয়। তাই অর্থের সময় মুল্য নির্ধারনে টাকার পরিমাণ অত্যাবশ্যক বিষয়।
২- সময়(Time) - ভবিষ্যৎ বলতে আসলে নির্দিষ্ট সময় বুঝায় না, আগামী কাল যেমন ভবিষ্যৎ আবার ১০০ বছর পরে সেটাও ভবিষ্যৎ। কাজেই অর্থের সময় মুল্য নির্ধারনে সময় একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয়।
৩- সুদের হার(Rate of interest)- অর্থের সময় মুল্য নির্ধারনে সবচাইতে গুরুত্বপুর্ন হল সুদের হার। কারন সুদের হারই নির্ধারন করে ভবিষ্যতের টাকা কম বেশী হয়।
সুদ সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে
(ক)-সরল সুদ(Simple interest) (খ) চক্রবৃদ্ধি সুদ(Compound interest)
সরল সুদ(Simple interest)- যেখানে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর শুধু মাত্র আশাকরি আপনি ১০০ টাকা ২ বছরের জন্য ৫ % হারে বিনিয়োগ করলেন, এক্ষেত্রে আপনার সুদ গননা করা হবে শুধু মাত্র ১০০ টাকার উপর
চক্রবৃদ্ধি সুদ(Compound interest)-যেখানে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর আশাকরি আপনি ১০০ টাকা ২ বছরের জন্য ৫ % হারে বিনিয়োগ করলেন তাহলে আপনার ১ম বছর সুদ গননা হবে (১০০X৫%)=৫ টাকা এবং ২য় বছর সুদ গননা হবে (১০০+৫)x৫%=৫.২৫টাকা
আজকে এই পর্যন্তই সামনে আরো বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সাথেই থাকুন, আর হ্যা কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।
আমার এই লেখা পুর্বে প্রকাশিত হয় এখানে
হিসাববিজ্ঞান নিয়ে টিউন দেখতে পারেন এখানে
আমি আছি ফেসবুকে
ধন্যবাদ দেখা হবে আগামী পর্বে :
আমি মোঃরকিবুল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 21 টি টিউন ও 80 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।