বিদেশে উচ্চশিক্ষার কথা শুনলে আমাদের মনে যে প্রশ্ন গুলো জাগে আর তা হল- আমি কি পারব? কেমন খরচ হয় এটার? রেজাল্ট কেমন লাগে?
টেকটিউনস এর সাথে যুক্ত আছি অনেক আগে থেকেই, কিন্তু কখন ও কোন টিউন করা হয়ে ওঠেনি, তাই আজ লিখতে বসলাম বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে! কেননা, এটি নিয়ে আমাদের অনেকের মনে নানা ধরনের কনফিউশন শেষ নাই! তো এই টিউনে আমি আপনাদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে সাধারণ কিছু ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব। আশাকরি, সামান্য তম হলেও উপকার করতে পারব। তো কথা না বাড়িয়ে কাজের কথায় আসি-
বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে আমাদের মনে নানা প্রশ্ন জাগে। যেমনঃ আমি কি পারব? কি করতে হবে? স্কলারশিপ পাব? কেমনে কি কি করব। কেমন খরচ হয় এটার? রেজাল্ট কেমন লাগে? ইত্যাদি ইত্যাদি। তো কি করতে পারি এখন!
বিদেশে উচ্চশিক্ষা কি এটি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নাই, তাই এখন এক এক করে সমস্যার কথায় আশাকরি।
কেন পড়বেন বিদেশে? এক কথায়- বিদেশের অধিকাংশ ভার্সিটি গুলোই হয় পাবলিক, আমি বলছি না প্রাইভেট ভার্সিটি নাই তবে সেটা আমাদের মূখ্য বিষয় নই। আমার চাই স্কলারশিপ নিয়ে কিভাবে সরকারী ভাবে বিনা খরচে পড়া যায়। তো চলুন শুরু করি-
টিউন তো থাকছে, তাছাড়া- এ সম্পর্কে জানতে আরো আগ্রহী তাদের জন্য আমার এই ভিডিও টি। আশাকরি এটি ভাল লাগবে, তবে হ্যা বরাবর ই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন!
১. টপ র্যাঙ্কিংঃ প্রথমেই আসি ভার্সিটির কথায়, বিদেশে যে সকল ভার্সিটিগুলো স্কলারশিপ প্রভাইড করে তাদের অধিকাংশই ওয়াল্ড র্যাঙ্কিং এ এগিয়ে থাকে। যেখানে আমাদের বাংলাদেশের ভার্সিটিগুলো অনেক পিছিয়ে। যদি আপনি স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়তে যান তাহলে আপনি ইন্টারন্যাশনার মানের একটি ভার্সিটির সার্টিফিকেট পাচ্ছেন। যেটার মান সর্বত্রে উচ্চ থাকবে। আপনি নেটে একটু সার্স করে বিভিন্ন দেশের ভার্সি
টির র্যাঙ্ক দেখে ঐ ভার্সিটিতে আবেদন করতে পারবেন।
২. সাবজেক্টঃ বিদেশে আপনি আপনার পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে পারবেন। যেমনঃ আমাদের বাংলাদেশে যারা ডুয়েট বা বুয়েটে পড়তে চায় তাদের নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপরে আবেদন করার সুযোগ থাকে। কিন্তু এখানে ভিন্ন- আপনার পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে পারছেন আবার সার্টি
ফিকেটের মান ও থাকছে উচ্চ মানের। এখানে আপনি কোন বিষয় নিয়ে বিএসসি/ এমএসসি/ বিবিএ/ এমবিএ/ বিএ/ এমএ/ পিএইচডি এর উপর পড়তে চান সেটি আপনি নির্ধারন করে নিতে পারবেন। আপনি যে বিষয় নিয়ে পড়তে চান সেই বিষয় টি কোন কোন ভার্সিটিতে আছে সেটি যেনে ঐ ভার্সিটি তে আবেদন করতে পারেন। যেটি আপনি নেট থেকে যেনে নিতে পারবেন।
৩. রেজাল্টঃ স্কলারশিপ নির্ভর করে আপনার রেজাল্টের উপর। যে কোন রেজাল্টেই আবেদন করা যায় তবে সাধারনত এইচ, এস, সি ও এইচ. এস. সি মিলে ৮ পয়েন্ট এবং যারা ডিপ্লোমা করেছেন তাদের জন্য ৭ পয়েন্ট।
৪. খরচঃ আমার হিসেব মতে দেশের প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে বিদেশের ভার্সিটিতে সবমিলিয়ে খচর তুলনামূলক অনেক কম। পার্থক্য টা হল দেশে টাকা টা ৪ বছর এ ভাগ ভাগ করে দেওয়া লাগে আর এখানে সেটা একবারে খরচ করতে হয়।
খরচ হয় মূলত ৩ টি খাতে
ক. টিউশন ফি (যেট অধিকাংশ ভার্সিটিতেই মাফ করা হয়, যেটি বাংলাদেশের প্রাইভেট ভার্সিটিতে আবশ্যক)
খ. ডরমেটরি ফি (যেটা ভার্সিটির উপর নির্ভর করে, যদি আপনার স্কলারশিপ কম থাকে তাহলে এটি দিতে হবে। এটির জন্য বছরে ৩০, ০০০/= মত দিতে হয় চায়নার জন্য। )
গ. নিজের খরচঃ যেটা খাওয়া বা অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ অধিকাংশ জায়গায় আপনাকেই বহন করতে হবে। যেটা দেশে থাকলেও আপনাকে লাগবে।
৫.স্কলারশিপঃ স্কলারশিপ এর শতকরা অনুপাত তথা আপনি কত % স্কলারশিপ পাবেন এটি নির্ভর করে ভার্সিটি র্যাঙ্কিং ও আপনার যোগ্যতার উপর। আপনার যোগ্যতা তথা রেজাল্ট যত ভাল হবে আপনার স্কলারশিপ পাওয়া টা তত সহজ হবে। এমন কি আপনি ফুল স্কলারশিপ ও পেতে পারেন। আর যদি স্কলারশিপ % কম পান তাহলে খরচ এর বিষয় টা একটু বেশি হবে।
৬. পার্ট টাইম জবঃ পড়ালেখার পাশাপাশি অনেকেই চান পার্ট-টাইম চাকুরি করতে, সেটা করা সম্ভব কিন্তু সব দেশে পড়ার পাশাপাশি চাকুরির সুযোগ থাকে না। তাই আপনি যে দেশে যেতে চান আগেই এ সম্পর্কে জেনে নিবেন।
৭. সেশনঃ একেক দেশে একেক সময় সেশন শুরু হয়, সে বিষয় টি আগে থেকেই যেনে নিবেন। আপনি যে সেশন এ যেতে চান সেই সেশন শুরু হওয়ার কমপক্ষে ১মাস আগেই সকল কাজ সম্পন করে নিবেন। সেশন যদি মার্চ এ হয় তাহলে আপানকে জানুয়ারীতেই প্রস্তুতি নিতে হবে। কেননা তখন ভার্সিটিতে সিট এর পরিমান বেশি থাকে এবং ঝামেলা ও কম হয়।
৮. ভাষাঃ কিছু দেশ আছে তাদের রিকোয়ামেন্টে থাকে ভাষা জানা যরুরী, তবে সব দেশে না। অধিকাংশ ভার্সিটিতেই ইংরেজী তে পাঠদান দেয় হয়ে থাকে। কোন কোন দেশ আবার ইংরেজীতে আই.ই.এল.টেষ্ট রিকোয়ামেন্ট করে থাকে। তবে, সবত্রই ইংরেজী যেনে রাখা ভাল, যেটি দেশ হোক বা বিদেশ সবত্রে কাজে লাগবে।
৯. নতুন পরিবেশঃ কেমন হবে নতুন পরিবেশ এ নিয়ে অনেকেরই মনে প্রশ্ন থাকে। আমার মতে এটি নিয়ে চিন্তা করার কোন কারন নেই। প্রথমে একটু খারাপ লাগলেও পরে সেটি ঠিক হয়ে যায়। তাছাড়া আপনিই দেখুন না, আপনার বাড়ির পাশেও কত জন বিদেশে আছে তাদের থেকে তো আপনি ভাল থকবেন, কেননা আপনি যাচ্ছেন পড়াশোনা করার জন্য বন্ধু-বান্ধব হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের. আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।
১০. এখন কি করণীয়ঃ সবই তো বুঝলাম, কিন্তু এখন কি করতে হবে- কি কি প্রয়োজন হবে? কিভাবে আবেদন করব? আপনার সকল সার্টিফিকেট এবং পাসপোর্টের প্রয়োজন হবে আবেদনের জন্য। এ সম্পর্কে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সবশেষে বলব- যেহেতু আমি টি.টি তে নতুন টিউন করছি তাই ভুল ত্রুটি স্বাভাবিক। অনুগ্রহ ক্ষমা করবেন। আর, টিউন টা কেমন হল জানাবেন। কোন প্রশ্ন থাকলে টিউমেন্টে করতে ভুলবেন না। যথাসম্ভব সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
আমি রানা। Student, Nanjing Institute Of Industry Technology, Nanjing, Jiansu, China। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 27 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আপনার পণ্য ও সেবার ডিজিটাল মার্কেটিং করুন টেকটিউনসের সুবিশাল ৪ কোটি এর সৌশল নেটওয়ার্কে।
টেকটিউনসে ডিজিটাল মার্কেটিং করুন ১০ ধরনের এডভার্টাইজমেন্ট অপশনের মাধ্যমে। দারুন Competitive প্রাইজে আপনার পণ্য, সেবা ও ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপণ দিন আর পান ৩০০% এর ও বেশি রেসপন্স।
৩০ মে ২০১৮ এর আগে অর্ডার করলে পাচ্ছেন ২০০০ টাকা বোনাস সাথে সাথে।
টেকটিউনসে বিজ্ঞাপণ দিতে ক্লিক করুন